ইনসাইড পলিটিক্স

তারেকের কর্তৃত্ব কমানোর চেষ্টায় বেগম জিয়া

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বেগম জিয়া তার ফিরোজার বাসভবনে রাজনৈতিক তৎপরতার সক্রিয় হয়েছেন। গত কয়েকদিনে তাকে রাজনৈতিক অঙ্গনে অত্যন্ত তৎপর দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে ঈদের আগে থেকেই তিনি বিএনপির বিভিন্ন শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। যদিও এই বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, এই বৈঠকগুলো স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা। বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার জন্যই বিএনপির নেতারা ঘটা করে ফিরোজায় যাচ্ছেন বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে হঠাৎ করে বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপি নেতারা এত উদ্বিগ্ন হলেন কেন? যে বিএনপির নেতাদেরকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা জিয়াকে দেখতে যেতে দেখা যায়নি, তারা এখন ঘনঘন ফিরোজায় যাচ্ছেন স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে! কি এমন হল যে বেগম খালেদা জিয়া তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলেন! 

ঈদের আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বেগম জিয়ার সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেন এমন এক সময়ে যখন বিএনপিকে তছনছ করে দিয়েছিলেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। তারেক জিয়া মধ্যরাতে বিএনপিতে ‘ক্যু’ করেন এবং দলের কেন্দ্রীয় কমিটিকে ওলট পালট করে দেন। একইসঙ্গে তিনি ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর এবং বরিশাল মহানগরের সব আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে দেন। ছাত্রদলের কমিটিও বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করেন। তারেক জিয়ার এই আগ্রাসী তৎপরতায় হতবাক হয়ে পড়েন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। তারা সবাই অন্ধকারে ছিলেন। তাদের কারও পরামর্শ গ্রহণ করেননি তারেক জিয়া। এই বিষয়টিকে বিএনপির নেতারা সহজ ভাবে নেননি। আর এ কারণেই তারা এখন তারেক জিয়াকে ঠেকানোর জন্য বেগম খালেদা জিয়ার কাছে ধর্না দিচ্ছেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। 

ঈদের আগের রাতে বিএনপি ত্যাগ করা এলডিপির নেতা কর্নেল অলি আহমেদ দেখা করেন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে। তিনিও যথারীতি স্বাস্থ্য এবং ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করার জন্য সাক্ষাত করেছেন বলে বলা হয়। কিন্তু বাস্তবে কর্নেল অলি আহমেদ হলেন তারেক জিয়ার এক অন্যতম একজন সমালোচক, যিনি তারেক জিয়ার নেতৃত্ব সম্পর্কে আগে থেকেই সতর্কবার্তা দিয়ে আসছিলেন। 

ঈদের দিন স্থায়ী কমিটির ছয় সদস্যদের পর যারা দেখা করেছিলেন তাদের বেশির ভাগই তারেক জিয়া বিরোধী বা তারেক জিয়ার কারণে দলের ভেতর কোণঠাসা অবস্থায় আছেন বলে মনে করা হয়। মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজউদ্দিন, আবদুল্লাহ আল নোমানের মতো বেগম জিয়ার ঘনিষ্ঠ কিন্তু তারেক জিয়ার চক্ষুশূল এসব নেতাদেরকে বেগম খালেদা জিয়া ডেকেছিলেন কেন তা নিয়ে বিভিন্ন রকম আলোচনা হতেই পারে। কারণ এদের যোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও বিএনপিতে অপাংক্তেয় ও অযোগ্য। তারেক জিয়ার সুনজরে না থাকার কারণে এরা বিএনপিতে কক্ষচ্যুত হয়েছেন বলে মনে করা হয়। 

অনেকেই মনে করেন যে তারেক জিয়ার আগ্রাসন প্রতিহত করার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে তারা সক্রিয় করার চেষ্টা করছেন। বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে যে ১৫ জন সাক্ষাৎ করেছেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন যারা তারেক এবং বেগম জিয়া দু পক্ষের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলছেন। যেমন আবদুল আউয়াল মিন্টু, রুহুল কবির রিজভী। কিন্তু শুধুমাত্র তারেক জিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এবং তারেক জিয়া যাদেরকে এখন খুব আস্থা রেখেছেন এ রকম কোন নেতাকেই বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনে দেখা যায়নি। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল মাহমুদ টুকু, জহির উদ্দিন স্বপন, রুমিন ফারহানার মতো তারেক ঘনিষ্ঠ নেতৃবৃন্দ বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। এখান থেকেই বিএনপিতে বেগম জিয়া বনাম তারেক জিয়ার বিরোধ সুস্পষ্ট হয়ে যায়।

বিএনপিতে যে অস্থিরতা চলছে সেই অস্থিরতা নিরসনে বেগম খালেদা জিয়ার সক্রিয় ভূমিকা কামনা করছেন নেতৃবৃন্দ। আর এ কারণেই তারা ঘটনাবলির পুরো চিত্র বেগম জিয়ার কাছে তুলে ধরতে চেষ্টা করছেন। বেগম জিয়াও তারেকের কর্তৃত্ব কমানোর চেষ্টা করছেন বলে বিভিন্ন মহল থেকে আভাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো ইতোমধ্যে তারেক জিয়া বিএনপি দখল করেছেন। তৃণমূল থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্গ সংযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে তারেক জিয়া। বিভিন্ন জেলায় জেলায় যারা দায়িত্ব আছেন, যারা সক্রিয় তারা সবাই তারেক জিয়াপন্থি। ফলে খালেদা জিয়া দলের সিনিয়র নেতাদের আস্থাভাজন হয়ে বিএনপির নিয়ন্ত্রণ কতটুকু গ্রহণ করতে পারবেন তা নিয়ে অনেকে সংশয় প্রকাশ করছেন।

বিএনপি   তারেক জিয়া   খালেদা জিয়া   লন্ডন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করলে সরকারের পরিণতি ভয়াবহ হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৮:১৭ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করলে সরকারের জন্য ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বেগম খালেদা জিয়াকে গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, তাকে ছাড়া গণতন্ত্র কল্পনা করা যায় না। তাকে অন্যায়ভাবে ৬ বছর কারাগারে বন্দি অবস্থায় রাখা হয়েছে। তাকে মুক্ত না করলে সরকারের জন্য ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভয়ে মরা নয়, সাহস করে লড়াই করুন। পরিবর্তন করতে হলে তরুণ-যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। আওয়ামী লীগ দখলদার সরকার। তারা দেশকে ও দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে। দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতাকে ধ্বংস করছে। কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশ অনুষ্ঠানিকভাবে বেলা পৌনে ৩টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুপুর ২টার আগেই নয়াপল্টন এলাকা নেতাকর্মীদের পদচারণায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। কার্যালয়ের সামনের দু’পাশের সড়ক বন্ধ হয়ে যায়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে খেটে খাওয়া শ্রমিকরা চাল, ডাল, তেল কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। কেউ চিকিৎসা পায় না। লুট করে বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান লুটের সঙ্গে জড়িত। আমরা চিন্তা করতে পারি না। তিনি দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত। আজ পুলিশের সাবেক প্রধান দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। এনবিআরের কর্মকর্তা জড়িত। এমন আরও অনেকেই আছে। কিন্তু রাঘববোয়ালদের ধরা হয় না।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আমাদের গণতন্ত্র ও আন্দোলনের প্রতীক। তাকে রক্ষা করতে হলে ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে বলব- আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য লড়াইয়ে শামিল হই। তরুণ-যুবকদের হাতেই দেশের ভবিষ্যত। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তার প্রতি চরম অন্যায় করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তাকে নির্বাসিত করা হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, নিতাই রায় চৌধুরী সহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

খালেদা জিয়া   সরকার   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খেলা কিন্তু হবে, ছেড়ে দেয়া হবে না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৭:৩৩ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে খেলা হবে। মাঠে থেকে সব মোকাবিলা করবো। খেলা কিন্তু হবে, ছেড়ে দেয়া হবে না। 

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপির কর্মসূচির প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারেক রহমান পলাতক নেতা, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। লন্ডনে বসে কর্মসূচি দেয়। এই কর্মসূচি কেউ মানে? পরিষ্কার বলে দিতে চাই- আন্দোলন করেন। তবে সহিংসতার পন্থা যুক্ত হলে খবর আছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে অকুতোভয়ে এগিয়ে যাওয়ার নাম আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের জন্ম জগগণ থেকে। অস্ত্র উঁচিয়ে শেষরাতে ক্ষমতা দখলের দল নয় আওয়ামী লীগ।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে বিএনপি নেতাদের মন্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, দাসত্ব, ইজারা কাকে বলে ভুলে কি গেছেন? ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পরদিন সকালে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস বন্ধ ছিল, সেই অফিসের সামনে বিএনপি নেতারা ফুলের মালা নিয়ে গেছেন। দালালি করতে চেয়েছিলেন, পারেননি। পাত্তা পাননি, আর যত দোষ নন্দ ঘোষ। আমরা বন্ধু আছি, বন্ধু থাকবো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশে আমাদের সবাই বন্ধু। আমাদের প্রভু নেই, আপনাদের আছে। মনে আছে, কথায় কথায় নিষেধাজ্ঞা-ভিসানীতি, জজ মিয়া নাটক। বাইডেনের বন্ধু সাজিয়ে আরেফিকে সাংবাদিকদের সামনে নিয়ে আসছেন। পরে দেখা গেল বাইডেনের বন্ধু ‘ভুয়া’। এ সময় নেতাকর্মীদের ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগানে মুখরিত হয় সভাস্থল।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, কেউ বাড়াবাড়ি করবেন না। ক্ষমতার দাপট কেউ দেখাবেন না। কাউকে ক্ষমা করা হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শূন্য সহিষ্ণুতার নীতিতে বিশ্বাসী।

ওবায়দুল কাদের   আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শুধু বক্তৃতায় খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে না: গয়েশ্বর রায়

প্রকাশ: ০৬:০৫ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের নেত্রীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামিন পান, তিনি (খালেদা জিয়া) জামিন পান না। হাইকোর্টেও জামিন মিলল না। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে বক্তৃতা দিয়ে হবে না। যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন হয়েছে।

শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, বিগত সাতটি বছর খালেদা জিয়া মঞ্চে আসেন না, জনগণ তার কণ্ঠ শুনতে পায় না। সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করেছে। তিনি এখনও বন্দী, তিনি উপযুক্ত চিকিৎসা পান না, জামিন পান না, অথচ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা জামিন পান।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যে মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে, সে মামলায় এক দিনের জন্যও তাকে কারাদণ্ড দেওয়ার কোনো কারণ নেই। শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্যই এই রায়। আর যারা ক্ষমতায় আনে, তাদের সন্তুষ্টির জন্যই এই রায়।’

খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে না পারলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব মুছে যাবে বলেও মন্তব্য করেন গয়েশ্বর রায়। তিনি বলেন, যেসব চুক্তি ভারতের সঙ্গে (সরকার) করেছে, প্রতিটি চুক্তি বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় সমাবেশে জ্যেষ্ঠ নেতা ও অংঙ্গ, সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন।

খালেদা জিয়া   গয়েশ্বর চন্দ্র রায়   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দলীয় কোন্দল-সহিংসতা: কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগে দলীয় কোন্দল এবং সেখান থেকে সহিংসতা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। আর এবিষয়ে অবশেষে কঠোর হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের ভেতর বিশৃঙ্খল অবস্থা নিয়ে অত্যন্ত বিরক্ত হয়েছেন এবং তিনি এগুলো দমনের জন্য কঠোর অবস্থা নেয়ার জন্য ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক বিভিন্ন স্থানে সাংগঠনিক সম্পাদকদের তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলেছেন এবং এ তদন্ত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে যারা যে স্থানে দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং এ বৈঠকে এ বিষয়টি আলোচিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে রাজশাহীর বাঘাতে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি নিয়ে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড অত্যন্ত বিরক্ত। বিশেষ করে একজন এমপিকে ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ কর্তৃক অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার বিষয়টি আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সহজভাবে নিতে পারেননি। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে এব্যাপারে ইতোমধ্যে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে। সারাদেশের যেখানে বিশৃঙ্খলা হবে, যেখানে চেইন অব কমান্ড ভাঙ্গা হবে সেখানে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য যে, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে থেকেই আওয়ামী লীগের ভেতর কোন্দল ছড়িয়ে পড়তে থাকে। বিশেষ করে নির্বাচন উন্মুক্ত করে দেয়ার পর আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াই তীব্র হয়। এসময় আওয়ামী লীগের যারা দলীয় প্রতীক পেয়েছেন এবং যারা স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন তার মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে যায়। একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করতে থাকেন এবং পরবর্তীতে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের ভেতর এই বিরোধ আরো বাড়তে থাকে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েক দফা এই বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আহ্বান জানান। তিনি নির্বাচনে যা হবার হয়ে গেছে, ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে একসাথে সকলকে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু তারপরও বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে এবং এ সহিংসতা এখন উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে গেছে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।

এ অবস্থায় আর ধৈর্য ধরার উপায় নেয় বলেও মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেছেন যে, দ্রুতই দলের ভেতর চেইন অব কমান্ড ফিরিয়ে আনা হবে এবং এজন্য যা যা করা দরকার সেটি করা হবে। তবে আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, যে ১৮ থেকে ২০ জেলায় দলীয় কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে এবং সহিংসতা বেড়েছে সেসমস্ত এলাকাগুলোতে সাংগঠনিক সম্পাদকরা দুই পক্ষকে নিয়ে বসবে এবং শেষ বারের মতো সতর্কবার্তা দিবে। এরপরও যদি কাজ না হয় তাহলে সহিংসতার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং প্রয়োজনে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারাই যখন বিরোধে জড়িয়ে যান তখন সেটি দলের জন্য একটি খারাপ বার্তা বহন করে। সেরকম পরিস্থিতি এখন হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের নেতারা আশাবাদী। আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন, বাজেট অধিবেশন এবং প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের পর এই পরিস্থিতিগুলোর দিকে নজরদারি বাড়ানো হবে। এবং এধরনের সহিংস ঘটনার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে।


ওবায়দুল কাদের   রাজনীতি   সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির মহানগর কমিটি নিয়ে কোটি টাকার বাণিজ্য

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

গত ১৩ জুন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত হয়েছিলো। বিলুপ্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত এ কমিটিগুলো গঠিত হয়নি। কথা ছিলো এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা মহানগর কমিটি গঠন করা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের উত্তর-দক্ষিণ কোন কমিটি গঠন করা হয়নি। 

বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতারা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা এবং আন্দোলনের নানারকম চাপের কারণে তারা এখন পর্যন্ত এই কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি। তবে কমিটির বিষয়টি চূড়ান্ত করছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। যেকোন সময় কমিটি গঠিত হতে পারে বলেও বিএনপি নেতারা আশ্বস্ত করেছেন। তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, ঢাকা মহানগরের কমিটি নিয়ে চলছে কোটি টাকার বাণিজ্য। তারেক জিয়া সরাসরি সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং যারা যত বেশি টাকা দিবেন তারাই কমিটিতে রাখা হবে বলে বিভিন্ন সূত্রগুলো ইঙ্গিত করেছে। আর এই মহানগরের কমিটি করতে কোটি টাকার বাণিজ্যের খবর পাওয়া যাচ্ছে। 

দলীয় সূত্রগুলো থেকে জানা যাচ্ছে, উত্তরের বিএনপির বিদায়ী কমিটির সদস্য সচিব সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক ঢাকা মহানগরের নতুন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক হতে পারেন। তাকে সভাপতি করার সম্ভাবনা বেশি। তিনি এই মুহূর্তে কমিটিতে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি হতে হলে এক কোটি টাকা দিতে হবে বলে বিভিন্ন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে জানিয়েছেন। 

তবে তার পদের জন্য এখন বড় রকমের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন যুব দলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব। সম্প্রতি নীরব জেল থেকে বেরিয়েছেন এবং তিনি আমিনুল হকের চেয়ে বেশি অর্থ দিয়ে এই পদ গ্রহণে আগ্রহী। নীরবের সঙ্গে ইতোমধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার কথা হয়েছে বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। বিভিন্ন মহল নীরব সভাপতি হওয়ার জন্য যে নাজরানা দিতে হবে তা দিতে প্রস্তুত। এছাড়াও উত্তরের নেতৃত্বের জন্য যুবদলের সাবেক সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীরও চেষ্টা করে যাচ্ছেন। 

আরও পড়ুন: রুমিন ফারহানা কোথাও নেই কেন?

সাধারণ সম্পাদক পদে বিদায়ী কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এজিএম শামসুল হক, আতাউর রহমান, মোস্তফা জামান, আখতার হোসেন ও উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম কফিল উদ্দিন আহমেদ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এরা সবাই এই পদের জন্য লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এবং কে কত অর্থ দিতে পারবেন তার ফিরিস্তিও প্রকাশ করছেন। 

দক্ষিণে সভাপতি পদের জন্য সবচেয়ে বেশি আলোচিত আগের কমিটির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু। তিনি ইতোমধ্যে দেড় কোটি টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রকাশ্যেই। দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে তিনি দক্ষিণের সভাপতি হতে চান বলেও তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন। 

আরও পড়ুন: বিএনপিতে শুরু হচ্ছে রিজভী যুগ

আর সাধারণ সম্পাদক পদে আগের কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ রবিনের কথা শোনা যাচ্ছে। তিনিও প্রায় এক কোটি টাকা দিয়ে এ পদ আঁকড়ে রাখতে চান। তবে রফিকুল আলম সবুজের প্রচেষ্টায় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদায়ী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবিউল্যা নবি। তিনি এখন আরো বেশি অর্থ দিয়ে এ পদটি গ্রহণ করার জন্য দেন-দরবার এবং তদবীর শুরু করেছেন। তবে নবিউল্যা নবির একটি নেতিবাচক বিষয় রয়েছে। তাহলো তিনি প্রয়াত বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত। সেকারণে এটি তার জন্য একটি নেতিবাচক দিক হতে পারে। এর বাইরেও দক্ষিণ বিএনপির হামিদুর রহমান হামিদ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রশিদ  হাবিব এবং বিলুপ্ত কমিটির সিনিয়র সদস্য ইশরাক হোসেনের নামও আছে। 

তবে শেষ পর্যন্ত এ পদগুলো আসলে নিলামে উঠবে। যিনি বেশি অর্থ দিবেন তিনিই হবেন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণের কাণ্ডারি।


বিএনপি   মহানগর কমিটি   কোটি টাকার বাণিজ্য   সভাপতি   সাধারণ সম্পাদক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন