বাংলাদেশ ও চীন কিভাবে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একসঙ্গে কাজ করবে, তা নির্ধারণ করা হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন বেইজিং সফরে, জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিঙ।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বার্তায় এ তথ্য জানান, যা ঢাকায় চীনের দূতাবাস থেকে প্রকাশ করা হয়েছে।
মাও নিঙ বলেন, প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৮ থেকে ১০ জুলাই চীন সফর করবেন। এই সফরে তিনি চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন দলিল স্বাক্ষরের সময় উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। সফরের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন-বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত সামিটে অংশগ্রহণ করবেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও জানান, দুই দেশ কিভাবে একসঙ্গে এগিয়ে যাবে এবং পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষা করে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করবে, তা এই সফরের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। চীন বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
মাও নিঙ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই সফরের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। ইতোমধ্যে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ-চীন সহযোগিতার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক একটি ভালো উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
বাংলাদেশ চীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূতাবাস
মন্তব্য করুন
যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবির মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে লেবার পার্টি। কিন্তু লেবার পার্টির এই ভুমিধস বিজয়ে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মত অবস্থা লন্ডনে পলাতক তারেকের। কেননা, লেবার পার্টি বরাবরই তারেকের লন্ডনে থাকার বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে আসছিল। কনজারভেটিভ পার্টির ছাতা তারেকের মাথা থেকে সরে যাওয়ায় লেবার পার্টির বিজয়কে কোন ভাবেই হজম করতে পারছেন না বিএনপির ভারপ্রাপ্ত এই চেয়ারম্যান।
তারেকের শেষ আশ্রয়স্থল লন্ডনেও কি তার এখন ঠাঁই হবে কিনা এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলগুলোতে ইতিমধ্যেই নানা ধরনের সমালোচনা শুরু হয়েছে। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কী তারেকের আর লন্ডনে থাকা হবেনা! এবার কী তবে দেশে ফিরছেন তারেক? দেশে ফেরার পর কি হবে তারেকের!
যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ইতোমধ্যেই তার ১ম কার্যদিবসে অভিবাসীদের জন্য তৈরি রুয়ান্ডা নীতি বাতিল করেছেন। কারন, রুয়ান্ডা নীতি অভিবাসীদের ঠেকাতে কোন কার্যকর সমাধান নয় বলেই মনে করেন তিনি।
লেবার পার্টির এই নেতা তার ১ম কার্যদিবসেই অভিবাসীদের নিয়ে কাজ শুরু করাতে একটু বেশিই বিপদে রয়েছেন লন্ডনে পলাতক তারেক। কেননা, লেবার পার্টি অভিবাসন নীতিতে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে, কোন দন্ডিত ব্যক্তি যুক্তরাজ্যের ভূখণ্ডে থাকতে পারবেনা। যেখানে কনজারভেটিভ পার্টির আনুকূল্যে এতদিন ধরে লন্ডনে পলাতক অবস্থায় রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
লেবার পার্টির অভিবাসন নীতিতে এমনটাও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে যাদেরকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হয়েছে তা একটি মানবিক আশ্রয় মাত্র। রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা কোন ব্যক্তি যুক্তরাজ্যে বসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবেন না। যদি কেউ এমনটি করে থাকে, তবে সেক্ষেত্রে তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে তারেক জিয়া লন্ডনে গিয়েছিলেন। সেই মুচলেকায় বলা হয়েছিল, তিনি আর কখনো রাজনীতি করবেন না। কিন্তু লন্ডনে গিয়ে তিনি আবারও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন এবং বর্তমানে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
লন্ডনে বসে পলাতক তারেক আর কতদিন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবেন সেটি নিয়েও এখন রাজনৈতিক মহলগুলোতে চলছে নানা ধরনের আলোচনা ও সমালোচনা। কেননা, অভিবাসন নীতির সমস্ত কার্যক্রম অল্প কিছুদিনের মধ্যেই লেবার পার্টি শুরু করে দেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে খুব দ্রুতই ব্যবস্থা নেবে লেবার পার্টি। যে কারণে লন্ডনে বসে তারেকের সহিংসতা, চাঁদাবাজি, জ্বালাও-পোড়াও, খুন, অর্থপাচারসহ সব ধরনের নাশকতার দিন ঘনিয়ে আসছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে তারেক আর কতদিন লন্ডনে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে সেটিই এখন দেখার বিষয়।
যুক্তরাজ্য লেবার পার্টি তারেক জিয়া লন্ডন
মন্তব্য করুন
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “মন্ত্রী, সচিব ও কর্মকর্তারা সৎ থাকলে দুর্নীতি হওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। দুর্নীতি এখন বেপরোয়া গতিতে বিস্তার লাভ করছে। কিন্তু ধরা পড়ে অনেক পরে। দুর্নীতির জন্য যে মূল্য দিতে হয়, সেটা আমাদের জন্য সত্যিই দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক। দেশের অর্থনৈতিক সম্পদ মাথায় রেখে সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিতে হবে।”
রোববার (৭ জুলাই) সড়ক পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, কোনো পলিটিক্যাল তদবিরে কাউকে বদলি করা যাবে না। এক্ষেত্রে আগে বিআরটিএতে প্রচুর লেনদেন হত। তার বিনিময়ে কর্মকর্তাদের বদলির কাজ চলত। সেটি অনেকাংশে বন্ধ হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। তবে বিভিন্ন স্থানে অনেক অপকর্ম হয়। সর্ষের মধ্যে দালালদের মতো ভূত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কোনো অবস্থাতেই শ্রীলংকার দৃষ্টান্তের পুনরাবৃত্তি কিংবা শ্রীলংকার ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। ভালো কাজের যেমন পুরস্কার, সেভাবে খারাপ কাজের জন্য নিন্দা ও শাস্তির ব্যবস্থা থাকা দরকার।
মন্ত্রী সচিব কর্মকর্তা সৎ দুর্নীতি সুযোগ
মন্তব্য করুন
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম এবং বরিশাল মহানগর বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার (৭ জুলাই) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়েছে, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরবকে আহ্বায়ক ও বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ফুটবলার আমিনুল হককে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুকে আহ্বায়ক ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ রবিনকে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।
অন্যদিকে বিএনপি নেতা এরশাদুল্লাহকে আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রদল নেতা নাজিমুর রহমানকে সদস্য সচিব করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।
এছাড়া বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুককে আহ্বায়ক, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়াকে সদস্য সচিব ও সাবেক ছাত্রদল নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিনকে ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক করে বরিশাল মহানগর বিএনপির তিন সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।
এর আগে গত ১৪ জুন রাতে ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণসহ, চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগরের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। একইদিন বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়।
ঢাকা চট্টগ্রাম বরিশাল মহানগর বিএনপি আংশিক কমিটি গঠন
মন্তব্য করুন
আগামী ৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে যাচ্ছেন। ৯ জুলাই চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এবারের চীন সফর নানা কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখা এবং নতুন নতুন বিনিয়োগ ও বাণিজ্য প্রসারের জন্য চীনের এ সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ চীন সফর নিয়ে সরকারের ভিতর সাজ সাজ রব দেখা যাচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন সতী চীন সফর নিয়ে সতর্ক পর্যবেক্ষণ করছেন।
এবারের চীন সফরের ৭০০ কোটি ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে ২০০ কোটি ডলার হলো বাজেট সহায়তার। এ চীন সফর নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো যেমন সতর্ক পর্যবেক্ষণ করছে, তেমনই বিশ্বের অনেকগুলো দেশ যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার এবং রাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ তারাও এ সফরের দিকে সতর্কভাবে নজর রাখছে।
চীন সফরের ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান সুস্পষ্ট। বিএনপি মনে করছে, চীনের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা নেয়ার জন্যই প্রধানমন্ত্রী চীনে যাচ্ছেন। চীন সফর নিয়ে ভারতকে উস্কে দেয়ার চেষ্টাও বিএনপি নেতারা করেছে কিন্তু সেক্ষেত্রে তারা সফল হতে পারেনি। তবে চীন সফর নিয়ে বিএনপির মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি রাজনৈতিকভাবে চীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে যায় তাহলে বিএনপির সামনে আর কোনো আন্তর্জাতিক বন্ধু থাকবে না। এরকম একটি বাস্তবতায় বিএনপি দেখতে চায় যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে রাজনৈতিক সখ্যতা কতদূর পর্যন্ত গড়ায়।
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে সবচেয়ে বেশি সতর্ক পর্যবেক্ষণে রয়েছে ভারত। যদিও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের বিষয়টি ভারত অবহিত। ভারতের অবহিত না থাকার কোনো কারণ নেই।’ তবে এই সফরে কয়েকটি স্পর্শকাতর বিষয়ের দিকে ভারত নজর রাখছে। বিশেষ করে তিস্তার জলাধার নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে ভারত গভীরভাবে নজর রাখবে বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, ৭০০ কোটি ডলারের উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর হবে। এ চুক্তিগুলোর মধ্যে ভারতের স্বার্থ ক্ষুণ্নকারী কোনো চুক্তি আছে কিনা সে বিষয়টির দিকেও নজর রাখছে ভারত। তবে সরকারের ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তি বলেছে, বাংলাদেশ প্রতিবেশীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে এমন কোনো চুক্তি কারও সাথেই করবে না। তবে এ সফরে শেষ পর্যন্ত কি কি বিষয়ে দুই সরকারের সমঝোতা হয় সেদিকে নজর রাখছেন সংশ্লিষ্ট সকলে।
চীন সফর নিয়ে আগ্রহ রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে অতীত ভুলে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। আর সে চেষ্টার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের নির্বাচনকে তারা ত্রুটিমুক্ত বলেও মেনে নিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে সরিয়ে নিয়েছেন নতুন রাষ্ট্রদূতকে নিয়োগ দিয়েছে। এরকম বাস্তবতায় চীন সফরে গিয়ে কি কি হয় সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া নজর রয়েছে। কারণ এ অঞ্চল যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় হাতছাড়া হওয়ার জোগাড় হয়েছে। আর এ কারণেই এখন বাংলাদেশ চীন বলয়ে প্রবেশ করে কিনা সেটির জন্য গভীর আগ্রহে পর্যবেক্ষণ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
প্রধানমন্ত্রী চীন সফর বাণিজ্য চুক্তি রাজনৈতিক সখ্যতা
মন্তব্য করুন
সপ্তাহ গড়ালো শিক্ষক এবং ছাত্রদের আন্দোলনে। শিক্ষার্থীরা কোটা বিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করেছে। কোটা বিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটছে। আন্দোলনে তারা দাবি করেছে, সামনের দিনগুলোতে তারা আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে দেবে। যেকোন মূল্যে তারা কোটা প্রথা বাতিল করতে বদ্ধপরিকর।
অন্যদিকে শিক্ষকরা বলছেন যে আন্দোলনটি তাদের বাঁচা মরার দাবি। অবসরের সময় তারা যেন একটি নিশ্চিন্ত জীবন পান সে জন্যই তারা পূর্বের পেনশন স্কিমের ভেতর থাকতে চাইছেন। নতুন পেনশন স্কিমের যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তা তারা গ্রহণ করতে রাজি নন। শিক্ষকরা বলছেন, এটি তাদের মুখের গ্রাস কেড়ে নেওয়ার সামিল৷
তবে এই আন্দোলনগুলো শিক্ষাঙ্গনে অচলাবস্থা তৈরি করলেও এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এই আন্দোলনকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয়। বরং আওয়ামী লীগ মনে করছে যে, এই আন্দোলন এমনিতেই থেমে যাবে। সরকার বিভিন্ন রকম কৌশল অবলম্বন করে আন্দোলনকে দুর্বল করে দিতে পারবে বলে মনে করছে।
কোটাবিরোধী আন্দোলনের বিষয়টি নিয়ে সরকারের দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন যে, এটি আদালতের বিষয়। আদালতের মাধ্যমে যা ফয়সালা হবে সেটি সরকার মেনে নেবে। সরকারের একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী বলছেন যে, ‘আমরা কোটা প্রথা বাতিল করেছিলাম। কিন্তু হাইকোর্ট মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনরায় চালু করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। এটি আদালতের বিষয়। কাজেই আদালতের বিষয় সরকারের কিছু করণীয় নেই।’
সরকার মনে করছে যে আস্তে আস্তে কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে এবং বিষয়টি নিয়ে আদালতের মাধ্যমেই সিদ্ধান্তে আসতে হবে। তাই এই আন্দোলনকে নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
তবে বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতা কোটা বিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক নানা রকম বৈঠক করছেন। বিষয়গুলো তাদেরকে বোঝাচ্ছেন এবং আদালতের মাধ্যমে যেন বিষয়টি ইতিবাচক ভাবে সমাধান হয় সে ব্যাপারে তাদেরকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা, যিনি প্রেসিডিয়ামের সদস্য তিনি স্বীকার করেছেন, কোটা বিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আওয়ামী লীগের যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে অবহিত।
অন্যদিকে পেনশন বিরোধী শিক্ষকদের আন্দোলনকে তারা স্রেফ একটি আবেগ মনে করছেন। শিক্ষকরা যুক্তির বাইরে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়েই এই আন্দোলনে জড়িত হচ্ছেন। শিগগিরই তাদের ভুল ভাঙবে এবং তারা ফিরে আসবেন বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা শিক্ষকদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ আলোচনা এবং যোগাযোগ শুরু করেছেন। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে যারা দিচ্ছেন তাদের চাবি সরকারের হাতে। সরকারপন্থি শিক্ষকরা এই আন্দোলনের মূল নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। কাজেই সরকার মনে করে, আওয়ামী লীগকে বেকায়দায় ফেলতে পারে বা আওয়ামী লীগ কোনো সংকটে পড়ে এরকম কোন ঝুঁকি শিক্ষক নেতৃবৃন্দ নেবেন না৷ শিক্ষক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ইতোমধ্যেই অনানুষ্ঠানিকভাবে একাধিক বৈঠক হয়েছে এবং আন্দোলন আস্তে আস্তে স্তিমিত হয়ে যাবে।
সরকার পর্যায়ক্রমে সব সরকারি কর্মকর্তার জন্য নতুন পেনশন স্কিম চালু করবে বলে জানিয়েছেন সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এখান থেকে সরে আসার কোনও পথ নেই৷ বরং এই পেনশন স্কিম কে আধুনিক এবং যুগোপযোগী হিসেবে অভিহিত করছে সরকার। আর এই বাস্তবতায় শিক্ষকদের আন্দোলন বেশি দূর এগোবে না বলে অনেকে মনে করছেন৷ ইতোমধ্যে দুই-একজন শিক্ষক এক পেনশন স্কিমের পক্ষে তাদের অবস্থান গ্রহণ করতে শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহ নাগাদ এই আন্দোলনের একটি স্তিমিত ভাব লক্ষ্য করা যাবে বলেও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের ধারণা। আর তাই এ দু’টি আন্দোলনের কোনটিকেই গুরুত্ব দিয়ে উদ্বিগ্ন হতে রাজি নয় আওয়ামী লীগ।
ছাত্র-শিক্ষক আন্দোলন কোটা আন্দোলন আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবির মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে লেবার পার্টি। কিন্তু লেবার পার্টির এই ভুমিধস বিজয়ে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মত অবস্থা লন্ডনে পলাতক তারেকের। কেননা, লেবার পার্টি বরাবরই তারেকের লন্ডনে থাকার বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে আসছিল। কনজারভেটিভ পার্টির ছাতা তারেকের মাথা থেকে সরে যাওয়ায় লেবার পার্টির বিজয়কে কোন ভাবেই হজম করতে পারছেন না বিএনপির ভারপ্রাপ্ত এই চেয়ারম্যান।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “মন্ত্রী, সচিব ও কর্মকর্তারা সৎ থাকলে দুর্নীতি হওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। দুর্নীতি এখন বেপরোয়া গতিতে বিস্তার লাভ করছে। কিন্তু ধরা পড়ে অনেক পরে। দুর্নীতির জন্য যে মূল্য দিতে হয়, সেটা আমাদের জন্য সত্যিই দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক। দেশের অর্থনৈতিক সম্পদ মাথায় রেখে সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিতে হবে।”
আগামী ৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে যাচ্ছেন। ৯ জুলাই চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এবারের চীন সফর নানা কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখা এবং নতুন নতুন বিনিয়োগ ও বাণিজ্য প্রসারের জন্য চীনের এ সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ চীন সফর নিয়ে সরকারের ভিতর সাজ সাজ রব দেখা যাচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন সতী চীন সফর নিয়ে সতর্ক পর্যবেক্ষণ করছেন।