ইনসাইড পলিটিক্স

মিথ্যাচার-অপপ্রচার বিএনপির একমাত্র রাজনৈতিক হাতিয়ার: কাদের

প্রকাশ: ০২:৪১ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার বিএনপির একমাত্র রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। তাদের মিথ্যাচার অপপ্রচার জনগণের সামনে প্রকাশিত হওয়ায় বিএনপি বার বার জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়েও তারা মিথ্যাচার করছে। খালেদা জিয়া চিকিৎসাগ্রহণ শেষে বাসায় ফিরে গেছেন। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি কোনো রাজনৈতিক বিষয় না। এটা আইনগত বিষয়। আইনগত বিষয়ে বিএনপি আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবিলা না করে বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর অপচেষ্টা করছে।

বিএনপি কখনোই জনগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হয়ে উঠতে পারেনি বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের অবস্থান সবসময় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিপরীত মেরুতে। বিএনপি তাদের দোসররা তাদের সেই আদর্শগত অবস্থান পরিবর্তন না করায় আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিরাজমান সংকটের সমাধান দুরূহ। এই সংকট মোকাবিলায় মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশাসী সবাইকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। 

বৃহস্পতিবার ( জুলাই) দুপুরে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন করছে। কিন্তু সেই আন্দোলনে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বিএনপি জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুকে প্রাধান্য না দিয়ে একটি অরাজনৈতিক বিষয়কে রাজনৈতিক ইস্যু করার অপচেষ্টা করছে। আর বিএনপি যখনই তাদের তথাকথিত আন্দোলন নিয়ে মাঠে নামে তখন তারা তাদের সন্ত্রাসী ক্যাডারবাহিনীকে সক্রিয় করে। বিএনপি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী ক্যাডারবাহিনীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অপচেষ্টা করে। আর এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা মিথ্যাচার-অপপ্রচারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ায়।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো অসাংবিধানিক অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় যায়নি। আওয়ামী লীগ সবসময় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। গত জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। দেশের গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিএনপি তার দোসররা সর্বদা তৎপর থেকেছে। এটা বিএনপির জন্মগত রাজনৈতিক লিগ্যাসি। কারণ অবৈধ অসাংবিধানিক পন্থায় রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী সামরিক স্বৈরাচারের হাতে প্রতিষ্ঠিত দল কখনো গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে পারে না।

তিনি বলেন, বিএনপি যদি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন করতে সক্ষম হতো বা তাদের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে পারতো তাহলে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সৎ সাহস দেখাতে পারতো। সেটা না থাকার কারণে বরাবরই বিএনপি সন্ত্রাস সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, যারা গণতান্ত্রিক পন্থার ব্যত্যয় ঘটাতে সন্ত্রাস-সহিংসতাকে উস্কে দেওয়ার পাঁয়তারা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।


মিথ্যাচার   অপপ্রচার   বিএনপি   রাজনৈতিক   হাতিয়ার   কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আবারও হাসপাতালে খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ০৮:১৫ এএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। সোমবার (৮ এপ্রিল) ভোররাত ৪টা ২০ মিনিটের দিকে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল নেওয়া হয়।

এর আগে রাত তিনটার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত ২১ জুন দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর দ্রুত তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়।

হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হওয়ায় বিদেশি চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে ২৩ জুন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর হৃদযন্ত্রে স্থায়ী পেসমেকার বসানো হয়। পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ১০ দিন পর ২ জুলাই হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আরথ্রাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।


হাসপাতাল   খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায় লেবার পার্টি: এবার কী তবে দেশে ফিরছেন তারেক?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবির মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে লেবার পার্টি। কিন্তু লেবার পার্টির এই ভুমিধস বিজয়ে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মত অবস্থা লন্ডনে পলাতক তারেকের। কেননা, লেবার পার্টি বরাবরই তারেকের লন্ডনে থাকার বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে আসছিল। কনজারভেটিভ পার্টির ছাতা তারেকের মাথা থেকে সরে যাওয়ায় লেবার পার্টির বিজয়কে কোন ভাবেই হজম করতে পারছেন না বিএনপির ভারপ্রাপ্ত এই চেয়ারম্যান। 

তারেকের শেষ আশ্রয়স্থল লন্ডনেও কি তার এখন ঠাঁই হবে কিনা এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলগুলোতে ইতিমধ্যেই নানা ধরনের সমালোচনা শুরু হয়েছে। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কী তারেকের আর লন্ডনে থাকা হবেনা! এবার কী তবে দেশে ফিরছেন তারেক? দেশে ফেরার পর কি হবে তারেকের!

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ইতোমধ্যেই তার ১ম কার্যদিবসে অভিবাসীদের জন্য তৈরি রুয়ান্ডা নীতি বাতিল করেছেন। কারন, রুয়ান্ডা নীতি অভিবাসীদের ঠেকাতে কোন কার্যকর সমাধান নয় বলেই মনে করেন তিনি।

লেবার পার্টির এই নেতা তার ১ম কার্যদিবসেই অভিবাসীদের নিয়ে কাজ শুরু করাতে একটু বেশিই বিপদে রয়েছেন লন্ডনে পলাতক তারেক। কেননা, লেবার পার্টি অভিবাসন নীতিতে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে, কোন দন্ডিত ব্যক্তি যুক্তরাজ্যের ভূখণ্ডে থাকতে পারবেনা। যেখানে কনজারভেটিভ পার্টির আনুকূল্যে এতদিন ধরে লন্ডনে পলাতক অবস্থায় রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

লেবার পার্টির অভিবাসন নীতিতে এমনটাও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে যাদেরকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হয়েছে তা একটি মানবিক আশ্রয় মাত্র। রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা কোন ব্যক্তি যুক্তরাজ্যে বসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবেন না। যদি কেউ এমনটি করে থাকে, তবে সেক্ষেত্রে তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। 

২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের  সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে তারেক জিয়া লন্ডনে গিয়েছিলেন। সেই মুচলেকায় বলা হয়েছিল, তিনি আর কখনো রাজনীতি করবেন না। কিন্তু লন্ডনে গিয়ে তিনি আবারও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন এবং বর্তমানে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

লন্ডনে বসে পলাতক তারেক আর কতদিন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবেন সেটি নিয়েও এখন রাজনৈতিক মহলগুলোতে চলছে নানা ধরনের আলোচনা ও সমালোচনা। কেননা, অভিবাসন নীতির সমস্ত কার্যক্রম অল্প কিছুদিনের মধ্যেই লেবার পার্টি শুরু করে দেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে খুব দ্রুতই ব্যবস্থা নেবে লেবার পার্টি। যে কারণে লন্ডনে বসে তারেকের সহিংসতা, চাঁদাবাজি, জ্বালাও-পোড়াও, খুন, অর্থপাচারসহ সব ধরনের নাশকতার দিন ঘনিয়ে আসছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে তারেক আর কতদিন লন্ডনে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে সেটিই এখন দেখার বিষয়।


যুক্তরাজ্য   লেবার পার্টি   তারেক জিয়া   লন্ডন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘মন্ত্রী, সচিব ও কর্মকর্তারা সৎ থাকলে দুর্নীতির সুযোগ থাকবে না’

প্রকাশ: ১২:৩০ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “মন্ত্রী, সচিব কর্মকর্তারা সৎ থাকলে দুর্নীতি হওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। দুর্নীতি এখন বেপরোয়া গতিতে বিস্তার লাভ করছে। কিন্তু ধরা পড়ে অনেক পরে। দুর্নীতির জন্য যে মূল্য দিতে হয়, সেটা আমাদের জন্য সত্যিই দুঃখজনক দুর্ভাগ্যজনক। দেশের অর্থনৈতিক সম্পদ মাথায় রেখে সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিতে হবে।”

রোববার ( জুলাই) সড়ক পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, কোনো পলিটিক্যাল তদবিরে কাউকে বদলি করা যাবে না। এক্ষেত্রে আগে বিআরটিএতে প্রচুর লেনদেন হত। তার বিনিময়ে কর্মকর্তাদের বদলির কাজ চলত। সেটি অনেকাংশে বন্ধ হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। তবে বিভিন্ন স্থানে অনেক অপকর্ম হয়। সর্ষের মধ্যে দালালদের মতো ভূত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কোনো অবস্থাতেই শ্রীলংকার দৃষ্টান্তের পুনরাবৃত্তি কিংবা শ্রীলংকার ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। ভালো কাজের যেমন পুরস্কার, সেভাবে খারাপ কাজের জন্য নিন্দা শাস্তির ব্যবস্থা থাকা দরকার।


মন্ত্রী   সচিব   কর্মকর্তা   সৎ   দুর্নীতি   সুযোগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল মহানগরে বিএনপির আংশিক কমিটি গঠন

প্রকাশ: ১১:৩২ এএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ, চট্টগ্রাম এবং বরিশাল মহানগর বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার ( জুলাই) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়।

এতে জানানো হয়েছে, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরবকে আহ্বায়ক বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ফুটবলার আমিনুল হককে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুকে আহ্বায়ক সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ রবিনকে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।

অন্যদিকে বিএনপি নেতা এরশাদুল্লাহকে আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রদল নেতা নাজিমুর রহমানকে সদস্য সচিব করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।

এছাড়া বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুককে আহ্বায়ক, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়াকে সদস্য সচিব সাবেক ছাত্রদল নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিনকে নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক করে বরিশাল মহানগর বিএনপির তিন সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।

এর আগে গত ‌১৪ জুন রাতে ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণসহ, চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগরের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। একইদিন বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়।


ঢাকা   চট্টগ্রাম   বরিশাল   মহানগর   বিএনপি   আংশিক   কমিটি   গঠন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে সতর্ক সকল পক্ষ

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে যাচ্ছেন। ৯ জুলাই চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এবারের চীন সফর নানা কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখা এবং নতুন নতুন বিনিয়োগ ও বাণিজ্য প্রসারের জন্য চীনের এ সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ চীন সফর নিয়ে সরকারের ভিতর সাজ সাজ রব দেখা যাচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন সতী চীন সফর নিয়ে সতর্ক পর্যবেক্ষণ করছেন। 

এবারের চীন সফরের ৭০০ কোটি ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে ২০০ কোটি ডলার হলো বাজেট সহায়তার। এ চীন সফর নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো যেমন সতর্ক পর্যবেক্ষণ করছে, তেমনই বিশ্বের অনেকগুলো দেশ যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার এবং রাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ তারাও এ সফরের দিকে সতর্কভাবে নজর রাখছে।

চীন সফরের ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান সুস্পষ্ট। বিএনপি মনে করছে, চীনের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা নেয়ার জন্যই প্রধানমন্ত্রী চীনে যাচ্ছেন। চীন সফর নিয়ে ভারতকে উস্কে দেয়ার চেষ্টাও বিএনপি নেতারা করেছে কিন্তু সেক্ষেত্রে তারা সফল হতে পারেনি। তবে চীন সফর নিয়ে বিএনপির মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি রাজনৈতিকভাবে চীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে যায় তাহলে বিএনপির সামনে আর কোনো আন্তর্জাতিক বন্ধু থাকবে না। এরকম একটি বাস্তবতায় বিএনপি দেখতে চায় যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে রাজনৈতিক সখ্যতা কতদূর পর্যন্ত গড়ায়। 

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে সবচেয়ে বেশি সতর্ক পর্যবেক্ষণে রয়েছে ভারত। যদিও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের বিষয়টি ভারত অবহিত। ভারতের অবহিত না থাকার কোনো কারণ নেই।’ তবে এই সফরে কয়েকটি স্পর্শকাতর বিষয়ের দিকে ভারত নজর রাখছে। বিশেষ করে তিস্তার জলাধার নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে ভারত গভীরভাবে নজর রাখবে বলে জানা গেছে। 

বিভিন্ন সূত্র বলছে, ৭০০ কোটি ডলারের উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর হবে। এ চুক্তিগুলোর মধ্যে ভারতের স্বার্থ ক্ষুণ্নকারী কোনো চুক্তি আছে কিনা সে বিষয়টির দিকেও নজর রাখছে ভারত। তবে সরকারের ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তি বলেছে, বাংলাদেশ প্রতিবেশীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে এমন কোনো চুক্তি কারও সাথেই করবে না। তবে এ সফরে শেষ পর্যন্ত কি কি বিষয়ে দুই সরকারের সমঝোতা হয় সেদিকে নজর রাখছেন সংশ্লিষ্ট সকলে। 

চীন সফর নিয়ে আগ্রহ রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে অতীত ভুলে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। আর সে চেষ্টার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের নির্বাচনকে তারা ত্রুটিমুক্ত বলেও মেনে নিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে সরিয়ে নিয়েছেন নতুন রাষ্ট্রদূতকে নিয়োগ দিয়েছে। এরকম বাস্তবতায় চীন সফরে গিয়ে কি কি হয় সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া নজর রয়েছে। কারণ এ অঞ্চল যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় হাতছাড়া হওয়ার জোগাড় হয়েছে। আর এ কারণেই এখন বাংলাদেশ চীন বলয়ে প্রবেশ করে কিনা সেটির জন্য গভীর আগ্রহে পর্যবেক্ষণ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।


প্রধানমন্ত্রী   চীন সফর   বাণিজ্য চুক্তি   রাজনৈতিক সখ্যতা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন