ইনসাইড পলিটিক্স

গণতন্ত্র হত্যার জন্য বিএনপি দায়ী: এসএম কামাল

প্রকাশ: ০৯:০৫ পিএম, ০১ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail গণতন্ত্র হত্যার জন্য বিএনপি দায়ী: এসএম কামাল

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেছেন, আজকে ১/১১। মির্জা ফখরুলরা গণতন্ত্রের কথা বলেন। কেন ১/১১ সৃষ্টি হলো? এর জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী না বিএনপি? তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন তারেক রহমানের কারণে। তারা আজিজ মার্কা কমিশন করেছিলেন। গণতন্ত্র হত্যার জন্য বিএনপি দায়ী। ফখরুলের নেতা তারেক রহমান দায়ী। বিএনপি ভোট ডাকাতির কথা বলে। ভোট ডাকাত বিএনপি। দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান হা না ভোট করে ভোট ডাকাতি করেছে। সেনা আইন ভঙ্গ করে রাষ্ট্রপ্রতি হয়েছে-দল গঠন করেছেন। জনগণের তোপের মুখে বার বার পদত্যাগ করছেন। সেই দল বিএনপি। 

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) জাতীয় চার নেতার অন্যতম এম মনসুর আলী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স উদ্বোধন ও ৩ নভেম্বর উপলক্ষে বিকালে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলা পরিষদ মাঠে আয়োজিত স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি। 

এসএম কামাল হোসেন বলেন, আজকের বিএনপির জন্য আন্দোলন করেন? বিএনপির বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আনোয়ারুল কবির সংবাদ সম্মেলনে বললেন হাওয়া ভবনের কমিশনের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না। কানসাটের বিদ্যুতের জন্য আন্দোলন করার কারণে মানুষকে হত্যা করেছিলেন। লজ্জা করে না? মানুষের এক কান কাটার মত কথা বলেন, এবার দেশের মানুষ দুই কান কেটে দেবে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র তাদের জন্য নয়, যারা গণতন্ত্র কে হত্যা করে? বিজয়ের মাস ডিসেম্বর স্বাধীনতা বিরোধীদের পরাজিত করবো। মাথা বিজয়ের মাসে মাথা নত করে চলে যাবে। 

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, স্বাধীনতার পর চারটি বড় সংকট হয়েছে। তারমধ্যে ৭৫”র ১৫ আগস্ট, ১/১১, করোনা মহামারি এবং বর্তমানে বিশ্ব যুদ্ধের কারণে সংকট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা বর্তমান সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকার। আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে। 

তিনি বলেন, বিএনপি ঘোষণা দিয়েছেন ১০ ডিসেম্বর পর নাকি বিএনপি দেশ পরিচালনা করবেন। তারা তো নিজেরাই চলতে পারে না। দেশ চালাবে কিভাবে? বিএনপি একটি ঝামেলা। তারা দেশ চালাবে কিভাবে? তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে একটানা ক্ষমতায় থাকতে হবে। 

প্রকৌশলী তানভির শাকিল জয় এমপি বলেন, ৩ নভেম্বর জেলহত্যা শুধু হত্যাকাণ্ড নয়, এটা ছিল জাতির পিতার বাংলাদেশকে পিছনের দিকে ঢেলে দেওয়া। জাতীয় চার নেতা জেলখানায় প্রাণ দিয়ে প্রমাণ করেছেন তারা ছিলেন জীবনে মরণে বঙ্গবন্ধুর সহচর।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রেফাজ উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজীর পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোটেক জাহাঙ্গীর কবির নানক। 

এসএম কামাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে বিএনপি কি পাবে?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আন্দোলন শুরুর এক সপ্তাহ পর অবশেষে বিএনপি ছাত্রদের কোটা বিরোধী আন্দোলন এবং শিক্ষকদের পেনশন স্কিম বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন জানাল। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই দুই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানান। দীর্ঘ এক সপ্তাহ ধরে দলের নেতাদের মধ্যে দ্বিধা বিভক্তির পর অবশেষে তারা একটি আনুষ্ঠানিক অবস্থান ঘোষণা করেছে। তবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে। তাহলো এই আন্দোলনকে সমর্থন দিলেও বিএনপি নিজেদেরকে যুক্ত করছে না। বরং দূর থেকেই আন্দোলনকে সমর্থন দেয়ার নীতি গ্রহণ করেছে দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি। 

বিএনপি এই আন্দোলনকে সমর্থন দিয়েছে সুস্পষ্টভাবে সরকার বিরোধীতার অংশ হিসেবে। সরকারকে যা কিছুতেই চাপে ফেলা যায় তার সবকিছুতেই বিএনপি তাদের নাক গলানোর যে নীতি নিয়েছে, সেই নীতিরই একটি বহিঃপ্রকাশ ঘটলো এই আন্দোলনের সমর্থনের মাধ্যমে। তবে এই আন্দোলন নিয়ে বিএনপি কি পাবে তা নিয়ে বিএনপি নেতাদের মধ্যেই রয়েছে নানারকম অবিশ্বাস, সন্দেহ আর অস্বস্তি। বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, যেহেতু এই আন্দোলন বেগবান হতে শুরু করেছে, সরকার এই আন্দোলনে চাপে পড়বে বলেই বিএনপি নেতারা মনে করছে। সেই কারণেই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানানো হয়েছে। 

আরও পড়ুন: ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বিএনপি

অন্যদিকে বিএনপি’র কোন কোন নেতা বলছেন, সরকারের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান করবে তাদেরকেই বিএনপি সমর্থন দিবে। তবে এই সমর্থনের মাধ্যমে বিএনপি’র অর্জন কি তা নিয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যে দু’রকমের বক্তব্য পাওয়া গেছে। বিএনপির কোন কোন নেতা মনে করছেন যে, এই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার চাপে পড়বে। এই আন্দোলন থেকে বড় ধরনের আন্দোলন তৈরি হবে। এমনকি সরকার কোণঠাসা অবস্থায় চলে যেতে পারে। কাজেই এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত থেকে বিএনপির লাভ ছাড়া ক্ষতি হবে না। 

আবার বিএনপির কোন কোন নেতা মনে করছেন এই আন্দোলন আসলে সরকারেরই একটি কৌশল। সাম্প্রতিক সময়ে সরকার বিভিন্ন ইস্যু থেকে সকলের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে দেয়ার জন্যই কোটা বিরোধী আন্দোলন এবং পেনশন বিরোধী আন্দোলন শুরু করেছে। কাজেই এই আন্দোলন থেকে বিএনপি শেষ পর্যন্ত আরেকটি ধোঁকা উপহার পাবে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। 

বাংলাদেশে এর আগে কয়েক দফা শিক্ষক এবং ছাত্রদের আন্দোলন হয়েছে বর্তমান সরকারের আমলেই। বিশেষ করে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশ উত্তাল হয়ে উঠেছিলে। সেই আন্দোলন সরকার সফলভাবে মোকাবেলা করেছিলো। এর আগেও কোটা বিরোধী আন্দোলন হয়েছিলো। তাতেও একটি অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিলো সেটিও সরকার মোকাবেলা করতে পেরেছিলো অত্যন্ত দক্ষতার সাথে। ওই দুই আন্দোলন থেকে বিএনপি কোন শিক্ষা পায়নি।

বরং বিএনপি পন্থি একজন শিক্ষককে লন্ডনে পলাতক বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া উস্কানিমূলক কিছু-বার্তা বললে তা ফাঁস হয়ে যায়। এবং কোটাবিরোধী আন্দোলন এবং নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনকে রাজনীতি মুক্ত রাখার নীতি গ্রহণ করে। 

বাংলাদেশে এখন যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘটছে, সে আন্দোলনগুলো রাজনীতি বিযুক্ত আন্দোলন। শিক্ষার্থীরা কোন ভাবেই এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত করতে চাইছে না। তাদের দাবি আদায়টাই মূল কথা। তারা মনে করছে না যে বিএনপি আন্দোলনে জড়ালে তাদের জন্য আন্দোলনে লাভ হবে। বরং এর ফলে সরকার হয়তো আরও কঠোর অবস্থানে যাবে। তাদের দাবি-দাওয়া মানার ক্ষেত্রে আরও প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে। 

কিন্তু বিএনপি এখন সব ধরনের আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে শিক্ষক এবং ছাত্রদের আন্দোলনের উপর ভর করতে চাইছে। এতে বিএনপির কোন লাভ বা ক্ষতি হবে কিনা সেটি পরের বিষয়। তবে এই আন্দোলনের সাথে যারা জড়িত তারা এটি নিয়ে বিব্রত। বিশেষ করে শিক্ষকরা যারা আন্দোলন করছে তাদের অনেকেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাথে নানা ভাবে যুক্ত। তারা বিএনপির এই অবস্থানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত বিব্রত। তারা মনে করছে যে, রাজনীতির বাইরে রেখে এটি একটি পেশাজীবীদের দাবির আন্দোলন হিসেবে বিকশিত করতে। আর একারণেই বিএনপির এই আন্দোলনের সমর্থনের প্রতি তাদের কোন সাড়া নেয়। 


ছাত্র-শিক্ষক আন্দোলন   কোটা আন্দোলন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পেনশন ও কোটাবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন

প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দেশে চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের কথা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি যথেষ্ট ন্যায্য এবং যৌক্তিক বলেই তাদের এই আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপি পাশে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরপ্রত্যয়স্কিম প্রত্যাহার দাবির প্রতিও সমর্থন ব্যক্ত করে এটি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

শনিবার ( জুলাই) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

কোটা বিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক কর্মচারীদের এই যৌক্তিক আন্দোলন সমর্থন করছি। কোটা বিরোধী আন্দোলনে সমর্থন রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদেরকে রাষ্ট্রীয় ভাবে সম্মাননা প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রীয় আচার অনুষ্ঠানে, এমনকি তাদের মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মানের সহিত দাফন সম্পন্ন করা হয়। এগুলো তাদের প্রাপ্য, এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতাসহ নানান সুবিধা আছে।

এসময় ৫৬ শতাংশ কোটা ব্যবস্থা বহাল রেখে প্রযুক্তি মেধানির্ভর বিশ্বব্যবস্থায় জাতি হিসেবে টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব বলেও উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণি বা কোনো শ্রেণিতেই কোটা পদ্ধতি মেধা বিকাশে সহায়ক হতে পারে না। মেধা ভিত্তিক বৈষম্যহীন জাতি সমাজ বিনির্মাণের মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

ছাত্রদের ন্যায়সংগত যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে এই সমস্যা সমাধানের জন্য আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

একইসঙ্গে সর্বজনীন পেনশনপ্রত্যয়স্কিম প্রত্যাহারের দাবির বিষয়ে ফখরুল বলেন,পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক কর্মচারীদের এই যৌক্তিক আন্দোলনের প্রতি সমর্থনের পাশপাশি অবিলম্বে এই পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করার জন্য সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের সম্পৃক্ত করে সরকার পরিপত্র জারি করলেও বিষয়টি নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ এই জারিকৃত স্মারক প্রত্যাখ্যান করেছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা দান, পরীক্ষা গ্রহণসহ সব ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ রেখেছে।

তিনি বলেন, টানা আন্দোলনের ফলে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এটা জাতির জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রকৃত পক্ষে এটি এই দেউলিয়া সরকারের দুর্নীতির আর একটি পথ খুলে দেওয়া।


পেনশন   কোটা   বিরোধী   আন্দোলন   বিএনপি   সমর্থন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘ভারত বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্ধু আর চীন উন্নয়নের বন্ধু’

প্রকাশ: ০২:০৯ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো বলেই অনেক সুবিধা নিতে পেরেছি মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্ধু আর চীন উন্নয়নের বন্ধু। দেশের বহু উন্নয়নে চীনের অবদান আছে। শনিবার ( জুলাই) রাজধানীর বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য গবেষণা কেন্দ্রে সাত দিনব্যাপী পাহাড়ি ফলমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলেন তিনি।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের সঙ্গে ২১ বছর বৈরি সম্পর্ক রেখে কি অর্জন করেছে ৭৫ পরবর্তী রাজনৈতিক দল? শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদির সম্পর্ক ভালো ছিল বলেই আমরা বাংলাদেশের সমান আরেকটি সমুদ্র পেয়েছি। সম্পর্ক ভালো ছিল বলেই সিটমহল সমস্যার সমাধান করেছি। সম্পর্ক ভালো থাকলে আলাপ-আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা যায়। গঙ্গাচুক্তিসহ বহুবিধ সুবিধা ভারত থেকে নিতে পেরেছেন শেখ হাসিনা। যারা বড় বড় কথা বলেন তারা গঙ্গার কথা ভুলে গিয়েছিলেন। খালি হাতে আগেও ফিরি নাই, এখনো ফিরি নাই।

চীনের সঙ্গে আমাদের পার্টনারশিপ রয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেন, ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন আমাদের উন্নয়নের বন্ধু। দেশে বহু উন্নয়নে চীনের অবদান আছে। সাহায্য পেলে আমরা সাহায্য কেনো নেব না? আমার দেশের উন্নয়নের জন্য যেখানে সাহায্য দরকার আমরা সেখান থেকে সাহায্য নেব। মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, এক্সপ্রেসওয়ে এসব নিয়ে অনেকের জ্বলে, যাদের জ্বলে তাদের মন্তব্যের কোনো জবাব আমরা দেব না।

গত ১৬ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। সেই বদলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পার্বত্য অঞ্চলও বদলেছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী বলেন, সড়ক যোগাযোগে এখন পার্বত্য তিন জেলা অনেক উন্নত, একসাথে ৪২টি ব্রিজ উদ্বোধন হয়েছে খাগড়াছড়িতে। এখন সীমান্ত সড়ক তৈরি হচ্ছে। শেখ হাসিনা থাকলে সব সমস্যার সমাধান হবে।

ওবায়দুর কাদের আরও বলেন, বিদেশি বহু ফলের চেয়ে অনেক উন্নত মানের ফল উৎপাদিত হয় পার্বত্য তিন জেলায়। এক সময় আনারসই প্রধান ফল ছিল। কিন্তু এখন বহু ধরনের ফল উৎপাদিত হয়। এক সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত না থাকার কারণে ফল পচে যেত। আজকে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কারণে আপনাদের পাহাড়ের সুমিষ্ট ফল ঢাকায় চলে আসে। সিঙ্গাপুরের চেয়ে উন্নতমানের ফল আমাদের পাহাড়ি অঞ্চলে উৎপাদিত হয়।


ভারত   বাংলাদেশ   রাজনৈতিক   বন্ধু   চীন   উন্নয়ন   বন্ধু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কোটা বিরোধী আন্দোলনের সাথে বিএনপি একমত: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১২:৪৯ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি। আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে সরকার মানুষের ন্যায্য দাবি থেকে বঞ্চিত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার (৬ জুলাই) সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে বিএনপি।

রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন কোটা আন্দোলনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে বিএনপি।

সরকারি চাকরিতে কোটার ব্যাপারে মির্জা ফখরুল বলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলনের সাথে বিএনপি একমত। সময় থাকতে ছাত্রদের ন্যায্য দাবি মেনে নিন।

ফখরুল আরও বলেন, বড়জোর -১০ শতাংশ কোটা থাকতে পারে; ক্ষমতায় গেলে সব ধরনের বৈষম্য ব্যবস্থা বাতিল করবে বিএনপি।


কোটা   বিরোধী   আন্দোলন   বিএনপি   একমত   মির্জা ফখরুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আজ যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

প্রকাশ: ১১:৪৩ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ শনিবার ( জুলাই) উপলক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে সংগঠনটি। ২০০২ সালের এই দিনে ছাত্রলীগের একঝাঁক সাবেক নেত্রীকে নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় যুব মহিলা লীগ।

শুক্রবার ( জুলাই) সংগঠনটির সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজি সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানিয়েছেন।

২০০২ সালের জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের একঝাঁক সাবেক নেত্রীকে নিয়ে যুব মহিলা লীগ গঠন করেন। যুব মহিলা লীগ প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য ছিল নারী সমাজকে সংগঠনের পতাকাতলে একত্রিত করে সব বাধা জয় করে নারীর রাজনৈতিক, সামাজিক অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে যাওয়া এবং তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতিসহ সব অত্যাচার-অনিয়মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা।


যুব   মহিলা   লীগ   প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন