চলমান কোপা আমেরিকায় গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। যেখানে বাঁচা-মরার ম্যাচটিতে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও পরবর্তীতে ১-১ সমতায় থেকেই ম্যাচ শেষ করেছে সেলেসাওরা। আর এই ড্র-তে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেও কোয়ার্টারে পা রাখলো পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলে ব্রাজিল। এতে প্রথমার্ধে বল দখল ও নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে ছিল দলটি। তবে পরবর্তীতে খেয় হারায় সেলেসাওরা। কলম্বিয়ার একের পর এক শটে বিপর্যয় ঘনিয়ে আসতে শুরু করে ডারিভাল জুনিয়রের শিষ্যদের সামনে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অ্যাটাক করেও দ্বিতীয় গোল করতে পারেনি কোন দলই। এতে করেই ১-১ সমতায় থেকেই শেষ হয় ম্যাচ। এই ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে কোয়ার্টারের টিকিট
পেয়েছে ভিনিসিয়ুস-রদ্রিগোরা।আর ৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থান থেকে
টুর্নামেন্ট শেষ করেছে কলম্বিয়া।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তার করে খেলে ব্রাজিল। যদিও ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ হারাতে থাকে তারা। ভালো ফুটবল খেলে উল্টো ব্রাজিলকেই চাপে রাখে কলম্বিয়া। তার ফলও পেয়েছে দলটি।
ম্যাচের ১২তম মিনিটে রাফিনহার গোলে লিড নেয় রাফিনহা। ফ্রি কিকে বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে ডানপ্রান্ত দিয়ে কলম্বিয়ার জাল কাঁপিয়ে দেন এই বার্সা তারকা। ১৬তম মিনিটে আক্রমণে ওঠে কলম্বিয়া। জেমস রদ্রিগেজের বাঁ পায়ে নেয়া শটটি গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।
এরপর কয়েকবার আক্রমণে গিয়েও কলম্বিয়াকে ডিফেন্ডারদের বোকা বানাতে পারেনি সেলেসাওরা। তাদের ডেডলক ভাঙতে না পেরে গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারেনি তারা। ম্যাচের ৩০তম মিনিটে দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করেন রিচার্ড রিওস। বক্সের বাইরে থেকে তার নেয়া দ্রুত গতির শটটি রুখে দেন অ্যালিসন বেকার।
৩৪তম মিনিটে দলকে আরেকবার রক্ষা করেন বেকার। জেমস রদ্রিগেজের নেয়া দূর পাল্লার শটটি ফিরিয়ে দেন এই লিভারপুল গোলরক্ষক। এর ১ মিনিট পরেই আবারো সুযোগ পায় কলম্বিয়া। কিন্তু সেটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে তারা।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে (৪৫+২) দলকে সমতায় ফেরান কলম্বিয়ার ড্যানিয়েল মুনোজ। জন করদোবার অ্যাসিস্টে দুর্দান্ত গোলে ব্রাজিলের জাল কাঁপিয়ে দেন তিনি। এই গোলে ১-১ গোলের সমতায় বিরতিতে যায় দুদল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে ব্রাজিল। তবে কঠিন চ্যালেঞ্জে তাদের প্রতিবারই পরাস্ত করেছে কলম্বিয়া। ৫১তম মিনিটে জেমস রদ্রিগেজের অ্যাসিস্টে ব্রাজিলের ডেরায় ভয় ধরান করদোবা। কিন্তু তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপরেই আক্রমণে ওঠে ব্রাজিল। এদের মিলিতাও এর পাস থেকে বল পেয়ে কলম্বিয়ার গোল পোস্টের ওপর দিয়ে মারেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
৫৯তম মিনিটে ফ্রি কিক পায় ব্রাজিল। তবে রাফিনহার নেয়া শটটি গোলবারের বাঁ পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। এর মিনিট দুয়েক পরেই সুযোগ নষ্ট করেন কলম্বিয়ার জন আরিয়াস। ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে ব্রাজিলের আক্রমণ করে কলম্বিয়া। বক্সের ডান দিক থেকে ক্রস করেন রদ্রিগেজ। সেই বলে করদোবার নেয়া হেডটি রুখে দেন বেকার।
৮৪তম জর্জ কারাস্কালের নেয়া শটটি রুখে দেন বেকার। একই মিনিটে আবারো সুযোগ তৈরি করে কলম্বিয়া। এবার রদ্রিগেজের অ্যাসিস্ট ব্রাজিলের জালে জড়াতে ব্যর্থ হন রাফায়েল। তার নেয়া শটটি গোল পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়।
ম্যাচের
৯৩মিনিটে দুর্দান্ত সুযোগ মিস করেন ভিনিসিয়ুস। দ্রুত গতিতে প্রতিপক্ষের
বক্সে ঢুকে যান ঠিকই, কিন্তু বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওয়ান বাই ওয়ানের সুযোগ
হাতছাড়া করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হওয়ায় ১-১ সমতায় শেষ হয়েছে ম্যাচটি।
ব্রাজিল কোপা আমেরিকা কোয়ার্টার ফাইনাল
মন্তব্য করুন
দুই হেভিওয়েট দলের লড়াই। গ্রুপ পর্ব থেকেই খেলে আসছে দাপুটে ফুটবল। ২০২২ বিশ্বকাপে দুই দলের সবশেষ সাক্ষাৎটাও ১-১ সমতায় ছিল। কিন্তু এবার আর অমীমাংসিত থাকলো না। ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনের কাছে হেরে শিরোপার লড়াই থেমে গেল স্বাগতিক জার্মানির।
স্পেন ও জার্মানি তিনবার করে ইউরোর চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরেছে। ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল দুটো চলমান আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে নামবে আর উত্তেজনা থাকবে না সেটা কি হয়? ফাইনালের আগেই যেন দেখা গেলো আরেক ফাইনাল। যেখানে হেরে যাওয়া দলটার নাম জার্মানি।
তবে জার্মানি হেরে যাওয়ার আগে ম্যাচে অনেক নাটকীয় মুহুর্ত এসেছে। তবে যত নাটকীয় মুহুর্তই আসুক না কেন। শেষ পর্যন্ত জার্মানির বিদায় নিশ্চিত হল ইউরো থেকে। ম্যাচের একদম অন্তিম মুহুর্তে জার্মানির মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান উইর্টজের গোলে সমতায় ফেরার পর জার্মানরা এরপর ম্যাচে ছিল শুধুই অতিরিক্ত সময়ের ৩০মিনিট। শেষ পর্যন্ত নাটকীয় ম্যাচটার রেজাল্ট গেছে স্পেনের পক্ষে। ২-১ গোলের জয়ে ইউরোর সেমিফাইনালে প্রথম দল হিসেবে নাম লেখালো স্পেন।
এদিন ঘরের মাঠে ম্যাচ বিধায় বাড়তি সুবিধা পায় জার্মানরা। কিন্তু সাম্প্রতিক ফর্ম এগিয়ে রাখে স্প্যানিয়ার্ডদের। আর সেই ফর্ম ম্যাচের ৫১ মিনিটে কাজেও লাগায় লুইস ফুয়েন্তের দল। স্পেনকে ১-০ গোলের লিড এনে দেন দানি অলমো।
এরপর ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময় লিড ধরে রেখে স্পেন যখন জয়ের স্বপ্ন দেখছে তখনই ম্যাচের একদম অন্তিম মুহুর্তে সমতায় ফেরে স্বাগতিক জার্মানি। ৮৯ মিনিটে মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান উইর্টজের গোলের দেখা পায় হুলিয়ান নাগেলসম্যান শিষ্যরা। ম্যাচ তখন ১-১ সমতায়।
এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও একদম শেষ বাশি বাজার আগে গোলের দেখা পায় স্পেন। মিকেল মেরিনোর গোলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় স্পেন।
এর আগে কোয়ার্টার ফাইনালে আসার পথে দুই দলই আধিপত্য দেখিয়েই এসেছে। এবারের আসরের একমাত্র দল হিসেবে চার ম্যাচের সবকটিতেই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রাধান্য বিস্তার করে এসেছে স্পেন। জার্মানি চার ম্যাচের তিনটি জিতেছে। অন্যটি ড্র করেছে।
শেষবার দুই দলের বড় কোনো শিরোপা জয়েরও পেরিয়েছে এক দশক। ২০১৪ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। আর শেষবার স্পেন বড় সাফল্য পেয়েছে ২০১২ সালে। সেটি ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে।
এর আগে দুই দলের মুখোমুখিতে ২৬ ম্যাচের নয়টিতে জয় ছিল জার্মানদের আর আটটিতে জয় স্পেনের। বাকি আটটি ম্যাচ অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়।
এমন পরিসংখ্যানকে সামনে রেখে দুই দলের লড়াইয়ে এদিন ম্যাচ শুরুর আগে থেকে লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গিয়েছিল। যেখানে শুরু থেকেই জমে উঠতে থাকে দুই দলের মাঠের লড়াই।
ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজার ৫৩ সেকেন্ডেই স্পেনের সুযোগ এসেছিল এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু পেদ্রির দূরপাল্লার শট ঠেকিয়ে দেন জার্মান গোলরক্ষক নয়্যার। মুহুর্মুহু আক্রমণের পসরা সাজাতে থাকে দুই দল। চলে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের লড়াই। এরমাঝেই আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন স্প্যানিশ ফরওয়ার্ড পেদ্রি।
এদিকে বল দখলের লড়াইয়ে প্রথমার্ধে আধিপত্য দেখায় জার্মানরা। এই সময়ে বল পাসেও এগিয়ে ছিল দলটি। অপরদিকে বেশ কয়েকটি আক্রমণ করলেও সফল হতে পারেনি।
বলের দখল আর পাসিংয়ে জার্মানদের আধিপত্য থাকলেও গোলপোস্টে শট বেশি নিয়েছে স্পেন। জার্মানি যেখানে স্পেনের গোলপোস্টে ৫ টি শট নিয়েছে, সেখানে স্পেন গোলপোস্টে শট নিতে পেরেছে ১২ টি।
এভাবে দুই দলের এগিয়ে যাওয়ার আক্রমণ যেন আরও বেড়ে যায়। কিন্ত জোরালো আক্রমণ করতে না পারায় বারবার ব্যার্থ হতে থাকে স্পেন ও জার্মানি। শেষ পর্যন্ত গোলের মুখ খুলতে পারেনি কোনোদল। যার ফলে প্রথমার্ধ ০-০ তে শেষ করে দুই হেভিওয়েট স্পেন ও ইতালি।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবারও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ স্পেন। এবার ডি-বক্সের ভিতরে সহজ সুযোগ মিস করেন মোরাতা। বারের উপর দিয়ে বল চলে যাওয়ায় লিড নেয়া হয়নি স্পেনের।
এরইমধ্যে দুই দল আবারও প্রথমার্ধের মতই খেলা শুরু করে সমানতালে। যেখানে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে দুই দল। এরপর আসে ম্যাচের কাঙ্খিত সেই মুহুর্ত। গোলের দেখা পেয়ে যায় স্পেন। ম্যাচের বয়স ৫১ মিনিট, ঠিক তখন সম্মিলিত আক্রমণে স্পেনকে লিড এনে দেন ফরওয়ার্ড দানি অলমো।
স্পেন এগিয়ে যাওয়ার পর আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে ম্যাচের উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকে। ম্যাচের বয়স যত বাড়তে থাকে পিছিয়ে পড়া জার্মানদের আক্রমণ যেন ততই বেড়ে যায়।
এদিকে ম্যাচের ৬৯ মিনিটে ডি বক্সের খুব কাছে থেকে সুযোগ পায় জার্মানি। কিন্তু স্পেন গোলকিপার বাধা হয়ে দাঁড়ালে সমতায় ফেরার অপেক্ষা আরও বেড়ে যায় হুলিয়ান নাগেলসম্যান শিষ্যদের।
এরপর ম্যাচের ৭৬ মিনিটে জার্মানদের সমতা ফেরার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় গোলবার। তবে ৮২ মিনিটে স্প্যানিশ গোলকিপারের ভুলে সহজ সুযোগ কাইল হার্ভাটেজ কাজে লাগাতে না পারায় আরও একবার সমতায় ফিরতে ব্যার্থ হয় জার্মানি।
এদিকে ম্যাচের বয়স বাড়তে থাকায় স্পেন লিড ধরে রেখে খেলতে থাকে আর জার্মানরা একের পর এক আক্রমণের ধার বাড়াতে থাকে।
কিন্তু ঠিকএরপরই আসে জার্মানদের ম্যাজিকাল মোমেন্ট। ম্যাচের এক মিনিট বাকি থাকতে মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান উইর্টজের গোলে সমতায় ফেরে জার্মানি। এরপর নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ১-১ সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধেও এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে মাঠে নামে দুই দল। যেখানে ম্যাচের একদম অন্তিম মুহূর্তে শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগে গোলের দেখা পায় স্পেন। মিকেল মেরিনোর গোলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়ে ইউরোর সেমিফাইনালে চলে যায় তারা।
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জার্মানি স্পেন
মন্তব্য করুন
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর যেন অস্তিত্ব সংকটে পড়ে গেছে পাকিস্তানের
ক্রিকেট। সামনের দিনে কীভাবে এগোবে দেশটির ক্রিকেট, তা নিয়ে নানা মুনি নানা মত দিচ্ছেন।
বিশ্বকাপের
পর পাকিস্তান দলের খোলনলচে বদলে ফেলার কথা বলেছেন দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি মহসিন নকভি। বাবর আজমের অধিনায়ত্ব নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। নজর এড়ায়নি তার স্লো ব্যাটিংয়ের বিষয়টিও।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে
ভালো করেননি মোহাম্মদ রিজওয়ানও। কানাডার বিপক্ষে ম্যাচে ফিফটি করলে বল নষ্ট করেছেন অনেকগুলো।
এমন বাজে পারফরম্যান্সের কারণে বাবর ও রিজওয়ানকে আল্টিমেটাম
দিয়েছেন সাবেক পাকিস্তান
অধিনায়ক রশিদ লতিফ।
দলের এই দুই তারকাকে নিজেদের খেলায় পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিয়েছেন লতিফ। তাদেরকে বদলে ফেলতে হবে ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ।
যেমনটি করেছেন ভারতের রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। আর যদি পরিবর্তন করতে না পারে, তাহলে যেন তারা দল থেকে বেরিয়ে যায়, এমন আল্টিমেটাম
দিয়েছেন লতিফ।
লতিফ বলেন, ‘আমি রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির উদাহরণ দেবো। তারা কীভাবে নিজেদের বদলেছে তা দেখানোর জন্য। রোহিত নিজেকে ১৯০ ডিগ্রি পরিবর্তন করেছে; পরিবর্তন সম্ভব। কারণ সে একজন আদর্শ ক্রিকেটার হয়ে উঠেছে। তার আইপিএল স্ট্রাইক রেট আগে ছিল ১৩০-১৪০। কিন্তু এই বছর তা ১৬০ এ গিয়ে ঠেকেছে। বিরাট কোহলিও তাই করেছে।’
‘এই দুই ব্যাটসম্যান যদি বদলাতে পারে, তাহলে যে কেউ পারবে। আমি বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানকে
টি-টোয়েন্টিতে তাদের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ
পরিবর্তন করার জন্য ৫টি ম্যাচ সুযোগ দেবো। এবং যদি তারা তা না করে, তবে তাদের জন্য দলে কোনো জায়গা থাকা উচিত নয়’-যোগ করেন লতিফ।
বাবর রিজওয়ান আলটিমেটাম রশিদ লতিফ
মন্তব্য করুন
চলমান ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বড় ধাক্কা খেয়েছে তুরস্ক। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে তুরস্কের জয়ের নায়ক মেরিহ ডেমিরালকে ২ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে উগ্র জাতীয়বাদী কায়দায় গোল উদযাপনের অভিযোগ এনে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে উয়েফা।
ইউরোপিয়ান চাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলোর ম্যাচে গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) অস্ট্রিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করে তুরস্ক। ঐ ম্যাচে একাই জোড়া গোল করে দলকে জেতান ডিফেন্ডার দেমিরাল।
ম্যাচটিতে দ্বিতীয় গোলটি করার সময় তার করা উদযাপনকে ভালোভাবে নেয়নি উয়েফা কর্তৃপক্ষ। উদযাপনের সময় দুই হাত দিয়ে তিনি যে প্রতীক তৈরি করেছিলেন সেটা তুরস্কের উগ্র-জাতীয়তাবাদী সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্কিত। যারা ‘গ্রে উলভস’ নামে বেশি পরিচিত।
‘গ্রে উলভস’ গ্রুপকে ফ্রান্সে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া অস্ট্রিয়ায় ‘গ্রে উলফ স্যালুট’ ব্যবহার নিষিদ্ধ। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর দেমিরালের বিরুদ্ধে ‘অনুপযুক্ত আচরণ’ করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত শেষে শুক্রবার (৫ জুলাই) দেমিরালের শাস্তি ঘোষণা করে উয়েফা।
দেমিরালের শাস্তি ঘোষণার বিবৃতিতে উয়েফা জানিয়েছে, আচরণের সাধারণ নীতিমালা মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়া, শালীন আচরণের মৌলিক নিয়ম লঙ্ঘন করা এবং ফুটবলের দুর্নাম করার জন্য দেমিরালকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হওয়ায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে দেমিরালকে পাবে না তুরস্ক। দল সেমিফাইনালে উঠলেও খেলতে পারবেন না তিনি।
মন্তব্য করুন
শুরু থেকেই জমজমাট লড়াই উপহার দিয়ে আসছে জার্মানিতে চলমান ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। গ্রুপপর্ব ও শেষ ষোলো পেরিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের আগে সেই রোমাঞ্চ আরও বেড়েছে। টিকে থাকা দলগুলোর এখনকার লড়াই আরও গুরুত্বপূর্ণ, হারলেই ছিটকে যেতে হবে ইউরো থেকে।
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম দিনে দু’টি খেলা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী শনিবার হবে আরও দুটি কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। শনিবারের (৬ জুলাই) দুটি কোয়ার্টারে ইংল্যান্ড মুখোমুখি হবে সুইজারল্যান্ডের এবং নেদারল্যান্ডস মুখোমুখি হবে তুরস্কের।
এ ম্যাচের আগে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে ইংল্যান্ড ও তুরস্ক। রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ ইংলিশ তারকা জুড বেলিংহ্যাম এক ম্যাচ ও তুরস্কের ডিফেন্ডার মেরিহ দেমিরাল দুই ম্যাচের জন্য নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন। শুক্রবার (৫ জুলাই) ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (উয়েফা) তাদের এ শাস্তির কথা এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করে।
শেষ ষোলোর ম্যাচে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে গোল করার পর বুনো উদযাপনে মাতেন রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ ইংলিশ তারকা জুড বেলিংহ্যাম। তার এই বুনো উদযাপন ভালো চোখে দেখেনি উয়েফা কর্তৃপক্ষ। তাই তদন্ত করার পর দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ৩০ হাজার ইউরো জরিমানাও করেছে।
নিজের ওই অঙ্গভঙ্গির ব্যাখ্যাও পরে দিয়েছিলেন বেলিংহাম। ম্যাচের পর জানিয়েছিলেন, মাঠে থাকা তার বন্ধুদের উদ্দেশ্য করে তিনি এটা করেছিলেন। তবে এতে ছাড় মেলেনি। শাস্তি তবুও পেতে হয়েছে তাকে।
তবে স্বস্তির বিষয় হচ্ছে বেলিংহ্যাম নিষিদ্ধ হলেও খেলতে পারবেন কোয়ার্টার ফাইনালে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। কেননা উয়েফা তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, বেলিংহ্যামের শাস্তি এখনই কার্যকর করা হচ্ছে না। এই স্থগিত নিষেধাজ্ঞা আগামী এক বছরের যেকোনো ম্যাচে বাস্তবায়ন করা যাবে। তাই সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে খেলতে পারবেন এই তারকা।
শুধু বেলিংহ্যামই নন, শাস্তি পেয়েছে ইংল্যান্ড ফুটবল ফেডারেশনও। স্লোভাকিয়া ম্যাচে ইংলিশ দর্শকদের আচরণ ছিল বিশৃঙ্খলাজনিত। তাদের বিশৃঙ্খলাজনিত আচরণের জন্য ১০ হাজার ইউরো এবং গ্যালারিতেই বাজির কাজে আগুন ধরানোয় এক হাজার ইউরো জরিমানা গুনতে হচ্ছে ইংলিশ ফেডারেশনকে।
এদিকে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে জয় পাওয়া ম্যাচে বুনো উদযাপন করায় দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তুরস্কের ডিফেন্ডার মেরিহ দেমিরাল। ম্যাচের ৫৯তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করার পর উদযাপনের সময় দুই হাত দিয়ে একটি প্রতীক তৈরি করেন দেমিরাল। যা তুরস্কের উগ্র-জাতীয়তাবাদী সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্কিত। যারা ‘গ্রে উলভস’ নামে বেশি পরিচিত।
ম্যাচের সময় গোল উদযাপনে এমন আচরণ করার অভিযোগ ওঠার পর তদন্ত শুরু করে উয়েফা। তদন্ত শেষে শুক্রবার তার শাস্তির ঘোষণা করে সংস্থাটি।
বেলিংহ্যাম শাস্তি থেকে বেঁচে গেলেও তুরস্কের দেমিরালের মুক্তি মিলছে না। তাই কোয়ার্টার ফাইনালে আগামী শনিবার (৬ জুলাই) নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বার্লিনের ম্যাচটি মিস করবেন তিনি। সেই সঙ্গে তুরস্ক সেমিতে উঠলে সেটিও মিস করবেন দেমিরাল। অর্থাৎ তুরস্ক ফাইনালে গেলেই কেবল খেলতে পারবেন দেমিরাল। তবে তুরস্ক যদি কোয়ার্টার থেকে বাদ পড়ে তাহলে জাতীয় দলের পরবর্তী ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকবেন দেমিরাল।
ফুটবল ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ ইউরো-২০২৪
মন্তব্য করুন
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে আজ মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দুই পরাশক্তি ফ্রান্স ও পর্তুগাল। হাইভোল্টেজ এই ম্যাচটি ইউরোর দুই সেরা দলের হলেও, অন্য এক দিক থেকে আজকের এই লড়াই যেন ভক্ত-সমর্থকদের কাছে বাড়তি উত্তেজনার খোরাক জোগাচ্ছে। আর তা হচ্ছে, ইতিহাসের সেরাদের অন্যতম ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সাথে তার শিষ্য সময়ের সেরা তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের লড়াই। আজকের এই দুই দলের মহারণের মহাদ্বৈরথে বিদায়ের সুর বেজে ওঠবে একজনের। বাংলাদেশ সময় রাত রাত ১টায় শুরু হবে খেলা।
ফুটবলের মাঠে অনেক সিনিয়র তারকা রোনালদোর বিপক্ষে খেলতে পারাকে নিজের জন্য সম্মানের মনে করছেন এমবাপে। এই বিষয়ে ফরাসি তারকা বলেন, ‘ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের মুখোমুখি হচ্ছি। মানে মুখোমুখি হতে যাচ্ছি রোনালদোরও। তার মুখোমুখি হওয়াটাও সম্মানের।’
ফ্রান্স ও পর্তুগালের মুখোমুখি হওয়াটা ২০১৬ ইউরোর ফাইনালের পুনরাবৃত্তি। সেই আসরে পর্তুগাল ফাইনালে ১-০ গোলে ফ্রান্সকে হারিয়ে তাদের প্রথম বড় আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতেছিল।
রোনালদো ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত রিয়ালের জার্সিতে ৪৩৮ ম্যাচ খেলে ৪৫০ গোল করেছেন। জিতেছেন ২টি লা লিগা ও চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাা।
অন্যদিকে ২৫ বছর বয়সী ফরাসি সুপারস্টার এমবাপে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন। রিয়ালের জার্সিতে রোনালদোর মতো মহিমা অর্জনের আশা নিশ্চয়ই করবেন এমবাপে। তার আগে ৫ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকার সঙ্গে মাঠে দেখা হয়ে যাচ্ছ তার।
ম্যাচটা উপভোগ করবেন,এমনটি উল্লেখ করে এমবাপে বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমি তাকে (রোনালদো) জানার এবং তার সঙ্গে অনেকবার কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের এখনও যোগাযোগ আছে। তিনি সর্বদা আমাকে পরামর্শ দেওয়ার এবং আমার সবকিছু আপ টু ডেট রাখার চেষ্টা করছেন। তাই বলছি, তার বিরুদ্ধে খেলা সম্মানের। আগে যা ঘটেছে বা পরে যা ঘটুক না কেন, তিনি সর্বদা কিংবদন্তি হয়েই থাকবেন। তবে আশা করি, তাকে হারিয়ে অবশ্যই আমরা সেমিফাইনালে উঠবো।’
এমবাপে রোনালদোর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলেছেন, ‘তাকে অনুকরণের কোনো আগ্রহ নেই। কারণ, এটা একটি অসম্ভব কাজ। মাদ্রিদে আমি নিজের গল্প লিখে সামনের বছরগুলো ব্যবহার করতে চাই। আমি যথেষ্ট ভাগ্যবান যে, মাদ্রিদে একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমার স্বপ্নের জীবন শুরু করার সুযোগ পেয়েছি। আশা করি, সেখানে একটি দুর্দান্ত গল্প লিখবো। তবে এটা ঠিক, আমি অবশ্যই সেখানে ক্রিশ্চিয়ানোর বাকি গল্প লিখতে যাচ্ছি না। মাদ্রিদে তিনি যা করেছেন তা অনন্য। তিনি কী ছিলেন, তিনি কী- সেটা আপনাকে উপলব্ধি করতে হবে।’
Cristiano Ronaldo kylian mbappé Portugal VS France এমবাপ্পে রোনালদো পর্তুগাল ফ্রান্স
মন্তব্য করুন
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর যেন অস্তিত্ব সংকটে পড়ে গেছে পাকিস্তানের ক্রিকেট। সামনের দিনে কীভাবে এগোবে দেশটির ক্রিকেট, তা নিয়ে নানা মুনি নানা মত দিচ্ছেন। বিশ্বকাপের পর পাকিস্তান দলের খোলনলচে বদলে ফেলার কথা বলেছেন দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি মহসিন নকভি। বাবর আজমের অধিনায়ত্ব নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। নজর এড়ায়নি তার স্লো ব্যাটিংয়ের বিষয়টিও।
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে আজ মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দুই পরাশক্তি ফ্রান্স ও পর্তুগাল। হাইভোল্টেজ এই ম্যাচটি ইউরোর দুই সেরা দলের হলেও, অন্য এক দিক থেকে আজকের এই লড়াই যেন ভক্ত-সমর্থকদের কাছে বাড়তি উত্তেজনার খোরাক জোগাচ্ছে। আর তা হচ্ছে, ইতিহাসের সেরাদের অন্যতম ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সাথে তার শিষ্য সময়ের সেরা তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের লড়াই। আজকের এই দুই দলের মহারণের মহাদ্বৈরথে বিদায়ের সুর বেজে ওঠবে একজনের। বাংলাদেশ সময় রাত রাত ১টায় শুরু হবে খেলা।