অভিযোগের
রাজনীতিতে হঠাৎ চায়ের দাওয়াত
দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন,
বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন নিয়ে তার কোনো
অভিযোগ নেই। বরং তারা
প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলতে
চাইলে, তিনি তাদের সাথে
কথা বলবেন এবং তাদের চা
খাওয়াবেন বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণা দেওয়ার
পর রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন কানা ঘুষা
চলছে, বিএনপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণ
গ্রহণ করে চায়ের দাওয়াতে
যাবে কিনা। এই নিয়ে রাজনৈতিক
পর্যবেক্ষেকদের মধ্যে চলছে চুল ছেড়া
বিশ্লেষণ। তবে বিএনপি শেষ
পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর চায়ের দাওয়াতে যাবে কি যাবে
না সেটা এখনই বলা
যাচ্ছে না। তবে প্রধানমন্ত্রী
চায়ের দাওয়াতের কথা বলার পর
বিএনপি যেভাবে গণমাধ্যমে কথা বলছে তাতে
সবার মাঝে এক ধরনের
সংশয়ই তৈরি হয়েছে। এব্যাপারে
রাজনীতিতে শেখ হাসিনা উদারতার
পরিচয় দিলেও সংকীর্ণতা পরিচয় দিচ্ছে বিএনপি। দলটি সরকারের স্বইচ্ছাকে
ষড়যন্ত্রের অংশ মনে করছে।
চায়ের
দাওয়াতের ব্যাপারে বিএনপির মহাসচিব শর্ত দিয়েছে বলেছেন,
আগে সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিলে
তারা প্রধানমন্ত্রীর চায়ের দাওয়াত গ্রহণ করবেন। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, শর্ত দিয়ে আসলে
কোনো সংলাপ হয় না। কোনো
সমস্যা বা অভিযোগ থাকলে
তা আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান
যোগ্য। আলোচনার মধ্য দিয়ে অনেক
বিকল্পের কথা আসছে পারে।
কিন্তু শর্ত দিয়ে আলোচনায়
বসার সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়।
এদিকে
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রধানমন্ত্রীর
চায়ের দাওয়াকে নতুন কোনো ষড়যন্ত্রের
আলামত বলে সন্দেহে প্রকাশ
করেছেন। বিরোধীদলের ওপর ভয়ংকর নির্যাতন
নেমে আসে কিনা সেব্যাপারে
সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি। বিশ্লেষকরা বলছেন প্রধানমন্ত্রীর চায়ের দাওয়াতের কথা বলার পর
বিএনপির নেতারা এটা নিয়ে যেভাবে
সমালোচনা এবং নেতিবাচক ধারন
পোষণ করছে তাতে চা
খাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ্ণ। তবে
শেষ পর্যন্ত বিএনপি কি করে সেটাই
এখন দেখা বিষয়।
শেখ হাসিনা বিএনপি আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শামা ওবায়েদ সারাহ কুক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।