ইনসাইড পলিটিক্স

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতি কি উত্তপ্ত হচ্ছে?

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১০ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতি কি উত্তপ্ত হচ্ছে?

বিগত দুই বছর ধরে রাজপথের বদলে ভার্চুয়ালি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল রাজনৈতিক দলগুলো। মহামারি করোনা প্রকোপের কারণে মাঠের রাজনীতি বন্ধ থাকলেও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ইন্টারনেটের খোলস থেকে বের হয়ে আসছে মূল ধারার সব দল। বিশেষ করে বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ  সব রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ডে ফিরে পেয়েছে গতি।  নির্বাচন কমিশন গঠন থেকে শুরু করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অতীতের মতো এবারও দুই মেরুতে অবস্থান করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। একদিকে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই দল গুছাতে শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে বিরোধী সব দলই সাংগঠনিক তৎপরতা জোরদারের মাধ্যমে চাঙ্গা করতে চাচ্ছে আন্দোলন-সংগ্রামের ক্ষেত্র।  

২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনকে খুবই সিরিয়াসলি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় আসার বিকল্প নেই বলেই মনে করছেন দলটি। এ জন্য এখন থেকেই দলটি বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রত্যেকটি ধাপে নৌকার বিরোধীতা করে নির্বাচন করা বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে হার্ড লাইনে যাচ্ছে দলটি। শুধু বিদ্রোহী প্রার্থীই নয়, নিজের বলয় অক্ষুণ্ণ রাখতে বিদ্রোহীদের নির্বাচনে দাঁড় করানো সেই এমপি-মন্ত্রীদের তালিকাও তৈরি করেছে দলটির হাইকমান্ড। এদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় নির্বাচনের আগে দলে কোনো ধরণের অনৈক্য, কোনো ধর বিশৃঙ্খলা এবং আত্মঘাতী তৎপরতা তিনি সহ্য করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। যারাই দলের স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করবে, দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন। পাশ ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপে বিএনপির আসা না আসা নিয়েও চিন্তিত না আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্পষ্ট বলে দিয়েছেন ‘বিএনপি রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ না নিলে কোনো কিছু থেমে থাকবে না’। 

অন্যদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসা ইস্যুতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করছে বিএনপি। এতদিন দলটির রাজনীতি ছিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভেতরের বিভিন্ন সেমিনার কক্ষে, নতুবা প্রেস ক্লাবের সামনের সড়ক এবং নয়া পল্টনের অফিস প্রাঙ্গণ জুড়ে। তবে এবার ঢাকার বাইরেও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করছে। তবে বিএনপির অনেকেই বলছেন যে সমাবেশগুলো খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসা ইস্যুতে হলেও নির্বাচনকে সামনে রেখে এর মাধ্যমে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করা হচ্ছে। তবে বিএনপির কর্মসূচিগুলো নিয়ে সাধারণ মানুষের কোনো রকম আগ্রহ সৃষ্টি হয়নি বিধায় আন্দোলনের ডাক দিতে পারছে না দলটি। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপেও যাবেনা বিএনপি। তবে রাষ্ট্রপতির সংলাপ বর্জন করা দলগুলোর সাথে ইসি গঠন পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে সংলাপের চিন্তাভাবনা করছে দলটি। এই নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিরোধীদের বোঝাপড়া জোরদার হবে নতুন বছরেই। এ কারণে দেখা দিতে পারে নতুন মেরুকরণ। তৈরি হতে পারে নতুন রাজনৈতিক ঐক্য।

আওয়ামী লীগ, বিএনপি ছাড়াও জাতীয় নির্বাচনে নিজেদের অস্তিত্ব প্রকাশ করতে চাইছে ডাকসুর সাবেক সহসভাপতি নুরুল হক নুর এর বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ। কিছুদিন আগে নুর ড. রেজা কিবরিয়াকে সাথে নিয়ে নতুন দলের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রথম দিকে গুঞ্জন ছিল ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও এ দলে ভিড়ছেন। তবে কাগজে কলমে এ দলের কোনো পদে না থাকলেও দলটিতে তার ব্যাপক প্রভাব আছে। অন্যদিকে সাবেক সফল অর্থমন্ত্রী এসএএমএস কিবরিয়ার পুত্র রেজা কিবরিয়া। রাজনীতির চেয়ে একাডেমিক বিষয়ে বেশি আগ্রহ ছিল তার। এতদিন ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে ছিলেন। সেখানে দলীয় কোন্দলে জড়িয়ে পড়েন এবং এখন ভিড়ে গেলেন তরুণদের সঙ্গে। ভিপি নুর ও রেজা কিবরিয়াও বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচি দিচ্ছেন। প্রতিবাদ, সমাবেশ করছেন। তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি এবং রেজা কিবরিয়া কতটা প্রভাব বিস্তার করেন, সেটা দেখার জন্য জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সামনে নির্বাচন। এ নিয়ে প্রত্যেকটি দলই নিজেদের মতো করে দল গোছাবে। রাজপথে নেমে নিজেদের শক্তিমত্তা জানান দেয়ার চেষ্টা করবে। বিশেষ করে বিরোধী দলগুলো এখন রাজপথে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করবে। এই চেষ্টার ফলে রাজপথে উত্তাপ-উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে যেনো কোনো ধরণের সহিংসতা না হয়।

জাতীয় নির্বাচন   বিএনপি   আওয়ামী লীগ   রাষ্ট্রপতি সংলাপ   ইসি   গণঅধিকার পরিষদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ব্যারিস্টার খোকন ইস্যু 'নিষ্পত্তি' করল বিএনপি

প্রকাশ: ১০:০৭ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে ফোরামের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে খোকনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ নিয়ে ফোরামে দেখা দেয় বিভক্তি। উদ্ভূদ্ধ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট জটিলতা আপাতত নিষ্পত্তি করেছে বিএনপি।

তবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে খোকন দায়িত্ব পালন করবেন কিনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন নেতা বলেন, একটি সুষ্ঠু সমাধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে, এ ইস্যুতে এখন থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কথা বলতে বারণ করা হয়েছে।

সূত্রমতে, বৈঠকে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল (বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব) নিজ নিজ অবস্থান থেকে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি তুলে ধরেন। বৈঠকের শেষ পর্যায়ে মাহবুব উদ্দিন খোকন ও  কায়সার কামাল একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করেন। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে আপাতত কোন্দ্বল নিরসন হয়েছে বলে মনে করছেন বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা। পরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
 
বৈঠকে উপস্থিত একজন আইনজীবী নেতা আরও বলেন, এখন মাহবুব উদ্দিন খোকনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না এবং তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করবেন কি-না সে সিদ্ধান্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেবেন।
 
এদিন বিকাল ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত বৈঠকে মহাসচিব ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. আবদুল মঈন খান এবং আইনজীবীদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আযম খান উপস্থিত ছিলেন।

মাহবুব উদ্দিন খোকন ইস্যুতে বিএনপির উচ্চপর্যায়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। গত সোমবার দলের স্থায়ী কমিটিতেও দুই ধরনের ভাষ্য পাওয়া গেছে। বিএনপির সিনিয়র নেতা ও সিনিয়র আইনজীবীদের একাংশ খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় বিব্রত।

তারা মনে করেন, খোকনের মতো জনপ্রিয় আইনজীবী নেতা এখন আর দলে নেই। তাকে অব্যাহতি দেওয়ার মাধ্যমে যাদের উৎসাহিত করা হয়েছে তাদের আইন অঙ্গণে গ্রহণযোগ্যতা কম। আবার কারো কারো মত ছিল, দলের কেউ দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে নয়। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনসহ যেকোনো বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খোকনের বিরুদ্ধে কেনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না?
 
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের একটি অংশ খোকনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জনমত গঠনে আদালত পাড়ায় কাজ করেছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে গত বুধবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আইনজীবী নেতাদের সঙ্গে ওয়ান টু কথা বলেন। আইনজীবী নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে মহাসচিব সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন। এ বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি এতোদিন ছিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের, এখন তা বিএনপি টেকওভার করেছে। এই ইস্যুতে এখন সিদ্ধান্ত দেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন বলেন, ‘ফোরামের তো গঠনতন্ত্রই নেই। সে (কায়সার কামাল) কীভাবে বহিষ্কার করে? তার ক্ষমতা আছে বহিষ্কার করার? যে পর্যন্ত গঠনতন্ত্র না হবে, সে পর্যন্ত কাউকে বহিষ্কার করা যাবে না। যত বহিষ্কার করা হয়েছে, তা আইনত কার্যকর নয়।’ 

এ সময় তিনি কায়সার কামালের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেও কথা বলেন। এর আগে গত শনিবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে অব্যাহতি দেয় সংগঠনটি।


ব্যারিস্টার খোকন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক

প্রকাশ: ০৯:২৮ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে তিনি দলের সার্বিক বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবগত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব। রাত সোয়া ৯টার দিকে তিনি বের হয়ে আসেন। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই মির্জা ফখরুল ফিরোজায় গিয়েছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা-তারেককে বাদ দেয়ার কথা ভাবছে বিএনপি

প্রকাশ: ১০:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি কিনা- সেই বিকল্প চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে। 

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে একটি কমিটি বা বডি বাছাই করা হবে যারা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিবে। বিষয়টিকে আরও পরিষ্কার করে তুলে ধারার জন্য আলাল বলেন, এরকম কমিটি বা বডির চিন্তা-ভাবনা আছে। হয়তো ওই দুইজনের (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) পক্ষ থেকেই বলা হতে পারে- চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে অপশন এ-বি-সি থাকবে। এই নির্দিষ্ট পাঁচজন বা এই বডি মিলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকদের সাথে বিএনপির বৈঠকে দলটির ভবিষ্যত পরিকল্পনা কিংবা আন্দোলন-সংগ্রাম নিয়ে কোন কিছু জানতে চাইলে বেশির ভাগ সময় কোন সদুত্তর দিতে পারেন না বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এক্ষেত্রে তারা বলেন যে, তারা (বিএনপি) লন্ডনের (তারেক জিয়া) সঙ্গে কথা বলে পরে তাদেরকে (কূটনীতিক) জানাবেন। এ রকম বাস্তবতায় কূটনীতিকরা দলের নেতৃত্ব থেকে বিএনপির এই শীর্ষ দুই নেতাকে বাদ দেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে বিভিন্ন সময়। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত বিএনপিতে কি সিদ্ধান্ত আসে।

খালেদা জিয়া   তারেক জিয়া   বিএনপি   সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পদ্মশ্রী পদক পাওয়ায় শুভেচ্ছা জানাতে বন্যার বাসায় সস্ত্রীক নানক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভূষিত হওয়ায় দেশের খ্যাতনামা রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিনী অ্যাডভোকেট সৈয়দা আরজুমান বানু নারগিস।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বন্যার মোহাম্মদপুরের বাসায় গিয়ে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নানক ও তার স্ত্রী। এ সময় ঢাকা ১৩ আসনের স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
  
শুভেচ্ছাকালে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। তার এই অর্জন আমাদের। সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন আগামী প্রজন্মের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। 

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, আজকে দেশে ঋতু নেই। এখনকার মানুষজনও বলতে পারে না বাংলাদেশে কয়টি ঋতু। দেশটি পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীতে সাধারণ মানুষের মাঝে বোতলজাত সুপেয় খাবার পানি, স্যালাইন ও হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বিএনপির এ নেতা। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ১১শ’র বেশি নদী ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু তিনশ’র মতো নদী নিখোঁজ হয়ে গেছে আওয়ামী ভূমি দস্যুদের কারণে। এই হলো দেশের অবস্থা। অন্যদিকে ঢাকা শহরকে ইট-কাঠ-পাথরে ভরে দেওয়া হয়েছে। গাছ দেখা যায় না। ঢাকার চারপাশে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে গেছে। সরকারের মদদপুষ্ট ভূমি দস্যুরা সেসব ভরাট ও দখল করেছে। ভূমি দস্যুদের সঙ্গে সরকারের তলে তলে যোগাযোগ আছে। রাজধানীকে কৃত্রিম মরুভূমি বানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে তাপমাত্রা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই হিটস্ট্রোকে কোথাও না কোথাও মানুষ মারা যাচ্ছে। ঢাকা শহরও এর ব্যতিক্রম নয়। এ অবস্থায়ও সাধারণ মানুষকে সহায়তার জন্য জেডআরএফ পানি ও স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ, আমরা রাজনীতি করি সমাজের কল্যাণের জন্য।

তীব্র গরম   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন