ইনসাইড গ্রাউন্ড

ক্যারিয়ারের গোধূলিতে আবারও এক হলেন মেসি-রোনালদো!

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

লিওনেল মেসি নাকি ক্রিষ্টিয়ানো রোনালদো, কে সেরা? এমন বিতর্ক তো এখনও চলেই আসছে। ভক্ত সমর্থকদের মধ্যেও সেরার তর্ক-বিতর্ক এখনও চলমান। ফুটবলের এই দুই মহাতারকার ক্যারিয়ারের যত অর্জন তার বেশির ভাগই এসেছে একই সময়ে। ভিন্ন মহাদেশের এই দুই সুপারস্টার সাফল্যে তাদের মধ্যে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করেছে।

একটা সময় ছিল যেখানে আজ মেসি রোনালদোকে ছেড়ে গেছেন তো পরদিনই আবার মেসিকে ছুয়ে ফেলেছেন রোনালদো। এই দুই মহাতারকার প্রাইম টাইমে এমন রেকর্ড আর রেকর্ড ব্রেক তো হরহামেশাই দেখতে পেতেন দর্শকরা। সাফল্যের ক্ষেত্রে দুজনের যেমন অনেক মিল পরিলক্ষিত, এবার ব্যর্থতার ক্ষেত্রেও এরকমই মিল খুজে পাওয়া গেল মেসি রোনালদোর মধ্যে। 

আমেরিকা জার্মানিতে এই মুহুর্তে চলছে দুটি মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে, কোপা আমেরিকা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। আর চলমান এই দুই আসরেই দুই সুপারস্টারের ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা হল। নিজ নিজ মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় খেলতে নেমে গ্রুপ পর্বে কোনো গোলই পাননি লিওনেল মেসি ক্রিষ্টয়ানো রোনালদো!

অথচ নিজ নিজ দেশের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় সবার উপরেই আছে এলএমটেন সিআর সেভেনের নাম। পর্তুগীজ সুপারস্টার তো আন্তর্জাতিক ফুটবলের ইতিহাসেই সর্বোচ্চ সংখ্যক গোলের মালিক।

৩৭ বছর বয়সী লিও মেসি কোপায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে। অপরদিকে ৪০ ছুঁই ছুঁই রোনালদো ২০১৬ ইউরো চ্যাম্পিয়নদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

কোপা আমেরিকায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এরইমধ্যে কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লিখিয়েছে মেসির আর্জেন্টিনা। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে তিন ম্যাচের তিনটিতেই জয় পেয়েছে আলবিসেলস্তেরা। যেখানে এলএমটেন মাঠে নেমেছিলেন দুই ম্যাচে আর ইনজুরি থাকায় খেলতে পারেননি গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ। কিন্তু দুই ম্যাচে মাঠে থাকলেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি মেসি। মেসি যে পাননি একটিও গোল।

এলএমটেনের এমন অভিজ্ঞতা অবশ্য এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০০৭ এবং ২০১১ কোপা আমেরিকার আসরের গ্রুপ পর্বেও গোলের দেখা পাননি মেসি। ফলে ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য শেষ কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্ব গোল ছাড়াই শেষ করতে হল আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে

এদিকে নিজের প্রথম দুই কোপার আসরে গোলের খাতা খুলতে না পারলেও পরের চার আসরে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তী ঠিকই পেয়েছিলেন গোলের দেখা। ২০১৫ কোপার গ্রুপ পর্বে এক গোল করা মেসি ২০১৬ তে গ্রুপ পর্বের হ্যাটট্রিক করেছিলে। এরপর ২০১৯ সালেও এক গোল করেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। আর সর্বশেষ ২০২১ সালে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আসরে গ্রুপ পর্বে মেসি করেছিলেন গোল। তবে চলমান কোপা আমেরিকায় প্রুপ পর্বে গোল না পাওয়া আর্জেন্টাইন মহাতারকা প্রথম ম্যাচে একটি গোলে সহায়তা করেন।

অন্যদিকে মেসির এমন অভিজ্ঞতা একাধিকবার থাকলেও রোনালদোর ক্যারিয়ারে এমন অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম। চলমান ইউরোর গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে মাঠে নেমে একবারও গোলের দেখা পাননি পর্তুগীজ মহাতারকা। তবে চলমান ইউরোয় প্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে একটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন রোনালদো। কিন্তু নিজে গোল না করে সেটি ব্রুনো ফার্নান্দেজকে এসিস্ট করেন এর আগে ইউরোতে গ্রুপ পর্ব থেকে কখনোই খালি হাতে না ফেরা রোনালদো।

২০০৪ সালে ইউরোয় আগমন ঘটে রোনালদোর। ২০০৪ ২০০৮ সালে গুরপ পর্বে সমান একটি করে গোল করেন রোনালদো। এরপর ২০০৮ ২০১২ সালে গ্রুপ পর্বে সমান জোড়া গোলের দেখা পাওয়া রোনালদোর সেরা আসর ছিল ২০২০ ইউরো। গত আসরে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে রোনালদো একাই করেছিলেন গোল।

ইউরোয় সবচেয়ে বেশি ১৪ গোলের মালিক রোনালদো এখনও পর্যন্ত চলমান আসরের গ্রুপ পর্ব দ্বিতীয় রাউন্ড কোথায় গোলের দেখা পাননি। নক আউট পর্বের ম্যাচে তো পেনাল্টি থেকেও গোল করতে ব্যার্থ হন পর্তুগীজ মহাতারকা।

মেসি রোনালদো ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য শেষ কোপা ইউরোতে গ্রুপ পর্বটা গোলহীনই কাটালেন। তবে শেষ পর্যন্ত ট্রফি জিততে পারলে গোল না পাওয়ার বেদনা নিশ্চয়ই ভুলে যাবেন এই দুই মহাতারকা।

কোপা ইউরোর শেষ চারে যাওয়ার লড়াইয়ে শুক্রবার ভোরে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর। একইদিন দিবাগত রাতে পর্তুগাল লড়বে ফ্রান্সের বিপক্ষে।


ক্যারিয়ার   গোধূলি   মেসি   রোনালদো  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

সুইজারল্যান্ডকে টাইব্রেকারে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ইউরোর সেমিতে ইংল্যান্ড

প্রকাশ: ০১:১৩ এএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ইংল্যান্ড গ্যারেথ সাউথগেটের অধীনে সবশেষ চার মেজর টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল খেললেও ছুঁয়ে দেখা হয়নি শিরোপা।  কিন্তু এবার আর কোয়ার্টারে থামল না ইংলিশরা। সুইজারল্যান্ডকে টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে হারিয়ে ইউরোর সেমিফাইনালে চলে গেল ইংল্যান্ড।

ইংল্যান্ডের বর্তমান পারফরম্যান্সের নিরিখে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে জয় পাওয়াটা যে সহজ হবে না সেটা আগে থেকেই অনুমেয় ছিল।  হলোও তাই, ৭৫ মিনিটে গোল খেয়ে বসে ইংল্যান্ড।  সুইস ফরওয়ার্ড ব্রেল এম্বোলোর গোলে ম্যাচে লিড পায় সুইসরা।

কিন্তু লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি সুইজারল্যান্ড। ৭৫ মিনিটে গোল হজম করার চার মিনিট পর সমতায় ফেরে ইংলিশরা।  রাইট উইংগার বুকাও সাকা স্কোর করলে ১-১ সমতায় ফেরে ইংল্যান্ড।

পারফরম্যান্স বিবেচনায় চলমান ইউরোয় গ্যারেথ সাউথগেটের  দলের চেয়েও বেশ ভালো খেলেই কোয়ার্টারে নাম লেখায় সুইজারল্যান্ড।  শক্তিশালী ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে শেষ ষোলোতে হারিয়ে কোয়ার্টারে আসে সুইসরা।

অন্যদিকে নামে ও ভারে সুইজারল্যান্ডের থেকে অনেক এগিয়ে থাকলেও টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই এক ধরনের বিরক্তিকর ফুটবল উপহার দিয়ে এসেছে ইংল্যান্ড।  স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে শেষ সময়ের গোলে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে কোনমতে রক্ষা পায় গ্যারাথ সাউথগেটের দল।

কিন্তু ইউরোর ইতিহাসে এখনো বেলিংহাম-কেইনদের হারাতে না পারা সুইসরা আজও হেরেই টুর্নামেন্ট থেকেই বিদায় নিল।  এদিন ম্যাচের শুরু আগে লড়াইয়ের আভাস থাকলেও ম্যাচ  শুরু হওয়ার পর থেকেই দেখা যায় ঢিলেঢালা ভাব।  দুই দলই ছন্নছাড়া ফুটবল খেলতে থাকে।  আক্রমণ কিংবা পাল্টা আক্রমণের কোনো চেহারাই ভেসে ওঠেনি ম্যাচের প্রথম হাফে।  পুরো ৪৫ মিনিটে বলার মত কোনো আক্রমণ করতে পারেনি কোনো দল।

তবে প্রথামার্ধে বল দখলের আধিপত্য দেখায় ইংল্যান্ড।  কিন্তু গোল পোস্টে শট নিতে পেরেছে মাত্র পাচটি।  অন টার্গেটে শট নিতে পারেনি একটিও।  অপরদিকে এই সময়ে সুইজারল্যান্ড গোলপোস্ট বরাবর শট নেয় মাত্র ২টি।  শেষ পর্যন্ত জোরালো কোনো আক্রমণ করতে না পারায় গোলের মুখ খুলতে পারেনি কোনোদল।  যার ফলে প্রথমার্ধ ০-০ তে শেষ করে হেভিওয়েট ইংল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ড।

এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই দুইদলেরই দূরাবস্থা মাঠে। ঠিক যেন প্রথমার্ধের মত।  তেমন একটা গোলের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি কোনো দল।  ধীরগতির খেলা উপহার দিতে থাকে দুই দল।  এরপর ম্যাচের  ৭৫ মিনিটে গোলের দেখা পায় সুইজারল্যান্ড।  সুইস ফরওয়ার্ড ব্রেল এম্বোলোর গোলে ম্যাচে লিড পায় সুইসরা।

এরপর পিছিয়ে পড়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেয়ার চেষ্টা করে গ্যারেথ সাউথগেটের দল।  ফলাফলও পেয়ে যায় সাথেসাথেই।  ৭৫ মিনিটে গোল হজম করার চার মিনিট পর সমতায় ফেরে ইংলিশরা।  রাইট উইংগার বুকাও সাকা স্কোর করলে ১-১ সমতায় ফেরে ইংল্যান্ড।

ম্যাচ যখন ১-১ সমতায়, এরপর দুই দলের খানিকটা দাপুটে ফুটবল দেখা গেল।  ম্যাচের বয়স যত বাড়তে থাকে দুই দলেরই  আক্রমণ যেন ততই বেড়ে যায়।  এরপর ম্যাচের পুরো ৯০ মিনিট পর্যন্ত দুই দলই বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দল।  শেষ পর্যন্ত ম্যাচের নির্ধারিত সময় ১-১ ব্যাবধানে সমতায় থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধও ১-১ সমতায় শেষ হয়।  তবে এই সময়ে দুই দলই বেশ কয়েকটা সুযোগ তৈরি করলেও কাজে লাগাতে পারেনি।  এরপর অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের খেলায়ও গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে দুই দল। শেষ পর্যন্ত কোনো দলই গোল না পাওয়ায় এখানেও ১-১ সমতায় শেষ হয়।

এরপর ফলাফল নির্ধারণের জন্য টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ।  যেখানে সুইজারল্যান্ডকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে তৃতীয় দল হিসেবে ইউরোর সেমিফাইনালে নাম লেখায় থ্রি লায়ন্সরা।


ইংল্যান্ড   সুইজারল্যান্ড   ইউরো ২০২৪  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পরিবারের চাওয়াতে ব্যাংকক নেওয়া হচ্ছে নাফিস ইকবালকে

প্রকাশ: ১০:২৩ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ক্রীড়াঙ্গনের বিষাদময় এক দিন পার হয়েছে গতকাল শুক্রবার। দাবার বোর্ডেই হার্ট অ্যাটাক করে পরপারে পাড়ি জমিয়েছিলেন দেশের অন্যতম সেরা দাবাড়ু জিয়াউর রহমান। একইদিনে দেশের ক্রিকেট পাড়ায় উদ্বেগ বাড়িয়েছিলেন দেশের সাবেক ওপেনার নাফিস ইকবাল। আগের রাতে ব্রেন স্ট্রোক করার পর শুক্রবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে আনা হয় ঢাকায়।

একদিন পরেই এবার নাফিস ইকবালকে উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে নেয়া হচ্ছে ব্যাংককে। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। জানিয়েছেন নাফিস ভালো আছেন তবে পরিবারের চাওয়াতে নেওয়া হচ্ছে ব্যাংককে।

দেবাশীষ বলেন, ‘ওরা ব্যাংককে পরিবারসহ যাচ্ছে। এমন না যে অবস্থা খারাপ বলে যাচ্ছে তা না ওরা মূলত ফ্যামিলি সিদ্ধান্ত যাচ্ছে আর কি। পরিবার চাইছে আর কি এমন না যে ইমারজেন্সি বলে যাচ্ছে। উনার স্ত্রী- মা যাচ্ছে আর কি কালকে সকাল আটটায় মনে হয়। তবে আগের থেকে ভালো আছে আর কি।’


ক্রীড়াঙ্গন   সাবেক ওপেনার   নাফিস ইকবাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফাইনালের আগে আরেক ফাইনালে নামছে ব্রাজিল

প্রকাশ: ০৯:২৫ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে এবারের কোপা আমেরিকার মিশন শুরু করেছিল ব্রাজিল। কিন্তু শিরোপার লড়াই তো দূরে থাক, গ্রুপপর্বতেই নড়বড়ে অবস্থা হয়েছিল সেলেসাওদের। যদিও শেষ পর্যন্ত কোয়ার্টারে পা রেখেছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

তবুও গ্রুপসেরা হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করে রানার্সআপ হয়ে নকআউটে জায়গা করে নেয় সেলেসাওরা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী উরুগুয়ে। সেমি নিশ্চিতের এই ম্যাচে তারকা ফুটবলার ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে ছাড়া খেলতে হবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায়।

মুখোমুখি দেখায় অবশ্য ব্রাজিলের ধারেকাছেও নেই উরুগুয়ে। দুদলের ৭৯ বারের দেখায় ৪০ ম্যাচেই জয় সেলেসাওদের। ২২ ম্যাচে জয় উরুগুয়ের। আর বাকি ১৭টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। সর্বশেষ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অবশ্য জিততে পারেননি ব্রাজিল। সেই ম্যাচে দরিভাল জুনিয়রের শিষ্যদের হার ২-০ ব্যবধানে।

২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর এলোমেলো হয়ে পড়া ব্রাজিল দলকে সঠিক পথে ফেরানোর চেষ্টা করছে কোচ দরিভাল জুনিয়র। তার অধীনে শেষ ৭ ম্যাচের কোনোটিই হারেনি সেলেসাওরা। যা বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে ভক্তদের। প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে বলেই বেশ সতর্ক ব্রাজিল। তবে, লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন ব্রাজিল লেফটব্যাক ওয়েন্ডেল।

ম্যাচের আগে উরুগুয়েকে সতর্কবার্তা দিয়ে ওয়েন্ডেল বলেন, ‘উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে আমরা শক্তিশালী এক প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হব। তবে তারাও ব্রাজিল ফুটবলের শক্তি দেখতে পাবে। আমরা কোনো ম্যাচ এখনও হারিনি। দুই ড্রয়ের বিপরীতে একটিতে জিতেছি। আমরা টুর্নামেন্টে এখনও অপরাজিত।’

অন্যদিকে, পানামাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে আসর শুরু করে উরুগুয়ে। পরের ম্যাচেই বলিভিয়াকে তারা উড়িয়ে দেয় ৫-০ গোলে। আর শেষ ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে দলটির জয় ১-০ গোলে। সবমিলিয়ে টানা ৩ জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা দলটির চোখ শিরোপা জয়ে।

এই ম্যাচে দলটির আক্রমণভাগে আরাউহোকে নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। তার বদলি হিসেবে দেখা যেতে পারে ক্রিস্টিয়ান অলিভেরাকে। আক্রমণভাগের খেলোয়াড় দারউইন নুনেজের ছন্দ দলটিকে বাড়তি সাহস যোগাচ্ছে। এছাড়া মিডফিল্ডে ফেডেরিকো ভালভার্সে যেকোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন।

ভিনিসিয়াসের না থাকা দুশ্চিন্তায় ফেলেছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। এক্ষেত্রে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে রদ্রিগোকে। পাশাপাশি রাফিনিয়া ছন্দে আছেন। যা দলটির জন্য স্বস্তির খবর। দলটির রক্ষণে আছেন অভিজ্ঞ মারকুইনহোস ও এডার মিলিতাও। মিডফিল্ডে ভরসা দিচ্ছেন পাকেতা। জয় পেতে হলে এদের সবার এক সঙ্গে জ্বলে ওঠার কোনো বিকল্প নেই।

দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ

ব্রাজিলের ম্যাচে উইঙ্গার ম্যাক্সিমিলিয়ান আরাউজোকে ছাড়াই একাদশ সাজাতে হবে উরুগুয়ের আর্জেন্টাইন কোচ মার্সেলো বিয়েলসাকে। প্রতিযোগিতায় দুই গোল করা এই উইঙ্গার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ের ম্যাচে মাথায় আঘাত পান। ফলে ব্রাজিলের বিপক্ষে ক্রিস্টিয়ান অলিভেরাকে দেখা যাবে শুরুর একাদশে।

অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদের সুপারস্টার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ছাড়া একাদশ সাজাতে হবে দরিভার জুনিয়রকে। তবে ইনজুরি নয় কার্ড নিষেধাজ্ঞায় খেলা হচ্ছে না ২৩ বছর বয়সী এই তারকার।

গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ৭ মিনিটে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ভিনি। ফলে খেলা হচ্ছে না কোয়ার্টার ফাইনালে। তার পরিবর্তে একাদশে ফিরতে পারেন সাভিনহো। এ ছাড়া শুরুর একাদশে থাকতে পারেন ব্রাজিলের নতুন তারকা এনদ্রিকও। আর ওয়েন্ডেলের পরিবর্তে একাদশে ফিরতে পারেন আরানা।

ব্রাজিলের সম্ভাব্য একাদশ (৪-২-৩-১): অ্যালিসন (গোলকিপার), দানিলো (অধিনায়ক), মিলিতাও, মার্কুইনহোস, আরানা, গুইমারেস, গোমেজ, রাফিনিয়া, প্যাকুয়েতা, এনদ্রিক, রদ্রিগো।

উরুগুয়ের সম্ভাব্য একাদশ (৪-৩-৩): রোচেট (গোলকিপার); নান্দেজ, আরাউজো, অলিভেরা, ভিনা, উগার্তে, দে লা ক্রুজ, ভালভার্দে, পেলিস্ট্রি, নুনেজ (অধিনায়ক), অলিভেরা।


ব্রাজিল   উরুগুয়ে   কোপা আমেরিকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার জিম্বাবুয়ের কাছে হারলো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত

প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

এইতো কিছুদিন আগের কথা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ভারত। দীর্ঘ ১১ বছরের অপেক্ষার পর আইসিসির কোনো ইভেন্টে ট্রফি জিতল টিম ইন্ডিয়া।

এখনো ভারতের সবাই ডুবে আছেন বিশ্বকাপের আনন্দে। এরই মাঝে আবারও টিম ইন্ডিয়াকে নামতে হয়েছে মাঠে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে ভারত। হারারেতে ভারত অবশ্য নামিয়েছিল নিজেদের তরুণ দলকে। সেই দলই ধরাশায়ী হলো স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

১১৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১০২ রানেই থামে নতুন দিনের ভারত। বিশ্বকাপের পর নতুন প্রজন্মের তারকাদেরই রোডেশিয়ানদের বিপক্ষে খেলতে পাঠিয়েছিল বিসিসিআই। তবে আইপিএলে পরীক্ষিত তারকারা এদিন হোঁচট খেয়েছেন জিম্বাবুয়ের মাটিতে। ১৩ রানের হারে নিজেদের যাত্রা শুরু করলো শুভমান গিলের নেতৃত্বাধীন ভারত।

এদিন গিল, ওয়াশিংটন এবং আভেশ খান ছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি ভারতের কোন ব্যাটারই। ডাক মেরেছেন দুই মারকুটে ব্যাটার অভিষেক শর্মা এবং রিংকু।

রুতুরাজের ৭, ধ্রুব জুড়েলের ৬ আর রিয়ান পরাগের ২ রানের ইনিংস চাপ বাড়িয়েছে ভারতের। শেষদিকে আভেশ ৩ চারে ১৬ আর ওয়াশিংটনের ২৭ রান করে ভারতকে জয় এনে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন প্রবলভাবে। কিন্তু দিনটি ছিল জিম্বাবুয়ের। তেন্দাই চাতারা আর সিকান্দার রাজার ৩ উইকেট শিকারের দিনে ভারতকে থামতে হলো জয় থেকে ১৩ রান দূরে।


ভারত   ক্রিকেট   জিম্বাবুয়ে সিরিজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

সেই মার্টিনেজই মেসির চোখে সেরা

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

২০২১ সালের ২৪ জুন। অধিনায়ক লিওনেল মেসির হোটেল কক্ষে আর্জেন্টিনার পুরো স্কোয়াড একে একে প্রবেশ করলো। প্রত্যেকের হাতেই অধিনায়কের জন্য ছোট উপহার। সেদিন যে লিও মেসির জন্মদিন। খালি হাতে এলেন একজন। নাম তার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। অধিনায়ক মেসিকে তিনি উপহার দিতে চেয়েছিলেন শিরোপা। সত্যি সত্যি সেটাই করলেন দিনকয়েক পর। 

গোলবারের নিচে অনন্য এমিলিয়ানো মার্টিনেজ এনে দিলেন ২০২১ সালের কোপা আমেরিকার শিরোপা। ২০২২ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস আর ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে অতিমানবীয় এমি আর্জেন্টিনাকে এনে দেন বিশ্বকাপের শিরোপাটাও। 

চিত্রটা বদল হলো না ২০২৪ সালে এসেও। কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরের বিপক্ষে লিওনেল মেসির পেনাল্টি মিস। আরও একবার পরাজয়ের শঙ্কা। কিন্তু সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় আলবিসেলেস্তেরা। নেপথ্যের নায়ক সেই এমিলিয়ানো। ইকুয়েডরের দুই পেনাল্টি ঠেকিয়ে আবার প্রমাণ করলেন পেনাল্টিতে নিজের মুন্সিয়ানা। 

মেসি এমিকে কতটা ভালোবাসেন তার নমুনা দেখা গিয়েছে অজস্রবার। আর গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মেসিকে মানেন আদর্শ। তার জন্য যুদ্ধে যাওয়ার ঘোষণাটাও দিয়ে রেখেছিলেন এই গোলরক্ষক। মেসিকে আরও একবার এমিলিয়ানো রক্ষা করেছেন ইকুয়েডর ম্যাচে। 

ম্যাচ শেষে মেসিও তাই কৃতজ্ঞতা জানালেন এমির প্রতি। নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে করা এক পোস্টে মার্টিনেজকে দিয়েছেন বিশ্বের সেরা গোলকিপারের স্বীকৃতি, ‘আরও একটি ধাপ...কঠিন এক প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আমরা অনেক ভুগেছি। আমরা সেমিফাইনালে উঠেছি, সে জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমাদের দলে আছে বিশ্বের সেরা গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। এগিয়ে যাও আর্জেন্টিনা।’

ইনস্টাগ্রামে এই পোস্টের আগে টেক্সাসে ইকুয়েডরকে হারানোর পর সংবাদমাধ্যমেও মার্তিনেজের প্রশংসা করেন মেসি, ‘আমি জানতাম, এ ধরনের সময়ে দিবু দাঁড়িয়ে যাবে। এ ধরনের মুহূর্তই ওর পছন্দ, যেটা তাকে বড় করে তুলেছে। ও গোলবারের নিচে থাকলে অন্য রকম হয়ে ওঠে।’

কোচ লিওনেল স্কালোনিও ম্যাচের পর মেতেছিলেন মার্টিনেজের বন্দনায়, ‘আমি গোলকিপিং কোচ নই। কিন্তু যখন তারা গোল সেইভ করে তারা বিপক্ষ দলের ওপর আধিপত্য দেখায়, খেলা থেকে ছিটকে দেয়। আর সে (এমি মার্টিনেজ) গোল বাঁচায়। এমনভাবে গোল ঠেকায়, যেন সে মাঠকেই আওয়াজ করতে বাধ্য করে। এটা ভাল দিক, সে আর্জেন্টাইন।' 

এদিকে আজ আরও একবার পেনাল্টি শ্যুটআউট দেখেছে কোপা আমেরিকা। দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে নির্ধারিত সময়ের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর খেলা চলে যায় টাইব্রেকারে। যেখানে ভেনেজুয়েলাকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে সেমির টিকিট কেটেছে কানাডা। বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ছয়টায় নিউ জার্সিতে সেমিফাইনালে কানাডার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।


লিওনেল মেসি   কোপা আমেরিকা   কানাডা   আর্জেন্টিনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন