দেশে এইডসে এক বছরে ২৩২ জনের মৃত্যু
হয়েছে। এর আগে কোনো বছর এত মানুষের মৃত্যু হয়নি। এ নিয়ে দেশে এইডসে মোট মৃত্যুর সংখ্যা
১ হাজার ৮২০।
বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার
আয়োজিত অনুষ্ঠানে এইডসে মৃত্যুর এ তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে
এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘অসমতা দূর
করি, এইডস মুক্ত বিশ্ব গড়ি’।
প্রতিবছরের মতো এবারও এইডস দিবসের অনুষ্ঠানে
দেশের এইচআইভি–এইডসের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। তাতে বলা হয়, ২০২১ সালের নভেম্বর
থেকে ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ৯৪৭ জন এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন।
তাঁদের মধ্যে দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা ১২৮ জন। বাকি ৮১৯ জন এ দেশের নাগরিক।
দেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয় ১৯৮৯
সালে; আর প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ২০০০ সালে। ওই বছর একজনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর। এরপর থেকে প্রায় প্রতিবছর এইডসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২১ সালের বিশ্ব
এইডস দিবসে ২০৫ জনের মৃত্যুর কথা বলেছিল অধিদপ্তর। এ বছর মৃত্যু আরও বেড়েছে।
গত এক বছর নতুনভাবে সংক্রমিত ব্যক্তিদের
মধ্যে ১৮ শতাংশ প্রবাসী শ্রমিক। শিরায় মাদক গ্রহণকারী ও পুরুষ সমকামীদের মধ্যে সংক্রমণ
তুলনামূলকভাবে বেশি। ঢাকা বিভাগের পর নতুন সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বেশি চট্টগ্রাম
ও খুলনা বিভাগে।
গতকালের অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকে ফেরত আসা শ্রমিকদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ
তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যাচ্ছে। বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর আগে তাঁদের এইচআইভি পরীক্ষা
করা হয়। বিদেশ থেকে দেশে আসার সময়ও তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য
করেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থার প্রতিনিধি রাজেন্দ্র বোহরা বলেন, বৈশ্বিকভাবে এইচআইভি সংক্রমণ কমছে। বাংলাদেশে
সংক্রমণের হার ০.০১ শতাংশের নিচে। এটা ভালো লক্ষণ।
অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্যে এইডস/এসটিডি
কর্মসূচির পরিচালক মো. খুরশিদ আলম বলেন, দেশে অনুমিত এইচআইভি সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা
১৪ হাজার ৫১৩। এর ৬৭ শতাংশকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এ পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের
মধে৵ ৭৭ শতাংশ চিকিৎসার আওতায় আছেন। যাঁরা চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাঁদের ৯০ শতাংশের শরীরের
ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আছে।
এইচআইভি বা এইডস পরীক্ষাসহ চিকিৎসার
সব খরচ সরকার বিনা মূল্যে দেয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সরকারি কর্মকর্তারা বলেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন
হাসপাতাল ও ক্লিনিকে এইচআইভি পরীক্ষা করা গেলে বেশি মানুষকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
তাঁরা বলেন, বিদেশফেরত শ্রমিকদের জাতীয় কর্মসূচির আওতায় রাখা কিছুটা চ্যালেঞ্জের।
জাতীয় এইডস/এসডিটি কর্মসূচি থেকে গৃহীত
নতুন কিছু কার্যক্রমের কথা গতকালের অনুষ্ঠানে জানানো হয়। এর মধ্যে ১০টি কারাগারে হাতে
নেওয়া কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য।
মন্তব্য করুন
কয়েকদিন ধরেই দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। গ্রীষ্মের এই প্রচণ্ড গরমে জনজীবনের হাঁসফাঁস অবস্থা চলছে। এই অবস্থায় অনেকেই এখন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই সুস্থ থাকতে এই তীব্র গরমেও নিজেকে একটু ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যবিষয়ক লেখক এবং পুষ্টিবিদ কেরি টরেন্স বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন কীভাবে এই তাপদাহেও নিজেকে শীতল রাখা যায়। যদিও দেশে তাপপ্রবাহ মে এবং জুন মাসে বাড়ে। কিন্তু এ বছর এপ্রিলের শুরু থেকেই তাপ বৃদ্ধির পারদ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় উচ্চ তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে। ফলে, একপ্রকার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা। ধারণা করা হচ্ছে, আগামীতে তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পর্যাপ্ত তরল পান করুন: গরমের সময় আপনার দেহে তরলের চাহিদা বেড়ে যায়। এর কারণ মূলত ঘামের জন্য আপনার দেহ থেকে যে তরল বের হয়ে যায়। আর এ কারণের দেশের তরলের ঘাটতি পূরণের জন্য অতিরিক্ত তরল পান করতে হবে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। এতে করে পানিশূন্যতার ঝুঁকি থাকবে না। পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের জুস খেতে পারেন।
তাজা শাকসবজি এবং ফল : এই গরমে খাবারের দিকেও নজর দিতে হবে। চেষ্টা করুন হালকা জাতীয় এবং তাজা খাবার বেশি পরিমাণে খেতে। এতে করে সুস্থও থাকবেও পাশাপাশি দেহে পানিশূন্যতার ঝুঁকিও কমবে। স্ট্রবেরি, তরমুজ, শসা, লাউ এই জাতীয় তাজা ফলমূল এবং শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন।
নির্দিষ্ট সময়ে ছায়ায় থাকুন: সারাদিনের যে সময়টাতে সবচেয়ে বেশি সূর্যের তাপ থাকে সে সময়টা সরাসরি সম্ভব হলে ছায়ায় থাকুন। সকাল ১১টা থেকে বিকেল তিনটা- এ সময়টাতে সরাসরি তাপ এড়িয়ে চলুন এতে করে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন। এছাড়াও শারীরিক ব্যায়াম, ঘরের কোন ভারী কাজ যখন বাইরে আবহাওয়া তুলনামূলক ঠান্ডা থাকবে তখন করার চেষ্টা করবেন।
শোবার ঘর ঠান্ডা রাখুন: সবচেয়ে বেশি সময় কাটানো হয় শোয়ার ঘরের। সারাদিনের কাজ শেষে একটু স্বস্তি পেটে শোয়ার ঘরটি ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। তাই তীব্র রোদের সময়টুকুতে ঘরে যাতে সরাসরি তাপ প্রবেশ না করে সেদিকে নজর দিন। দিনের নির্দিষ্ট একটি সময়ে ঘরের পর্দা টেনে রাখুন।
পোশাক নির্বাচনে: গরম থেকে বাঁচতে পোশাক নির্বাচনে সচেতন হতে পারেন। এ সময়ে হালকা, ঢিলেঢালা এবং উজ্জ্বল রঙের নয়- এমন পোষাক কাপড় পরার চেষ্টা করুন। সুতি বা লিনেন কাপড় বেছে নিতে পারেন এতে করে গরমে আরাম পাবেন। এসব কাপড় ঘাম শোষণ করে এবং বায়ু চলাচলও স্বাভাবিক রাখে।
সঙ্গে রাখুন ছাতা: বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় সঙ্গে ছাতা রাখুন। এছাড়াও সানগ্লাস বা হ্যাট ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকে সরাসরি রোদ থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহারের চেষ্টা করুন। গরমের সময়ে ছাতা এবং প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ অনেক কাজে আসে।
মন্তব্য করুন
অসহনীয় গরমের তীব্রতা বেড়েই চলছে। এ হাঁসফাঁস অবস্থায় বিপর্যস্ত জনজীবন। গরমে বাইরে বের হওয়াও মুশকিল। আবার অবিরত ঘাম ঝরা তো রয়েছেই। এতে শরীর থেকে পানি ও খনিজ বের হয়। ফলে অল্পতেই ক্লান্তবোধ হয় শরীরে। পাশাপাশি ডিহাইড্রেশনের মতো কঠিন সমস্যারও আশঙ্কা বাড়ছে দিন দিন।
এ অবস্থায় অনেকেই সুস্থ থাকার জন্য লেবুর শরবত পান করছেন। আবার কেউ কেউ ডাবের পানি পান করেন। দুটি পানীয়ই ভালো। তবে এরমধ্যে কোনটি বেশি ভালো- এ নিয়ে অনেক সময় বিতর্ক দেখা যায়। সম্প্রতি এ ব্যাপারে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ কোয়েল পাল চৌধুরী।
লেবুর পানিতেও উপকার
ডাবে ওষুধি গুণাগুণ
এক কাপ ডাবের পানি থেকে প্রায় ৬০ ক্যালোরি পাওয়া যায়। এই পানীয়তে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো একাধিক উপকারী খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। আবার উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে ডাবের পানিতে। ফলে গরমের দিনে ডাবের পানি পানে শরীর ঠান্ডা থাকে। এটি শরীরে পানির ঘাটতিও পূরণ করে। একইসঙ্গে ডাবের পানি পানে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য ফিরে আসে। এ জন্য গরমে ডাবের পানি পান করা যেতে পারে।
কার জন্য কোনটি নিষেধ
ডাব না লেবু, কোনটা খাবেন
দুটি পানীয়ই উপকারী। এ জন্য গরমের দিনে শরীরকে হাইড্রেট রাখার জন্য প্রতিদিন দুটি পানীয়ই পান করতে পারেন। এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে। শরীরে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্যও ফিরবে। তবে সহজলভ্যের কথা ভাবলে ডাবের তুলনায় লেবু অনেক কম দামে পাওয়া যায়। এ জন্য সামর্থ্য থাকলে ডাবের পানি পান করতে পারেন। তা না হলে লেবুর শরবতেও ভরসা রাখতে পারেন।
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেনে, ‘আমরা
স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করতেছি। গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে আমি গ্রামে গ্রামে
ঘুরে বেড়াচ্ছি। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করে দেশের সব প্রাইভেট হাসপাতালে রোগনির্ণয় পরীক্ষার
ফি নির্ধারণ করা হবে’।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর থানাধীন
তেঁতুইবাড়ি এলাকায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল পরিদর্শনে
এসে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘গাজীপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে
বিশেষায়িত হাসপাতালকে আরও সচল করা হবে, যাতে সাধারণ মানুষকে আরও ভালো সেবা দিতে পারি।
এ হাসপাতালে অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি রয়েছে।’
এই হাসপাতালে চিকিৎসা খরচ বেশি এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন,
‘এগুলো আমরা সমন্বয় করার চেষ্টা করব। আলোচনা করে এসব ঠিক করা হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী মোহাম্মদ নাজমুল হাসান
পাপন, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার আহমেদ, হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত মেডিকেল পরিচালক জে এম এইচ
কাওসার আলম, প্রধান নার্সিং কর্মকর্তা রুযিতা মোহাম্মদ দান, সিভিল সার্জন মাহমুদা আক্তার,
কালিয়াকৈর সহকারী কমিশনার (ভূমি) রজব বিশ্বাস, টঙ্গী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি)
তামান্না জোতি, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোনাবাড়ী জোন) আমির হোসেন,
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছানোয়ার জাহান প্রমুখ।
মন্ত্রী হাসপাতালের বিভিন্ন ফ্লোর, অফিস কক্ষ পরিদর্শন ও হাসপাতালের
অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রাইভেট হাসপাতাল মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন
মন্তব্য করুন
কিছুদিন পূর্বেই সারা বিশ্ব দেখেছে মহামারী করোনাভাইরাসের দাপট। ভাইরাসের ক্ষমতা কতটা দানবীয় হতে পারে তার কিছুটা আঁচ দিয়ে গেছে এই কোভিড যুগ। এবার নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আরেক ভাইরাস বার্ড ফ্লু। ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় এই রোগের H5N1-এর স্ট্রেইনের সন্ধান মিলেছে এবার দুধে।
শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত প্রাণীরা এই বার্ড ফ্লুয়ে আক্রান্ত তাদের শরীরজাত কাঁচা দুধে মিলেছে এই ভাইরাসের স্ট্রেইন। তবে এই ভাইরাস দুধের মধ্যে কতদিন বেঁচে থাকে, তাই এখন প্রশ্ন।
১৯৯৬ সালে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুেয়েঞ্জা (H5N1) প্রাথমিকভাবে ছড়িয়েছিল। পরে ২০২০ সালে তা ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। সেবার মৃত্যুর হার ছিল ভয়ানক।
২০২০ সালে ওই ভাইরাসের ছড়ানোর ঘটনায় যে শুধু ১০ মিলিয়ন পোলট্রির মুরগি মারা গিয়েছিল তা নয়, সংক্রমিত হয়েছিল বহু বন্য পাখি, স্থলের পশু, জলজ স্তন্যপায়ীরাও। বার্ড ফ্লু মানেই যে শুধু পাখিদের ঘিরে উদ্বেগ তা নয়। গত মাসেই এই বার্ড ফ্লুয়ে আক্রান্তের সংখ্যায় যোগ হয়েছে গরু ও ছাগল। উল্লেখ্য, এর আগে এই ইনফ্লুয়েঞ্জাতে কখনওই সংক্রমণের আশঙ্কার তালিকায় গরু ও ছাগল পাওয়া যায়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রোগ্রামের প্রধান ওয়েনকিং ঝাং বলেন, ‘টেক্সাসে একটি গরু থেকে প্রথমবারের মতো কোনো মানুষ বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হলো। পাখি থেকে গরু, গরু থেকে গরু এবং গরু থেকে পাখির মধ্যে ভাইরাসটি সংক্রমণের বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। এ থেকে বোঝা যায় যে, ভাইরাসটির বিষয়ে আমরা আগে যা বুঝেছিলাম তার থেকে ভিন্নভাবে সংক্রমিত হচ্ছে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মকর্তা বলেন, বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত প্রাণীর দুধের মধ্যে ভাইরাসটি পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে পাস্তুরিত দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যসহ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
বার্ড ফ্লু ভাইরাস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
মন্তব্য করুন
ব্যায়ামের মধ্যে সবচেয়ে সহজ নিয়মিত হাঁটা। কতুটুকু হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে– খুব বেশি নয়, দিনে কমপক্ষে ৭ হাজার কদম হাঁটার অভ্যাসই অকাল মৃত্যুঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।
এছাড়া, দিনে কমপক্ষে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৭০০ ধাপ হাঁটলে হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পায়। তবে এর চেয়ে বেশি হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
নতুন গবেষণা আরও বলা হয়েছে, যারা দিনে ৯ হাজার ধাপ হাঁটেন, হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে তাদের মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পায় ৬০ শতাংশ। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘গালফ নিউজ’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রতি ‘জার্নাল অব আমেরিকান কার্ডিওলজি’তে প্রকাশিত এই গবেষণাটি পূর্বের অন্যান্য ১২টি গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে করা হয়েছে। এটিকে ‘মেটা অ্যানালাইসিস’ বা ‘মেটা স্টাডি’ বলা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৭ হাজার ধাপ হাঁটলে হৃদরোগ কমার সম্ভাবনা প্রায় ৫১ শতাংশ। এই গবেষণায় পরামর্শ দেয়া হয়েছে, দিনে ২৫০০ থেকে ২৭০০ কদম হাঁটলে স্বাস্থ্যের পক্ষে প্রাথমিক উপকারিতা শুরু হয়। পরিমিত হাঁটার এই অভ্যাস রক্তে শর্করার বৃদ্ধি কমাতে উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্য করে।
নতুন গবেষণা বলছে, প্রতিদিন ২৭০০ কদম হাঁটলে হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস পায় ১১ শতাংশ। প্রতিদিন ৭০০০ ধাপ হাঁটা এটিকে ৫১ শতাংশে উন্নীত করে। আর প্রতিদিন যদি ৯০০০ কদম হাঁটা যায়, তাহলে হৃদরোগে মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস পায় ৬০ শতাংশ।
সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন আপনার কত কদম হাঁটা উচিত? এই প্রশ্ন যদি আপনার মনে এসে থাকে, তাহলে তার নিশ্চিত উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছে নতুন এই গবেষণা।
মন্তব্য করুন
কয়েকদিন ধরেই দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। গ্রীষ্মের এই প্রচণ্ড গরমে জনজীবনের হাঁসফাঁস অবস্থা চলছে। এই অবস্থায় অনেকেই এখন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই সুস্থ থাকতে এই তীব্র গরমেও নিজেকে একটু ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যবিষয়ক লেখক এবং পুষ্টিবিদ কেরি টরেন্স বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন কীভাবে এই তাপদাহেও নিজেকে শীতল রাখা যায়। যদিও দেশে তাপপ্রবাহ মে এবং জুন মাসে বাড়ে। কিন্তু এ বছর এপ্রিলের শুরু থেকেই তাপ বৃদ্ধির পারদ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় উচ্চ তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে। ফলে, একপ্রকার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা। ধারণা করা হচ্ছে, আগামীতে তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।