ইনসাইড পলিটিক্স

বাংলাদেশ ইস্যুতে অবস্থান পাল্টাবে ভারত? কোনপথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক?


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও, শরিকদের ওপর ভর করেই টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের অপেক্ষায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন 'এনডিএ' জোট। অন্যদিকে, এখনও সরকার গঠনের আশা ছাড়েনি ফিনিক্স পাখির মতো খাঁদের কিনারা থেকে ফিরে আসা ভারতের প্রাচীনতম দল কংগ্রেস। সবধরনের বুথফেরত জরিপ ও মোদি ম্যাজিক মিথ্যা প্রমাণ করে বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া' পেয়েছে ২৩২টি আসন। আর তাই, যেকোন মূল্যে 'এনডিএ' জোট শরিকদের মধ্য থেকে কাউকে নিজেদের ডেরায় এনে সরকার গঠনের চেষ্টায় বুঁদ হয়ে আছে তারাও।  

তবে, শেষ পর্যন্ত যারাই সরকার গঠন করুক না কেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে খুব একটা পরিবর্তন আসবে না বলেই মত বিশ্লেষকদের। গত এক দশকে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির সঙ্গে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকারের একটা চমৎকার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। দুই দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমাধান হয়েছে হৃদ্যতাপূর্ণভাবেই। তবে, অমীমাংসিত কোনো বিষয় যে নেই এমনটাও নয়। বিশেষ করে গঙ্গা ও তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধ নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে অনেকদিন ধরেই কিছুটা টানাপোড়েন চলছে। অন্যদিকে, কংগ্রেসের সঙ্গেও আওয়ামী লীগের বেশ ভাল একটা সম্পর্ক রয়েছে। এক্ষেত্রে তারাও যদি সরকারে আসে, বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের অবস্থান পরিবর্তনের তেমন কোন সুযোগ নেই বলেও মত সংশ্লিষ্টদের। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এখন যে পর্যায়ে রয়েছে এর চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারে না। আর তাই কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলেও, বাংলাদেশের জন্য তেমন কোনো সমস্যা হবেনা বলেও মনে করছেন তারা। গেল কয়েক দশকের ইতিহাস বলে, যারাই ক্ষমতায় আসবে তারাই চাইবে দু'দেশের সম্পর্কের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে। 

তবে, এই মুহূর্তে ভারত নিয়ে বাংলাদেশের একটিই চাওয়া, আর তা হলো একটি স্থিতিশীল সরকার। কেননা, দেশটির ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, অতীতের জোট সরকারগুলোর অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর ছিলনা। সেক্ষেত্রে জোটের ওপর ভর করে বিজেপি ক্ষমতায় এলেও, শরিকদের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি কতদিন তার সরকার টিকিয়ে রাখতে পারবেন সেটিই এখন দেখার বিষয়।


বাংলাদেশ   ভারত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ধৈর্যের পরীক্ষায় শামীম

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

এনামুল হক শামীম কঠিন সময়ে প্রতিকূল রাজনৈতিক বাস্তবতায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত ভিপি হয়েছিলেন। এর মাধ্যমে ছাত্রলীগকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন এই তরুণ ছাত্রনেতা। তিনি ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন। ঐতিহাসিকভাবে মনে করা হয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব বিকাশের সূতিকাগার হলো ছাত্রলীগ। আজ যারা ছাত্রলীগের নেতা আগামী দিনেই তারাই আওয়ামী লীগে নেতৃত্ব দিবেন। এটিই বাস্তবতা। সেই ধারায় মোটামুটি আছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুল রহমান, মোস্তফা জামাল মহিউদ্দিন এর মতো অনেকেই ছাত্রলীগের নেতৃত্ব থেকেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসীন হয়েছেন। তবে ছাত্রলীগের অনেক নেতাই অপাংক্তেয়, অবহেলিত এবং প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় আছেন।

এর মধ্যে এনামুল হক শামীম রাজনীতিতে আলো ফেলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন হওয়া, ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়া এবং দলের জন্য নানারকম অবদানের কারণে তিনি আওয়ামী লীগের পরবর্তী নেতা হতে পারেন এমন ধারণা করেন অনেকে। আর তার স্বাক্ষরও রাখা হয়েছিল। গতবারের আগের কমিটিতে এনামুল হক শামীমকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দেয়া হয়েছিল। তবে ২০১৮’র নির্বাচনের পর এনামুল হককে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী করা হয়। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতির উপমন্ত্রীর পদ পাওয়াটা নিয়ে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন। অনেকে মনে করেছিলেন, তার চেয়ে জুনিয়ররা বা তার কমিটিতে থাকা অনেক ব্যক্তিরাও প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। সেখানে এনামুল হক শামীমের মতো ক্যারিশমাটিক ছাত্রনেতা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পায় কি করে?

এনামুল হক শামীম সেই দায়িত্ব হাসিমুখেই নিয়েছিলেন, ধৈর্য ধারণ করেছিলেন। তবে এবারের নির্বাচনের পর এনামুল হক শামীম কোথাও নেয়। আওয়ামী লীগের দল এবং সরকার আলাদা করার নীতি অনুযায়ী ১৮’র সালে মন্ত্রী হবার পরের কাউন্সিলে তাকে সাংগঠনিক পদেও রাখা হয়নি। যদিও আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা আছেন যারা দলের দায়িত্ব এবং মন্ত্রীত্ব একসাথে পালন করেছিলেন। তবে এনামুল হক শামীমকে সেই তালিকায় রাখা হয়নি।

এখন তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার পর মন্ত্রীত্বেও নেয়, দলের নেতৃত্বেও নেয়। যদিও মন্ত্রী হিসেবে অনেককেই মন্ত্রী হিসেবে একই মন্ত্রণালয়ে রাখা হয়েছে। এমনকি প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আগের মেয়াদের প্রতিমন্ত্রীই এবার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু এনামুল হক শামীমকে বাদ দেয়া হয়েছে।

দল এবং সরকার কোথাও না থাকা নিয়ে এনামুল হক শামীমের সমর্থক এবং তার শুভাকাঙ্খীরা কিছুটা হতাশ। তবে রাজনীতিতে এটাকেই ধৈর্যের পরীক্ষা বলে মনে করা হয়। এনামুল হক শামীমের এখন ধৈর্যের পরীক্ষা চলছে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। প্রতিটি রাজনৈতিক নেতার একটি কঠিন সময় আসে, একটি খারাপ সময় যায়। যেসময় তিনি রাজনীতিতে পাদপ্রদীপে থাকেন না। এনামুল হক শামীম এখন এই অবস্থায় আছেন।

আওয়ামী লীগের সামনে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। সেই কাউন্সিলে হয়তো এনামুল হক শামীম আবার ফিরতে পারেন কিংবা মন্ত্রীসভার রদ-বদলেও শামীমের জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তবে কি হবে সেটি নির্ভর করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আস্থাভাজন এনামুল হক শামীম। তাই সকলে মনে করেন এই ধৈর্য্যরে পরীক্ষার পর তিনি হয়তো ভালো কিছু পাবেন। রাজনীতিতে এই চাওয়া পাওয়ার হিসেব মেলাতে গিয়ে এনামুল হক শামীম যেন হতাশাগ্রস্ত না হন সেটাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আকাঙ্খা।


এনামুল হক শামীম   রাজনীতি   জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সন্ত্রাসের নাটের গুরুদের তালিকা করছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এখন সন্ত্রাস এবং সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। এ সমস্ত সন্ত্রাস এবং সহিংসতার কারণে বেশ কিছু নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছে। এই অবস্থা আর চলতে দেওয়া যায় না বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। জাতীয় সংসদের অধিবেশন শেষ হওয়ার পরই আওয়ামী লীগ অভ্যন্তরীণ এই কোন্দল মেটানোর জন্য সাঁড়াশি অভিযান শুরু করবে।

আওয়ামী লীগের ভিতর খুব শীঘ্রই একটি শুদ্ধি অভিযান হতে যাচ্ছে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা নিশ্চিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে। আর এই অভিযানে সন্ত্রাসের নাটের গুরু যারা তাদেরকে চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং এই সমস্ত নাটের গুরুদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে রাজশাহী, মুন্সীগঞ্জ, গোপালগঞ্জসহ দেশের অন্তত ২২টি জেলায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রবল আকার ধারণ করেছে। এই সমস্ত অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সহিংসতার ঘটনাও ঘটছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আওয়ামী লীগ সুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলেও আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা নিশ্চিত করেছেন।

আওয়ামী লীগের একজন সদস্য বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত এবং এই ব্যাপারে তিনি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিটি এলাকায় সন্ত্রাস এবং সহিংসতার জন্য নাটের গুরুদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। বিশেষ করে এই সমস্ত ঘটনার ক্ষেত্রে যারা প্রকৃত দোষী তাদেরকেই চিহ্নিত করা এবং এই দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা অনেক পরের বিষয়। প্রথমে দুই পক্ষের বিরোধ কমানোর জন্য দুই পক্ষকে পাশাপাশি বসানো হবে এবং শেষ বারের মতো তাদেরকে সতর্ক করা হবে। যে সমস্ত এলাকাগুলোতে দুই পক্ষ হানাহানি করছে, তাদের নেতৃবৃন্দকে একত্রে বসানো হবে। নির্দিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে এই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তারা বিবাদমান দুই পক্ষের সঙ্গে বসবেন এবং আওয়ামী লীগ সভাপতির পক্ষ থেকে সহিংসতা মেটানোর জন্য শেষ সতর্কবার্তা দেবেন। এই সতর্কবার্তাও যদি তারা না শোনেন তারপরেই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় সংসদের অধিবেশন শেষ হলেই সারা দেশে সাংগঠনিক কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। পুরো জুলাই মাস ধরেই এই কর্মসূচি পালিত হবে। আগস্ট মাস শোকের মাস। শোকের মাসের আগে যেন অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং বিরোধগুলোর মীমাংসা হয় সে ব্যাপারে আওয়ামী লীগ একটি সুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মনে করছেন যে, সাংগঠনিক সফর, কর্মসূচি এবং উভয় পক্ষের মধ্যে আলাপ আলোচনা হলে এই ধরনের সমস্যাগুলো অনেকটাই কেটে যাবে। কিন্তু তারপরও যদি কেউ সমস্যা করে, কোন্দল অব্যাহত রাখে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য যে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল তীব্র আকার ধারণ করেছিল এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সতন্ত্র কৌশলের কারণে এই সংঘাত আরও বেড়ে যায়। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি বারবার সন্ত্রাস-সহিংসতা বন্ধের কথা বললেও বিভিন্ন এলাকায় এই কোন্দল কমেনি। আর একারণেই আওয়ামী লীগ এই কোন্দল কমানোর জন্য এখন বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করতে যাচ্ছে।


আওয়ামী লীগ   অভ্যন্তরীণ কোন্দল   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

রিজভীর আওয়ামী লীগ কানেকশন

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

রিজভীর এখন বসন্তকাল চলছে। বিএনপিতে তার অবস্থান অত্যন্ত শক্ত হয়েছে। বিএনপির নতুন কমিটি গুলোতে তার জয়জয়কার। এমনকি তার মহাসচিব হওয়ারও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এইরকম অবস্থায় রিজভীর প্রতিপক্ষরা চুপচাপ বসে নেই। বরং তারা মনে করছে রিজভীকে যেভাবে আপোষহীন এবং আন্দোলনমুখী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বাস্তবতা তা নয়। বরং রিজভীর সঙ্গে সরকারের একটি গোপন সম্পর্ক রয়েছে এবং সেই সম্পর্কের জেরেই রিজভী রাজনীতি করছেন। 

আরও পড়ুন: বিএনপিতে শুরু হচ্ছে রিজভী যুগ

রিজভীর সঙ্গে সরকারের গোপন সম্পর্কের ব্যাপারে বিএনপি নেতারা এখন শুধু খোঁজ-খবরই নিচ্ছেন না। লন্ডনে পলাতক বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করছেন। প্রশ্ন উঠেছে, রিজভী কত বড় সংগঠন? তিনি কোন এলাকায় প্রতিনিধিত্ব করেন এবং এলাকায় তার জনপ্রিয়তা কি? এসমস্ত প্রশ্ন নিয়েই এখন কর্মীদের কাছে যাচ্ছেন রিজভী বিরোধী নেতারা। তারা বলছেন যে, অন্যরা মিছিল করলে তাদেরক গ্রেপ্তার করা হয়, রিজভীকে কেন গ্রেপ্তার করা হয় না? 

আরও পড়ুন: এবার বিএনপিতে স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠনের তোড়জোড়

রিজভী মাত্র একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তারপর জামিন পান। ২৮ অক্টোবর যখন বিএনপি নেতাদের ঢালাওভাবে গ্রেপ্তার শুরু হয় তখনও রিজভী কীভাবে বাইরে ছিলেন? এসময় রিজভী মিছিল করেছেন। সরকারের সঙ্গে একটি গোপন এবং প্রচ্ছন্ন সম্পর্কের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে বলে বিএনপি’র নেতাদের দাবি।

বিএনপির একাধিক নেতা দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে রিজভীর গোপন সম্পর্ক রয়েছে। আর একারণেই রিজভীকে গ্রেপ্তার করা হয় না। তার আন্দোলনকে প্রশ্রয় দেয়া হয়। রিজভীর আন্দোলন নিয়েও বিএনপি নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন, হঠাৎ করে একটি মিছিল করা বা দলীয় কার্যালয়ের নিরাপদ স্থানে থেকে প্রতিদিন গণমাধ্যমের সামনে মুখরোচক কথা বলা রাজনীতি নয়। তিনি সংগঠন গোছানোর জন্য কি করেছেন, বড় আন্দোলনে তিনি কীভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এসব ক্ষেত্রে রিজভীর কোন ভূমিকা নেয় বলেই মনে করেন অনেকে। 

আরও পড়ুন: মুখোমুখি ফখরুল-তারেক

বিএনপির একজন নেতা মনে করেন, রিজভী দলীয় কার্যালয় পাহারা দেন বটে। তাছাড়া হঠাৎ করে ঝটিকা মিছিলের নামে একটি উত্তাপ সৃষ্টি করা ছাড়া তার কোন কর্মকাণ্ড নেয়। রিজভী এই ঝটিকা মিছিলগুলো করেন সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ করে। সরকার রিজভীকে দিয়ে প্রমাণ করতে চায়, যে বিরোধী দল সক্রিয়। তাদের কর্মসূচিতে বাঁধা দেয়া হয় না। বিরোধী দল যে রাজনীতিতে সক্রিয় আছে এটা প্রমাণ করা হয় রিজভীকে দিয়ে। রিজভী সরকারের কাছ থেকে নানারকম সুযোগ সুবিধা পায় বলেও বিএনপির কোন কোন নেতা দাবি করছেন। 

তবে, রিজভী পন্থীরা এই ধরনের বক্তব্যকে অস্বীকার করেছেন। তারা মনে করেন, রিজভী আপোষহীন নেতার এক প্রতীক। শুধু এখন নয়। এক এগারো থেকেই রিজভী বিএনপি রক্ষার জন্য নিরলস ত্যাগ স্বীকার করেছেন। শুধু রিজভী নয়, তার পরিবারের ত্যাগ বিএনপিতে একটি বড় প্রেরণা বলেও বিএনপির কোন কোন নেতা দাবি করেন। 

কর্মীদের কাছে রিজভী গত কয়েকবছরে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্যই রিজভীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে বলে কেউ কেউ মনে করে।


রিজভী   আওয়ামী লীগ কানেকশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশ স্থগিত

প্রকাশ: ০২:৫৭ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আজ সোমবার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। সমাবেশটি বিকেলে নগরের কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান জানান, ‘দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আজকের সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। নতুন তারিখ শিগগিরই জানানো হবে।’ চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করেছিল, যেখানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল।

বিএনপি গত বুধবার তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে, যার মধ্যে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রথম সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে। এরপর ১ ও ৩ জুলাই সারা দেশের সব মহানগর ও জেলা শহরে সমাবেশের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ চট্টগ্রামে সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।


বিএনপি   সমাবেশ   চট্টগ্রাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগে নেতা-কর্মীদের জন্য নানক-রহমান মডেল

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ৩০ জুন, ২০২৪


Thumbnail

‘যদি থাকে নসিবে, আপনা আপনি আসিবে’। এই কৌশলেই যেন রাজনীতির দীর্ঘ সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের দুই হেভিওয়েট নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান। আর একারণেই তারা রাজনীতিতে স্থিতিশীল আছেন। রাজনীতিতে তারা টিকে আছেন। হতাশা তাদের গ্রাস করতে পারেনি। যে মর্যাদা এবং দায়িত্ব তারা পেয়েছেন সে মর্যাদা এবং দায়িত্বেই তারা সন্তুষ্ট। তারা কোন পদ বা মন্ত্রীত্বের জন্য কখনো দেন দরবার করেননি। অনেক সময় তারা বঞ্চিত হয়েছেন। অনেক সময় তারা অবজ্ঞার শিকার হয়েছেন। কিন্তু রাজনীতিতে এটিকে তারা স্বাভাবিক হিসেবেই নিয়েছেন। আর এই স্বাভাবিক হিসেবে নিয়েই তারা লেগে থেকেছেন, কাজ করেছেন, আদর্শের প্রশ্নে অবিচল থেকেছেন। দলের প্রধান নেতার প্রতি আনুগত্য এবং বিশ্বস্ততায় কোনদিন বিচ্যুত হননি। আর একারণে রাজনীতিতে এখন ক্রমশ উজ্জ্বল এবং শক্তিশালী অবস্থান গ্রহণ করেছেন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট দুই নেতা। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মী, ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ, হতাশাগ্রস্ত আওয়ামী লীগের জন্য এরাই যেন অনুকরণীয়। আওয়ামী লীগের জন্য এই দুই নেতাই এখন আদর্শ মডেল। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের জন্য নানক-রহমান মডেল সবচেয়ে অনুকরণীয় হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

আওয়ামী লীগের এই দুই নেতা, জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আব্দুর রহমানের রাজনৈতিক ক্রমবিকাশ প্রায় একই রকম। তারা দুই জনেই তৃণমূল থেকে রাজনীতিতে এসেছেন। ৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগের টাল-মাটাল সময়ে দলের প্রতি আস্থা রেখেছেন, দলের জন্য কাজ করেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন, ত্যাগ শিকার করেছেন। কৈশরোত্তির্ণ যৌবনকে তারা বিসর্জন দিয়েছেন আদর্শের জন্য। আর আওয়ামী লীগ সভাপতির ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় তারা নিবেদিত প্রাণ কর্মীর মতো শেখ হাসিনার সহযোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন। শেখ হাসিনার বিশ্বাসের প্রতিদান দিয়েছেন। ছাত্রলীগের পরে মূল আওয়ামী লীগেও তারা ভালো সংগঠক এবং কর্মী বান্ধব হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। 

কিন্তু তার বিনিময়ে তারা কি পেলেন না পেলেন তার হিসেব করেনি। রাজনীতিকে কখনো দেনা-পাওনার হিসেবের খাতা হিসেবে বিবেচনা করেননি। দুই জনেই ২০০৮ এর নির্বাচনের পর সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। জাহাঙ্গীর কবীর নানক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেও আব্দুর রহমান মন্ত্রীত্বের স্বাদ পাননি। এতে তিনি হতাশ হননি। সংগঠনে সময় দিয়েছেন। দলের জন্য কাজ করেছেন। 

২০১৮ এর নির্বাচনে এরা দু’জনেই মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। সাধারণত মনোনয়ন বঞ্চিত অনেকে দল থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়, দলের মধ্যে তাদের তৎপরতা হ্রাস পায়, তারা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। কিন্তু আব্দুর রহমান এবং জাহাঙ্গীর কবির নানকের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ছিলো সম্পূর্ণ উল্টো। তারা আরও সক্রিয় হয়, তারা সাংগঠনিক কাজে নিজেদের আরও মনোযোগী করেন। এবং এতে তারা স্বীকৃতিও পান। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থেকে দু’জনেই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যের মতো মর্যাদাপূর্ণ পদে আসীন হন। এবার নির্বাচনে দু’জনই মনোনয়ন পেয়েছেন। দু’জনই মন্ত্রী হয়েছেন। মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করে তারা একদিকে যেমন মন্ত্রণালয়ে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন ঠিক একইভাবে সংগঠনেও মনোযোগী হয়েছেন। 

অনেকেই মনে করেন, জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আব্দুর রহমান এর চেয়ে ভালো মন্ত্রণালয় পেতে পারতেন। রাজনীতিতে তাদের যে ত্যাগ, অবদান এবং অভিজ্ঞতা তাতে এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে তাদের মানাতো। কিন্তু এনিয়ে তাদের মধ্যে কোন আক্ষেপ নেয়, কোন হতাশা নেয়। বরং শেখ হাসিনা যেটি করেছেন সেটি সঠিক এই নীতিতেই তারা আছেন। রাজনীতিতে তাদের চাওয়ার কিছু নেয়। তারা শুধু কাজ করতে চান। বঙ্গবন্ধুর আদশের্র জন্য, শেখ হাসিনার আদর্শের জন্য। আওয়ামী লীগের তরুণরা এই দুই নেতার থেকে কি এটি শিখতে পারবে?


নানক-রহমান মডেল   আওয়ামী লীগ   প্রেসিডিয়াম সদস্য   বঙ্গবন্ধুর আদর্শ   ত্যাগী নেতা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন