বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর পদ্মা সেতু হলো সমৃদ্ধের প্রতীক, উন্নয়নের প্রতীক। সেই পদ্মা সেতু ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে এটা আমরা আগেও বলেছি। এখানে জামায়াত-বিএনপি বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল ঢুকিয়ে লাশ ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। আবার বিভিন্ন অপ্রচার করছে, পদ্মা সেতু নিয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন কথাবার্তা দিয়ে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ম্লান করার চেষ্টা করছে। দেশে এবং দেশের বাইরে যারা বাঙালি আছে, পদ্মা সেতুকে ঘিরে তাদের মনের ভিতর যে আনন্দ-উৎসব সেটা যেন ম্লান করা যায় সেই পরিকল্পনা চলছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে একটি শক্তি দেশের বাইরে বসে ষড়যন্ত্র করছে। দেশে তাদের ষড়যন্ত্রের অংশীদার হয়ে কাজ করছে বিএনপি-জামায়াতের অপশক্তি, জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে নাশকতার আশঙ্কা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার করার প্রসঙ্গে বাংলা ইনসাইডারের সাথে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য এস এম কামাল হোসেন এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।
এস এম কামাল হোসেন বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে মিথ্যাচার নতুন কিছু নয়। শুরু থেকেই পদ্মা সেতু নিয়ে নানা রকম মিথ্যা, অপ্রচার এবং বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। এমনকি আন্তর্জাতিকভাবে পদ্মা সেতু ঠেকানোর জন্য বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন দেশে কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেই সময় বিশ্ব ব্যাংক একটা মিথ্যা অভিযোগ এনেছিল যে, পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু কানাডার আদালতে সেটা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। দেশের জনগণই এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এবং তা মোকাবিলা করবে।
তিনি আরও বলেন, সমস্ত চ্যালেঞ্জকে এবং ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তার বাবার মতো সততা-সাহসিকতা এবং দেশ প্রেম নিয়ে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই পদ্মা সেতু যা বাঙালির স্বপ্ন, সেই পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন করছেন। ইনশাআল্লাহ, আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে এবং ২৬ জুন থেকে মানুষ পদ্মার ওপর দিয়ে যানবাহনে করে চলাচল করতে পারবে।
পদ্মা নিয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলায় নেতাকর্মীদের সর্তক করা হয়েছে জানিয়ে এস এম কামাল হোসেন বলেন, পদ্মা নিয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলায় আমরা নেতাকর্মীদের সর্তক করেছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি নির্দেশনা দিয়েছেন, সেই নির্দেশনা আমরা বিভিন্ন জেলায় জেলায় পাঠিয়েছি নেতাকর্মীদের কাছে। আমাদের সহযোগী সংগঠনগুলো এব্যাপারে সজাগ দৃষ্টিতে আছে এবং আমাদের মূল দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর নেতৃবৃন্দ, তৃণমূলের সকল কর্মীগণ, সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সবাই এব্যাপারে সজাগ দৃষ্টিতে আছে। ২৫ জুন সফলতার সাথে শুধু বাংলাদেশে নয় আন্তর্জাতিকভাবে যেখানেই বাংলাদেশিরা আছে সেখানেই উৎসব হবে পদ্ম সেতু উদ্বোধনের দিনে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।