বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নতুন করে আন্দোলন শুরু করেছে বিএনপি। বেগম জিয়া এখন এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্বাস্থ্য অবনতি হওয়ার কারণে ৩ দিন আগে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শরীরে ‘পেসমেকার’ বসানো হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আগামী শনিবার (২৯ জুন), সোমবার (১ জুলাই) এবং বুধবার (৩ জুলাই) বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ, ১ জুলাই সারা দেশের সব মহানগরে এবং ৩ জুলাই সারা দেশের জেলা সদরে সমাবেশ করবে।
কিন্তু এই সমাবেশ করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি কতটুকু সুরাহা হবে তা নিয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যেই সংশয় এবং সন্দেহ রয়েছে। সরকারকে বেগম জিয়া ইস্যুতে চাপে ফেলার জন্য বিএনপি নতুন কৌশল গ্রহণ করেছে। গতকাল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন। অথচ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এটি বলেননি যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাহী আদেশের কারণেই বেগম খালেদা জিয়া ফিরোজায় থাকতে পারছেন। না হলে তার এতদিন কারাগারে থাকার কথা ছিল।
বেগম খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হবার পর বিএনপি আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। আইনি পথ অনুসরণ করেছে। কিন্তু কোথাও তারা সুফল পায়নি। এমনকি হাইকোর্টেও বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে এখন যেহেতু বেগম জিয়া অসুস্থ, এ কারণে বিএনপির উচিত আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আদালতের শরণাপন্ন হওয়া। কিন্তু বিএনপি সেই পথে যাচ্ছে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিএনপি ডুয়েল গেম খেলছে। একদিকে তারা বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে বন্দি করে রেখেছে, যেন তিনি রাজনৈতিক তৎপরতায় নিজেকে যুক্ত করতে না পারেন। তারেক জিয়ার একক কর্তৃত্বে যেন বিএনপির চলে।
মূলত খালেদা জিয়ার হাত থেকে বিএনপিকে মুক্ত করার জন্যই তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য হাসপাতালে রাখা হচ্ছে বলে কেউ কেউ দাবি করেন। তারা বলেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার শরীরে যে পেসমেকার বসানো হয়েছে, সেটি একটি গতানুগতিক কার্যক্রম। এটির সাথে গুরুতর স্বাস্থ্য অবনতির কোনও সম্পর্ক নেই।
তাছাড়া একদিকে বসানো হচ্ছে পেসমেকার, অন্যদিকে তার লিভার ট্রান্সপ্লান্টের কথা বলছেন বিএনপির মহাসচিব। কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা? এ নিয়ে বিএনপি এক ধরনের ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছে। মূল কথা হল, বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে বন্দি করে রাখতে চায় বিএনপি।
আবার অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়ার ইস্যুকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের গতি বাড়াতে চায়। তারা মনে করছেন যে, এই বিষয়টি এখন স্পর্শকাতর ইস্যু। এটি নিয়ে আন্দোলন করলে জনগণ সম্পৃক্ত হবে। সবকিছু মিলিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিএনপি এখন একটা রাজনৈতিক খেলায় নেমেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আর শেষ পর্যন্ত যদি বেগম খালেদা জিয়ার কোন খারাপ পরিণতি হয় তাতেও যেমন বিএনপির লাভ, আবার বেগম জিয়াকে যদি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হয় তাহলেও তারেক জিয়া কণ্টকমুক্ত হবেন। আর এ কারণেই বেগম খালেদা জিয়াকে অসুস্থ রেখে তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন বিএনপির একটি নতুন কৌশল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তারেক জিয়া বেগম খালেদা জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি রাজনীতি
মন্তব্য করুন
গত ১৩ জুন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত হয়েছিলো। বিলুপ্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত এ কমিটিগুলো গঠিত হয়নি। কথা ছিলো এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা মহানগর কমিটি গঠন করা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের উত্তর-দক্ষিণ কোন কমিটি গঠন করা হয়নি।
বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতারা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা এবং আন্দোলনের নানারকম চাপের কারণে তারা এখন পর্যন্ত এই কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি। তবে কমিটির বিষয়টি চূড়ান্ত করছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। যেকোন সময় কমিটি গঠিত হতে পারে বলেও বিএনপি নেতারা আশ্বস্ত করেছেন। তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, ঢাকা মহানগরের কমিটি নিয়ে চলছে কোটি টাকার বাণিজ্য। তারেক জিয়া সরাসরি সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং যারা যত বেশি টাকা দিবেন তারাই কমিটিতে রাখা হবে বলে বিভিন্ন সূত্রগুলো ইঙ্গিত করেছে। আর এই মহানগরের কমিটি করতে কোটি টাকার বাণিজ্যের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
দলীয় সূত্রগুলো থেকে জানা যাচ্ছে, উত্তরের বিএনপির বিদায়ী কমিটির সদস্য সচিব সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক ঢাকা মহানগরের নতুন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক হতে পারেন। তাকে সভাপতি করার সম্ভাবনা বেশি। তিনি এই মুহূর্তে কমিটিতে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি হতে হলে এক কোটি টাকা দিতে হবে বলে বিভিন্ন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে জানিয়েছেন।
তবে তার পদের জন্য এখন বড় রকমের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন যুব দলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব। সম্প্রতি নীরব জেল থেকে বেরিয়েছেন এবং তিনি আমিনুল হকের চেয়ে বেশি অর্থ দিয়ে এই পদ গ্রহণে আগ্রহী। নীরবের সঙ্গে ইতোমধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার কথা হয়েছে বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। বিভিন্ন মহল নীরব সভাপতি হওয়ার জন্য যে নাজরানা দিতে হবে তা দিতে প্রস্তুত। এছাড়াও উত্তরের নেতৃত্বের জন্য যুবদলের সাবেক সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীরও চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: রুমিন ফারহানা কোথাও নেই কেন?
সাধারণ সম্পাদক পদে বিদায়ী কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এজিএম শামসুল হক, আতাউর রহমান, মোস্তফা জামান, আখতার হোসেন ও উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম কফিল উদ্দিন আহমেদ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এরা সবাই এই পদের জন্য লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এবং কে কত অর্থ দিতে পারবেন তার ফিরিস্তিও প্রকাশ করছেন।
দক্ষিণে সভাপতি পদের জন্য সবচেয়ে বেশি আলোচিত আগের কমিটির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু। তিনি ইতোমধ্যে দেড় কোটি টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রকাশ্যেই। দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে তিনি দক্ষিণের সভাপতি হতে চান বলেও তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিতে শুরু হচ্ছে রিজভী যুগ
আর সাধারণ সম্পাদক পদে আগের কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ রবিনের কথা শোনা যাচ্ছে। তিনিও প্রায় এক কোটি টাকা দিয়ে এ পদ আঁকড়ে রাখতে চান। তবে রফিকুল আলম সবুজের প্রচেষ্টায় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদায়ী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবিউল্যা নবি। তিনি এখন আরো বেশি অর্থ দিয়ে এ পদটি গ্রহণ করার জন্য দেন-দরবার এবং তদবীর শুরু করেছেন। তবে নবিউল্যা নবির একটি নেতিবাচক বিষয় রয়েছে। তাহলো তিনি প্রয়াত বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত। সেকারণে এটি তার জন্য একটি নেতিবাচক দিক হতে পারে। এর বাইরেও দক্ষিণ বিএনপির হামিদুর রহমান হামিদ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রশিদ হাবিব এবং বিলুপ্ত কমিটির সিনিয়র সদস্য ইশরাক হোসেনের নামও আছে।
তবে শেষ পর্যন্ত এ পদগুলো আসলে নিলামে উঠবে। যিনি বেশি অর্থ দিবেন তিনিই হবেন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণের কাণ্ডারি।
বিএনপি মহানগর কমিটি কোটি টাকার বাণিজ্য সভাপতি সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা। আজ (শনিবার) বিকেলে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
দেখা যায়, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ মিছিলে মিছিলে আলোচনা সভায় আসছেন। এ সময় নেতারা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু,’ ‘শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা,’ ‘শেখ হাসিনা সরকার, বার বার দরকার,’ ‘উন্নয়নের সরকার, বার বার দরকার’ সহ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সঞ্চালনা করবেন সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।
আওয়ামী লীগ আলোচনা সভা মিছিল শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ইতোমধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশস্থলে এসে উপস্থিত হয়েছেন।
দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নয়াপল্টন এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি শেষ হলে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। তাদের হাতে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন রয়েছে।
দুপুর ১টার দিকে বৃষ্টি থামার পরপরই শুরু হয় মঞ্চের প্রস্তুতি। এরপরই বৃষ্টি উপেক্ষা করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের স্লোগান দিতে দেখা যায়।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছোট ছোট মিছিল, বর্ণিল টুপি, প্ল্যাকার্ড ও পোস্টারসহ সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত বুধবার তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। ঢাকায় আজকের সমাবেশের পাশাপাশি আগামী ১ জুলাই সব মহানগরে এবং ৩ জুলাই সব জেলায় সমাবেশ করবে দলটি।
বিএনপি খালেদা জিয়া আন্দোলন বৃষ্টি
মন্তব্য করুন
রাজধানীতে শনিবার (২৯ জুন) সকাল থেকেই নামছে বৃষ্টি। এই বৃষ্টি উপেক্ষা করে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনের সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
বৃষ্টির মধ্যেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছয়টি পিকআপের ওপর অস্থায়ীভাবে সমাবেশের মূল মঞ্চ তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। টানানো হয়েছে ব্যানার। মূল মঞ্চ তৈরির পাশাপাশি নয়াপল্টন থেকে শুরু করে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত এবং অন্যপাশে কাকরাইল থেকে কর্ণফুলী মার্কেট পর্যন্ত লাগানো হয়েছে মাইক।
এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সমাবেশে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বক্তব্য দেবেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার
মুক্তির দাবিতে গত বুধবার তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। আজ শনিবার (২৯ জুন) নয়াপল্টনে বিএনপির
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে বিকাল ৩টায় সমাবেশ শুরু হবে। এ ছাড়া ১ জুলাই সারাদেশে মহানগরীতে
সমাবেশ এবং ৩ জুলাই সারা দেশে জেলায় জেলায় সমাবেশ করবে দলটি।
বিএনপি সমাবেশ বৃষ্টি খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ইতোমধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশস্থলে এসে উপস্থিত হয়েছেন।
গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিনে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে তিনজন আওয়ামী লীগ নেতা খুন হয়েছে। তারা হলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে খুন হন জেলা পরিষদের সদস্য এবং নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দিনে-দুপুরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক সুরজ মিয়াকে।