ইনসাইড পলিটিক্স

ইচ্ছার বিরুদ্ধে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বেগম জিয়াকে?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

গত রাতে আকস্মিকভাবেই বেগম খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তার শারীরিক অবস্থার অবনতির জন্যই তাকে এভারকেয়ারে নেওয়া হয়েছে এবং সেখানে তাকে সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। কিন্তু বেগম জিয়ার পরিবারের একাধিক সদস্য জানিয়েছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা মোটেও তেমন গুরুতর ছিল না। তাকে একরকম জোর করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর পিছনে অন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলেও অন্তত একজন পরিবারের সদস্য দাবি করেছেন। তার মতে, তারেক জিয়ার নির্দেশে বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। যেন তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে না পারেন।

গত কিছুদিন ধরে বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। তারেক জিয়ার স্বেচ্ছাচারিতায় বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। সেখানে গণ পদত্যাগের পরিকল্পনা করছে কোন কোন বিএনপির নেতা। এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, দলের মহাসচিব নিজেকে নিস্ক্রিয় রেখেছেন। তিনি মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করতে চান না বলেও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছেন।

এ রকম পরিস্থিতিতে বেগম খালেদা জিয়াকে সক্রিয় করার উদ্যোগ নেয় বিএনপির নেতারা। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজে সাক্ষাৎ করেন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে। বিএনপির সার্বিক অবস্থা এবং রাতের অন্ধকারে কমিটি বদল নিয়ে তিনি বেগম জিয়ার সঙ্গে কথা বলেন। ঈদের দিন দুই দফায় বিএনপির ১৫ জন নেতা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং দলের ভিতর যে কাণ্ডগুলো ঘটছে সে সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন। বেগম খালেদা জিয়াও তাদেরকে আশ্বস্ত করেন যে, বিষয়গুলো তিনি দেখবেন। আর এর ফলে তিনি আস্তে আস্তে দলের কার্যক্রমে সক্রিয় হচ্ছিলেন। বিভিন্ন সময় রাতের অন্ধকারে যে কমিটি গঠন করা হচ্ছিল সে যেন না হয়, এ নিয়েও তিনি লন্ডনে পলাতক তার ছেলের সঙ্গে কথা বলেন এবং কমিটি গঠনসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দলের সকলের মতামত গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করেন।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, বেগম জিয়ার এই পরামর্শ তারেক জিয়া সঠিকভাবে নেননি। তিনি এতে বিরক্ত হয়েছেন। তাছাড়া বেগম খালেদা জিয়া আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হোক, তার সমর্থক এবং পছন্দের ব্যক্তিরা দলে গুরুত্ব পাক, এটি তারেক জিয়া চান না। তারেক জিয়া মনে করেন যে, দলে বেগম খালেদা জিয়া এবং তার যৌথ নেতৃত্ব থাকলে সংগঠনকে ঠিকঠাকমতো গোছানো যাবে না। আর একারণেই বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্য তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠিয়েছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, এভারকেয়ার হাসপাতালে থাকলে বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হতে পারবেন না। নেতাকর্মীদের সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করতে পারবেন না। ফলে তারেক জিয়া এই ফাঁকে বিএনপির স্থায়ী কমিটিসহ বিভিন্ন কমিটি পুনর্গঠনের কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।

তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য এ ধরণের অভিযোগকে নিষ্ঠুর কৌতুক হিসেবে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তার শরীরের অবস্থা কখনও ভাল থাকে, কখনও খারাপ থাকে। গত রাতে তার শারীরিক অবস্থার আসলেই অবনতি ঘটেছিল। সে কারণেই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

তিনি দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরেই বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। কিন্তু সরকার সেই অনুরোধ শুনছে না। বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তবে এভারকেয়ার হাসপাতালের একজন চিকিৎসক বলেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল। রাতে বুকে ব্যাথা অনুভব করার জন্য তাকে আনা হয়েছিল। তবে তার শারীরিক অবস্থার গুরুতর কোন অবনতি তারা লক্ষ্য করছে না।


তারেক জিয়া   বেগম খালেদা জিয়া   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বিএনপি   রাজনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবেদন শুরু

প্রকাশ: ০৯:৪৮ এএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২৪-এর জন্য আবেদনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।  ‍তিনি  মঙ্গলবার (২ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড পেজ থেকে নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন।  

এতে তিনি লেখেন-উদ্ভাবনী শক্তিতে উদ্ভাসিত তরুণদের স্বীকৃতি দিতে আবারও ফিরে এলো সেই আয়োজন। জাতিকে আপনাদের অবিশ্বাস্য এবং অদম্য সব কার্যক্রমের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করতে নিজ এলাকা বা সমাজের উন্নয়নের জন্য নেওয়া উদ্ভাবনী সব উদ্যোগ নিয়ে সামনে এগিয়ে আসার সময় এখনই।

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের অষ্টম আসরের জন্য আবেদন করা যাবে এখন থেকেই। 

জয় আরও লেখেন, অক্লান্তভাবে নীরবে নিজের কমিউনিটি এবং দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা আমাদের দেশের সফল তরুণদের পুরস্কৃত করতে তাদের সঙ্গে একটি নেটওয়ার্ক স্থাপনের উদ্দেশ্য নিয়ে ইয়াং বাংলা প্রায় এক দশক আগে যাত্রা শুরু করে। আমাদের এই কার্যক্রমে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসা এবং এই প্লাটফর্মকে শক্তিশালী করার জন্য তারুণ্যনির্ভর সব সংগঠনকে ধন্যবাদ।

আবেদনের শেষ তারিখ ৩০ জুলাই। জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ আবেদনের প্রক্রিয়া অন্যান্য তথ্য বিস্তারিত জানা যাবে এই লিঙ্কে:  https://jbya.youngbangla.org/


জয়   বাংলা   ইয়ুথ   অ্যাওয়ার্ড   আবেদন   শুরু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিকেলে বাসায় ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ০২:০৫ পিএম, ০২ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর একটি হাসপাতালে ১২ দিন ধরে চিকিৎসা নেয়ার পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিকেলে বাসায় ফেরার কথা রয়েছে। মঙ্গলবার (০২ জুলাই) বিএনপি সূত্রে সাংবাদিকদের তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অনুমতি সাপেক্ষে তিনি বাসায় ফিরতে পারেন বলেও জানানো হয়।

রোববার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, ম্যাডামের হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়েছে।  হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। হার্টে ব্লক ছিল, একটা স্টেনটিংও করা ছিল। সব কিছু পর্যালোচনা করে মেডিকেল বোর্ড ম্যাডামের হার্টে পেসমেকার লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পেসমেকার স্থাপনের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

এরআগে শুক্রবার (২১ জুন) গভীর রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। তারপর তাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।

মেডিকেল বোর্ড কয়েক দফা বৈঠকে বসে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর হার্টে পেসমেকার লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক একিউএম মহসিনসহ মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা কয়েক দফা বৈঠকে বসে খালেদা জিয়ার সবশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করেন।

৭৯ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদ্রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।


খালেদা   জিয়া   বিকেলে   বাসায়   ফেরার   কথা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ধৈর্যের পরীক্ষায় শামীম

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

এনামুল হক শামীম কঠিন সময়ে প্রতিকূল রাজনৈতিক বাস্তবতায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত ভিপি হয়েছিলেন। এর মাধ্যমে ছাত্রলীগকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন এই তরুণ ছাত্রনেতা। তিনি ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন। ঐতিহাসিকভাবে মনে করা হয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব বিকাশের সূতিকাগার হলো ছাত্রলীগ। আজ যারা ছাত্রলীগের নেতা আগামী দিনেই তারাই আওয়ামী লীগে নেতৃত্ব দিবেন। এটিই বাস্তবতা। সেই ধারায় মোটামুটি আছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুল রহমান, মোস্তফা জামাল মহিউদ্দিন এর মতো অনেকেই ছাত্রলীগের নেতৃত্ব থেকেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসীন হয়েছেন। তবে ছাত্রলীগের অনেক নেতাই অপাংক্তেয়, অবহেলিত এবং প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় আছেন।

এর মধ্যে এনামুল হক শামীম রাজনীতিতে আলো ফেলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন হওয়া, ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়া এবং দলের জন্য নানারকম অবদানের কারণে তিনি আওয়ামী লীগের পরবর্তী নেতা হতে পারেন এমন ধারণা করেন অনেকে। আর তার স্বাক্ষরও রাখা হয়েছিল। গতবারের আগের কমিটিতে এনামুল হক শামীমকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দেয়া হয়েছিল। তবে ২০১৮’র নির্বাচনের পর এনামুল হককে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী করা হয়। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতির উপমন্ত্রীর পদ পাওয়াটা নিয়ে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন। অনেকে মনে করেছিলেন, তার চেয়ে জুনিয়ররা বা তার কমিটিতে থাকা অনেক ব্যক্তিরাও প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। সেখানে এনামুল হক শামীমের মতো ক্যারিশমাটিক ছাত্রনেতা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পায় কি করে?

এনামুল হক শামীম সেই দায়িত্ব হাসিমুখেই নিয়েছিলেন, ধৈর্য ধারণ করেছিলেন। তবে এবারের নির্বাচনের পর এনামুল হক শামীম কোথাও নেয়। আওয়ামী লীগের দল এবং সরকার আলাদা করার নীতি অনুযায়ী ১৮’র সালে মন্ত্রী হবার পরের কাউন্সিলে তাকে সাংগঠনিক পদেও রাখা হয়নি। যদিও আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা আছেন যারা দলের দায়িত্ব এবং মন্ত্রীত্ব একসাথে পালন করেছিলেন। তবে এনামুল হক শামীমকে সেই তালিকায় রাখা হয়নি।

এখন তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার পর মন্ত্রীত্বেও নেয়, দলের নেতৃত্বেও নেয়। যদিও মন্ত্রী হিসেবে অনেককেই মন্ত্রী হিসেবে একই মন্ত্রণালয়ে রাখা হয়েছে। এমনকি প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আগের মেয়াদের প্রতিমন্ত্রীই এবার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু এনামুল হক শামীমকে বাদ দেয়া হয়েছে।

দল এবং সরকার কোথাও না থাকা নিয়ে এনামুল হক শামীমের সমর্থক এবং তার শুভাকাঙ্খীরা কিছুটা হতাশ। তবে রাজনীতিতে এটাকেই ধৈর্যের পরীক্ষা বলে মনে করা হয়। এনামুল হক শামীমের এখন ধৈর্যের পরীক্ষা চলছে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। প্রতিটি রাজনৈতিক নেতার একটি কঠিন সময় আসে, একটি খারাপ সময় যায়। যেসময় তিনি রাজনীতিতে পাদপ্রদীপে থাকেন না। এনামুল হক শামীম এখন এই অবস্থায় আছেন।

আওয়ামী লীগের সামনে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। সেই কাউন্সিলে হয়তো এনামুল হক শামীম আবার ফিরতে পারেন কিংবা মন্ত্রীসভার রদ-বদলেও শামীমের জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তবে কি হবে সেটি নির্ভর করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আস্থাভাজন এনামুল হক শামীম। তাই সকলে মনে করেন এই ধৈর্য্যরে পরীক্ষার পর তিনি হয়তো ভালো কিছু পাবেন। রাজনীতিতে এই চাওয়া পাওয়ার হিসেব মেলাতে গিয়ে এনামুল হক শামীম যেন হতাশাগ্রস্ত না হন সেটাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আকাঙ্খা।


এনামুল হক শামীম   রাজনীতি   জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সন্ত্রাসের নাটের গুরুদের তালিকা করছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এখন সন্ত্রাস এবং সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। এ সমস্ত সন্ত্রাস এবং সহিংসতার কারণে বেশ কিছু নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছে। এই অবস্থা আর চলতে দেওয়া যায় না বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। জাতীয় সংসদের অধিবেশন শেষ হওয়ার পরই আওয়ামী লীগ অভ্যন্তরীণ এই কোন্দল মেটানোর জন্য সাঁড়াশি অভিযান শুরু করবে।

আওয়ামী লীগের ভিতর খুব শীঘ্রই একটি শুদ্ধি অভিযান হতে যাচ্ছে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা নিশ্চিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে। আর এই অভিযানে সন্ত্রাসের নাটের গুরু যারা তাদেরকে চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং এই সমস্ত নাটের গুরুদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে রাজশাহী, মুন্সীগঞ্জ, গোপালগঞ্জসহ দেশের অন্তত ২২টি জেলায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রবল আকার ধারণ করেছে। এই সমস্ত অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সহিংসতার ঘটনাও ঘটছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আওয়ামী লীগ সুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলেও আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা নিশ্চিত করেছেন।

আওয়ামী লীগের একজন সদস্য বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত এবং এই ব্যাপারে তিনি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিটি এলাকায় সন্ত্রাস এবং সহিংসতার জন্য নাটের গুরুদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। বিশেষ করে এই সমস্ত ঘটনার ক্ষেত্রে যারা প্রকৃত দোষী তাদেরকেই চিহ্নিত করা এবং এই দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা অনেক পরের বিষয়। প্রথমে দুই পক্ষের বিরোধ কমানোর জন্য দুই পক্ষকে পাশাপাশি বসানো হবে এবং শেষ বারের মতো তাদেরকে সতর্ক করা হবে। যে সমস্ত এলাকাগুলোতে দুই পক্ষ হানাহানি করছে, তাদের নেতৃবৃন্দকে একত্রে বসানো হবে। নির্দিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে এই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তারা বিবাদমান দুই পক্ষের সঙ্গে বসবেন এবং আওয়ামী লীগ সভাপতির পক্ষ থেকে সহিংসতা মেটানোর জন্য শেষ সতর্কবার্তা দেবেন। এই সতর্কবার্তাও যদি তারা না শোনেন তারপরেই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় সংসদের অধিবেশন শেষ হলেই সারা দেশে সাংগঠনিক কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। পুরো জুলাই মাস ধরেই এই কর্মসূচি পালিত হবে। আগস্ট মাস শোকের মাস। শোকের মাসের আগে যেন অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং বিরোধগুলোর মীমাংসা হয় সে ব্যাপারে আওয়ামী লীগ একটি সুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মনে করছেন যে, সাংগঠনিক সফর, কর্মসূচি এবং উভয় পক্ষের মধ্যে আলাপ আলোচনা হলে এই ধরনের সমস্যাগুলো অনেকটাই কেটে যাবে। কিন্তু তারপরও যদি কেউ সমস্যা করে, কোন্দল অব্যাহত রাখে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য যে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল তীব্র আকার ধারণ করেছিল এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সতন্ত্র কৌশলের কারণে এই সংঘাত আরও বেড়ে যায়। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি বারবার সন্ত্রাস-সহিংসতা বন্ধের কথা বললেও বিভিন্ন এলাকায় এই কোন্দল কমেনি। আর একারণেই আওয়ামী লীগ এই কোন্দল কমানোর জন্য এখন বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করতে যাচ্ছে।


আওয়ামী লীগ   অভ্যন্তরীণ কোন্দল   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

রিজভীর আওয়ামী লীগ কানেকশন

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

রিজভীর এখন বসন্তকাল চলছে। বিএনপিতে তার অবস্থান অত্যন্ত শক্ত হয়েছে। বিএনপির নতুন কমিটি গুলোতে তার জয়জয়কার। এমনকি তার মহাসচিব হওয়ারও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এইরকম অবস্থায় রিজভীর প্রতিপক্ষরা চুপচাপ বসে নেই। বরং তারা মনে করছে রিজভীকে যেভাবে আপোষহীন এবং আন্দোলনমুখী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বাস্তবতা তা নয়। বরং রিজভীর সঙ্গে সরকারের একটি গোপন সম্পর্ক রয়েছে এবং সেই সম্পর্কের জেরেই রিজভী রাজনীতি করছেন। 

আরও পড়ুন: বিএনপিতে শুরু হচ্ছে রিজভী যুগ

রিজভীর সঙ্গে সরকারের গোপন সম্পর্কের ব্যাপারে বিএনপি নেতারা এখন শুধু খোঁজ-খবরই নিচ্ছেন না। লন্ডনে পলাতক বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করছেন। প্রশ্ন উঠেছে, রিজভী কত বড় সংগঠন? তিনি কোন এলাকায় প্রতিনিধিত্ব করেন এবং এলাকায় তার জনপ্রিয়তা কি? এসমস্ত প্রশ্ন নিয়েই এখন কর্মীদের কাছে যাচ্ছেন রিজভী বিরোধী নেতারা। তারা বলছেন যে, অন্যরা মিছিল করলে তাদেরক গ্রেপ্তার করা হয়, রিজভীকে কেন গ্রেপ্তার করা হয় না? 

আরও পড়ুন: এবার বিএনপিতে স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠনের তোড়জোড়

রিজভী মাত্র একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তারপর জামিন পান। ২৮ অক্টোবর যখন বিএনপি নেতাদের ঢালাওভাবে গ্রেপ্তার শুরু হয় তখনও রিজভী কীভাবে বাইরে ছিলেন? এসময় রিজভী মিছিল করেছেন। সরকারের সঙ্গে একটি গোপন এবং প্রচ্ছন্ন সম্পর্কের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে বলে বিএনপি’র নেতাদের দাবি।

বিএনপির একাধিক নেতা দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে রিজভীর গোপন সম্পর্ক রয়েছে। আর একারণেই রিজভীকে গ্রেপ্তার করা হয় না। তার আন্দোলনকে প্রশ্রয় দেয়া হয়। রিজভীর আন্দোলন নিয়েও বিএনপি নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন, হঠাৎ করে একটি মিছিল করা বা দলীয় কার্যালয়ের নিরাপদ স্থানে থেকে প্রতিদিন গণমাধ্যমের সামনে মুখরোচক কথা বলা রাজনীতি নয়। তিনি সংগঠন গোছানোর জন্য কি করেছেন, বড় আন্দোলনে তিনি কীভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এসব ক্ষেত্রে রিজভীর কোন ভূমিকা নেয় বলেই মনে করেন অনেকে। 

আরও পড়ুন: মুখোমুখি ফখরুল-তারেক

বিএনপির একজন নেতা মনে করেন, রিজভী দলীয় কার্যালয় পাহারা দেন বটে। তাছাড়া হঠাৎ করে ঝটিকা মিছিলের নামে একটি উত্তাপ সৃষ্টি করা ছাড়া তার কোন কর্মকাণ্ড নেয়। রিজভী এই ঝটিকা মিছিলগুলো করেন সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ করে। সরকার রিজভীকে দিয়ে প্রমাণ করতে চায়, যে বিরোধী দল সক্রিয়। তাদের কর্মসূচিতে বাঁধা দেয়া হয় না। বিরোধী দল যে রাজনীতিতে সক্রিয় আছে এটা প্রমাণ করা হয় রিজভীকে দিয়ে। রিজভী সরকারের কাছ থেকে নানারকম সুযোগ সুবিধা পায় বলেও বিএনপির কোন কোন নেতা দাবি করছেন। 

তবে, রিজভী পন্থীরা এই ধরনের বক্তব্যকে অস্বীকার করেছেন। তারা মনে করেন, রিজভী আপোষহীন নেতার এক প্রতীক। শুধু এখন নয়। এক এগারো থেকেই রিজভী বিএনপি রক্ষার জন্য নিরলস ত্যাগ স্বীকার করেছেন। শুধু রিজভী নয়, তার পরিবারের ত্যাগ বিএনপিতে একটি বড় প্রেরণা বলেও বিএনপির কোন কোন নেতা দাবি করেন। 

কর্মীদের কাছে রিজভী গত কয়েকবছরে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্যই রিজভীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে বলে কেউ কেউ মনে করে।


রিজভী   আওয়ামী লীগ কানেকশন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন