ইনসাইড পলিটিক্স

'এই ছেলেই বিএনপিকে শেষ করবে'

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২১ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail 'এই ছেলেই বিএনপিকে শেষ করবে'

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। বিকেলে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে। ইতিহাসের অন্যতম জঘন্যতম নারকীয় তাণ্ডব ঘটানো হয় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়। বিএনপির অনেক নেতাই এই ঘটনা সম্বন্ধে জানতেন না। এই ঘটনার পুরো পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল হাওয়া ভবন থেকে তারেক জিয়ার একক কর্তৃত্বে। সঙ্গে ডিজিএফআইয়ের তত্কালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী এবং এনএসআইকে যুক্ত করা হয়েছিল। বিদেশ থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল মেজর ডালিম, রশিদকে। কারাগার থেকে মুক্ত করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামীদেরকে। আর সবাই মিলেই পরিকল্পনা নিয়েছিল শেখ হাসিনাকে হত্যাকাণ্ডের জন্য। আর এই হত্যাকাণ্ড ঘটানোর জন্য জঙ্গিদের কাছ থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল সর্বাধুনিক গ্রেনেড এবং অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র। গ্রেনেড হামলার ঘটনাটি যখন ঘটে তখন বিএনপির সিনিয়র মন্ত্রীদের অনেকেই দপ্তরে ছিলেন। সাদেক হোসেন খোকা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, তিনি তখন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব একই সাথে পালন করছিলেন। তিনি সেসময় মন্ত্রণালয়ে ছিলেন। মন্ত্রণালয়ে থাকা অবস্থায় তার কাছে খবর আসে যে, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা জানার পর পরই তিনি ছুটে আসেন নয়া পল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে। সেখানে তিনি টেলিফোন করেন সেই সময়কার মন্ত্রী তরিকুল ইসলামকে। তরিকুল ইসলাম তখন তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। সে সময় তিনি মন্ত্রণালয়ে ছিলেন। তিনিও দলীয় কার্যালয়ে আসেন মিনিট দশেকের মধ্যে।

দুইজন মিলে আলাপ-আলোচনা, পরামর্শ করেন এবং তারপরই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরকে ডেকে পাঠানো হয় নয়া পল্টনের দলীয় কার্যালয়ে। বাবর এসে ঘটনার আদ্যোপান্ত বিবরণ দেন। বাবর জানান যে, 'ভাইয়া' এর নির্দেশে এই ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। তিনি ঘটনা ঘটার কিছুক্ষণ আগে বিষয়টি সম্বন্ধে জানতেন। সাদেক হোসেন খোকা মাথায় হাত দেন। তরিকুল ইসলাম বলেন, সর্বনাশ যা হওয়ার হয়েই গেছে। সেখান থেকেই সাইফুর রহমানকে ফোন করেন তরিকুল ইসলাম। সাইফুর রহমান সেই সময় একটি ব্যক্তিগত সফরে সিলেটে ছিলেন। সিলেট থেকে তিনি ঢাকায় এসে কথা বলবেন বলে জানান এবং বেগম খালেদা জিয়ার সাথে যোগাযোগ করবেন বলেও তিনি সাদেক হোসেন খোকাকে জানান। বিএনপির মহাসচিব সেসময় ছিলেন আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া। আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া সেদিন ব্যক্তিগত কাজে নরসিংদীতে ছিলেন। তাকে ফোন করেন সাদেক হোসেন খোকা। সাদেক হোসেন খোকা তাকে ঘটনা বলার আগেই মান্নান ভূঁইয়া বলেন যে, আমি ঘটনা শুনেছি। এই ঘটনার মাশুল দিতে হবে আমাদেরকে। মান্নান ভূঁইয়া জানান যে, ম্যাডামের সাথে কথা হয়েছে। রাত ন'টায় ম্যাডামের বাসায় যেতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং শহীদ মইনুল রোডের বাসায় থাকেন। রাত ন'টায় বিএনপির এই শীর্ষস্থানীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনে যান। এসময় সাদেক হোসেন খোকা দলীয় কার্যালয়ে ছিলেন। সাদেক হোসেন খোকা দলীয় কার্যালয়ে তরিকুল ইসলাম কে বলেন, এই ছেলেই বিএনপিকে ডোবাবে। এ ধরনের ঘটনা অবিশ্বাস্য এবং এর মাশুল বিএনপিকে দিতে হবে।

তরিকুল ইসলাম তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং তিনি বলেন যে, এখন বিএনপি যদি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার না করে তাহলে বিএনপি ইতিহাস থেকে নিঃশেষিত হয়ে যাবে। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনা। পরে বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনে বৈঠকে মিলিত হন সাইফুর রহমান, মান্নান ভূঁইয়া, সাদেক হোসেন খোকা এবং তরিকুল ইসলাম। এ বৈঠকে বেগম খালেদা জিয়াকে পুরো পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন মান্নান ভূঁইয়া। সাদেক হোসেন খোকা বলেন যে, এই সময় তারেকের বিদেশে চলে যাওয়া উচিত এবং রাজনীতি থেকে তার এখন একটু বিরত থাকাই উচিত। এই কথায় বেগম খালেদা জিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে যান। তিনি বলেন যে, আমার ছেলের বিচার কে করবে? বাংলাদেশে এত বড় সাহস কার হলো? সাইফুর রহমান বলেন যে, বিচারটি বড় বিষয় নয়। বিষয় হলো এই ঘটনার আঘাত বিএনপিকেই সইতে হবে। কারণ আজ-কাল হোক, এই ঘটনা জানাজানি হবে। তখন বিএনপি একটি রাজনৈতিক সঙ্কটে পড়বে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া এই সমস্ত বক্তব্য ক্ষুব্ধ রােষে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন যে, যা করার সব আমি করবো। আপনারা এই ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন। বলেন যে, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। বাকিটা দেখার দায়িত্ব আমার। বেগম খালেদা জিয়ার এই বৈঠক চলাকালে সেখানে তারেক এবং রেজ্জাকুল হায়দার প্রবেশ করেন। বেগম খালেদা জিয়া মন্ত্রীদের বলেন, আপনাদেরকে যেটা বলছি, সেটা করেন। কাউকে কিছু বলতে হবে না। এই বলে তিনি তাদেরকে বিদায় করেন। এরপর তারেক জিয়া এবং রেজ্জাকুল হায়দারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বেগম খালেদা জিয়া। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনার পর সাদেক হোসেন খোকা একাধিক ব্যক্তিকে এই ঘটনার আদ্যোপান্ত বিবরণ দিয়েছিলেন এবং তিনি যে কথাটি বলেছিলেন, এই ছেলেই বিএনপিকে শেষ করবে তা এখন সত্য হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাশুল দিতে হচ্ছে বিএনপিকে। সেই যে রাজনৈতিক বিভক্তি, সেই বিভক্তিই বাংলাদেশের রাজনীতিতে সমঝোতার সব পথ রুদ্ধ করে দিয়েছিল। সেই প্রতিহিংসার রাজনীতির আগুনে এখন পুড়ছে বিএনপি।

আওয়ামী লীগ   বিএনপি   ২১ আগস্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড নেওয়া হচ্ছে বিএনপি নেতা মিন্টুকে

প্রকাশ: ০৫:৫৪ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তিনি থাই এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজে থাইল্যান্ড রওনা হয়েছেন।

বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে তার চিকিৎসা সেবা নেওয়ার কথা হয়েছে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মিন্টু ।

১৯ এপ্রিল রাত ২টার দিকে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

থাইল্যান্ড   আবদুল আউয়াল মিন্টু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জামায়াতে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪:১৩ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহে হিট অ্যালার্টের মধ্যে আল্লাহর রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়ের কর্মসূচি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সম্প্রতি প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টিতে দেশের আবহাওয়া অত্যন্ত উষ্ণ হয়ে পড়েছে। উচ্চ তাপমাত্রার কারণে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। একদিকে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে প্রচণ্ড গরম, অন্যদিকে অনাবৃষ্টিতে মানুষ, পশু-পাখি ও জীব-জন্তুর জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। একমাত্র মহান রাব্বুল আলামীনই আমাদেরকে এহেন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ দিতে পারেন। 

তিনি আরও বলেন, সারা দেশের মানুষ গরমে কষ্ট পাচ্ছে। বিশেষ করে কৃষক-শ্রমিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার শ্রমজীবী মানুষ কর্মক্ষেত্রে প্রচণ্ড গরমে কষ্ট পাচ্ছে। গত ২২ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে একজন রিকশাওয়ালা প্রচণ্ড গরমে মারা গেছেন। দেশে বিরাজমান এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য মহান আল্লাহ তাআলার অবারিত রহমত তথা বৃষ্টি কামনা করে সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ করার জন্য ওলামায়ে কেরাম, জামায়াতের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও দেশবাসী সবার প্রতি আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। 

এই জামায়াত নেতা বলেন, এ জন্য আগামীকাল বুধবার ও বৃহস্পতিবার (২৪ ও ২৫ এপ্রিল) জামায়াতে ইসলামীর সকল সাংগঠনিক শাখার উদ্যোগে জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে সালাতুল ইস্তিসকার আদায়ের কর্মসূচি সফল করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

জামায়াত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশবিরোধী অপশক্তি ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।


আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: ভোট ছাড়াই তারা চেয়ারম্যান হচ্ছেন

প্রকাশ: ১০:৫২ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে আগামী  ৮ মে। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। গতকাল আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।

জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর হাতে। তিনি ওই পরিবারের একজন সদস্যের মতো। মাঝখানে কিছু ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব থাকলেও তা ঘুচে গেছে। আশিক আলীর সমর্থনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জোড় করাতে তাঁর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। দলের অন্য কেউ আগ্রহ দেখাননি। ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজ থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কেবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী।

ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন।

এদিকে বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে রিটার্নিং এস এম কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন।

তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধ ও প্রচ্ছন্ন চাপে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন ও জনসংহতি সমিতির সাবেক এক নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চারজনের মনোনয়নই রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং প্রচ্ছন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন।



উপজেলা নির্বাচন   চেয়ারম্যান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টের অপতৎপরতা সফল হবে না: নানক

প্রকাশ: ১০:০৩ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, একটি কুচক্রি মহল বরাবরের মতো এখনো দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তাদের এ অপতৎপরতা সফল হবে না। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) গুলশানের এসকট প্যালেস হোটেলে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত Leo Tito L. Ausan Jr. রচিত " Sleepless in Dhaka and Other Poems" শীর্ষক কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে আজ বাংলাদেশকে নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। তারা বিচার বিশ্লেষণ করছে কিভাবে ছোট এই দেশটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকটের মধ্যেও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রেখেছে। আপনারা পত্রিকায় দেখেছেন সম্প্রতি মার্কিন একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বলেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনায় মসৃণভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহে আটলান্টিক কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে এ সম্পর্কিত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

মন্ত্রী নানক বলেন,  বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিদেশীদের মাঝে যে আগ্রহ আছে ফিলিপাইনের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব লিও অসাম এর কবিতার বই প্রকাশ তার প্রমাণ। তিনি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে গিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, তার সম্পর্কে জানতে। সেখানে সব কিছু দেখে তার যে উপলব্ধি তা তিনি কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কেও জেনেছেন এবং তা তার কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন। বাংলাদেশে মাত্র একবছর সময়কালে আহসান মঞ্জিলসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করেছেন। ঢাকায় রিক্সা দেখে একে ঢাকার ঐতিহ্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জর্জ হ্যারিসন এবং পন্ডিত রবি শংকরসহ যারা বিশ্ববাসীর সমর্থন পেতে সাহায্য করেছেন তাদেরকেও তিনি কবিতার মাধ্যমে স্মরণ করেছেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যেমন কবিতা লিখেছেন তেমনি আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়েও কবিতা লিখেছেন। আমার ভালো লেগেছে রাষ্ট্রদূত লিও পাট থেকে তৈরি স্যুট পড়েছেন এবং কবিতার ভাষায় তা প্রকাশ করেছেন। আপনার জানেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আমি পাট ও পাটজাত পণ্যের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছি। 

অনুষ্ঠানে ফিলিপাইনের জলবায়ু পরিবর্তন কমিশনের মন্ত্রী রবার্ট ই. এ. বোরজে, বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সাবেক কেবিনেট সচিব মোশাররফ হোসাইন ভুইয়া, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, মিশন প্রধান, কূটনীতিকসহ বাংলাদেশের মিডিয়া ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন