ইনসাইড পলিটিক্স

পরিবর্তন আতঙ্কে বিএনপির আন্দোলন স্থগিত

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বাজেট নিয়ে বড় ধরনের আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। বিএনপি নেতারা বলেছিল যে, ঈদের পর তাদের ভাষায় গণবিরোধী বাজেটের বিরুদ্ধে তারা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। কিন্তু পরিবর্তন আতঙ্কে বিএনপির সব আন্দোলন ভেস্তে গেছে। বিএনপি এখন নিজেদের ঘর সামলাতে ব্যস্ত। দলের নেতাকর্মীরা প্রতিদিন আতঙ্কে থাকছেন কখন কার পদ যায়, কে টিকে থাকে এ নিয়ে। বিএনপির মধ্যে এই আতঙ্ক এখন দুর্বিষহ অবস্থায় নিয়ে গেছে দলটিকে। দলের নেতাকর্মীদের এখন আন্দোলনের জন্য মাঠে নামানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। 

উল্লেখ, গত ১৩ জুন থেকে বিএনপিতে শুরু হচ্ছে তারেক জিয়ার স্বেচ্ছাচারিতা এবং তছনছ অভিযান। এই তছনছ অভিযানে দলের বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। ছাত্রদলের কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। যুব দলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে ৩৯ জনের পদ পরিবর্তন করা হয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে একটি টালমাটাল অবস্থা চলছে বিএনপির মধ্যে। আর এই অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় কেউ জানে না। 

লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এখন সিনিয়র নেতাদেরকে এড়িয়ে চলছেন। তাদের সাথে রুটিন কথাবার্তা বলা ছাড়া তেমন কোনো পরামর্শ গ্রহণ করছেন না। সারাক্ষণই তিনি ব্যস্ত থাকছেন তৃণমূলের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ, আলোচনা করতে। আর তৃণমূল এতে কিছুটা চাঙ্গা হয়েছে বটে, তবে নেতারা নতুন কোন কর্মসূচি নিয়ে এগোচ্ছে না। 

এর আগে বিএনপি সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে একটি অভিন্ন আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছিল। এই লক্ষ্যে ৫৪ টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা ধারাবাহিক ভাবে আলাপ আলোচনা শুরু করেছিল। সেই আলাপ আলোচনায় সমমনা রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যে একটি স্টিয়ারিং কমিটি যেন গঠন করা হয়, যারা যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচিগুলো চূড়ান্ত করবে এবং আন্দোলনকে একটি যৌক্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কাজ করবে। কিন্তু সেই যৌথ আন্দোলনের প্রক্রিয়াও থেমে গেছে। 

বিএনপির নেতাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, বাজেটের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তারা জনগণের সামনে তুলে ধরবে। অর্থপাচার, দুর্নীতি নিয়ে আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল বিএনপির পক্ষ থেকে। কিন্তু বিএনপির কোন নেতাই এখন আন্দোলনে আগ্রহী নয়। 

বিএনপির দায়িত্বশীল সূচকগুলো বলছে, এখন বিএনপি ঘর গোছাতে ব্যস্ত। দলের ভেতর যারা বিশ্বাসঘাতক, যারা দলীয় কর্মকাণ্ডে অমনোযোগী, যারা দায়িত্ব পালনে অক্ষম, তাদেরকে পর্যায়ক্রমে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নেরও প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে বিএনপিতে আরও বড় ধরনের পরিবর্তন হবে বলেও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। বিএনপির এই পরিবর্তন ইতিবাচক না নেতিবাচক সেটি সময়ই বলে দেবে। তবে এই পরিবর্তনের দমকা হওয়ায় এখন বিএনপির আরও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। 

বিভিন্ন সময়ে যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছিল। আন্দোলন সংগ্রামে নিজেদের ঝুঁকি নিয়েছিল তাদেরকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। বরং যারা চাটুকার, লন্ডনে নিয়মিত যোগাযোগ করেন, দলের কোন কর্মসূচিতে থাকেন না তারাই এখন দলে সবচেয়ে ক্ষমতাবান হয়ে উঠছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে যে পদোন্নতিগুলো ঘটেছে সেই পদোন্নতিতে তাদেরকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে যারা চাটুকার এবং সারাক্ষণ তারেক জিয়ার সমীহ করে চলে। দলের ভেতর যারা খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ তাদের আরও কোণঠাসা করা হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে পরিবর্তনের চাপ বিএনপির এখন চ্যাপ্টা হয়ে গেছে। এখন থেকে পিষ্ঠ অবস্থায় বিএনপি আন্দোলনে ফিরে আসবে কিভাবে সেটিই এখন দেখার বিষয়।

বিএনপি   তারেক জিয়া   রাজনীতির খবর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি চালিয়ে যাবে বিএনপি

প্রকাশ: ০২:২৫ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নতুনভাবে শুরু হওয়া কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে বিএনপি। ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলনকে নতুন রূপ দিতে চান দলের নীতিনির্ধারণী নেতারা। প্রথম ধাপে ঘোষিত তিন দিনের কর্মসূচি গত বুধবার শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, আগামী সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নতুন কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হতে পারে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গতকাল বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষ্যে যে কর্মসূচি শুরু হয়েছে, এটা চলমান থাকবে। এখান থেকে পেছানো যাবে না। জনগণের আকাঙ্ক্ষা এবং পরিস্থিতি বিবেচনা করে কর্মসূচি ঠিক করা হবে, যাতে জনগণের প্রত্যাশা ও আন্দোলনের লক্ষ্য সফল হয়।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ। সর্বশেষ ১০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে তিনি বাসায় ফেরেন। এ দফায় খালেদা জিয়ার হৃদ্যন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। এ অবস্থায় তাঁর মুক্তির দাবিতে বিএনপি নতুন করে কর্মসূচি শুরু করে। এর মধ্যে গত ২৯ জুন রাজধানী ঢাকায়, ১ জুলাই মহানগর এবং গতকাল জেলা পর্যায়ে পৃথক সমাবেশ করে। সারা দেশে তিন দিনের কর্মসূচি শেষে বিএনপির নীতিনির্ধারণী নেতারা বলছেন, তাঁরা লক্ষ করেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল ও আগ্রহ আছে। এ ছাড়া নানা বৈরিতার মধ্যেও তিন দিনের কর্মসূচিতে দলের নেতা-কর্মীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ দেখা গেছে। এটাকে সামনে টেনে নিতে চান নেতারা।

এদিকে ঢাকার পর বিভিন্ন মহানগরের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হলেও গতকাল নাটোর ও পটুয়াখালীর সমাবেশে আওয়ামী লীগের কর্মীরা হামলা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর বাগেরহাটে পুলিশি বাধায় বিএনপির নেতারা সমাবেশস্থলের কাছেই যেতে পারেননি।

গতকাল এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শান্তিপূর্ণ সমাবেশে এ হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি পটুয়াখালীতে কলাপাড়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন সিকদারসহ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, বাগেরহাটে কেন্দ্রীয় নেতা শামীমুর রহমানকে অবরুদ্ধ করে রাখা, গত দুই দিনে ছাত্রদলের নেতা মারজুক আহমেদ ও আতিকুর রহমান, কৃষক দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কামরুজ্জামানকে সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেন।


মুক্তির কর্মসূচি   বিএনপি   খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

হেফাজতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় নিয়ে টানাটানি

প্রকাশ: ১২:৫৭ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

২০১০ সালে চট্টগ্রাম থেকেই যাত্রা শুরু করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। শুরু থেকেই হাটহাজারী মাদ্রাসা নামে পরিচিত জামিয়া আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলামকে ঘিরে পরিচালিত হচ্ছে সংগঠনটির সব কার্যক্রম। কাগজপত্রে এই মাদ্রাসাকেই অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয় উল্লেখ করা হচ্ছে।

তবে ১৪ বছর পর কেন্দ্রীয় কার্যালয় নিয়ে হেফাজত নেতাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মতবিরোধ। সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ সমন্বয়ের সুবিধা বিবেচনায় রাজধানীকে কেন্দ্র করে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার পক্ষে ঢাকা আশপাশের জেলাকেন্দ্রিক শীর্ষ নেতারা।

গত মে মাসে সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ার পর বিষয়টি নতুনভাবে আলোচনায় আসে। তবে কেন্দ্রীয় কার্যালয় স্থানান্তরের এই প্রস্তাব মানতে রাজি নন চট্টগ্রাম বিভাগের নেতারা।

হেফাজত নেতাদের একটি অংশের মত হলো, হাটহাজারী মাদ্রাসাকে ঘিরেই অরাজনৈতিক এই সংগঠন গড়ে উঠেছে। সেখান থেকেই সারা দেশে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে উঠেছে। ফলে চট্টগ্রাম থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয় সরানোর কোনো প্রয়োজন নেই।

তবে অন্য নেতাদের মতে, কেন্দ্রীয় কার্যালয় রাজধানী থেকে দূরে হওয়ায় বিভিন্ন ইস্যুতে সভা আহ্বান বা জরুরি সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমস্যা হচ্ছে। সংগঠন জোরদার করতে হলে ঢাকাকে কেন্দ্র করেই কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের জায়গা চূড়ান্ত করতে মাসখানেক আগে হেফাজতের কয়েকজন নেতা মগবাজার এবং পুরানা পল্টন এলাকায় একাধিক ভবন পরিদর্শন করেছেন। আগস্টের মধ্যেই ঢাকায় কেন্দ্রীয় কার্যালয় স্থাপন করতে চান তারা।


হেফাজত   কেন্দ্রীয়   কার্যালয়   টানাটানি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে: মাও নিঙ

প্রকাশ: ০৯:৫৩ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ ও চীন কিভাবে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একসঙ্গে কাজ করবে, তা নির্ধারণ করা হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন বেইজিং সফরে, জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিঙ।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বার্তায় এ তথ্য জানান, যা ঢাকায় চীনের দূতাবাস থেকে প্রকাশ করা হয়েছে।

মাও নিঙ বলেন, প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৮ থেকে ১০ জুলাই চীন সফর করবেন। এই সফরে তিনি চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন দলিল স্বাক্ষরের সময় উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। সফরের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন-বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত সামিটে অংশগ্রহণ করবেন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও জানান, দুই দেশ কিভাবে একসঙ্গে এগিয়ে যাবে এবং পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষা করে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করবে, তা এই সফরের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। চীন বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

মাও নিঙ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই সফরের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। ইতোমধ্যে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ-চীন সহযোগিতার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক একটি ভালো উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।


বাংলাদেশ   চীন   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা   দূতাবাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মিথ্যাচার-অপপ্রচার বিএনপির একমাত্র রাজনৈতিক হাতিয়ার: কাদের

প্রকাশ: ০২:৪১ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার বিএনপির একমাত্র রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। তাদের মিথ্যাচার অপপ্রচার জনগণের সামনে প্রকাশিত হওয়ায় বিএনপি বার বার জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়েও তারা মিথ্যাচার করছে। খালেদা জিয়া চিকিৎসাগ্রহণ শেষে বাসায় ফিরে গেছেন। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি কোনো রাজনৈতিক বিষয় না। এটা আইনগত বিষয়। আইনগত বিষয়ে বিএনপি আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবিলা না করে বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর অপচেষ্টা করছে।

বিএনপি কখনোই জনগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হয়ে উঠতে পারেনি বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের অবস্থান সবসময় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিপরীত মেরুতে। বিএনপি তাদের দোসররা তাদের সেই আদর্শগত অবস্থান পরিবর্তন না করায় আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিরাজমান সংকটের সমাধান দুরূহ। এই সংকট মোকাবিলায় মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশাসী সবাইকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। 

বৃহস্পতিবার ( জুলাই) দুপুরে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন করছে। কিন্তু সেই আন্দোলনে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বিএনপি জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুকে প্রাধান্য না দিয়ে একটি অরাজনৈতিক বিষয়কে রাজনৈতিক ইস্যু করার অপচেষ্টা করছে। আর বিএনপি যখনই তাদের তথাকথিত আন্দোলন নিয়ে মাঠে নামে তখন তারা তাদের সন্ত্রাসী ক্যাডারবাহিনীকে সক্রিয় করে। বিএনপি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী ক্যাডারবাহিনীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অপচেষ্টা করে। আর এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা মিথ্যাচার-অপপ্রচারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ায়।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো অসাংবিধানিক অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় যায়নি। আওয়ামী লীগ সবসময় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। গত জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। দেশের গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিএনপি তার দোসররা সর্বদা তৎপর থেকেছে। এটা বিএনপির জন্মগত রাজনৈতিক লিগ্যাসি। কারণ অবৈধ অসাংবিধানিক পন্থায় রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী সামরিক স্বৈরাচারের হাতে প্রতিষ্ঠিত দল কখনো গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে পারে না।

তিনি বলেন, বিএনপি যদি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন করতে সক্ষম হতো বা তাদের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে পারতো তাহলে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সৎ সাহস দেখাতে পারতো। সেটা না থাকার কারণে বরাবরই বিএনপি সন্ত্রাস সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, যারা গণতান্ত্রিক পন্থার ব্যত্যয় ঘটাতে সন্ত্রাস-সহিংসতাকে উস্কে দেওয়ার পাঁয়তারা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।


মিথ্যাচার   অপপ্রচার   বিএনপি   রাজনৈতিক   হাতিয়ার   কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ঢাকা মহানগর বিএনপি ও কেন্দ্রীয় যুবদলের কমিটি ঘোষণা যে কোনো মুহূর্তে

প্রকাশ: ০৯:৩২ এএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যে কোনো মুহূর্তে ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে। একই সঙ্গে জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটিও ঘোষণা করা হবে। দলীয় হাইকমান্ডের সবুজ সংকেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আংশিক কমিটি ঘোষণা করবেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নতুন কমিটিতে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, মহানগর উত্তরের সাবেক সদস্য সচিব সাবেক জাতীয় ফুটবলার আমিনুল হক, বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, এস এম জাহাঙ্গির সেগুন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির কমিটিতে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদে আসতে পারেন, মহানগর দক্ষিণের সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য শেখ রবিউল আলম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রবিন সাবেক ছাত্রদল নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব। সভাপতি পদে স্থানীয় নেতা হিসেবে নবী উল্লাহ নবী অথবা রফিকুল আলম মজনুকেই প্রাধান্য দেওয়া হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এসব কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিভিন্ন পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। অন্যদিকে, যুবদলের নতুন কেন্দ্রীয় (আংশিক) কমিটিতে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছেন সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, সহসভাপতি নূরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাবেক ছাত্রদল নেতা মামুন হাসান আকরাম হাসান।

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ, চট্টগ্রাম মহানগর বরিশাল মহানগর এবং যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। 


ঢাকা   মহানগর   বিএনপি   যুবদল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন