ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি সমালোচনা করতে পারে, জনগণের পাশে দাঁড়াতে পারেনা : নানক

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিএনপি ঢাকায় বসে সরকারের সমালোচনা করতে পারে কিন্তু জনগণের পাশে দাঁড়াতে পারেনা। 

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরে ও সদরের হিলুয়াঘাটে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এ কথা বলেন। 

বিএনপির শাসনামলে বাংলাদেশ দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্র হিসেবে ১ নম্বরে ছিল উল্লেখ্য করে মন্ত্রী বলেন, তাদের আমলে কি পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে সেখবর দেশের মানুষ জানে। জনগণের টাকা মেরে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে খালেদাপুত্র তারেক রহমান। টাকা আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অপকর্ম মামলায় পলাতক আসামী হিসেবে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিএনপির বড় নেতারা বিদেশে বড় অট্টালিকায় আড়াম আয়েশের জীবন কাটাচ্ছেন। 

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার দেশের মানুষের স্বার্থে কাজ করে। এজন্য দেশের মানুষ তার ওপর আস্থা রেখে আবারও আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করেছেন। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন বাস্তবায়ন একমাত্র শেখ হাসিনার পক্ষে সম্ভব হয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে। দেশের মানুষ এখন খাদ্য বস্ত্রের অভাব করেনা। এ সরকার জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পেরেছে। আগামী ৪১ সালের মধ্যে দেশকে সয়ংসম্পন্ন করে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে নির্মাণ করবে শেখ হাসিনা সরকার।  

উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন খাঁনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি করের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সম্মানিত সদস্য আজিজুস সমাদ ডন, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. সাদিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রণজিৎ সরকার, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুট, সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর খোকন,উপজলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এখলাছুর রহমান তারা প্রমুখ।

জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির মহানগর কমিটি নিয়ে কোটি টাকার বাণিজ্য

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

গত ১৩ জুন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত হয়েছিলো। বিলুপ্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত এ কমিটিগুলো গঠিত হয়নি। কথা ছিলো এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা মহানগর কমিটি গঠন করা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের উত্তর-দক্ষিণ কোন কমিটি গঠন করা হয়নি। 

বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতারা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা এবং আন্দোলনের নানারকম চাপের কারণে তারা এখন পর্যন্ত এই কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি। তবে কমিটির বিষয়টি চূড়ান্ত করছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। যেকোন সময় কমিটি গঠিত হতে পারে বলেও বিএনপি নেতারা আশ্বস্ত করেছেন। তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, ঢাকা মহানগরের কমিটি নিয়ে চলছে কোটি টাকার বাণিজ্য। তারেক জিয়া সরাসরি সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং যারা যত বেশি টাকা দিবেন তারাই কমিটিতে রাখা হবে বলে বিভিন্ন সূত্রগুলো ইঙ্গিত করেছে। আর এই মহানগরের কমিটি করতে কোটি টাকার বাণিজ্যের খবর পাওয়া যাচ্ছে। 

দলীয় সূত্রগুলো থেকে জানা যাচ্ছে, উত্তরের বিএনপির বিদায়ী কমিটির সদস্য সচিব সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক ঢাকা মহানগরের নতুন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক হতে পারেন। তাকে সভাপতি করার সম্ভাবনা বেশি। তিনি এই মুহূর্তে কমিটিতে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি হতে হলে এক কোটি টাকা দিতে হবে বলে বিভিন্ন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে জানিয়েছেন। 

তবে তার পদের জন্য এখন বড় রকমের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন যুব দলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব। সম্প্রতি নীরব জেল থেকে বেরিয়েছেন এবং তিনি আমিনুল হকের চেয়ে বেশি অর্থ দিয়ে এই পদ গ্রহণে আগ্রহী। নীরবের সঙ্গে ইতোমধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার কথা হয়েছে বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। বিভিন্ন মহল নীরব সভাপতি হওয়ার জন্য যে নাজরানা দিতে হবে তা দিতে প্রস্তুত। এছাড়াও উত্তরের নেতৃত্বের জন্য যুবদলের সাবেক সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীরও চেষ্টা করে যাচ্ছেন। 

আরও পড়ুন: রুমিন ফারহানা কোথাও নেই কেন?

সাধারণ সম্পাদক পদে বিদায়ী কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এজিএম শামসুল হক, আতাউর রহমান, মোস্তফা জামান, আখতার হোসেন ও উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম কফিল উদ্দিন আহমেদ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এরা সবাই এই পদের জন্য লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এবং কে কত অর্থ দিতে পারবেন তার ফিরিস্তিও প্রকাশ করছেন। 

দক্ষিণে সভাপতি পদের জন্য সবচেয়ে বেশি আলোচিত আগের কমিটির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু। তিনি ইতোমধ্যে দেড় কোটি টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রকাশ্যেই। দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে তিনি দক্ষিণের সভাপতি হতে চান বলেও তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন। 

আরও পড়ুন: বিএনপিতে শুরু হচ্ছে রিজভী যুগ

আর সাধারণ সম্পাদক পদে আগের কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ রবিনের কথা শোনা যাচ্ছে। তিনিও প্রায় এক কোটি টাকা দিয়ে এ পদ আঁকড়ে রাখতে চান। তবে রফিকুল আলম সবুজের প্রচেষ্টায় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদায়ী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবিউল্যা নবি। তিনি এখন আরো বেশি অর্থ দিয়ে এ পদটি গ্রহণ করার জন্য দেন-দরবার এবং তদবীর শুরু করেছেন। তবে নবিউল্যা নবির একটি নেতিবাচক বিষয় রয়েছে। তাহলো তিনি প্রয়াত বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত। সেকারণে এটি তার জন্য একটি নেতিবাচক দিক হতে পারে। এর বাইরেও দক্ষিণ বিএনপির হামিদুর রহমান হামিদ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রশিদ  হাবিব এবং বিলুপ্ত কমিটির সিনিয়র সদস্য ইশরাক হোসেনের নামও আছে। 

তবে শেষ পর্যন্ত এ পদগুলো আসলে নিলামে উঠবে। যিনি বেশি অর্থ দিবেন তিনিই হবেন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণের কাণ্ডারি।


বিএনপি   মহানগর কমিটি   কোটি টাকার বাণিজ্য   সভাপতি   সাধারণ সম্পাদক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে জড়ো হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা। আজ (শনিবার) বিকেলে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

দেখা যায়, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ মিছিলে মিছিলে আলোচনা সভায় আসছেন। সময় নেতারাজয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু,’ ‘শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা,’ ‘শেখ হাসিনা সরকার, বার বার দরকার,’ ‘উন্নয়নের সরকার, বার বার দরকারসহ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী সঞ্চালনা করবেন সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।


আওয়ামী লীগ   আলোচনা   সভা   মিছিল   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির সমাবেশ শুরু

প্রকাশ: ০৩:২৭ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ইতোমধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশস্থলে এসে উপস্থিত হয়েছেন।

দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নয়াপল্টন এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি শেষ হলে বিএনপি অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। তাদের হাতে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি সংবলিত ব্যানার ফেস্টুন রয়েছে।

দুপুর ১টার দিকে বৃষ্টি থামার পরপরই শুরু হয় মঞ্চের প্রস্তুতি। এরপরই বৃষ্টি উপেক্ষা করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের স্লোগান দিতে দেখা যায়।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছোট ছোট মিছিল, বর্ণিল টুপি, প্ল্যাকার্ড পোস্টারসহ সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত বুধবার তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। ঢাকায় আজকের সমাবেশের পাশাপাশি আগামী জুলাই সব মহানগরে এবং জুলাই সব জেলায় সমাবেশ করবে দলটি।


বিএনপি   খালেদা জিয়া   আন্দোলন   বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সমাবেশ স্থলে জড়ো হচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীরা

প্রকাশ: ০২:২৮ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীতে শনিবার (২৯ জুন) সকাল থেকেই নামছে বৃষ্টি। এই বৃষ্টি উপেক্ষা করে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনের সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

বৃষ্টির মধ্যেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছয়টি পিকআপের ওপর অস্থায়ীভাবে সমাবেশের মূল মঞ্চ তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। টানানো হয়েছে ব্যানার। মূল মঞ্চ তৈরির পাশাপাশি নয়াপল্টন থেকে শুরু করে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত এবং অন্যপাশে কাকরাইল থেকে কর্ণফুলী মার্কেট পর্যন্ত লাগানো হয়েছে মাইক।

এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সমাবেশে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বক্তব্য দেবেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত বুধবার তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। আজ শনিবার (২৯ জুন) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে বিকাল ৩টায় সমাবেশ শুরু হবে। এ ছাড়া ১ জুলাই সারাদেশে মহানগরীতে সমাবেশ এবং ৩ জুলাই সারা দেশে জেলায় জেলায় সমাবেশ করবে দলটি।


বিএনপি   সমাবেশ   বৃষ্টি   খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগে ৫ মাসে ২৮ খুন

প্রকাশ: ০১:০১ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিনে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে তিনজন আওয়ামী লীগ নেতা খুন হয়েছে। তারা হলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে খুন হন জেলা পরিষদের সদস্য এবং নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দিনে-দুপুরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক সুরজ মিয়াকে। 

তিনটি খুনের ঘটনাই ঘটেছে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে। এর মধ্যে বাঘায় খুনের ঘটনার পেছনে স্থানীয় দলিল লেখক সমিতি সরকারি ফির বাইরে বাড়তি যে চাঁদা আদায় করে, সেই চাঁদার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ইট–বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খুনের ঘটনা ঘটে। এ দুটি খুনের ঘটনায় আক্রমণকারী ও নিহত দুই পক্ষই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে খুনের ঘটনার কারণ আধিপত্য বিস্তার। এর পেছনে রাজনৈতিক যুক্ততার বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। 

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দিনে-দুপুরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক সুরজ মিয়াকে। 
অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জরিত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে খুনোখুনি থামছেই না। তৃণমূলের নেতা থেকে সংসদ সদস্য কেউ বাদ যাচ্ছেন না। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে সরকারদলীয় সংসদ সদস্যসহ ২৮ নেতা খুন হয়েছেন। প্রায় সব ঘটনাতেই আক্রমণকারী ও ভুক্তভোগী দুই পক্ষই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ বিভেদ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে রাজনৈতিকভাবে এর সমাধানের কোনো পথ তাঁরা খুঁজে পাচ্ছেন না। হত্যাকাণ্ডের পর আইনি প্রক্রিয়ায় ঘাতকের বিচার করাই এখন লক্ষ্য। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রভাবশালী কোনো না কোনো পক্ষের ছত্রচ্ছায়ায় থাকেন। তাই সঠিক ও যথাসময়ে বিচার সম্পন্ন করাও কঠিন। 

গত জাতীয় সংসদ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিরোধী দল অংশ নেয়নি। প্রতিটি ভোটেই আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ ছিল আওয়ামী লীগ। ফলে দলীয় কোন্দল আরও বেড়েছে। এর সঙ্গে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং দখল, চাঁদাবাজি, চোরাকারবারির নিয়ন্ত্রণসহ নানা কারণে আগে থেকেই কোন্দল ছিল। 

চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে সরকারদলীয় সংসদ সদস্যসহ ২৮ নেতা খুন হয়েছেন। প্রায় সব ঘটনাতেই আক্রমণকারী ও ভুক্তভোগী দুই পক্ষই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবে, ২০১৮ সাল থেকে গত মে পর্যন্ত ছয় বছরে ২০২ জন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থক অভ্যন্তরীণ সংঘাতে মারা গেছেন।

অভ্যন্তরীণ সংঘাত ও প্রাণহানির ঘটনাগুলোকে বিচ্ছিন্ন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

তিনি বলেন, বিভেদ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে এমন নয়। দল বড়, বিপুল নেতা-কর্মী-সমর্থক রয়েছেন। এর মধ্যে কিছু আগাছা ঢুকে পড়েছে। তবে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে সাংগঠনিকভাবে দল ও আইনিভাবে রাষ্ট্র ব্যবস্থা নিচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, গত ১৫ বছরে সরকার বিপুল উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। সরকারি কেনাকাটায় কমিশন আদায় এবং হাট-ঘাট, পরিবহন খাতেও বিপুল চাঁদাবাজি করে অর্থ বানানোয় অনেকে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে যেকোনো মূল্যে আধিপত্য ধরে রাখতে মরিয়া আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ জন্যই সংঘাত ও প্রাণহানি ঠেকানো যাচ্ছে না।

 (তথ্যসূত্র: প্রথমআলো, ২৯ জুন ২০২৪)

আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন