ইনসাইড পলিটিক্স

সন্ত্রাসের নাটের গুরুদের তালিকা করছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এখন সন্ত্রাস এবং সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। এ সমস্ত সন্ত্রাস এবং সহিংসতার কারণে বেশ কিছু নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছে। এই অবস্থা আর চলতে দেওয়া যায় না বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। জাতীয় সংসদের অধিবেশন শেষ হওয়ার পরই আওয়ামী লীগ অভ্যন্তরীণ এই কোন্দল মেটানোর জন্য সাঁড়াশি অভিযান শুরু করবে।

আওয়ামী লীগের ভিতর খুব শীঘ্রই একটি শুদ্ধি অভিযান হতে যাচ্ছে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা নিশ্চিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে। আর এই অভিযানে সন্ত্রাসের নাটের গুরু যারা তাদেরকে চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং এই সমস্ত নাটের গুরুদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে রাজশাহী, মুন্সীগঞ্জ, গোপালগঞ্জসহ দেশের অন্তত ২২টি জেলায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রবল আকার ধারণ করেছে। এই সমস্ত অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সহিংসতার ঘটনাও ঘটছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আওয়ামী লীগ সুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলেও আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা নিশ্চিত করেছেন।

আওয়ামী লীগের একজন সদস্য বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত এবং এই ব্যাপারে তিনি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিটি এলাকায় সন্ত্রাস এবং সহিংসতার জন্য নাটের গুরুদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। বিশেষ করে এই সমস্ত ঘটনার ক্ষেত্রে যারা প্রকৃত দোষী তাদেরকেই চিহ্নিত করা এবং এই দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা অনেক পরের বিষয়। প্রথমে দুই পক্ষের বিরোধ কমানোর জন্য দুই পক্ষকে পাশাপাশি বসানো হবে এবং শেষ বারের মতো তাদেরকে সতর্ক করা হবে। যে সমস্ত এলাকাগুলোতে দুই পক্ষ হানাহানি করছে, তাদের নেতৃবৃন্দকে একত্রে বসানো হবে। নির্দিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে এই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তারা বিবাদমান দুই পক্ষের সঙ্গে বসবেন এবং আওয়ামী লীগ সভাপতির পক্ষ থেকে সহিংসতা মেটানোর জন্য শেষ সতর্কবার্তা দেবেন। এই সতর্কবার্তাও যদি তারা না শোনেন তারপরেই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় সংসদের অধিবেশন শেষ হলেই সারা দেশে সাংগঠনিক কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। পুরো জুলাই মাস ধরেই এই কর্মসূচি পালিত হবে। আগস্ট মাস শোকের মাস। শোকের মাসের আগে যেন অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং বিরোধগুলোর মীমাংসা হয় সে ব্যাপারে আওয়ামী লীগ একটি সুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মনে করছেন যে, সাংগঠনিক সফর, কর্মসূচি এবং উভয় পক্ষের মধ্যে আলাপ আলোচনা হলে এই ধরনের সমস্যাগুলো অনেকটাই কেটে যাবে। কিন্তু তারপরও যদি কেউ সমস্যা করে, কোন্দল অব্যাহত রাখে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য যে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল তীব্র আকার ধারণ করেছিল এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সতন্ত্র কৌশলের কারণে এই সংঘাত আরও বেড়ে যায়। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি বারবার সন্ত্রাস-সহিংসতা বন্ধের কথা বললেও বিভিন্ন এলাকায় এই কোন্দল কমেনি। আর একারণেই আওয়ামী লীগ এই কোন্দল কমানোর জন্য এখন বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করতে যাচ্ছে।


আওয়ামী লীগ   অভ্যন্তরীণ কোন্দল   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

হঠাৎ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০২:৪২ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তবে অন্যান্য দিনের মতো এদিন সংবাদ সম্মেলনটি খুব একটা দীর্ঘ হয়নি।

পরে সংবাদ সম্মেলন শেষ করে দপ্তর কক্ষে চলে যান ওবায়দুল কাদের। ওই কক্ষে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

এসময় সোয়া ১টার দিকে দপ্তর কক্ষে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দুই মন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠকে বসেন।

এদিকে বেলা ১টা ৩২ মিনিটে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একই সময়ে আসেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার চাপা। পরে তারা দুইজনও যোগ দেন বৈঠকে। এছাড়াও বৈঠকে আসতে দেখা গেছে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াকে।

দলীয় সূত্রমতে জানা যায়, হঠাৎ করেই এ বৈঠকটির আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। বৈঠকে শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ, আইনগত দিক ও সম্ভাব্য করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে জনদুর্ভোগ পরিহার করা দরকার। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন। উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আমরা মনে করি উচ্চ আদালত বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে রায় দেবেন।’

এছাড়াও সরকার কোটা বাতিলের পক্ষে আন্তরিক বলেই অ্যাটর্নি জেনারেল আপিল করেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আদালত কোটা বাতিলের পরিপত্র বাতিল করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে ফের আপিল করা হয়েছে। তাই উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে জনদুর্ভোগ পরিহার করা দরকার।’

কোটা আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে রাজনৈতিক ইস্যু যুক্ত হয়েছে। বিএনপি এই আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। তারা (বিএনপি) সাপোর্ট করেছে। সাপোর্ট করা মানেই যুক্ত হয়ে যাওয়া। কারা যুক্ত হয়েছে, কোনও ষড়যন্ত্রের অংশ কী না, সব কিছু সময় বলে দেবে।’


ওবায়দুল কাদের   রাজনীতি   সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আবারও হাসপাতালে খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ০৮:১৫ এএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। সোমবার (৮ এপ্রিল) ভোররাত ৪টা ২০ মিনিটের দিকে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল নেওয়া হয়।

এর আগে রাত তিনটার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত ২১ জুন দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর দ্রুত তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়।

হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হওয়ায় বিদেশি চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে ২৩ জুন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর হৃদযন্ত্রে স্থায়ী পেসমেকার বসানো হয়। পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ১০ দিন পর ২ জুলাই হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আরথ্রাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।


হাসপাতাল   খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায় লেবার পার্টি: এবার কী তবে দেশে ফিরছেন তারেক?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবির মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে লেবার পার্টি। কিন্তু লেবার পার্টির এই ভুমিধস বিজয়ে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মত অবস্থা লন্ডনে পলাতক তারেকের। কেননা, লেবার পার্টি বরাবরই তারেকের লন্ডনে থাকার বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে আসছিল। কনজারভেটিভ পার্টির ছাতা তারেকের মাথা থেকে সরে যাওয়ায় লেবার পার্টির বিজয়কে কোন ভাবেই হজম করতে পারছেন না বিএনপির ভারপ্রাপ্ত এই চেয়ারম্যান। 

তারেকের শেষ আশ্রয়স্থল লন্ডনেও কি তার এখন ঠাঁই হবে কিনা এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলগুলোতে ইতিমধ্যেই নানা ধরনের সমালোচনা শুরু হয়েছে। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কী তারেকের আর লন্ডনে থাকা হবেনা! এবার কী তবে দেশে ফিরছেন তারেক? দেশে ফেরার পর কি হবে তারেকের!

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ইতোমধ্যেই তার ১ম কার্যদিবসে অভিবাসীদের জন্য তৈরি রুয়ান্ডা নীতি বাতিল করেছেন। কারন, রুয়ান্ডা নীতি অভিবাসীদের ঠেকাতে কোন কার্যকর সমাধান নয় বলেই মনে করেন তিনি।

লেবার পার্টির এই নেতা তার ১ম কার্যদিবসেই অভিবাসীদের নিয়ে কাজ শুরু করাতে একটু বেশিই বিপদে রয়েছেন লন্ডনে পলাতক তারেক। কেননা, লেবার পার্টি অভিবাসন নীতিতে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে, কোন দন্ডিত ব্যক্তি যুক্তরাজ্যের ভূখণ্ডে থাকতে পারবেনা। যেখানে কনজারভেটিভ পার্টির আনুকূল্যে এতদিন ধরে লন্ডনে পলাতক অবস্থায় রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

লেবার পার্টির অভিবাসন নীতিতে এমনটাও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে যাদেরকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হয়েছে তা একটি মানবিক আশ্রয় মাত্র। রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা কোন ব্যক্তি যুক্তরাজ্যে বসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবেন না। যদি কেউ এমনটি করে থাকে, তবে সেক্ষেত্রে তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। 

২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের  সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে তারেক জিয়া লন্ডনে গিয়েছিলেন। সেই মুচলেকায় বলা হয়েছিল, তিনি আর কখনো রাজনীতি করবেন না। কিন্তু লন্ডনে গিয়ে তিনি আবারও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন এবং বর্তমানে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

লন্ডনে বসে পলাতক তারেক আর কতদিন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবেন সেটি নিয়েও এখন রাজনৈতিক মহলগুলোতে চলছে নানা ধরনের আলোচনা ও সমালোচনা। কেননা, অভিবাসন নীতির সমস্ত কার্যক্রম অল্প কিছুদিনের মধ্যেই লেবার পার্টি শুরু করে দেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে খুব দ্রুতই ব্যবস্থা নেবে লেবার পার্টি। যে কারণে লন্ডনে বসে তারেকের সহিংসতা, চাঁদাবাজি, জ্বালাও-পোড়াও, খুন, অর্থপাচারসহ সব ধরনের নাশকতার দিন ঘনিয়ে আসছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে তারেক আর কতদিন লন্ডনে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে সেটিই এখন দেখার বিষয়।


যুক্তরাজ্য   লেবার পার্টি   তারেক জিয়া   লন্ডন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘মন্ত্রী, সচিব ও কর্মকর্তারা সৎ থাকলে দুর্নীতির সুযোগ থাকবে না’

প্রকাশ: ১২:৩০ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “মন্ত্রী, সচিব কর্মকর্তারা সৎ থাকলে দুর্নীতি হওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। দুর্নীতি এখন বেপরোয়া গতিতে বিস্তার লাভ করছে। কিন্তু ধরা পড়ে অনেক পরে। দুর্নীতির জন্য যে মূল্য দিতে হয়, সেটা আমাদের জন্য সত্যিই দুঃখজনক দুর্ভাগ্যজনক। দেশের অর্থনৈতিক সম্পদ মাথায় রেখে সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিতে হবে।”

রোববার ( জুলাই) সড়ক পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, কোনো পলিটিক্যাল তদবিরে কাউকে বদলি করা যাবে না। এক্ষেত্রে আগে বিআরটিএতে প্রচুর লেনদেন হত। তার বিনিময়ে কর্মকর্তাদের বদলির কাজ চলত। সেটি অনেকাংশে বন্ধ হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। তবে বিভিন্ন স্থানে অনেক অপকর্ম হয়। সর্ষের মধ্যে দালালদের মতো ভূত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কোনো অবস্থাতেই শ্রীলংকার দৃষ্টান্তের পুনরাবৃত্তি কিংবা শ্রীলংকার ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। ভালো কাজের যেমন পুরস্কার, সেভাবে খারাপ কাজের জন্য নিন্দা শাস্তির ব্যবস্থা থাকা দরকার।


মন্ত্রী   সচিব   কর্মকর্তা   সৎ   দুর্নীতি   সুযোগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল মহানগরে বিএনপির আংশিক কমিটি গঠন

প্রকাশ: ১১:৩২ এএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ, চট্টগ্রাম এবং বরিশাল মহানগর বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার ( জুলাই) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়।

এতে জানানো হয়েছে, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরবকে আহ্বায়ক বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ফুটবলার আমিনুল হককে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুকে আহ্বায়ক সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ রবিনকে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।

অন্যদিকে বিএনপি নেতা এরশাদুল্লাহকে আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রদল নেতা নাজিমুর রহমানকে সদস্য সচিব করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।

এছাড়া বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুককে আহ্বায়ক, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়াকে সদস্য সচিব সাবেক ছাত্রদল নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিনকে নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক করে বরিশাল মহানগর বিএনপির তিন সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।

এর আগে গত ‌১৪ জুন রাতে ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণসহ, চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগরের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। একইদিন বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়।


ঢাকা   চট্টগ্রাম   বরিশাল   মহানগর   বিএনপি   আংশিক   কমিটি   গঠন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন