ইনসাইড পলিটিক্স

দলীয় কোন্দল-সহিংসতা: কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগে দলীয় কোন্দল এবং সেখান থেকে সহিংসতা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। আর এবিষয়ে অবশেষে কঠোর হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের ভেতর বিশৃঙ্খল অবস্থা নিয়ে অত্যন্ত বিরক্ত হয়েছেন এবং তিনি এগুলো দমনের জন্য কঠোর অবস্থা নেয়ার জন্য ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক বিভিন্ন স্থানে সাংগঠনিক সম্পাদকদের তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলেছেন এবং এ তদন্ত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে যারা যে স্থানে দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং এ বৈঠকে এ বিষয়টি আলোচিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে রাজশাহীর বাঘাতে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি নিয়ে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড অত্যন্ত বিরক্ত। বিশেষ করে একজন এমপিকে ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ কর্তৃক অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার বিষয়টি আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সহজভাবে নিতে পারেননি। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে এব্যাপারে ইতোমধ্যে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে। সারাদেশের যেখানে বিশৃঙ্খলা হবে, যেখানে চেইন অব কমান্ড ভাঙ্গা হবে সেখানে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য যে, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে থেকেই আওয়ামী লীগের ভেতর কোন্দল ছড়িয়ে পড়তে থাকে। বিশেষ করে নির্বাচন উন্মুক্ত করে দেয়ার পর আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াই তীব্র হয়। এসময় আওয়ামী লীগের যারা দলীয় প্রতীক পেয়েছেন এবং যারা স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন তার মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে যায়। একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করতে থাকেন এবং পরবর্তীতে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের ভেতর এই বিরোধ আরো বাড়তে থাকে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েক দফা এই বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আহ্বান জানান। তিনি নির্বাচনে যা হবার হয়ে গেছে, ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে একসাথে সকলকে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু তারপরও বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে এবং এ সহিংসতা এখন উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে গেছে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।

এ অবস্থায় আর ধৈর্য ধরার উপায় নেয় বলেও মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেছেন যে, দ্রুতই দলের ভেতর চেইন অব কমান্ড ফিরিয়ে আনা হবে এবং এজন্য যা যা করা দরকার সেটি করা হবে। তবে আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, যে ১৮ থেকে ২০ জেলায় দলীয় কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে এবং সহিংসতা বেড়েছে সেসমস্ত এলাকাগুলোতে সাংগঠনিক সম্পাদকরা দুই পক্ষকে নিয়ে বসবে এবং শেষ বারের মতো সতর্কবার্তা দিবে। এরপরও যদি কাজ না হয় তাহলে সহিংসতার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং প্রয়োজনে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারাই যখন বিরোধে জড়িয়ে যান তখন সেটি দলের জন্য একটি খারাপ বার্তা বহন করে। সেরকম পরিস্থিতি এখন হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের নেতারা আশাবাদী। আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন, বাজেট অধিবেশন এবং প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের পর এই পরিস্থিতিগুলোর দিকে নজরদারি বাড়ানো হবে। এবং এধরনের সহিংস ঘটনার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে।


ওবায়দুল কাদের   রাজনীতি   সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শিক্ষক আর কোটা আন্দোলনে ভর করেছে বিএনপি: কাদের

প্রকাশ: ০৯:৩৫ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার পতনে নিজেদের আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি এখন শিক্ষক আর কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে সাভারের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ভুয়া দলের ভুয়া কর্মসূচি। আন্দোলন আর কবে হবে? আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এখন কোটা আর শিক্ষক আন্দোলনের ওপর ভর করেছে বিএনপি। এই পরজীবী আন্দোলন কখনো সফল হবে না।

আন্দোলনের হাট ভেঙে বিএনপি পরজীবী হয়ে পড়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপির মনের জোর কমে গেছে। তবে বেড়েছে গলার জোর। শক্তি যত কমে, মুখের বিষ তত উগ্র হয়ে ওঠে।

বিএনপির নেতাদের মুখের কোনো লাগাম নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতিতে বিএনপি বেপরোয়া চালক। বিএনপি এখন চলে না। খালেদা জিয়ার বদলে বিএনপি চালায় তারেক রহমান।

লন্ডনের ফরমায়েশে বিএনপির কার কখন পদ যায় দলটির নেতারা সেই আতংকে আছেন মন্তব্য করে কাদের বলেন, ফখরুলসহ বিএনপির সবাই এখন তারেক আতংকে আছে।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা নিয়ে সমালোচনায় নেমেছেন বিএনপির নেতারা। এদিন তাদের সমালোচনা জবাব দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যে দলের নেত্রী ভারত গিয়ে গঙ্গার পানির হিস্যার কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলেন, সেই বিএনপির নেতারা এখন কোন মুখে পানি চুক্তির কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি আবারও আগুন সন্ত্রাস করতে এলে খবর আছে। আন্দোলনে আপত্তি নেই, কিন্তু আগুন সন্ত্রাস ও রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করলে খবর আছে।

কোটা বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ, বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি ঘোষণা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ, বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি ঘোষণা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালোর দিকে যাচ্ছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, রিজার্ভ বাড়তে শুরু করেছে। জিনিসপত্রের দামও কমে আসবে।

তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়বে আওয়ামী লীগ। দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই হবে। জনপ্রতিনিধিরা সৎ হলে দুর্নীতিবাজরা পালিয়ে যাবে। কাজেই জনপ্রতিনিধিদের সৎ হতে হবে।


ওবায়দুল কাদের   রাজনীতি   সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে আপত্তি নেই ভারতের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে ভারতের কোনো আপত্তি নেই। ভারত সফরের সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এই সফরের কথা জানিয়েছিলেন। বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে স্মার্ট লাইব্রেরি ও ওয়েবসাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। গত ১৫ বছর ধরে আমরা এটাই করে আসছি। বিএনপির শাসনামলে বাংলাদেশ ভারতীয় পণ্যের বাজারে পরিণত হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেবল শ্রমিক রপ্তানির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সৌদি আরব বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগে আগ্রহী। কিছু অসাধু শ্রম রপ্তানিকারকদের কারণে যে শ্রমিকরা কাজ পায় না, তাদের ঠেকাতে দুই দেশের মধ্যে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠনের আলোচনা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আগামী ৮ জুলাই চার দিনের সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই দীর্ঘদিন পর দ্বিপক্ষীয় সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে ১০টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।


প্রধানমন্ত্রী   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ভারত   চীন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যুক্তরাজ্যের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আগামীকাল যুক্তরাজ্যের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে যে সমস্ত আগাম জরিপ প্রকাশিত হচ্ছে, তাতে ঋষি সুনাকের ভরাডুবি অত্যাসন্ন বলেই মনে করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন পর লেবার পার্টি ব্রিটেনের সরকার গঠন করতে পারে এমন আভাসও দেখা যাচ্ছে। তবে এ সব পূর্বাভাসকে পাশ কাটিয়ে নির্বাচনের ফলাফলের দিকে দৃষ্টি রয়েছে সবার।

বাংলাদেশে এই নির্বাচন নানা কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। ভারতের নির্বাচনের দিকে যেমন আওয়ামী লীগ-বিএনপি উভয় রাজনৈতিক দল তাকিয়ে ছিল। এবার যুক্তরাজ্যে নির্বাচনের দিকেও প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল নজর রাখছে। নানা কারণে এই নির্বাচন আওয়ামী লীগ-বিএনপি উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে যদি শেষ পর্যন্ত কনজারভেটিভ পার্টি পরাজিত হয় এবং লেবার পার্টি সরকার গঠন করে তাহলে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সে দেশে থাকাটা কঠিন হয়ে পড়বে।

ইতিমধ্যে তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করছে বলে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন। যদি লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসে তাহলে তারেক জিয়ার রাজনৈতিক আশ্রয় জটিল হয়ে পড়বে। কারণ লেবার পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। তাছাড়া এবার লেবার পার্টি থেকে যারা নির্বাচন করছেন তাদের মধ্যে অন্যতম রয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিকি। এই নির্বাচনে যদি লেবার পার্টি সরকার গঠন করে তাহলে টিউলিপ সিদ্দিকের মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ লেবার পার্টির ছায়া ক্যাবিনেটে টিউলিপ সিদ্দিকী ছায়া মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। লেবার পার্টিতে তার প্রভাব অনেক বেশি৷

তাছাড়াও লেবার পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। ৭৫’র ১৫ আগস্টের পর বিশ্বে যে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে জনমত গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল তা ব্রিটেন থেকে শুরু হয়েছিল। এবং শেখ হাসিনার পক্ষে সেসময় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে যারা দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁরা প্রায় সবাই লেবার পার্টির এমপি।

আর এবারও আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিটেনের কাছ থেকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ডিত তারেক জিয়াকে ফেরত চাইছেন। আর এক্ষেত্রে লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসলে ফিরিয়ে আনার পথ অনেক সহজ হবে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর জন্য ফাস্ট ট্র্যাক চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। আর এই চুক্তির আওতায় বেশ কিছু অভিবাসীদেরকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

কনজারভেটিভ পার্টির সঙ্গে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়ার একটি গোপন সম্পর্ক রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র বলছে। বিশেষ করে যেসমস্ত পাকিস্তান বংশোদ্ভূত ব্যক্তি রয়েছেন তাদের একটি প্রভাব কনজারভেটিভ পার্টিতে রয়েছে। এই কারণেই তারেকের সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ এবং সেখানে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা সহজ হচ্ছে।

সেখানে যদি সরকার পরিবর্তন হয় এবং লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসে তাহলে তারেক জিয়ার সাথে এই সম্পর্কের ইতি ঘটবে বলে অনেকে মনে করছেন। তারেক জিয়া এবং তার অনুগত বাহিনীরা টিউলিপ সিদ্দিকীকে নির্বাচনে পরাজিত করার জন্য একধরনের প্রচারণা করছে। যেটি লন্ডনে বাঙালীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কারণ লন্ডনে দলমত নির্বিশেষে বাঙালি অভিবাসীদের পক্ষে সবাই একাট্টা। এখানে তারা আওয়ামী লীগ-বিএনপি দেখতে চায় না। কিন্তু তারেক জিয়া বাঙালিদের মধ্যেই বিভক্তি সৃষ্টির মতো ন্যাক্কারজনক কাজ করছেন এবং টিউলিপ সিদ্দিকীর নির্বাচনী এলাকায় টিউলিপ সিদ্দিকী বিরোধী প্রচারণা করা হচ্ছে। যদিও এই প্রচারণা হালে পানি পায়নি। কারণ ব্রিটিশ নাগরিকরা তারেক জিয়ার এই কুৎসিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকে মোটেও আমলে নিচ্ছে না। আর এ বাস্তবতায় শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের ফলাফল কি হয় সেটির উপর তারেক জিয়ার থাকা না থাকা অনেকটাই নির্ভর করছে। একারণেই এ নির্বাচন বাংলাদেশের প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির কাছে আলাদা গুরুত্ব বহন করছে।


যুক্তরাজ্য নির্বাচন   লেবার পার্টি   কনজারভেটিভ পার্টি   আওয়ামী লীগ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জাহাঙ্গীর আলমকে বাদ দিয়ে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সম্মেলনের ১৯ মাস ১৪ দিন পর ঘোষণা করা হয়েছে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি। তবে এ কমিটিতে জায়গা হয়নি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাঙ্গাঙ্গীর আলম। তাঁকে কোনো পদে, এমনকি সদস্য হিসেবেও রাখা হয়নি।

বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট এই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির(২০২২-২০২৫) অনুমোদন দেন। কমিটিতে উপদেষ্টা পরিষদের ২৮ সদস্যের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছিল। ওই সম্মেলনে শুধু সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের পদে নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর দীর্ঘ সময় চলে গেলেও করা হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। নিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।


জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অনুমোদনে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আজমত উল্লা খানকে সভাপতি আতা উল্যাহ মন্ডলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এছাড়া কমিটির সহ-সভাপতি করা হয়েছে সামসুন নাহার ভূঁইয়া, মতিউর রহমান, আবদুল হাদী, রেজাউল করিম ভূঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, ওসমান আলী, আসাদুর রহমান, সফর উদ্দিন খান, শেখ মো. আসাদুল্লাহ, হেদায়েতুল ইসলাম মো. আবদুল আলীম মোল্লাকে।

কমিটির অন্যান্য পদের নেতারা হলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন সরকার, কাজী ইলিয়াস আহমেদ বি এম নাসির উদ্দিন।


কমিটিতে স্থান পেয়েছেন আইনবিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন, কৃষি সমবায়বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন মোল্লা, তথ্য গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ফজলুর রহমান, ত্রাণ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মওলানা আক্তার হোসেন গাজীপুরী, প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হালিম সরকার, বন পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সাইজ উদ্দিন মোল্লা, বিজ্ঞান প্রযুত্তিবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ উল্লাহ, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক হোসনে আরা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. খালেকুজ্জামান, যুব ক্রীড়া সম্পাদক হীরা সরকার, শিক্ষা মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান, শিল্প বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. বাছির উদ্দিন এবং শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো. সোলায়মান মিয়া।


কমিটিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল মেহের আফরোজ চুমকি এবং কাজী আলিম উদ্দিন, অধ্যাপক এম বারী, ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, মো. আবদুর রউফসহ ৩৬ জনকে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয় ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর। সে সময় সভাপতি করা হয় আজমত উল্লা খানকে আর সাধারণ সম্পাদক করা হয় আতা উল্যাহ মন্ডলকে। জাহাঙ্গীর আলম দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর সাধারণ সম্পাদক পদে আসেন আতা উল্যাহ মন্ডল। আজ ঘোষিত নতুন কমিটিতে আজমত উল্লা খানকে সভাপতি আতা উল্যাহ মন্ডলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।


এর আগে ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠে সম্মেলন শেষে মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতার নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে জাহাঙ্গীর আলমকে দলে ফিরিয়ে আনেন ওবায়দুল কাদের।

বিষয়টি পত্রের মাধ্যমেও জানানো হয়। দীর্ঘদিন পর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলেও এবার সদস্য হিসেবেও জাহাঙ্গীর আলমকে রাখা হয়নি।


গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ   কমিটি ঘোষণা   পূর্ণাঙ্গ কমিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবেদন শুরু

প্রকাশ: ০৯:৪৮ এএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২৪-এর জন্য আবেদনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।  ‍তিনি  মঙ্গলবার (২ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড পেজ থেকে নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন।  

এতে তিনি লেখেন-উদ্ভাবনী শক্তিতে উদ্ভাসিত তরুণদের স্বীকৃতি দিতে আবারও ফিরে এলো সেই আয়োজন। জাতিকে আপনাদের অবিশ্বাস্য এবং অদম্য সব কার্যক্রমের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করতে নিজ এলাকা বা সমাজের উন্নয়নের জন্য নেওয়া উদ্ভাবনী সব উদ্যোগ নিয়ে সামনে এগিয়ে আসার সময় এখনই।

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের অষ্টম আসরের জন্য আবেদন করা যাবে এখন থেকেই। 

জয় আরও লেখেন, অক্লান্তভাবে নীরবে নিজের কমিউনিটি এবং দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা আমাদের দেশের সফল তরুণদের পুরস্কৃত করতে তাদের সঙ্গে একটি নেটওয়ার্ক স্থাপনের উদ্দেশ্য নিয়ে ইয়াং বাংলা প্রায় এক দশক আগে যাত্রা শুরু করে। আমাদের এই কার্যক্রমে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসা এবং এই প্লাটফর্মকে শক্তিশালী করার জন্য তারুণ্যনির্ভর সব সংগঠনকে ধন্যবাদ।

আবেদনের শেষ তারিখ ৩০ জুলাই। জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ আবেদনের প্রক্রিয়া অন্যান্য তথ্য বিস্তারিত জানা যাবে এই লিঙ্কে:  https://jbya.youngbangla.org/


জয়   বাংলা   ইয়ুথ   অ্যাওয়ার্ড   আবেদন   শুরু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন