ইনসাইড পলিটিক্স

উত্তরে পরশ, দক্ষিণে সাঈদ খোকন মেয়র পদে প্রার্থী হতে চান

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২২ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছর জানুয়ারিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ইতিমধ্যে সিটি করপোরেশন দুটিতে চার বছর মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী মেয়াদ পূর্তির ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। সেই হিসেবে চলতি বছরের শেষ দিকে বা আগামী বছরের শুরুতেই এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা। 

বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আছেন আতিকুল ইসলাম এবং দক্ষিণের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শেখ ফজলে নূর তাপস। আর এই দুইজনই আগামী সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে মনোনয়ন পাবেন কি না তা নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে নানা রকম মতামতের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। 

মেয়রদের মেয়াদ পূর্তির চার বছর পরেই আওয়ামী লীগের ভেতর মেয়র পদে একাধিক প্রার্থী জানান দিচ্ছেন এবং এ নিয়ে তারা তাদের বিভিন্ন কর্ম পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন। ইতোমধ্যে ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র এবং বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সাঈদ খোকন দক্ষিণের মেয়র হিসেবে নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে তিনি জনসংযোগ শুরু করেছেন। 

সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে তার আমলে যে সমস্ত ভালো কাজ হয়েছে তার ফিরিস্তি তুলে ধরছেন এবং বর্তমান মেয়রের তীব্র সমালোচনা করেছেন। বিশেষ করে তাপস দায়িত্ব নেওয়ার পর ডেঙ্গু কমেনি এবং এলাকাবাসীকে ডেঙ্গুর আতঙ্কের মধ্যে রেখে দক্ষিণের মেয়র শেখ তাপসের বিদেশ যাওয়া নিয়েও তিনি সমালোচনার তীর ছুড়েছেন। এরপর দিনই শেখ ফজলে নূর তাপস সংবাদ সম্মেলন করেন এবং বলেন, চার বছরে তিনি যে উন্নয়ন করেছেন তা ৪০ বছরেও হয়নি। তিনি শুরু থেকেই সাঈদ খোকনের সময়ে দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা সিটি করপোরেশনে হচ্ছিল তা বন্ধের উদ্যোগ নেন এবং এই প্রেক্ষিতে সাঈদ খোকন এবং তাপসের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য আকার ধারণ করে। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, সাঈদ খোকন আবার মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য চেষ্টা করবেন। ইতোমধ্যে তাকে সংসদ সদস্য করা হয়েছে। কিন্তু তাতে তিনি সন্তুষ্ট নন। মেয়র হওয়ার জন্য তিনি জোর প্রচেষ্টা চালাবেন। দক্ষিণে মূলত তাপস এবং সাঈদ খোকনের মধ্যে মেয়র পদে মনোনয়ন নিয়ে যুদ্ধ হবে বলে আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন। তবে অধিকাংশ নেতাই মনে করেন, তাপস যেহেতু মাত্র একবার মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এবং তিনি সুনির্দিষ্ট কিছু কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন, কাজেই দ্বিতীয়বার তার মেয়র পদে মনোনয়ন পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে৷ তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগ সভাপতি গ্রহণ করবেন বলে আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন। 

অন্যদিকে ঢাকা উত্তরে মেয়র হিসেবে আতিকুল ইসলাম দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্ণ করেছেন। প্রথমে অবশ্য তিনি আংশিক সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। উত্তরের মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুর পর উপ নির্বাচনে আতিক আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান এবং ওই নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হয়ে আনিসুল হকের অসম্পূর্ণ সময়টুকু পূরণ করেন। দ্বিতীয় মেয়াদে তার মনোনয়ন প্রাপ্তি নিয়ে কোন সংশয় ছিল না এবং মেয়র হিসেবে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। এবার আতিক আবার মেয়র পদে মনোনয়ন পাবেন কি না এ নিয়ে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মত রয়েছে। এখানে মেয়র পদে পাওয়ার জন্য একাধিক প্রার্থীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং তারা জনসংযোগও করছেন। 

ঢাকার মোহাম্মদপুর আসন থেকে ২০১৮ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাদেক খান মেয়র পদে প্রার্থী হতে আগ্রহী। এ নিয়ে তিনি দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। ২০২৪ এর নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। তার জায়গায় আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতার প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানককে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আওয়ামী লীগের উত্তরের নেতা শেখ বজলুর রহমান, কাদের খানও এবার ঢাকা উত্তরে প্রার্থী হতে চায়। 

তবে আওয়ামী লীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, উত্তরে মেয়র পদে চমক হিসেবে আসতে পারেন শেখ ফজলে শামস পরশ। তিনি যুবলীগের চেয়ারম্যান। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নির্বাচন করেননি। তার সাধারণ সম্পাদক ইতোমধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। অনেকে মনে করছেন ঢাকা উত্তরে তিনি মেয়র হিসেবে প্রার্থিতা ঘোষণা করতে পারেন। এ নিয়ে তিনি দলের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছেন বলে বিভিন্ন সূত্রগুলো জানিয়েছে।

একাধিক আওয়ামী লীগের সূত্র বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে পরশ এবং তাপসের এক ধরনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এই দ্বন্দ্বের জেরে পরশ হয়ত ‍উত্তরে নির্বাচনের ব্যাপারে আগ্রহী হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত যদি পরশ উত্তরে প্রার্থী হন তাহলে দক্ষিণে তাপসের প্রার্থিতা অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়তে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। অনেকের ধারণা তাদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত সরকারের নীতি নির্ধারক মহল একটি সমঝোতার চেষ্টা করবে এবং দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্ব মেটানোর উদ্যোগ গ্রহণ করবে। কিন্তু সেই উদ্যোগ যদি ব্যর্থ হয় তাহলে ঢাকা দুই সিটি নির্বাচনে বড় ধরনের চমক অপেক্ষা করছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন   শেখ ফজলে শামস পরশ   সাঈদ খোকন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

হঠাৎ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০২:৪২ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তবে অন্যান্য দিনের মতো এদিন সংবাদ সম্মেলনটি খুব একটা দীর্ঘ হয়নি।

পরে সংবাদ সম্মেলন শেষ করে দপ্তর কক্ষে চলে যান ওবায়দুল কাদের। ওই কক্ষে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

এসময় সোয়া ১টার দিকে দপ্তর কক্ষে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দুই মন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠকে বসেন।

এদিকে বেলা ১টা ৩২ মিনিটে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একই সময়ে আসেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার চাপা। পরে তারা দুইজনও যোগ দেন বৈঠকে। এছাড়াও বৈঠকে আসতে দেখা গেছে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াকে।

দলীয় সূত্রমতে জানা যায়, হঠাৎ করেই এ বৈঠকটির আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। বৈঠকে শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ, আইনগত দিক ও সম্ভাব্য করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে জনদুর্ভোগ পরিহার করা দরকার। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন। উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আমরা মনে করি উচ্চ আদালত বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে রায় দেবেন।’

এছাড়াও সরকার কোটা বাতিলের পক্ষে আন্তরিক বলেই অ্যাটর্নি জেনারেল আপিল করেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আদালত কোটা বাতিলের পরিপত্র বাতিল করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে ফের আপিল করা হয়েছে। তাই উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে জনদুর্ভোগ পরিহার করা দরকার।’

কোটা আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে রাজনৈতিক ইস্যু যুক্ত হয়েছে। বিএনপি এই আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। তারা (বিএনপি) সাপোর্ট করেছে। সাপোর্ট করা মানেই যুক্ত হয়ে যাওয়া। কারা যুক্ত হয়েছে, কোনও ষড়যন্ত্রের অংশ কী না, সব কিছু সময় বলে দেবে।’


ওবায়দুল কাদের   রাজনীতি   সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আবারও হাসপাতালে খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ০৮:১৫ এএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। সোমবার (৮ এপ্রিল) ভোররাত ৪টা ২০ মিনিটের দিকে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল নেওয়া হয়।

এর আগে রাত তিনটার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত ২১ জুন দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর দ্রুত তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়।

হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হওয়ায় বিদেশি চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে ২৩ জুন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর হৃদযন্ত্রে স্থায়ী পেসমেকার বসানো হয়। পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ১০ দিন পর ২ জুলাই হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আরথ্রাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।


হাসপাতাল   খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায় লেবার পার্টি: এবার কী তবে দেশে ফিরছেন তারেক?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবির মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে লেবার পার্টি। কিন্তু লেবার পার্টির এই ভুমিধস বিজয়ে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মত অবস্থা লন্ডনে পলাতক তারেকের। কেননা, লেবার পার্টি বরাবরই তারেকের লন্ডনে থাকার বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে আসছিল। কনজারভেটিভ পার্টির ছাতা তারেকের মাথা থেকে সরে যাওয়ায় লেবার পার্টির বিজয়কে কোন ভাবেই হজম করতে পারছেন না বিএনপির ভারপ্রাপ্ত এই চেয়ারম্যান। 

তারেকের শেষ আশ্রয়স্থল লন্ডনেও কি তার এখন ঠাঁই হবে কিনা এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলগুলোতে ইতিমধ্যেই নানা ধরনের সমালোচনা শুরু হয়েছে। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কী তারেকের আর লন্ডনে থাকা হবেনা! এবার কী তবে দেশে ফিরছেন তারেক? দেশে ফেরার পর কি হবে তারেকের!

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ইতোমধ্যেই তার ১ম কার্যদিবসে অভিবাসীদের জন্য তৈরি রুয়ান্ডা নীতি বাতিল করেছেন। কারন, রুয়ান্ডা নীতি অভিবাসীদের ঠেকাতে কোন কার্যকর সমাধান নয় বলেই মনে করেন তিনি।

লেবার পার্টির এই নেতা তার ১ম কার্যদিবসেই অভিবাসীদের নিয়ে কাজ শুরু করাতে একটু বেশিই বিপদে রয়েছেন লন্ডনে পলাতক তারেক। কেননা, লেবার পার্টি অভিবাসন নীতিতে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে, কোন দন্ডিত ব্যক্তি যুক্তরাজ্যের ভূখণ্ডে থাকতে পারবেনা। যেখানে কনজারভেটিভ পার্টির আনুকূল্যে এতদিন ধরে লন্ডনে পলাতক অবস্থায় রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

লেবার পার্টির অভিবাসন নীতিতে এমনটাও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে যাদেরকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হয়েছে তা একটি মানবিক আশ্রয় মাত্র। রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা কোন ব্যক্তি যুক্তরাজ্যে বসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবেন না। যদি কেউ এমনটি করে থাকে, তবে সেক্ষেত্রে তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। 

২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের  সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে তারেক জিয়া লন্ডনে গিয়েছিলেন। সেই মুচলেকায় বলা হয়েছিল, তিনি আর কখনো রাজনীতি করবেন না। কিন্তু লন্ডনে গিয়ে তিনি আবারও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন এবং বর্তমানে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

লন্ডনে বসে পলাতক তারেক আর কতদিন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবেন সেটি নিয়েও এখন রাজনৈতিক মহলগুলোতে চলছে নানা ধরনের আলোচনা ও সমালোচনা। কেননা, অভিবাসন নীতির সমস্ত কার্যক্রম অল্প কিছুদিনের মধ্যেই লেবার পার্টি শুরু করে দেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে খুব দ্রুতই ব্যবস্থা নেবে লেবার পার্টি। যে কারণে লন্ডনে বসে তারেকের সহিংসতা, চাঁদাবাজি, জ্বালাও-পোড়াও, খুন, অর্থপাচারসহ সব ধরনের নাশকতার দিন ঘনিয়ে আসছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে তারেক আর কতদিন লন্ডনে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে সেটিই এখন দেখার বিষয়।


যুক্তরাজ্য   লেবার পার্টি   তারেক জিয়া   লন্ডন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘মন্ত্রী, সচিব ও কর্মকর্তারা সৎ থাকলে দুর্নীতির সুযোগ থাকবে না’

প্রকাশ: ১২:৩০ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “মন্ত্রী, সচিব কর্মকর্তারা সৎ থাকলে দুর্নীতি হওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। দুর্নীতি এখন বেপরোয়া গতিতে বিস্তার লাভ করছে। কিন্তু ধরা পড়ে অনেক পরে। দুর্নীতির জন্য যে মূল্য দিতে হয়, সেটা আমাদের জন্য সত্যিই দুঃখজনক দুর্ভাগ্যজনক। দেশের অর্থনৈতিক সম্পদ মাথায় রেখে সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিতে হবে।”

রোববার ( জুলাই) সড়ক পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, কোনো পলিটিক্যাল তদবিরে কাউকে বদলি করা যাবে না। এক্ষেত্রে আগে বিআরটিএতে প্রচুর লেনদেন হত। তার বিনিময়ে কর্মকর্তাদের বদলির কাজ চলত। সেটি অনেকাংশে বন্ধ হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। তবে বিভিন্ন স্থানে অনেক অপকর্ম হয়। সর্ষের মধ্যে দালালদের মতো ভূত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কোনো অবস্থাতেই শ্রীলংকার দৃষ্টান্তের পুনরাবৃত্তি কিংবা শ্রীলংকার ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। ভালো কাজের যেমন পুরস্কার, সেভাবে খারাপ কাজের জন্য নিন্দা শাস্তির ব্যবস্থা থাকা দরকার।


মন্ত্রী   সচিব   কর্মকর্তা   সৎ   দুর্নীতি   সুযোগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল মহানগরে বিএনপির আংশিক কমিটি গঠন

প্রকাশ: ১১:৩২ এএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ, চট্টগ্রাম এবং বরিশাল মহানগর বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার ( জুলাই) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়।

এতে জানানো হয়েছে, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরবকে আহ্বায়ক বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ফুটবলার আমিনুল হককে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুকে আহ্বায়ক সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ রবিনকে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।

অন্যদিকে বিএনপি নেতা এরশাদুল্লাহকে আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রদল নেতা নাজিমুর রহমানকে সদস্য সচিব করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।

এছাড়া বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুককে আহ্বায়ক, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়াকে সদস্য সচিব সাবেক ছাত্রদল নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিনকে নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক করে বরিশাল মহানগর বিএনপির তিন সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।

এর আগে গত ‌১৪ জুন রাতে ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণসহ, চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগরের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। একইদিন বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়।


ঢাকা   চট্টগ্রাম   বরিশাল   মহানগর   বিএনপি   আংশিক   কমিটি   গঠন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন