ইনসাইড পলিটিক্স

ইউপি পঞ্চম ধাপ: রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে নৌকার মাঝি যারা

প্রকাশ: ০৯:২১ এএম, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail ইউপি পঞ্চম ধাপ: রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে নৌকার মাঝি যারা

পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় এই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

গতকাল বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
 
রংপুর বিভাগ: পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটিতে আব্দুর রহিম, শালডাঙ্গায় আসাদুজ্জামান চৌধুরী, পামুলীতে মনিভুষন রায়, সুন্দরদিঘীতে পরেশ চন্দ্র রায় সরকার, সোনাহার মল্লিকাদহে ইব্রাহীম খলিল, টেপ্রীগঞ্জে গোলাম রহমান সরকার, দন্ডপালে আজগর আলী, চেংঠীহাজরাডাঙ্গায় আমিনুর রহমান। দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুরে নূর ইসলাম শাহ, সাতনালায় নুর ইসলাম, ফতেজংপুরে নুর মোহাম্মদ, ইবসপুরে আবু হায়দার, আব্দুলপুরে মোখলেছার রহমান, অমরপুরে হেলাল সরকার, আউলিয়াপুকুরে হাছিবুল হাসান, সাইতাড়ায় সন্তোষ কুমার রায়, ভিয়াইলে নরেন্দ্র নাথ রায়, পুনট্টিতে নূর এ কামাল, তেতুলিয়ায় সুনীল কুমার সাহা, আলোকডিহিতে আফজাল হোসেন।

নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ীতে হাফিজুর রহমান, কেতকীবাড়ীতে রবিউল ইসলাম, গৌমনাতীতে আঃ হামিদ, জোড়াবাড়ীতে এহতেশামুল হক, বামুনিয়ায় মনোরঞ্জন রায়, পাঙ্গা মটুকপুরে এমদাদুল ইসলাম, বোড়াগাড়ীতে জেবুন্নেছা আখতার, ডোমারে মাসুম আহম্মেদ, সোনারায়ে গোলাম ফিরোজ, হরিনচড়ায় রাসেল রানা। কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানায় মিজানুর রহমান (দুলাল) নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন।

লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুরে রফিকুল ইসলাম প্রধান, পাটগ্রামে আব্দুল ওহাব প্রধান, জগতবেড়ে মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, কুচলিবাড়ীতে হামিদুল হক, জোংড়ায় মজিবর রহমান, দহগ্রামে হাবিবুর রহমান, বুড়িমারীতে তাহাজুল ইসলাম মিঠু। কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার রৌমারী ইউপিতে আফজাল হোসেন, যাদুরচরে মোশাররফ হোসেন, শৌলমারীতে নজরুল ইসলাম। চররাজিবপুর উপজেলার চররাজিবপুর ইউপিতে গোলাম কিবরিয়া, কোদালকাটিতে হুমায়ুন কবির, মোহনগঞ্জে আব্দুস ছালাম তালুকদার।

গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়ায় সোহেল রানা শালু, উড়িয়ায় গোলাম মোস্তফা কামাল পাশা, উদাখালীতে আসাদুজ্জামান বাদশা, গজারিয়ায় ইউনুছ আলী, ফুলছড়িত আজহারুল হান্নান, এরেন্ডাবাড়ীতে আব্দুল মান্নান আকন্দ। সাঘাটা উপজেলার পদুমশহরে মোজাহিদুল ইসলাম, ভরতখালীতে শামসুল আজাদ শীতল, সাঘাটায় মোশাররফ হোসেন সুইট, মুক্তিনগরে আরশাদ আজিজ, কচুয়ায় রফিকুল ইসলাম, হলদিয়ায় রফিকুল ইসলাম, জুমারবাড়ীতে মাহফুজার রহমান, কামালেরপাড়ায় আব্দুল ওয়াদুদ, বোনারপাড়ায় নাছিরুল আলম। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহে তৌকির হাসান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

রাজশাহী বিভাগ: জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আটাপুরে জাহিনুর রহমান, আয়মার রসুলপুরে জাহিদুল আলম, বাগজানায় জামাত আলী, ধরঞ্জিতে গোলাম মোস্তফা, মোহাম্মদপুরে হবিবর রহমান। বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার আদমদীঘি সদর ইউপিতে জিল্লুর রহমান, ছাতিয়ানগ্রামে আব্দুল হক, নশরতপুরে আব্দুর রাজ্জাক, সান্তাহারে নাহিদ সুলতানা, কুন্দগ্রামে শামীম উল ইসলাম, চাঁপাপুরে শামসুল হক। দুপচাঁচিয়া উপজেলার দুপচাঁচিয়া সদর ইউপিতে আব্দুল বাখের, চামরুলে আজমল হোসেন, গুনাহারে শাহ্ মোঃ আব্দুল খালেক, গোবিন্দপুরে আব্দুর রশিদ মুঞ্জু, জিয়ানগরে কামরুজ্জামান।

গাবতলী উপজেলার গাবতলী সদর ইউপিতে ফারুক আহম্মেদ, বালিয়াদিঘীতে ইউনুছ আলী, দক্ষিণপাড়ায় রফিকুল ইসলাম, দুর্গাহাটায় আবদুল মতিন, কাগইলে দিল আফরুজা খাতুন লাবনী, মহিষাবানে শাকিল ইসলাম, নাড়ুয়ামালায় আব্দুল গফুর, নশিপুরে আবুল কালাম আজাদ, রামেশ্বরপুরে সেকেন্দার আলী। শেরপুর উপজেলার গাড়িদহে মোকাব্বর হোসেন। শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলায় ওয়াসিম রেজা চৌধুরী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বালিয়াডাংগায় তরিকুল ইসলাম, গোবরাতলায় আরাফুল ইসলাম আজিজি, বারঘরিয়ায় হারুন-অর-রশিদ, মহারাজপুরে নাহিদ ইসলাম, রানীহাটিতে জাকারিয়া, চর অনুপনগরে সেরাজুল ইসলাম, দেবীনগরে হাফিজুর রহমান, আলাতুলীতে কামরুল হাসান, শাহজাহানপুরে জাহাংগীর আলম, ইসলামপুরে জসিম উদ্দীন, চর বাগডাঙ্গায় ওমর আলি, নারায়নপুরে শহিদুল ইসলাম, সুন্দরপুরে হাবিবুর রহমান, ঝিলিম ইউপিতে গোলাম লুৎফুল হাসান।

নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার আকবরপুরে ওবাইদুল ইসলাম চৌধুরী, শিহাড়ায় মোস্তাফিজুর রহমান, পাটিচরা রায়হানুল আলম, ঘোষনগরে আবু বকর সিদ্দীক, পত্নীতলায় মোশারফ হোসেন, নির্মইলে আবুল কালাম আজাদ, মাটিন্দরে জাহাঙ্গীর আলম, দিবরে আবদুল হামিদ, কৃষ্ণপুরে শ্যামল মহন্ত, আমাইড়ে ইসমাইল হোসেন, নজিপুরে ছাদেক উদ্দীন। সাপাহার উপজেলার গোয়ালায় কামরুজজামান, তিলনায় মোসলেম উদ্দীন, আইহাই ইউপিতে হামিদুর রহমান, সাপাহারে সাদেকুল ইসলাম, শিরন্টিতে বোরহান উদ্দীন, পাতাড়ীতে জাহাঙ্গীর আলম। পোরশা উপজেলার মশিদপুরে হারুন অর রশিদ, গাঙ্গুরিয়ায় আনিসুর রহমান, তেঁতুলিয়ায় ফজলুল হক শাহ, ছাওড় ইউপিতে মোস্তাফিজুর রহমান, নিতপুরে এনামুল হক, ঘাটনগরে বজলুর রহমান নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন।

রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার গোবিন্দপাড়ায় আল মামুন প্রামানিক, নরদাশে গোলাম সারওয়ার, দ্বীপপুরে আ. হামিদ প্রাং, বড়বিহানলীতে রেজাউল করিম রেজা, আউচপাড়ায় সরদার জান মোহাম্মদ, শ্রীপুরে মকবুল হোসেন মৃধা, বাসুপাড়ায় লুৎফর রহমান প্রাং, কাচারী কোয়ালীপাড়ায় আয়েন উদ্দিন, শুভডাংগায় আ. হাকিম, মাড়িয়ায় আসলাম আলী (আসকান), গণিপুরে এনামুল হক ঝিকরায় আব্দুল হামিদ।

গোয়ালকান্দিতে আলমগীর সরকার, হামিরকুৎসায় আনোয়ার হোসেন, যোগীপাড়ায় এম, এফ মাজেদুল, সোনাডাংগায় আজাহারুল হক। পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুরিয়ায় রাজিবুল হক, বানেশ্বরে আবুল কালাম আজাদ। দুর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়ায় জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

নাটোর জেলার গুরুদাসপুরে নাজিরপুরে শরিফুল ইসলাম, বিয়াঘাটে মোজাম্মেল হক, খুবজীপুরে মনিরুল ইসলাম, মশিন্দায় মোস্তাফিজুর রহমান, ধারাবারিষায় আব্দুল মতিন, চাপিলায় আলাল উদ্দিন। নলডাঙ্গা উপপজেলার ব্রহ্মপুরে হাফিজুর রহমান, মাধনগরে আমজাদ হোসেন দেওয়ান, খাজুরায় সোহরাব হোসেন, পিপরুলে কলিম উদ্দিন, বিপ্রবেল ঘরিয়ায় মোঃ জালাল উদ্দীন।

সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার তালম ইউপিতে আব্দুল খালেক, সগুনায় নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মাগুড়া বিনোদে মেহেদী হাসান ম্যাগনেট, দেশীগ্রামে আব্দুল কুদ্দুস। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াকোলায় শফিকুল ইসলাম, মেছড়ায় আব্দুল মজিদ। কাজিপুর উপজেলার সোনামুখীতে শাহজাহান আলী, চালিতাডাঙ্গায় আতিকুর রহমান, গান্ধাইলে গোলাম হোসেন, শুভগাছায় গিয়াস উদ্দিন, কাজিপুরে কামরুজ্জামান, মাইজবাড়ীতে শওকত হোসেন, খাসরাজবাড়ীতে জহুরুল ইসলাম, চরগিরিশে জিয়াউল হক, নাটুয়ারপাড়ায় আব্দুল মান্নান, তেকানীয় হারুনার রশিদ, নিশ্চিন্তপুরে খাইরুল কবির, মনসুরনগরে আব্দুর রাজ্জাক।

পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার বনওয়ারী নগরে আজাহার আলী সরকার, ফরিদপুরে সরোয়ার হোসেন, হাদলে সেলিম রেজা, বৃলাহিড়ী বাড়ীতে জাহিদুল ইসলাম, ডেমরায় মাফুজুর রহমান, পংগলীতে সাজেদুল ইসলাম তালুকদার।

বেড়া উপজেলার হাটুরিয়া নাকালিয়ায় মোস্তাফিজুর রহমান, নতুন ভারেঙ্গায় আমজাদ হোসেন, কৈটোলায় শওকত ওসমান, চাকলায় ফারুক হোসেন, পুরান ভারেঙ্গায় রফিক উল্লাহ, জাতসাখিনীতে আনোয়ারা আহম্মেদ, রুপপুরে আবুল হাশেম উজ্জল, মাসুমদিয়ায় শহীদুল হক ও ঢালারচরে মমিনুর রহমান আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। 

আওয়ামী লীগ   ইউপি   রংপুর   রাজশাহী   মনোনয়ন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশবিরোধী অপশক্তি ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।


আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: ভোট ছাড়াই তারা চেয়ারম্যান হচ্ছেন

প্রকাশ: ১০:৫২ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে আগামী  ৮ মে। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। গতকাল আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।

জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর হাতে। তিনি ওই পরিবারের একজন সদস্যের মতো। মাঝখানে কিছু ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব থাকলেও তা ঘুচে গেছে। আশিক আলীর সমর্থনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জোড় করাতে তাঁর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। দলের অন্য কেউ আগ্রহ দেখাননি। ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজ থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কেবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী।

ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন।

এদিকে বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে রিটার্নিং এস এম কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন।

তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধ ও প্রচ্ছন্ন চাপে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন ও জনসংহতি সমিতির সাবেক এক নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চারজনের মনোনয়নই রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং প্রচ্ছন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন।



উপজেলা নির্বাচন   চেয়ারম্যান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টের অপতৎপরতা সফল হবে না: নানক

প্রকাশ: ১০:০৩ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, একটি কুচক্রি মহল বরাবরের মতো এখনো দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তাদের এ অপতৎপরতা সফল হবে না। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) গুলশানের এসকট প্যালেস হোটেলে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত Leo Tito L. Ausan Jr. রচিত " Sleepless in Dhaka and Other Poems" শীর্ষক কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে আজ বাংলাদেশকে নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। তারা বিচার বিশ্লেষণ করছে কিভাবে ছোট এই দেশটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকটের মধ্যেও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রেখেছে। আপনারা পত্রিকায় দেখেছেন সম্প্রতি মার্কিন একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বলেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনায় মসৃণভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহে আটলান্টিক কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে এ সম্পর্কিত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

মন্ত্রী নানক বলেন,  বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিদেশীদের মাঝে যে আগ্রহ আছে ফিলিপাইনের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব লিও অসাম এর কবিতার বই প্রকাশ তার প্রমাণ। তিনি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে গিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, তার সম্পর্কে জানতে। সেখানে সব কিছু দেখে তার যে উপলব্ধি তা তিনি কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কেও জেনেছেন এবং তা তার কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন। বাংলাদেশে মাত্র একবছর সময়কালে আহসান মঞ্জিলসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করেছেন। ঢাকায় রিক্সা দেখে একে ঢাকার ঐতিহ্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জর্জ হ্যারিসন এবং পন্ডিত রবি শংকরসহ যারা বিশ্ববাসীর সমর্থন পেতে সাহায্য করেছেন তাদেরকেও তিনি কবিতার মাধ্যমে স্মরণ করেছেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যেমন কবিতা লিখেছেন তেমনি আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়েও কবিতা লিখেছেন। আমার ভালো লেগেছে রাষ্ট্রদূত লিও পাট থেকে তৈরি স্যুট পড়েছেন এবং কবিতার ভাষায় তা প্রকাশ করেছেন। আপনার জানেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আমি পাট ও পাটজাত পণ্যের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছি। 

অনুষ্ঠানে ফিলিপাইনের জলবায়ু পরিবর্তন কমিশনের মন্ত্রী রবার্ট ই. এ. বোরজে, বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সাবেক কেবিনেট সচিব মোশাররফ হোসাইন ভুইয়া, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, মিশন প্রধান, কূটনীতিকসহ বাংলাদেশের মিডিয়া ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এবার সমাবেশ স্থগিত করল আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আয়োজিত শান্তি সমাবেশ স্থগিত করেছে আওয়ামী লীগ। আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ সমাবেশ করার কথা ছিল দলটির।

সোমবার (২২ এপ্রিল) পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এই সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।

তিনি বলেন, ২৬ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সমাবেশ পুলিশ অনুমতি দেয়নি। যার কারণে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।

এর আগে দুপুরে তীব্র দাবদাহের কারণে আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠেয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।

মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু সোমবার (২২ এপ্রিল) এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।


শান্তি সমাবেশ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পলক ম্যাজিক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জুনাইদ আহমেদ পলক টানা তিনবারের প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু রাজনীতিতে তার পদ পদবী তেমন নেই। রাজনীতিতে এখনও তিনি তরুণ এবং পিছনের সারির নেতা হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃত্ব এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তিনি বিভিন্ন সময়ে সুনাম কুড়িয়েছেন। কখনও বিতর্কিত হয়েছেন। তবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তার পরীক্ষা হলো এবার এবং সেই পরীক্ষায় তিনি শুধু কৃতকার্যই হননি, এ প্লাস পেয়েছেন বলেও অনেকে মনে করছেন। 

জুনাইদ আহমেদ পলক তার শ্যালককে এবার সিংড়া উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী করেছিলেন। শুধু প্রার্থী করেই তিনি ক্ষান্ত হননি, তার বাড়িতে বৈঠক করেছিলেন এবং বৈঠকে তিনি তার শ্যালক লুৎফুল হাবিব যেন বিজয়ী হতে পারে সেজন্য নির্বাচনী পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন। অন্য কোন প্রার্থীরা যেন নির্বাচনে প্রার্থী না হয় সে জন্য এক প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগও উঠেছিল। সবকিছু মিলিয়ে তরুণ জুনাইদ আহমেদ পলকের রাজনীতির আকাশে কালো মেঘ দেখা দিয়েছিল। কিন্তু পলক প্রমাণ করলেন যে, বয়সে তরুণ হলেও তিনি রাজনীতির মাঠে একজন পরিপক্ব খেলোয়াড়। তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে প্রতিকূল পরিস্থিতিকে জয় করেছেন এবং ম্যাজিক দেখিয়ে রাজনীতিতে তার যাত্রাপথকে শুধু মসৃণ করেননি, তিনি যে পরিপক্ক রাজনীতিবিদ হিসেবে বিকাশমান তা প্রমাণ করেছেন। 

পলকের শ্যালক যখন একজন প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় যুক্ত হয়ে যায়, তখন একটা বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য তিনি বেশ কিছু দূরদর্শী বিচক্ষণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। প্রথমত তিনি যারা ওই অপহরণ ঘটনার সময় বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন তাদেরকে হাসপাতালে দেখতে চান, তাদের প্রতি সহানুভূতি জানান এবং তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে, যারা অন্যায় করেছে তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত এবং তারা তার ভাই, চাচা, মামা, খালা, শ্যালক যেই হোক না কেন, তারা আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এই বক্তব্যটি তার নড়বড়ে অবস্থানকে কিছুটা সবল করে এবং সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে যে, পলকের মধ্যে এখনও রাজনৈতিক বোধ আছে। তিনি এখনও বিবেকহীন ক্ষমতা লিপ্সু হয়ে পড়েননি। কিন্তু তখনও অনেক চমক অপেক্ষা ছিল। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগের দিন পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। বিষয়টি ছিল রীতিমতো চমক এবং এমন এক সময় জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক এই সিদ্ধান্ত নেন যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। 

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। এই ঘোষণার পর অনেক হেভিওয়েট নেতা যখন তাদের স্বজনদের প্রার্থী করার জন্য শেষ মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন, নানারকম অজুহাত দাঁড় করাচ্ছেন ঠিক সেই সময় জুনাইদ আহমেদ পলক অন্যরকম একটি অবস্থান গ্রহণ করেন। তিনি দলীয় সভানেত্রীর সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখান এবং তার শ্যালক মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এটির মাধ্যমে পলক যে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের আরও আস্থাভাজন হলেন এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে শুধু নীতি নির্ধারকদের আস্থাভাজন হননি পলক, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তিনি যে রাজনৈতিক ভাবে দূরদর্শী, পরিপক্ক এবং সুদূর প্রসারী চিন্তা করেন তা প্রমাণ করেছেন।

স্থানীয় পর্যায়ের নেতা জুনাইদ আহমেদ পলক এই একটি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অনেক দূর এগিয়ে যাবেন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। রাজনীতিতে মাঝে মাঝে একটি সিদ্ধান্ত মানুষকে অমরত্ব দেয়। আবার একটি সিদ্ধান্ত তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে হুমকির মুখে ফেলে। পলকের এই সিদ্ধান্ত তাকে রাজনীতিতে একটি উজ্জ্বল আসন দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে তিনবারের প্রতিমন্ত্রী থাকার পর যখন অনেকে তার রহস্য খোঁজার চেষ্টা করছিলেন তখন জুনাইদ আহমেদ পলক এই ম্যাজিক দেখিয়ে প্রমাণ করলেন রাজনীতিতে তিনি পরিপক্ক। তিন বার প্রতিমন্ত্রী থাকার জন্য তিনি যথেষ্ট যোগ্য। 


জুনাইদ আহমেদ পলক   নাটোর   তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন