অবশেষে
চাঁদে পৌঁছাল নাসার মহাকাশযান। এরই মধ্যে নীল আর্মস্ট্রংয়ের চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ
স্থানের জুম করা ছবি পাঠিয়েছে, আর্টেমিস-১ এর ওরিয়ন স্পেসক্রাফট। আগামী সপ্তাহে
পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরের স্থানে পৌঁছানোর রেকর্ড গড়বে মহাকাশযানটি।
অ্যাপোলো-১৭
এর ৫০ বছর পর চাঁদের সবচেয়ে কাছে গেল নাসার মহাকাশযান। চাঁদকে প্রদক্ষিণ করছে
আর্টেমিস-ওয়ানের 'ওরিয়ন লুনার' মহাকাশযান।
আর্টেমিস-১
মিশনের ব্যবস্থাপক মাইক সারাফিন বলেন, রকেটটি উৎক্ষেপনের দিনই আমরা যথাযথ
তাপমাত্রা পেয়েছি। পুরো অভিযানটি ঠিকঠাক মতো কাজ করছে। প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ফল
পেয়েছি আমরা।
চন্দ্রপৃষ্ঠের
১৩০ কিলোমিটার ওপরে অবস্থান করে অ্যাপোলো ১১, ১২ ও ১৪ এর অবতরণ স্থানগুলোর জুম করা
ছবি পাঠিয়েছে, মহাকাশযানটি। একইসঙ্গে দিয়েছে, অন্যান্য প্রয়োজনীয় নানা তথ্য ও ছবি।
তবে প্রদক্ষিণের সময় ৩৪ মিনিট যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল ওরিয়ন লুনার।
ওরিয়ন
ম্যানেজার হুয়ার্ড হু বলেন, চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে পাঠানো ছবিগুলো দেখেই, ফ্লাইট
অপারেশনে যুক্ত নাসার সব কর্মী আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন। পুরো ঘটনা সবাই স্ক্রিন থেকে
ভিডিও করতে থাকে
আগামী
সপ্তাহে পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী স্থানে পৌঁছানোর রেকর্ড গড়বে ওরিয়ান লুনার।
যা পৃথিবী থেকে ২ লাখ ৭০ হাজার মাইল দূরে। এর আগে মানুষ বহনে সক্ষম কোনো মহাকাশযান
এত দূরে যায়নি। আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রশান্ত মহাসাগরে নামার কথা রয়েছে
ওরিয়নের।
এটি
সফল হলে দ্বিতীয় মিশনে যাবেন নভোযাত্রীরা। আর সবশেষ তৃতীয় মিশনে ২০২৫ সালে চাঁদের বুকে নামবেন প্রথম নারী ও প্রথম অশ্বেতাঙ্গ
মহাকাশচারী।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন