হুন্ডি ও জঙ্গি
অর্থায়নের অভিযোগে রাজধানী থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের
(ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) স্পেশাল অ্যাকশন
গ্রুপ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা
হলেন সাইফুল ইসলাম ওরফে শাকিল, রেজাউল আলম ও দেলোয়ার হোসেন।
সিটিটিসির স্পেশাল
অ্যাকশন গ্রুপ বলেছে, গত শনিবার সাইফুল ইসলাম ওরফে শাকিল, রেজাউল আলমকে গ্রেপ্তার করা
হয়। এদিকে মঙ্গলবার রাতে ওমান পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় গ্রেপ্তার করা হয়
দেলোয়ার হোসেনকে। এসময় তাঁর কাছ থেকে পাসপোর্ট ও ওমানের ভিসা জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার
সাইফুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ।
পরে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সাইফুল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামকে
অর্থায়ন করতেন। দেলোয়ার হোসেন এই জঙ্গি সংগঠনটির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন।
এ ছাড়া রেজাউল আলম হুন্ডি ও অর্থ পাচারে যুক্ত ছিলেন।
গত শনিবার সাইফুল
ও রেজাউলের বিরুদ্ধে রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও জঙ্গি অর্থায়নের
অভিযোগে মামলা করেন স্পেশাল গ্রুপের পরিদর্শক আবুল বাশার। দেলোয়ারকেও একই মামলায় গ্রেপ্তার
দেখানো হয়।
মামলার তদন্ত
তদারক কর্মকর্তা স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের অতিরিক্ত উপকমিশনার আহমেদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে
বলেন, যুক্তরাজ্যে বসবাসরত শাহীন যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন উৎস থেকে জঙ্গিবাদের
জন্য অর্থ সংগ্রহ করে হুন্ডি করে রেজাউল আলমের কাছে পাঠাতেন। ২০১৯ সাল থেকে তিন বছরে
রেজাউলের মুঠোফোনের ভাইবারে ৮০ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। রেজাউলের কাছ থেকে
সাইফুল সেই টাকা নিয়ে জঙ্গি অর্থায়নে ব্যবহার করতেন। অপর দিকে দেলোয়ার অ্যাপভিত্তিক
রাইড শেয়ারিং গাড়ি চালানোর আড়ালে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার এড়াতে তাঁকে ওমানে পাঠানো হচ্ছিল।
পুলিশ কর্মকর্তা আহমেদুল ইসলাম বলেন, মামলার এজাহারে ১১ আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া তদন্তে জঙ্গি অর্থায়ন ও হুন্ডিতে জড়িত আরও কয়েকজন জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ জঙ্গিবাদ জঙ্গি অর্থায়ন হুন্ডি গ্রেপ্তার অর্থ পাচার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ দুর্নীতি মামলা ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মিন্টো রোড যৌন হয়রানি
মন্তব্য করুন
আধুনিক সময়ে প্রায় সবার হাতেই রয়েছে
স্মার্টফোন। ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসেই অনেকে করছেন অর্থ উপার্জন। আবার অনেকেই ইনকাম
করার সুযোগের অপেক্ষায় আছেন। আর এই সুযোগ নিয়ে প্রতারণার জাল বিস্তার করছে একটি চক্র।
ঘরে বসে পার্ট টাইম চাকরির অফার দিয়েই শুরু হয় তাদের কাজ। চটকদার সব বিজ্ঞাপন দিয়ে
আকৃষ্ট করে সবাইকে। তাদের চটকদার এসব বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে সর্বস্বান্ত হন অনেকে।
এ বিষয়ে সতর্ক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন
পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন। সোমবার (১৮ মার্চ) এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে
সবাইকে এই স্ক্যাম সম্পর্কে সচেতন করে সিটিটিসি।
জানা যায়, টেলিগ্রাম অ্যাপসভিত্তিক
চাইনিজ প্রতারক চক্র বাংলাদেশি কিছু প্রতারকের সহায়তায় জাল বিস্তার করছে। এরা ফোনে
বা হোয়াটসঅ্যাপে ঘরে বসে পার্ট টাইম চাকরির অফার দেবে।
এরপর ইউটিউব এ বিভিন্ন ভিডিও লাইক করতে
বলবে। প্রতি লাইকের জন্য আপনাকে তারা ১০০ টাকা করে দেবে। এভাবে ৫০০-১০০০ টাকা দেবে
তারা। একইসঙ্গে তারা হেল্পডেস্ক নামক টেলিগ্রাম গ্রুপে অ্যাড করে নেবে।
টেলিগ্রাম গ্রুপে ইনভেস্ট করার লোভনীয়
সব অফার দেবে। আপনি একবার তাদের প্ল্যানে যখনই ইনভেস্ট করবেন, তখনই ফাঁদে পড়ে যাবেন।
এভাবে কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে কথা বলে হাতিয়ে নেবে লাখ
লাখ টাকা।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে রক্ষা পাবেন কীভাবে?
সবাইকে জেনে রাখতে হবে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
কিংবা ঘরে বসে পাওয়া যে কোনো চাকরির অফারই এক একটি স্ক্যাম। ভুলেও কেউ এমন ইনভেস্টমেন্ট
প্রতারণার ফাঁদে পা দেবেন না।
টেলিগ্রাম স্ক্যাম সতর্ক বার্তা ডিএমপির অনলাইন জব
মন্তব্য করুন
পুলিশের চাকরি অর্থ আত্মসাত সাতক্ষীরা
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করছে। গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে। এর আগে তিন মেয়াদে যারা বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন এবং সরকারের ভিতর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের অনেকেরই দায়িত্ব পালনের সময়টি স্বচ্ছতার ছিল না। তারা নিজেদেরকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে পারেননি। আর এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত তিন মেয়াদ এ রকম অন্তত এক ডজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই দুর্নীতির অভিযোগ এখন বিভিন্ন সংস্থাগুলো তদন্ত করছে।
আধুনিক সময়ে প্রায় সবার হাতেই রয়েছে স্মার্টফোন। ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসেই অনেকে করছেন অর্থ উপার্জন। আবার অনেকেই ইনকাম করার সুযোগের অপেক্ষায় আছেন। আর এই সুযোগ নিয়ে প্রতারণার জাল বিস্তার করছে একটি চক্র। ঘরে বসে পার্ট টাইম চাকরির অফার দিয়েই শুরু হয় তাদের কাজ। চটকদার সব বিজ্ঞাপন দিয়ে আকৃষ্ট করে সবাইকে। তাদের চটকদার এসব বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে সর্বস্বান্ত হন অনেকে।