হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শনিবার (২৯ জুন) নয়াপল্টনে সমাবেশ করার কথা জানিয়েছে বিএনপি। একই দাবিতে ১ জুলাই দেশের সব মহানগরে এবং ৩ জুলাই জেলা সদরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (২৬ জুন) খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে কর্মসূচি ঠিক করতে নয়াপল্টনে যৌথসভা করে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন এসব কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন বেগবান করার কথা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন বেগবান করা হবে৷ জনগণ এ আন্দোলনে এক হবে। আমরা এ আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। এসব কর্মসূচিতে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি দেশের মানুষের প্রতিও সমাবেশে যোগ দিতে আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিএনপি
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগে দলীয় কোন্দল এবং সেখান থেকে সহিংসতা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। আর এবিষয়ে অবশেষে কঠোর হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের ভেতর বিশৃঙ্খল অবস্থা নিয়ে অত্যন্ত বিরক্ত হয়েছেন এবং তিনি এগুলো দমনের জন্য কঠোর অবস্থা নেয়ার জন্য ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক বিভিন্ন স্থানে সাংগঠনিক সম্পাদকদের তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলেছেন এবং এ তদন্ত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে যারা যে স্থানে দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং এ বৈঠকে এ বিষয়টি আলোচিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজশাহীর বাঘাতে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি নিয়ে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড অত্যন্ত বিরক্ত। বিশেষ করে একজন এমপিকে ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ কর্তৃক অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার বিষয়টি আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সহজভাবে নিতে পারেননি। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে এব্যাপারে ইতোমধ্যে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে। সারাদেশের যেখানে বিশৃঙ্খলা হবে, যেখানে চেইন অব কমান্ড ভাঙ্গা হবে সেখানে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য যে, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে থেকেই আওয়ামী লীগের ভেতর কোন্দল ছড়িয়ে পড়তে থাকে। বিশেষ করে নির্বাচন উন্মুক্ত করে দেয়ার পর আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াই তীব্র হয়। এসময় আওয়ামী লীগের যারা দলীয় প্রতীক পেয়েছেন এবং যারা স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন তার মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে যায়। একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করতে থাকেন এবং পরবর্তীতে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের ভেতর এই বিরোধ আরো বাড়তে থাকে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েক দফা এই বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আহ্বান জানান। তিনি নির্বাচনে যা হবার হয়ে গেছে, ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে একসাথে সকলকে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু তারপরও বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে এবং এ সহিংসতা এখন উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে গেছে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
এ অবস্থায় আর ধৈর্য ধরার উপায় নেয় বলেও মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেছেন যে, দ্রুতই দলের ভেতর চেইন অব কমান্ড ফিরিয়ে আনা হবে এবং এজন্য যা যা করা দরকার সেটি করা হবে। তবে আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, যে ১৮ থেকে ২০ জেলায় দলীয় কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে এবং সহিংসতা বেড়েছে সেসমস্ত এলাকাগুলোতে সাংগঠনিক সম্পাদকরা দুই পক্ষকে নিয়ে বসবে এবং শেষ বারের মতো সতর্কবার্তা দিবে। এরপরও যদি কাজ না হয় তাহলে সহিংসতার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং প্রয়োজনে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারাই যখন বিরোধে জড়িয়ে যান তখন সেটি দলের জন্য একটি খারাপ বার্তা বহন করে। সেরকম পরিস্থিতি এখন হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের নেতারা আশাবাদী। আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন, বাজেট অধিবেশন এবং প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের পর এই পরিস্থিতিগুলোর দিকে নজরদারি বাড়ানো হবে। এবং এধরনের সহিংস ঘটনার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
গত ১৩ জুন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত হয়েছিলো। বিলুপ্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত এ কমিটিগুলো গঠিত হয়নি। কথা ছিলো এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা মহানগর কমিটি গঠন করা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের উত্তর-দক্ষিণ কোন কমিটি গঠন করা হয়নি।
বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতারা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা এবং আন্দোলনের নানারকম চাপের কারণে তারা এখন পর্যন্ত এই কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি। তবে কমিটির বিষয়টি চূড়ান্ত করছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। যেকোন সময় কমিটি গঠিত হতে পারে বলেও বিএনপি নেতারা আশ্বস্ত করেছেন। তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, ঢাকা মহানগরের কমিটি নিয়ে চলছে কোটি টাকার বাণিজ্য। তারেক জিয়া সরাসরি সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং যারা যত বেশি টাকা দিবেন তারাই কমিটিতে রাখা হবে বলে বিভিন্ন সূত্রগুলো ইঙ্গিত করেছে। আর এই মহানগরের কমিটি করতে কোটি টাকার বাণিজ্যের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
দলীয় সূত্রগুলো থেকে জানা যাচ্ছে, উত্তরের বিএনপির বিদায়ী কমিটির সদস্য সচিব সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক ঢাকা মহানগরের নতুন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক হতে পারেন। তাকে সভাপতি করার সম্ভাবনা বেশি। তিনি এই মুহূর্তে কমিটিতে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি হতে হলে এক কোটি টাকা দিতে হবে বলে বিভিন্ন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে জানিয়েছেন।
তবে তার পদের জন্য এখন বড় রকমের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন যুব দলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব। সম্প্রতি নীরব জেল থেকে বেরিয়েছেন এবং তিনি আমিনুল হকের চেয়ে বেশি অর্থ দিয়ে এই পদ গ্রহণে আগ্রহী। নীরবের সঙ্গে ইতোমধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার কথা হয়েছে বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। বিভিন্ন মহল নীরব সভাপতি হওয়ার জন্য যে নাজরানা দিতে হবে তা দিতে প্রস্তুত। এছাড়াও উত্তরের নেতৃত্বের জন্য যুবদলের সাবেক সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীরও চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: রুমিন ফারহানা কোথাও নেই কেন?
সাধারণ সম্পাদক পদে বিদায়ী কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এজিএম শামসুল হক, আতাউর রহমান, মোস্তফা জামান, আখতার হোসেন ও উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম কফিল উদ্দিন আহমেদ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এরা সবাই এই পদের জন্য লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এবং কে কত অর্থ দিতে পারবেন তার ফিরিস্তিও প্রকাশ করছেন।
দক্ষিণে সভাপতি পদের জন্য সবচেয়ে বেশি আলোচিত আগের কমিটির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু। তিনি ইতোমধ্যে দেড় কোটি টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রকাশ্যেই। দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে তিনি দক্ষিণের সভাপতি হতে চান বলেও তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিতে শুরু হচ্ছে রিজভী যুগ
আর সাধারণ সম্পাদক পদে আগের কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ রবিনের কথা শোনা যাচ্ছে। তিনিও প্রায় এক কোটি টাকা দিয়ে এ পদ আঁকড়ে রাখতে চান। তবে রফিকুল আলম সবুজের প্রচেষ্টায় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদায়ী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবিউল্যা নবি। তিনি এখন আরো বেশি অর্থ দিয়ে এ পদটি গ্রহণ করার জন্য দেন-দরবার এবং তদবীর শুরু করেছেন। তবে নবিউল্যা নবির একটি নেতিবাচক বিষয় রয়েছে। তাহলো তিনি প্রয়াত বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত। সেকারণে এটি তার জন্য একটি নেতিবাচক দিক হতে পারে। এর বাইরেও দক্ষিণ বিএনপির হামিদুর রহমান হামিদ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রশিদ হাবিব এবং বিলুপ্ত কমিটির সিনিয়র সদস্য ইশরাক হোসেনের নামও আছে।
তবে শেষ পর্যন্ত এ পদগুলো আসলে নিলামে উঠবে। যিনি বেশি অর্থ দিবেন তিনিই হবেন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণের কাণ্ডারি।
বিএনপি মহানগর কমিটি কোটি টাকার বাণিজ্য সভাপতি সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা। আজ (শনিবার) বিকেলে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
দেখা যায়, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ মিছিলে মিছিলে আলোচনা সভায় আসছেন। এ সময় নেতারা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু,’ ‘শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা,’ ‘শেখ হাসিনা সরকার, বার বার দরকার,’ ‘উন্নয়নের সরকার, বার বার দরকার’ সহ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সঞ্চালনা করবেন সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।
আওয়ামী লীগ আলোচনা সভা মিছিল শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ইতোমধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশস্থলে এসে উপস্থিত হয়েছেন।
দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নয়াপল্টন এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি শেষ হলে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। তাদের হাতে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন রয়েছে।
দুপুর ১টার দিকে বৃষ্টি থামার পরপরই শুরু হয় মঞ্চের প্রস্তুতি। এরপরই বৃষ্টি উপেক্ষা করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের স্লোগান দিতে দেখা যায়।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছোট ছোট মিছিল, বর্ণিল টুপি, প্ল্যাকার্ড ও পোস্টারসহ সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত বুধবার তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। ঢাকায় আজকের সমাবেশের পাশাপাশি আগামী ১ জুলাই সব মহানগরে এবং ৩ জুলাই সব জেলায় সমাবেশ করবে দলটি।
বিএনপি খালেদা জিয়া আন্দোলন বৃষ্টি
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগে দলীয় কোন্দল এবং সেখান থেকে সহিংসতা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। আর এবিষয়ে অবশেষে কঠোর হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের ভেতর বিশৃঙ্খল অবস্থা নিয়ে অত্যন্ত বিরক্ত হয়েছেন এবং তিনি এগুলো দমনের জন্য কঠোর অবস্থা নেয়ার জন্য ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক বিভিন্ন স্থানে সাংগঠনিক সম্পাদকদের তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলেছেন এবং এ তদন্ত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে যারা যে স্থানে দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং এ বৈঠকে এ বিষয়টি আলোচিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ইতোমধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশস্থলে এসে উপস্থিত হয়েছেন।