বাংলাদেশ
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর হত্যাকাণ্ডে উঠে এসেছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়া এলাকার নাম। রূপগঞ্জের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এক এলাকা। পরিচিত
‘চনপাড়া বস্তি’ নামে। যে কোনো ধরনের
মাদক সহজলভ্য এখানকার অলি-গলিতে। চলে দেশি-বিদেশি অস্ত্র বেচাকেনা। দাগি আসামিদের নিশ্চিন্তে পালিয়ে থাকার ‘সেফ হোম’।
ফারদিন হত্যায় এখানকার অপরাধী চক্রের সদস্যরা জড়িত থাকতে পারে, এমনটা ধরে নিয়ে তদন্ত চলছে। তার সবশেষ অবস্থান চনপাড়ায় ছিল বলে নিশ্চিত হওয়ার পর ফের আলোচনায় আসে এ জনপদটি।
তবে এ মামলার তদন্ত ও ছায়া তদন্তের সঙ্গে যুক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, ফারদিন চনপাড়ায় খুন হয়েছেন, এ পর্যন্ত এমন কোনো জোরালো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এদিকে চনপাড়ার অপরাধী চক্রের একাধিক সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও ফারদিন হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের মতো সূত্র পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তদন্ত–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ অবস্থায় ঘটনাস্থল চনপাড়ার পাশাপাশি অন্য জায়গায়ও হতে পারে কি না, সে বিষয়ও গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, প্রযুক্তিগত তদন্তে মনে হচ্ছে, ফারদিনকে হত্যার পর চনপাড়াসংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। চনপাড়ার সঙ্গে ফারদিন হত্যার যোগসূত্র থাকতে পারে। এ কারণেই চনপাড়াকেন্দ্রিক অপরাধী চক্রের বিষয়টিকে এখনো সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ওই এলাকাকেন্দ্রিক অপরাধী চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে তৎপরতা অব্যাহত আছে। এরই মধ্যে চনপাড়ার চিহ্নিত মাদক কারবারি রায়হানকে গত শনিবার বরিশাল থেকে আটক করেছে র্যাব। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফারদিন হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের মতো কোনো সূত্র পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, নিখোঁজ হওয়ার আগে ফারদিন যেসব এলাকায় গিয়েছিলেন, সেসব এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
ফারদিন হত্যায় এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি নেই বলে জানান ডিবির খিলগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (ডিসি) শাহিদুর রহমান।
৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ৪ নভেম্বর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় তাঁর বাবার করা মামলায় আয়াতুল্লাহ বুশরা নামে ফারদিনের এক বন্ধুকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি।
ফারদিন হত্যাকাণ্ডের শুরু থেকেই ছায়া তদন্ত করছে র্যাব। তবে হত্যার রহস্য উন্মোচিত করার মতো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে গতকাল জানান র্যাব-১১-এর উপ–অধিনায়ক মেজর সানরিয়া চৌধুরী।
র্যাবের একটি সূত্র জানায়, চনপাড়ার চিহ্নিত মাদক কারবারি রায়হানকে আটকের পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। চনপাড়ার স্থানীয় লোকজন বলছেন, চনপাড়ায় গত বৃহস্পতিবার র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত রাশেদুল ইসলামের (সিটি শাহীন নামে পরিচিত) সঙ্গে রায়হানের ঘনিষ্ঠতা ছিল।
গতকাল চনপাড়ার ৪ নম্বর ব্লকে রায়হানের বাসায় গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। নির্মাণাধীন তিনতলা বাসাটি তালাবদ্ধ ছিল। রায়হানের পরিবারের লোকজন কোথায় গেছেন, এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজনও তথ্য দিতে পারেনি। তবে তাঁরা জানান, চনপাড়ার চিহ্নিত মাদক কারবারি ও বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। বিশেষ করে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সিটি শাহীন নিহত হওয়ার পর কেউ কেউ পুরো পরিবার নিয়ে এলাকা ছেড়েছেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ দুর্নীতি মামলা ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মিন্টো রোড যৌন হয়রানি
মন্তব্য করুন
আধুনিক সময়ে প্রায় সবার হাতেই রয়েছে
স্মার্টফোন। ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসেই অনেকে করছেন অর্থ উপার্জন। আবার অনেকেই ইনকাম
করার সুযোগের অপেক্ষায় আছেন। আর এই সুযোগ নিয়ে প্রতারণার জাল বিস্তার করছে একটি চক্র।
ঘরে বসে পার্ট টাইম চাকরির অফার দিয়েই শুরু হয় তাদের কাজ। চটকদার সব বিজ্ঞাপন দিয়ে
আকৃষ্ট করে সবাইকে। তাদের চটকদার এসব বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে সর্বস্বান্ত হন অনেকে।
এ বিষয়ে সতর্ক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন
পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন। সোমবার (১৮ মার্চ) এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে
সবাইকে এই স্ক্যাম সম্পর্কে সচেতন করে সিটিটিসি।
জানা যায়, টেলিগ্রাম অ্যাপসভিত্তিক
চাইনিজ প্রতারক চক্র বাংলাদেশি কিছু প্রতারকের সহায়তায় জাল বিস্তার করছে। এরা ফোনে
বা হোয়াটসঅ্যাপে ঘরে বসে পার্ট টাইম চাকরির অফার দেবে।
এরপর ইউটিউব এ বিভিন্ন ভিডিও লাইক করতে
বলবে। প্রতি লাইকের জন্য আপনাকে তারা ১০০ টাকা করে দেবে। এভাবে ৫০০-১০০০ টাকা দেবে
তারা। একইসঙ্গে তারা হেল্পডেস্ক নামক টেলিগ্রাম গ্রুপে অ্যাড করে নেবে।
টেলিগ্রাম গ্রুপে ইনভেস্ট করার লোভনীয়
সব অফার দেবে। আপনি একবার তাদের প্ল্যানে যখনই ইনভেস্ট করবেন, তখনই ফাঁদে পড়ে যাবেন।
এভাবে কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে কথা বলে হাতিয়ে নেবে লাখ
লাখ টাকা।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে রক্ষা পাবেন কীভাবে?
সবাইকে জেনে রাখতে হবে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
কিংবা ঘরে বসে পাওয়া যে কোনো চাকরির অফারই এক একটি স্ক্যাম। ভুলেও কেউ এমন ইনভেস্টমেন্ট
প্রতারণার ফাঁদে পা দেবেন না।
টেলিগ্রাম স্ক্যাম সতর্ক বার্তা ডিএমপির অনলাইন জব
মন্তব্য করুন
পুলিশের চাকরি অর্থ আত্মসাত সাতক্ষীরা
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করছে। গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে। এর আগে তিন মেয়াদে যারা বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন এবং সরকারের ভিতর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের অনেকেরই দায়িত্ব পালনের সময়টি স্বচ্ছতার ছিল না। তারা নিজেদেরকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে পারেননি। আর এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত তিন মেয়াদ এ রকম অন্তত এক ডজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই দুর্নীতির অভিযোগ এখন বিভিন্ন সংস্থাগুলো তদন্ত করছে।
আধুনিক সময়ে প্রায় সবার হাতেই রয়েছে স্মার্টফোন। ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসেই অনেকে করছেন অর্থ উপার্জন। আবার অনেকেই ইনকাম করার সুযোগের অপেক্ষায় আছেন। আর এই সুযোগ নিয়ে প্রতারণার জাল বিস্তার করছে একটি চক্র। ঘরে বসে পার্ট টাইম চাকরির অফার দিয়েই শুরু হয় তাদের কাজ। চটকদার সব বিজ্ঞাপন দিয়ে আকৃষ্ট করে সবাইকে। তাদের চটকদার এসব বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে সর্বস্বান্ত হন অনেকে।