ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন
ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আজ। দীর্ঘ সাড়ে
চার বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এ সম্মেলন। ইতোমধ্যেই
সম্মেলনকে ঘিরে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে ঢাবি
ক্যাম্পাসে।
শনিবার বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলন উদ্বোধন করবেন ছাত্রলীগের
কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের। ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত থাকবেন
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
সম্মেলনের প্রস্তুতি বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের
সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলনের
প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। নির্বাচন কমিশন ও বিভিন্ন উপ-কমিটি করে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার অনুশাসনের আলোকে একটি সার্থক সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
কারা আসছেন ঢাবি ছাত্রলীগের নেতৃত্বে,
কোন এলাকা পাচ্ছে প্রাধান্য, কার পারিবারিক ঐতিহ্য কী- এসব নানা আলোচনায় এখন সরগরম
বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন, টিএসসি, হাকিম চত্বর ও পিয়ারু চত্বর।
ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীর কাছে কেন্দ্রীয়
ছাত্রলীগের নেতৃত্ব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃত্ব প্রায় সমান গুরুত্বপূর্ণ।
ফলে যারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসার আলোচনায় আছেন, সেই তারাই আবার আসতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয়
শাখার নেতৃত্বেও। অর্থাৎ দুই জায়গাতেই আগ্রহ আছে অনেক নেতার। ঢাবি ছাত্রলীগের নেতৃত্বের
দৌঁড়ে এগিয়ে থাকবেন বিভিন্ন হল শাখার শীর্ষ নেতারা। আবার নারী নেত্রীদের সম্ভাবনাও
দেখছেন কেউ কেউ।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান
খান জয় বলেন, যারা দীর্ঘদিন পরিশ্রম করেছে, নিয়মিত ছাত্র, মেধাবী এবং পারিবারিকভাবে
আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, বিতর্কমুক্ত তাদের মধ্য থেকেই ঢাবি ছাত্রলীগের নেতৃত্ব
আসবে। কেন্দ্রীয় কমিটি, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কিংবা হল শাখার যে কেউ নেতৃত্বে আসতে পারেন।
সব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাবি ছাত্রলীগ সম্মেলন
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।