ইনসাইড হেলথ

'জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক শেখ হাসিনার দর্শন চিন্তাকে ধারণ করে এগুবে'

প্রকাশ: ১১:৪৮ এএম, ২৭ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail 'জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক শেখ হাসিনার দর্শন চিন্তাকে ধারন করে এগুবে'

আমাদের গ্রাম, ক্যান্সার কেয়ার এন্ড রিসার্চ সেন্টার এর পরিচালক রেজা সেলিম বলেছেন, জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক শেখ হাসিনার দর্শন চিন্তাকে ধারণ করে এগুবে।

শনিবার (২৭ আগস্ট) মহাখালীর বিএমআরসি ভবনে “দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার জাতির পিতার স্বপ্ন পূরনের অভিযাত্রা এবং কমিউনিটি ক্লিনিক” শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

রেজা সেলিম বলেন, শেখ হাসিনা তার দর্শনের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছেন। 

কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা: সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচকদের মধ্যে উপস্থিত আছেন, কমিউনিটি গ্রুপ এন্ড কমিউনিটি সার্পোট গ্রুপ, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট এর ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেটর শাহানা পারভীন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ.বি.এম আবদুল্লাহ।

কমিউনিটি ক্লিনিক   গোলটেবিল   আলোচনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

মৌসুমের শুরুতেই ডেঙ্গুর প্রকোপ

প্রকাশ: ১১:০৭ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

মৌসুমের শুরুতেই ফের থাবা বসাতে শুরু করেছে এডিস মশা। বছর ৪৬ জন প্রাণ হারিয়েছে ডেঙ্গুজ্বরে। জুলাইয়ের চার দিনে মারা গেছেন চারজন। রাজধানীসহ সারা দেশে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এর মধ্যে থেমে থেমে বৃষ্টিতে বাড়ছে এডিস মশার বংশবিস্তারের ঝুঁকি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বর্ষা পূর্ববর্তী জরিপের তথ্যে বলা হয়, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১৮টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। রাজধানীর প্রায় ১৫ শতাংশ বাড়িতে মিলেছে এডিস মশার লার্ভা। জরিপে লার্ভা পাওয়া মোট বাড়ির মধ্যে ৪২ দশমিক ৩৩ শতাংশ বহুতল ভবন। ২১ দশমিক শতাংশ স্বতন্ত্র ভবন, ২১ দশমিক শতাংশ নির্মাণাধীন ভবন, ১২ দশমিক ৭৪ শতাংশ সেমিপাকা বাড়ি এবং দশমিক ৭৩ শতাংশ খালি জায়গা।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৮টি ওয়ার্ড এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০টি ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ২০ এর বেশি। সেই হিসাবে ওইসব ওয়ার্ডে এডিস মশার উপস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স সবচেয়ে বেশি ৭৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। চামেলীবাগ, রাজারবাগ, বিজয়নগর, পুরানা পল্টন, শান্তিনগর এলাকা নিয়ে ওই ওয়ার্ড গঠিত।

ছাড়া ডিএসসিসির , ৫২, ৫৪, ১৬, , , ১৫, ১৭ এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স ২০ এর বেশি। উত্তর সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে ৪৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শাহ আলীবাগ, টোলারবাগ, পাইকপাড়া দক্ষিণ বিশিল এলাকা নিয়ে ওই ওয়ার্ড গঠিত।

ইমেরিটাস অধ্যাপক প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘স্বচ্ছ জমাটবাঁধা পানিতে এডিস মশা বংশবিস্তার করে। ছাদ, বেলকুনি কিংবা বাসার আশপাশে পানি জমে আছে কি না তা দেখতে হবে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। শিশু এবং বয়স্কদের ব্যাপারে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। জ্বর আসলে ডেঙ্গু টেস্ট করবেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করবেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত বছর ডেঙ্গুজ্বরে রেকর্ড পরিমাণ রোগী আক্রান্ত হয়েছে। গত বছর দেশে ডেঙ্গু রোগে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ছিল লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন হাজার ৭০৫ জন।


মৌসুম   ডেঙ্গু   প্রকোপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

চিকিৎসা সরঞ্জামের যথাযথ ব্যবহারের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ১০:০৫ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ে সতর্কতা বজায় রাখার পাশাপাশি প্রকৃত প্রয়োজনের ভিত্তিতে সরকারি হাসপাতালের জন্য চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয় করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, চিকিৎসা সরঞ্জামের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বুধবার গণভবনে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠায় স্বাস্থ্য খাতের রূপান্তর বিষয়ে একটি উপস্থাপনা দেখার সময় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তার সরকার স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। গত দেড় দশকে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে নেওয়া পদক্ষেপগুলোর বর্ণনা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন জানান, উপস্থাপনা দেখার পর প্রধানমন্ত্রী সবার জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।

স্বাস্থ্য খাতের আরো উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাধীনতার পর সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধুর যুগান্তকারী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।

উপস্থিত অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান এবং স্বাস্থ্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।


প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা   নির্দেশনা   চিকিৎসা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:৫৭ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রতিনিয়ত বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বুধবার (৩ জুন) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সাউথ-ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বার্ষিক সভায় এ কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ তৈরি হচ্ছে এবং ব্যবহার হচ্ছে। আর এর ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এটি নিয়ন্ত্রণ করা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ।

তিনি বলেন, সাউথ-ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর এ সমাবেশ আমাদের অঞ্চলে ওষুধের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী করার জন্য একটি বড় সুযোগ তৈরি করেছে। আমরা জানি, ওষুধের নিরাপত্তা কার্যকারিতা এবং গুণমান নিশ্চিত করা আমাদের জনগণের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নমানের ও ভেজাল ওষুধের অব্যাহত ঝুঁকি আমাদের জন্য বিরাট একটি চ্যালেঞ্জ।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সাউথ-ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করে আমরা এই চ্যালেঞ্জগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলায় যৌথ দক্ষতা, সম্পদ এবং অভিজ্ঞতাতে কাজে লাগাতে পারি। তথ্য আদান-প্রদান, সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং পারস্পরিক সহায়তার মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্যসেবার এ হুমকিগুলো মোকাবিলা করার মতো সক্ষমতা অর্জন করতে পারবো।

উল্লেখ্য, সাউথ-ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্ক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর জাতীয় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আহমেদুল কবীর।

সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড এবং তিমুর-লেস্তের প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকরা সভায় অংশ নেন।


স্বাস্থ্যমন্ত্রী   ড. সামান্ত লাল সেন   ভেজাল ঔষধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

এবার মানব বীর্যেও মিলল মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি

প্রকাশ: ০৬:৪৯ পিএম, ২১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

এবার মানব বীর্যে মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব মিলেছে। একটি গবেষণায় পরীক্ষা করা সমস্ত মানব বীর্যের নমুনায় পাওয়া গেছে মাইক্রোপ্লাস্টিক। সম্প্রতি দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

গবেষকরা বলছেন, মানববীর্যে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় প্রজননের ওপর এর প্রভাব নিয়ে আরও গবেষণা জরুরি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক দশক ধরেই পুরুষের শুক্রাণুর পরিমাণ (স্পার্ম কাউন্ট) কমেছে। ৪০ শতাংশ স্পার্ম কাউন্ট কমার ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। রাসায়নিক দূষণ এটির কারণ হতে পারে বলে অনেক গবেষণায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, চীনের জিনানে ৪০ জন সুস্থ পুরুষের বীর্যের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। ইতালিতে আরেক গবেষণায় ১০ জন পুরুষের থেকে নমুনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি নমুনায় মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া চীনের অপর এক গবেষণায় ২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় অর্ধেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক মিলেছে।

সম্প্রতি ইঁদুরের ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাইক্রোপ্লাস্টিকের কারণে ইঁদুরের স্পার্ম কাউন্ট কমে গিয়েছে। এছাড়া এটির কারণে অস্বাভাবিক আচরণ ও হরমোনে ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে।

বর্তমানে মাইক্রোপ্লাস্টিক নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে। এতে সর্বত্রই মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণের প্রমাণ মিলছে। গত মে মাসে চালানো এক পরীক্ষায় ২৩টি পুরুষ অন্ডকোষের নমুনায় এ পরীক্ষা চালানো হয়। এতে সবকটিতেই এ ক্ষতিকর কণার উপস্থিতি শনাক্ত হয়।

এর আগে মানুষের রক্ত, প্লাসেন্টা ও বুকের দুধে মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব মেলে। এ সব গবেষণার ফলাফলে মানবদেহে সর্বত্র ক্ষতিকর এ কণার উপস্থিতির ইঙ্গিত মিলে। তবে স্বাস্থ্যের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব এখনও জানা যায়নি। গবেষণাগারে দেখা গেছে, মানবদেহের কোষের ক্ষতি করে মাইক্রোপ্লাস্টিক।

প্রতিবছর লাখ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। যার একটি অংশ সৃষ্টিজগতের খাবার থেকে শুরু করে মানুষের শরীরে গিয়ে মিশছে। এভারেস্ট পর্বতের চূড়া থেকে সমুদ্রের তলদেশেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের দূষিত কণা পৌঁছে গেছে।


মাইক্রোপ্লাস্টিক   বীর্য  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

‘রক্ত দান করুন, দান করুন প্লাজমা’

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৪ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের বিশেষ উপলক্ষ্য জীবন বাঁচাতে রক্তদানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া প্রতি বছর ১৪ জুন সারা বিশ্বে দিনটি উদযাপন করা হয়।

স্বেচ্ছায় রক্তদান এক মহৎ কাজ। রক্তের অভাব একজন ব্যক্তির জীবনকে বিপদে ফেলতে পারে। রক্তের ঘাটতি পূরণ করে রক্তদানের মাধ্যমে জীবন বাঁচানো যায়। এই কারণে মানুষকে রক্তদানের জন্য সচেতন করা হয়, যাতে একজন সুস্থ মানুষ প্রয়োজনে রক্ত দান করতে পারে এবং একটি জীবন বাঁচাতে পারে।

রক্তদানকে উৎসাহিত করা এবং রক্তদাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের লক্ষ্যে প্রতি বছর রক্তদাতা দিবস উদযাপিত হয়। এই উপলক্ষে সারা বিশ্বে মানুষকে অনুপ্রাণিত করা হয়, যেন রক্তের অভাবে কোনো রোগীর মৃত্যু না হয়।

১৪ জুন এই দিনটি উদযাপনের একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। বিজ্ঞানী কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার রক্তের গ্রুপ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এই অবদানের জন্য, কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার ১৯৩০ সালে নোবেল পুরস্কার পান রক্তদাতা দিবসটি বিজ্ঞানী কার্ল ল্যান্ডস্টেইনারকে উৎসর্গ করা হয়েছে। তার জন্মদিন ১৪ জুন।

প্রতি বছর রক্তদাতা দিবসের একটি বিশেষ থিম থাকে। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে। দেশে রক্তের চাহিদা পূরণে স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে থাকছে নানা কর্মসূচি। বার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে- ‘রক্ত দান করুন, দান করুন প্লাজমা, যতবার সম্ভব গ্রহণ করুন জীবন বাঁচানোর অনন্য সুযোগ

সাধারণত ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী যেকোনো শারীরিক মানসিকভাবে সুস্থ সক্ষম ব্যক্তি প্রতি চার মাস পরপর রক্ত দিতে পারেন।

প্রসঙ্গত, ‘আমাদের দেশে প্রতিবছর প্রায় থেকে ১০ লাখ ব্যাগ রক্ত রক্ত উপাদানের চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে কোয়ান্টাম বছরে সরবরাহ করে এক লক্ষাধিক ব্যাগ। ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দুই দশকের যাত্রায় কোয়ান্টাম গড়ে তুলেছে লাখ ৭৪ হাজার স্বেচ্ছা রক্তদাতার সুসংগঠিত ডোনার পুল। আর জীবন বাঁচানোর জন্যে পর্যন্ত সরবরাহ করেছে ১৫ লক্ষাধিক ইউনিট রক্ত রক্ত উপাদান।

রক্তের কোনো বিকল্প নেই। নানা কারণে রোগীর শরীরে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়। সাধারণত থ্যালাসেমিয়া রোগী, রক্তস্বল্পতা, প্রসূতির রক্তক্ষরণ, অগ্নিদগ্ধ রোগী, বড় অপারেশন, দুর্ঘটনায় আক্রান্ত রোগীর রক্তের প্রয়োজন পড়ে। আমাদের দেশে বছরে রক্তের চাহিদা আনুমানিক -১০ লাখ ব্যাগ। দেশের জনসংখ্যার তুলনায় চাহিদা একেবারেই নগণ্য। তবে এখনো স্বেচ্ছা রক্তদানে ঘাটতি রয়েছে। ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমেই স্বেচ্ছা রক্তদাতা বৃদ্ধি করে চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিস্ট বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, শারীরিক মানসিকভাবে সুস্থ ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি যে কোনো ব্যক্তি প্রতি চার মাস পরপর রক্ত দিতে পারেন। নিয়মিত রক্তদানে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি দ্বিগুণেরও বেশি কমে যায়। তার পরেও রক্তদানে অনাগ্রহী বেশির ভাগ মানুষ।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন