বেনজীর আহমেদ দুদক পাসপোর্ট তুরস্ক
মন্তব্য করুন
মতিউর রহমান ছাগলকাণ্ড এনবিআর গোয়েন্দা দুদক দুর্নীতি
মন্তব্য করুন
মতিউর রহমান এনবিআর সোনালী ব্যাংক শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ
মন্তব্য করুন
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য ড. মতিউর রহমান এখন গোয়েন্দা জালে। তার বিপুল সম্পদের ফিরিস্তি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তার চেয়েও বড় কথা নিজের সন্তানকে তিনি অর্থের জন্য অস্বীকার করেছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন আগামী রোববার তার বিরুদ্ধে তদন্তের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা প্রাথমকিভাবে গণমাধ্যমে যেসব সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার সত্যতা পেয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, মতি দেশেই আছেন, তিনি যেন বিদেশে যেতে না পারেন সেজন্য সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন তারা। যদিও এখন পর্যন্ত তার বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। কিন্তু একাধিক সূত্র বলছে, মতিউর রহমান যাকে তার সন্তান হিসেবে অস্বীকার করেছেন সেই ইফাত এখন দেশে নেই। তিনি দুইদিন আগেই বিদেশে চলে গেছেন বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, ইফাত তাদের কাছে কোন বড় বিষয় নয়, বিষয় হলো মতিউর রহমান। এনবিআরের এই কর্মকর্তা কীভাবে বিপুল সম্পদের মালিক হলেন সেটি তদন্তের দায়িত্ব দুর্নীতি দমন কমিশনের। কিন্তু মতিউর রহমান যেন বেনজীরের মতো সটকে পড়তে না পারেন বা তিনি যেন তার নামে-বেনামে রাখা সম্পদগুলো বিক্রিবাত্তা করতে না পারেন সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে মতিউর রহমানকে । শুধু দেশে নয়, বিদেশেও মতিউর রহমানের বিপুল সম্পদ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাধারণত এ ধরনের ঘটনার পরপরই দুর্নীতিবাজরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে থাকেন। আর এ কারণেই দুর্নীতি দমন কমিশনের আনুষ্ঠানিক তদন্তের আগে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে মতিউরকে। মতিউরের অবস্থান, তার দুই স্ত্রীর অবস্থান এবং তার সন্তানদের অবস্থান সম্পর্কে সার্বক্ষণিক তথ্য গ্রহণ করা হচ্ছে এবং সেই তথ্যের ভিত্তিতে যখনই দুর্নীতি দমন কমিশন ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করবে, সাথে সাথে যেন তাকে আইনের আওতায় আনা যায় সেলক্ষ্যে এরইমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি সূত্র বলছে যে, আগামী রোববার এনবিআরের সদস্য এবং কাস্টমস ও ভ্যাট আপিল ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউরের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করতে পারে দুদক এবং এক্ষেত্রে বেনজীরের মতো মতিউর রহমানের সম্পত্তির অনুসন্ধান করে সেই সম্পত্তিগুলো ক্রোক করার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হতে পারে কমিশন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন আইনজীবী বলেছেন যে, এখন পর্যন্ত গণমাধ্যমে তার সম্পর্কে যেসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তার আলোকে তারা তদন্ত শুরু করতে চান এবং একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আসলেই মতিউর রহমানের অবৈধ সম্পদ রয়েছে কিনা তা উদ্ধার করতে চান।
এর আগেও মতিউর রহমানে বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করেছিল, কিন্তু সেসময় তাকে ক্লিনশিট দেওয়া হয়েছিল কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে এই আইনজীবী বলেন, "অতীতে কি হয়েছিল সেটি এখন মুখ্য ব্যাপার নয় , আমরা সামনের দিকে তাকাতে চাই। দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি নিয়ে এগোচ্ছে। মতিউর রহমানের ব্যাপারেও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।"
তবে, গোয়েন্দা সূত্রগুলো যাই বলুক না কেন, বিপুল বিত্তের অধিকারী এই প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তা আইনের ফাঁক গলে আবারও বেরিয়ে যেতে পারেন কিনা সেটিই এখন দেখার বিষয়।
দুর্নীতি গোয়েন্দা দুদক জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ড. মতিউর রহমান
মন্তব্য করুন
সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এনবিআরের সদ্য সাবেক সদস্য মতিউর রহমান কোথায়- এ নিয়ে এখন ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তবে একাধিক গোয়ান্দা সূত্র নিশ্চিত করেছেন যে, মতিউর রহমান দেশেই আছেন। তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যাননি। গতকাল মতিউর রহমানের স্ত্রী ১৪ দিন পর প্রকাশ্যে এসেছেন এবং উপজেলা পরিষদের দুটি সভায় তিনি অংশগ্রহণ করেন। তবে সে সমস্ত অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ করার আগে বা পরে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কোন কথা বলেননি। তিনি শুধু বলেছেন, আমার আরেকটি মিটিং আছে। আমি সেখানে যাচ্ছি।
দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের আজ বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ব্যাংকটির পরিচালনা পরিষদের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সকাল ১১ টায়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডে চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী। আজকের বৈঠকে ব্যাংকের অন্যতম পরিচালক ড. মতিউর রহমান যোগ দেননি। ছাগল কাণ্ডে আলোচিত বিতর্কিত সমালোচিত এই এনবিআর কর্মকর্তা যেন বৈঠকে উপস্থিত না থাকেন সেজন্য তাকে টেলিফোনে জানিয়ে দেওয়া হয়। পরিচালক পরিষদের অধিকাংশ সদস্যই ড. মতিউর রহমানের সঙ্গে পরিচালনা পরিষদে বসতে অস্বীকৃতি জানান। এর পরপরই আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে মতিউর রহমান জানিয়ে দেওয়া হয় যে, সে যেন বৈঠকে উপস্থিত না থাকে।
বেনজীর আহমেদের পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির কথা নতুন নয়। সরকারি চাকরি করে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থাকার পরও তিনি সরকারি পাসপোর্ট গ্রহণ করেননি। বরং ভুয়া ঠিকানায়, ভুয়া পরিচয় এবং ভুয়া পেশা দিয়ে তিনি সাধারণ পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন এবং সেই পাসপোর্ট দিয়ে তিনি বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছিলেন। এখন তার বেসরকারি পাসপোর্টের আসল রহস্য উদঘাটন করা গেছে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে ২০২১ সালে তিনি তুরস্কের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন।