নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছিল কোটা আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক দল গণ অধিকার পরিষদ। দুই পক্ষই বিএনপির নেতৃত্বে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে পৃথকভাবে অংশ নেয়। তবে এখন দুই পক্ষই বলছে, একত্র হওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। আবারও সরকারি চাকরিতে কোটা–ব্যবস্থার বিষয়টি সমানে আসায় এই ইস্যুকে ঘিরে দুই পক্ষের কাছাকাছি আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
গত বছরের জুলাইয়ে দলের শীর্ষ দুই নেতা রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হকের বিরোধে দলে ভাঙন দেখা দেয়। তবে গণ অধিকার পরিষদের দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিরোধী দলগুলোর বর্জনের মুখেও ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার পর দুই পক্ষ থেকেই একত্র হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। একাধিকবার আনুষ্ঠানিক বৈঠকও হয়েছে। কোটা–ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন থেকে উঠে আসা তরুণদের অংশ একত্র হতে আগ্রহী। তবে বিভিন্ন সময় দলে যোগ দেওয়া সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, আইনজীবী ও পেশাজীবী অংশের এতে অনীহা রয়েছে।
গণ অধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, যখন রাজনৈতিক দল গঠন করি, তখন নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো ছিল। ভাঙনের পরেও নিজেদের উপলব্ধি ছিল-যারা শুরু থেকে ছিলাম, তারা একসঙ্গে থাকলে জনগণের কাছে ইতিবাচক বার্তা যাবে। দলে ভাঙনের পেছনে বিশেষ মহলের ইন্ধনও ছিল। এসব বিষয় মাথায় রেখেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে-পরে নিজেদের মধ্যে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে।
এ বিষয়ে গণ অধিকার পরিষদের অপর অংশের (মশিউজ্জামান-ফারুক) উচ্চতর পরিষদের সদস্য সাদ্দাম হোসেন বলেন, গণ অধিকার পরিষদের দুই পক্ষ একত্র হওয়ার চেষ্টা থেমে যায়নি। একাধিকবার আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে একসঙ্গে দেখা যেতে পারে।
সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলন করে পরিচিতি পাওয়া নুরুল হক ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্যানারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে নুরুল হক ও তাঁর সমমনা ব্যক্তিরা ২০২১ সালের অক্টোবরে গণ অধিকার পরিষদ নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। দলের আহ্বায়ক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন রেজা কিবরিয়া।
গণ অধিকার পরিষদকে দল হিসিবে প্রতিষ্ঠার নেতৃত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের বয়স ছিল ত্রিশের কোঠায়। দেশের কোনো দলে এত সমবয়সী নেতৃত্ব বিরল। পরে দল সম্প্রসারণ করতে সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, আইনজীবী ও পেশাজীবীদের টানা হয়। তাঁরা আহ্বায়ক কমিটিতে বিভিন্ন পদ পান।
দল গঠনের দুই বছর হওয়ার আগেই শীর্ষ দুই নেতা রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হকের বিরোধে ভাঙন দেখা দেয়। গত বছরের জুন ও জুলাই মাসে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অব্যাহতি, অনাস্থা প্রস্তাব ও অপসারণের ঘটনা ঘটে। গত বছরের ১ জুলাই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে নুরুল হকের নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা আহ্বায়কের পদ থেকে রেজা কিবরিয়াকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন।
নুরুল হকের সমর্থকেরা গত বছরের ১০ জুলাই দলের জাতীয় কাউন্সিল করেন। তাতে নুরুল হক সভাপতি ও মুহাম্মদ রাশেদ খান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। অপর পক্ষ এই কাউন্সিল মানেনি। বর্তমানে এই পক্ষের আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান আর ফারুক হাসান সদস্যসচিব। রেজা কিবরিয়া এই অংশের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। দলে ভাঙনের বছরখানেক হতে চললেও এই পক্ষটি পুরোপুরি দল গুছিয়ে উঠতে পারেননি।
অপরদিকে দলের বিভেদে কেন্দ্রীয় কার্যালয় হাতছাড়া হয়েছে নুরুল হকের অনুসারীদের। পুরানা পল্টনের প্রিতম-জামান টাওয়ারে দলের অস্থায়ী কার্যালয়টি বর্তমানে মশিউজ্জামান-ফারুক হাসানদের পক্ষ ব্যবহার করছে। নুরুল হকের অনুসারীরা বিজয়নগর এলাকার একটি ভবনে অস্থায়ী কার্যালয় করেছেন।
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নতুন করে আন্দোলন শুরু করেছে বিএনপি। বেগম জিয়া এখন এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্বাস্থ্য অবনতি হওয়ার কারণে ৩ দিন আগে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শরীরে ‘পেসমেকার’ বসানো হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আগামী শনিবার (২৯ জুন), সোমবার (১ জুলাই) এবং বুধবার (৩ জুলাই) বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ, ১ জুলাই সারা দেশের সব মহানগরে এবং ৩ জুলাই সারা দেশের জেলা সদরে সমাবেশ করবে।
কিন্তু এই সমাবেশ করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি কতটুকু সুরাহা হবে তা নিয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যেই সংশয় এবং সন্দেহ রয়েছে। সরকারকে বেগম জিয়া ইস্যুতে চাপে ফেলার জন্য বিএনপি নতুন কৌশল গ্রহণ করেছে। গতকাল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন। অথচ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এটি বলেননি যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাহী আদেশের কারণেই বেগম খালেদা জিয়া ফিরোজায় থাকতে পারছেন। না হলে তার এতদিন কারাগারে থাকার কথা ছিল।
বেগম খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হবার পর বিএনপি আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। আইনি পথ অনুসরণ করেছে। কিন্তু কোথাও তারা সুফল পায়নি। এমনকি হাইকোর্টেও বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে এখন যেহেতু বেগম জিয়া অসুস্থ, এ কারণে বিএনপির উচিত আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আদালতের শরণাপন্ন হওয়া। কিন্তু বিএনপি সেই পথে যাচ্ছে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিএনপি ডুয়েল গেম খেলছে। একদিকে তারা বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে বন্দি করে রেখেছে, যেন তিনি রাজনৈতিক তৎপরতায় নিজেকে যুক্ত করতে না পারেন। তারেক জিয়ার একক কর্তৃত্বে যেন বিএনপির চলে।
মূলত খালেদা জিয়ার হাত থেকে বিএনপিকে মুক্ত করার জন্যই তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য হাসপাতালে রাখা হচ্ছে বলে কেউ কেউ দাবি করেন। তারা বলেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার শরীরে যে পেসমেকার বসানো হয়েছে, সেটি একটি গতানুগতিক কার্যক্রম। এটির সাথে গুরুতর স্বাস্থ্য অবনতির কোনও সম্পর্ক নেই।
তাছাড়া একদিকে বসানো হচ্ছে পেসমেকার, অন্যদিকে তার লিভার ট্রান্সপ্লান্টের কথা বলছেন বিএনপির মহাসচিব। কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা? এ নিয়ে বিএনপি এক ধরনের ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছে। মূল কথা হল, বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে বন্দি করে রাখতে চায় বিএনপি।
আবার অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়ার ইস্যুকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের গতি বাড়াতে চায়। তারা মনে করছেন যে, এই বিষয়টি এখন স্পর্শকাতর ইস্যু। এটি নিয়ে আন্দোলন করলে জনগণ সম্পৃক্ত হবে। সবকিছু মিলিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিএনপি এখন একটা রাজনৈতিক খেলায় নেমেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আর শেষ পর্যন্ত যদি বেগম খালেদা জিয়ার কোন খারাপ পরিণতি হয় তাতেও যেমন বিএনপির লাভ, আবার বেগম জিয়াকে যদি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হয় তাহলেও তারেক জিয়া কণ্টকমুক্ত হবেন। আর এ কারণেই বেগম খালেদা জিয়াকে অসুস্থ রেখে তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন বিএনপির একটি নতুন কৌশল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তারেক জিয়া বেগম খালেদা জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি রাজনীতি
মন্তব্য করুন
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতি সব সেক্টরেই আছে। তবে দুর্নীতি যে-ই করুক না কেন, সরকার জিরো টলারেন্স। দুদকের কাজেও সরকার হস্তক্ষেপ করছে না। আজ বুধবার (২৬ জুন) বিদেশফেরত যাত্রীদের জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শাটল বাস সার্ভিস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “দুর্নীতি শুধু আমলারা করে রাজনীতিবিদরা করে না সেটা নয়। যখন আমরা কথা বলি তখন আয়নায় নিজেদের চেহারাও দেখা উচিত যে আমি একজন পলিটিশিয়ান দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছি কিন্তু আমাদের মধ্যেও তো করাপশন রয়েছে।”
আমলাদের দিকে আঙ্গুল না তুলে রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরও আয়নায় চেহারা দেখার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “করাপশন ইজ এ ওয়ে অব লাইফ অ্যাক্রস দি ওয়ার্ল্ড। বাংলাদেশেও দুর্নীতি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।”
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, “আমি মনে করি দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদক আছে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান জিরো টলারেন্স। তিনি এক্ষেত্রে অটল। দুর্নীতি যেই করুক এক্ষেত্রে সরকার জিরো টলারেন্স। প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স। দুদকের দুর্নীতির তদন্ত করার অধিকার রয়েছে এবং এখানে সরকার তাদের স্বাধীনতায় কোনও হস্তক্ষেপ করে না।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশফেরত যাত্রীদের সুবিধা দিতে এই বাস সার্ভিস চালু করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে বিআরটিসির দুটি বাস চলবে। পরে আরও দুটি যুক্ত হবে।
বিমানবন্দরে এই বাস সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, বিআরটিসি চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান।
ওবায়দুল কাদের দুর্নীতি আমলা রাজনীতিবিদ
মন্তব্য করুন
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শনিবার (২৯ জুন) নয়াপল্টনে সমাবেশ করার কথা জানিয়েছে বিএনপি। একই দাবিতে ১ জুলাই দেশের সব মহানগরে এবং ৩ জুলাই জেলা সদরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (২৬ জুন) খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে কর্মসূচি ঠিক করতে নয়াপল্টনে যৌথসভা করে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন এসব কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন বেগবান করার কথা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন বেগবান করা হবে৷ জনগণ এ আন্দোলনে এক হবে। আমরা এ আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। এসব কর্মসূচিতে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি দেশের মানুষের প্রতিও সমাবেশে যোগ দিতে আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নতুন করে আন্দোলন কর্মসূচি দেবে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে দেশনেত্রীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামীকাল বুধবার সেই কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।
খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে সকালের আপডেট হচ্ছে, তার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। গতকাল তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। আসলে ম্যাডাম সিসিউইতে মানিয়ে নিতে পারছেন না। সে কারণে সিসিইউর সব সুবিধা রেখে তাকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে। অনতিবিলম্বে খালেদ জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান মির্জা ফখরুল।
খালেদা জিয়া আন্দোলন মির্জা ফখরুল
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নতুন করে আন্দোলন শুরু করেছে বিএনপি। বেগম জিয়া এখন এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্বাস্থ্য অবনতি হওয়ার কারণে ৩ দিন আগে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শরীরে ‘পেসমেকার’ বসানো হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আগামী শনিবার (২৯ জুন), সোমবার (১ জুলাই) এবং বুধবার (৩ জুলাই) বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ, ১ জুলাই সারা দেশের সব মহানগরে এবং ৩ জুলাই সারা দেশের জেলা সদরে সমাবেশ করবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতি সব সেক্টরেই আছে। তবে দুর্নীতি যে-ই করুক না কেন, সরকার জিরো টলারেন্স। দুদকের কাজেও সরকার হস্তক্ষেপ করছে না। আজ বুধবার (২৬ জুন) বিদেশফেরত যাত্রীদের জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শাটল বাস সার্ভিস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নতুন করে আন্দোলন কর্মসূচি দেবে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে দেশনেত্রীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার সেই কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।