ইনসাইড থট

সকল ভাষার সমান অধিকার রক্ষায় শেখ হাসিনা সরকার

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail সকল ভাষার সমান অধিকার রক্ষায় শেখ হাসিনা সরকার

ইউনেস্কোর মতে, এ শতাব্দীতে অর্ধেকের বেশি ভাষা বেঁচে থাকবে না। প্রতি ১৪ দিনে পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে একটি করে ভাষা। গেল শতাব্দীতে জেনোসাইডের ফলে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ফলে তাদের ভাষাও ক্রমান্বয়ে হারিয়ে গেছে। ভাষিক জেনোসাইডের ক্রমধারা কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে নির্দিষ্ট ভাষাভাষী জনসংখ্যার অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ায় ভাষাও বিলুপ্ত হয়েছে। এজন্য ১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন শুরু হলে বিশ্বব্যাপী মানবপ্রজাতির ভাষাগুলোর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত ঘটে। ‘নানান দেশের নানান ভাষা, বিনে স্বদেশী ভাষা পুরে কি আশা’ মধ্যযুগের কবির এই বাক্য অনন্য হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে। আমাদের রাষ্ট্রভাষা বাংলা হলেও এদেশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং কয়েকলাখ শরণার্থীর ভাষা বাংলা নয়। ফলে রাষ্ট্রের দায়িত্ব হয়ে উঠেছে দেশে প্রচলিত ভাষাগুলোর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা। কারণ বাঙালি জাতির যেমন নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে তেমনি ওই ভিন্নভাষীদেরও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আছে। আর তা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হলে তাদের নিজস্ব ভাষা বাঁচিয়ে রাখা জরুরি।

৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই দেশে বাঙালির পাশাপাশি পাহাড় ও সমতল মিলে বসবাস করে আরও অন্তত ৪৫টি ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, যাদের মাতৃভাষা বাংলা নয়। এদের মধ্যে- চাকমা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা, মুরং, রাখাইন, গাড়ো, হাজং, খাসিয়া, মণিপুরী, সাঁওতাল, ওরাঁও, মুণ্ডা প্রভৃতি প্রধান। এদের প্রত্যেকের রয়েছে নিজস্ব মাতৃভাষা ও বিশেষ বৈশিষ্টমণ্ডিত নিজস্ব সংস্কৃতি। এসব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মাতৃভাষাগুলো যথাযথ মর্যাদা পেতে শুরু করে শেখ হাসিনার আমলে।

কারণ পার্বত্য অঞ্চলে বসবাস কারী বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের ভাষা ও বর্ণমালা সংরক্ষণের লক্ষ্যে ২০১৭ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নিজ নিজ মাতৃভাষার বই পুস্তকে লিপিবদ্ধ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্য বই হিসেবে বিতরণ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে বছরের শুরুতে বান্দরবানের সাতটি উপজেলায় পাঠ্য বই বিতরণের পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী চাকমা মার্মা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের নিজ মাতৃভাষার বই ও বিতরণ করা হয়। পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি নিজ মাতৃভাষার বর্ণমালা চিনতে ও জানতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ মাতৃভাষার বইও পড়ানো হচ্ছে।

২০২২ সালে ওই জেলার সাতটি উপজেলায় ২৩ হাজার ২৬৮ টি মারমা মাতৃভাষার বই, ৭ হাজার ৯৫টি ত্রিপুরা মাতৃভাষার বই এবং ২ হাজার ২৬৬টি চাকমা ভাষার বই বিতরণ করা হয়েছে। আর শিক্ষার্থীদের নিজ মাতৃভাষার বর্ণমালা শিখাতে সপ্তাহে একদিন পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বিদ্যালয়ে নিজ মাতৃভাষার এসব বই পড়ানো হয় বলে জানান শিক্ষকরা।

অন্যদিকে ২০১৯ সালে চাকমা, মারমা, সাদ্রী, গারো ও ত্রিপুরা এই পাঁচ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ৯৮ হাজার ১৪৪ জন শিশুর জন্য নিজস্ব ভাষা ও বর্ণমালার প্রাক্-প্রাথমিক এবং ১ম ও ২য় শ্রেণির মোট ২ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুদের জন্য সংশ্লিষ্ট ভাষাজ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্তিসহ নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে জীবন দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের শিক্ষার হার বৃদ্ধির জন্য ১৯৯৬ সালে কর্মসূচির শুরু থেকে প্রতি অর্থবছরে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় বসবাসরত ছাত্র-ছাত্রীদের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া উচ্চ শিক্ষায় অধ্যয়নরত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা পড়ায় উৎসাহিত করার জন্য সমতলের ৫৫টি জেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে ‌‍‍‍‍‍‌‌‌‌‌‘বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা (পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যতীত)’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় পৃথক শিক্ষা বৃত্তি চালু করা হয়েছে।

বাংলাদেশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা ৩০ লাখ ৮৭ হাজার। যার মধ্যে ১৫ লাখ ৮৭ হাজার পার্বত্য চট্টগ্রামে এবং ১৫ লাখ সমতলে বসবাসরত। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র ১.০৪ শতাংশ হলেও তারা সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যের অধিকারী এবং মূল জনগোষ্ঠীর অপরিহার্য অংশ। বৈচিত্র্যের মাঝেই ঐক্য- বাংলাদেশের সংস্কৃতির এক উজ্জ্বলতম বৈশিষ্ট্য। এই যে নানা মানুষ, নানান ধর্ম, ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস- সবকিছু মিলে যে বৈচিত্র্য এটা কম দেশেই পরিলক্ষিত হয়। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তিচুক্তির পর থেকে পার্বত্য এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনগণের জন্যেও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, ম্রো, তঞ্চঙ্গ্যা, বম, পাংখোয়া, চাক, খিয়াং, খুমি, লুসাই সম্প্রদায়ের ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। ১৯৯৮ সালের ১৫ই জুলাই পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত হওয়ার পর পার্বত্য জেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত ও অর্থনৈতিক অধিকার এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।  ২০০৯ সাল হতে এ কর্মসূচির আওতায় সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জীবনমানের স্থায়ী উন্নয়নের জন্য ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৫০০টি বৃহৎ আকারের আয়বর্ধনমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আর সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসমূহের সংস্কৃতির প্রচার, প্রসার ও সংরক্ষণের জন্য ৩১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, নওগাঁ এবং দিনাজপুরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কালচারাল একাডেমি স্থাপন করা হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের এসব কর্মকাণ্ড ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণের অন্যতম স্তম্ভ।

আসলে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও চর্চার কারণে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর ভাষা জীবন ফিরে পেয়েছে। সরকারিভাবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীয় ভাষাগুলোকে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে কোচ ও রাজবংশীদের ভাষা বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে থাকলেও অন্যগুলো নিয়ে মাঠ পর্যায়ে সমীক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পৃথিবীতে প্রতিদিন কোনো না কোনো ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। বিলুপ্তপ্রায় এসব ভাষা রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বারোপ করেছে ইউনেস্কো। এ ভাষাগুলো চিরদিনের মতো হারিয়ে গেলে তা মানবজাতির জন্য হবে দুর্ভাগ্যজনক। সে বিবেচনায় বাংলাদেশেরে উপজাতিদের মাতৃভাষা সংরক্ষণের বিষয়টি দ্রুত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় আনা হয়েছে।

এর আগে আমাদের দেশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর মাতৃভাষায় শিক্ষার অভাব, নিজস্ব বর্ণমালা ও শক্তিশালী সংগঠন না থাকা এবং জনসংখ্যা হ্রাস, সংস্কৃতিচর্চার অভাব ও সম্প্রদায়গুলোর আর্থিক দুরবস্থার কারণে তাদের মাতৃভাষা হারিয়ে যেতে বসেছিল। সেই অবস্থা পাল্টে যায় শেখ হাসিনার নিজস্ব উদ্যোগে। একসময় মাতৃভাষার স্বীকৃতি না থাকায় বাধ্য হয়ে ক্ষুদ্র্র জনগোষ্ঠী ঝুঁকে পড়ছিল বাংলা, চাকমা, মারমা কিংবা অন্য ভাষার দিকে। আবার আর্থিক দুরবস্থার কারণে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীগুলো তাদের ভাষা ধরে রাখতে পারছিল না। সে পরিস্থিতি বিভিন্ন সরকারি পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে বদলে গেছে। এদেশে কয়েকটি সম্প্রদায় আছে যাদের জাতিগত ভিন্নতা থাকলেও মুখের ভাষা এক। অবশ্য চাকমা ও মারমাদের বর্ণমালা আছে।তবে মারমারা ব্যবহার করে বার্মিজ বর্ণ। নিজস্ব বর্ণমালা না থাকায় অন্য গোষ্ঠীগুলো রোমান বা বাংলা বর্ণে তাদের ভাষা লিখে থাকে।

এখন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের লেখা-পড়া শিখতে হয় নিজের মাতৃভাষায়। সঙ্গে সঙ্গে বাংলা ও ইংরেজি ভাষা তারা শিখে থাকে।এই শিশুরা যখন নতুন ভর্তি হয় তখন তারা যে ভাষা-অভিজ্ঞতা নিয়ে আসে তা তাদের পরিবার ও সমাজের প্রচলিত ভাষা, যা তার পাঠ্য বইয়ের ভাষা বা পাঠদান মাধ্যম হিসেবে প্রচলিত এখন। ফলে শিশুরা পাঠের বিষয়বস্তুর সাথে খাপ খাওয়াতে পারে এবং জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হয়।ভাষা সমস্যা না থাকায় উপজাতি শিশুদের লেখা-পড়া এবং স্কুলে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে প্রয়োজনীয় ভাবের আদান-প্রদানও সম্ভব হচ্ছে। ভাষা বেঁচে থাকে চর্চার মধ্যদিয়ে- এজন্যই সরকার জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-এ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মাতৃভাষাকে গুরুত্ব প্রদান করেছে। তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির বিকাশ যেন দ্রুত ঘটে- এজন্য পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার নিরন্তর প্রচেষ্টাও রয়েছে।

‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ জাতি-উপজাতিসহ সকলের ‘মাতৃভাষার সমান অধিকার’ প্রতিষ্ঠার কথা বলে- এজন্য শেখ হাসিনা সরকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট স্থাপন এবং পাহাড়ি ও সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নানা প্রকল্প বাস্তবায়নে মনোযোগী হয়েছে। উল্লেখ্য, বিভিন্ন দেশের বিলুপ্তপ্রায় ভাষা সংরক্ষণ, লালন ও সম্প্রসারণেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট কাজ করছে। বিশ্বে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটসহ ৯৫টি। এর মধ্যে এশিয়া মহাদেশে আছে চারটি। জাতীয় শহীদ দিবস ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘ থেকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট গড়ে ওঠে। ২০০১ সালের ১৫ মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এই প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ওই অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব কফি আনান উপস্থিত ছিলেন। ২০১৫ সালে এটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান থেকে জাতিসংঘের ইউনেস্কোর সহযোগী প্রতিষ্ঠানে উন্নীত হয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পাচ্ছে। ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে চলমান ইউনেস্কোর ৩৮তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটকে জাতিসংঘের ক্যাটাগরি-২ ইনস্টিটিউটে উন্নীত করার প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হয়। এ অধিবেশনে জাতিসংঘের ১৯৫টি দেশ ও ৮টি সহযোগী দেশের শিক্ষামন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেছিলেন। দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর ভাষার পাশাপাশি বাংলা উপভাষা সংগ্রহ ও সংরক্ষণে কাজ চলছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে। ইউনেস্কো পরিচালিত ‘মাতৃভাষা-আশ্রয়ী শিক্ষা’, ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য শিক্ষা’ প্রভৃতি কার্যক্রমে এটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। ইউনেস্কোর সঙ্গে এটি পারস্পরিক জ্ঞান বিনিময় ছাড়াও দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ এবং কৌশলগত কর্মসূচি বাস্তবায়নের সুযোগ পাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটের সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশে ৪১টি ভাষা রয়েছে তার মধ্যে ৩৪টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষা। আগেই বলা হয়েছে, এরমধ্যে হাতে গোনা কয়েকটির লিখিত রূপ আছে। খাসি, বম, সাঁওতালসহ কোন কোন ভাষা ইংরেজির মতো রোমান হরফে, হাজং, মালতোসহ কয়েকটি ভাষা বাংলা হরফে আবার চাকমা, মারমা, চাক, মনিপুরী, ম্রো, খেয়াং এমন আরও কয়েকটি ভাষার রয়েছে নিজস্ব বর্ণমালা।

ইউনেস্কোর তথ্যমতে বিশ্বে সাত হাজারের বেশি জীবিত ভাষা আছে। এর মধ্যে চার হাজারের মতো ভাষাই আদিবাসী জনগোষ্ঠীর। আর ২ হাজার ভাষায় কথা বলা লোকের সংখ্যা ১ হাজারের কম। এছাড়া মোট ভাষার মাত্র অর্ধেকের আছে লিখিত রূপ। বেশিরভাগ ভাষা আজ হুমকির সম্মুখীন। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা যেন তাদের নিজের ভাষায় পড়তে ও লিখতে পারে সেজন্য ২০১০ সালে নতুন করে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করে শেখ হাসিনা সরকার।ফলে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও বর্ণমালা সংরক্ষণে মনোযোগী হয় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর ২৩ নম্বর ধারাটিতে বলা আছে, ‘দেশের আদিবাসীসহ সকল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সংস্কৃতি ও ভাষার বিকাশ ঘটানোর কথা’ এবং একই শিক্ষানীতির দ্বিতীয় অধ্যায়ে (প্রাক্‌-প্রাথমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা) ‘আদিবাসী শিশু’ শিরোনামের ১৮ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘আদিবাসী শিশুরা যাতে নিজেদের ভাষা শিখতে পারে, সেই লক্ষ্যে তাদের জন্য আদিবাসী শিক্ষক ও পাঠ্যপুস্তকের ব্যবস্থা করা হবে।’শিক্ষানীতির বদৌলতে পাঁচটি ভাষায় প্রাক্‌-প্রাথমিক শিক্ষার বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের কর্মসূচিও চলছে। আর বিভিন্ন ভাষা সম্প্রদায় থেকে শিক্ষক নিয়োগও দ্রুত সম্পন্ন করা হয়েছে।

মূলত ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মাতৃভাষার অধিকারকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে।আর এটা কেবল সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের সুপরিকল্পিত ভাষিক-নীতি বাস্তবায়নের কারণে।

(লেখক : ড. মিল্টন বিশ্বাস,  বিশিষ্ট লেখক, কবি, কলামিস্ট, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য, সম্প্রীতি বাংলাদেশ এবং অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, email- drmiltonbiswas1971@gmail.com)

ভাষা   সরকার   শেখ হাসিনা   ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

এক বছরের রাষ্ট্রপতির যত অর্জন


Thumbnail

আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।

দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।

আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।

গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে, তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও একই ভাবে থেকেছেন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।


রাষ্ট্রপতি   মো. সাহাবুদ্দিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

শেখ হাসিনা ছাড়া কেউই অপরিহার্য নয়


Thumbnail

প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।

আওয়ামী লীগ যদি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় সেটি ভিন্ন কথা। কিন্তু আওয়ামী লীগ যদি টিকে থাকতে চায় তাহলে দলকে এবার কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। এটা এখন সময়ের দাবি। যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তারা ইনিয়ে বিনিয়ে এখন নানান অজুহাত তৈরি করছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের উচিত হবে এ সমস্ত অজুহাত না শোনা। কারণ যিনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত পরিপন্থি কাজ করেছেন এটা সুস্পষ্ট। সুতরাং এখানে দল উচিত তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। দল করলে তাকে দলীয় শৃঙ্খলা মানতেই হবে। অনথায় দল থেকে বাদ দিতে হবে। যারা দলীয় সিদ্ধান্তের পরিপন্থী কাজ করেন তারা কখনই দলের জন্য মঙ্গলজনক নয়। এদের মত আট-দশ দলে না থাকলে আওয়ামী লীগের কিছু যায়-আসে না। একমাত্র আওয়ামী লীগ সভাপতি দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক ছাড়া আর কেউই আওয়ামী লীগের জন্য অপরিহার্য নয়। শেখ হাসিনাই কেবল মাত্র আওয়ামী লীগ এবং দেশের স্বার্থে অপরিহার্য। সুতরাং, এখন আমরা দেখতে চাই শৃঙ্খলা পরিপন্থীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

যারা আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্দেশনা অমান্য করেছেন তিনি দলের যত বড় নেতাই হোন না কেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি। দরকার হলে দল থেকে তাদেরকে বাদ দিতে হবে কিংবা বহিষ্কারের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। শুধু বহিষ্কারই নয়, তাদের প্রাথমিক সদস্য পদও বাতিল করতে হবে। এতে করে কারও যদি এমপিত্ব চলে যায় তো যাবে। কিন্তু দলের শৃঙ্খলা ধরে রাখতে হবে দলের স্বার্থে। তাদের আসনে যে কাউকে নির্বাচন করে জিতে আসতে পারবেন। কোন মন্ত্রী এমপি আওয়ামী লীগের জন্য অপরিহার্য নয়। যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন উপজেলা গুলো প্রার্থী দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে দল কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটা দেখার জন্য গোটা দেশের মানুষ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দিকে তাকিয়ে আছে।

অতীতে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেখেছি দেশের বৃহত্তর স্বার্থে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে। বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কঠোর পদক্ষেপ নেবেন এমনটি আশা আওয়ামী লীগের প্রতিটি তৃণমূল নেতাকর্মীর। এখন আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেয় আমরা সেটার অপেক্ষা আছি।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

শেখ হাসিনার সমালোচনা করলেও কেউই তার বিকল্প খুঁজে পান না


Thumbnail

দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। 

দার্শনিক শেখ হাসিনা এখন আগে দার্শনিক পরে রাষ্ট্রনায়ক। এতদিন তিনি ছিলেন আগে রাষ্ট্রনায়ক পরে এবং দার্শনিক। এখন তিনি আগে দার্শনিক পরে রাষ্ট্রনায়ক। কারণ তিনি একের পর এক দর্শনকে যেভাবে স্থায়ী রূপ দিয়ে যাচ্ছেন তাতে এদেশের সকলের মনোবলও বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন মন্ত্রিসভাতেও তিনি দর্শনের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। তিনি পুরনোদের সাথে নতুনদের যুক্ত করে নেতৃত্বের একটি চমৎকার ভারসাম্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। যা আমরা এই ১০০ দিনে বুঝতে পেরেছি এই নতুন মন্ত্রিসভার কাজকর্মে। সেদিক থেকে আমি অনুধাবন করতে পারি যে, এই ১০০ দিনে দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এখন পর্যন্ত শতভাগ সফল।

গোটা বিশ্ব এখন যুদ্ধের মধ্যে পড়েছে। করোনার পর থেকে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ গোটা বিশ্ব অর্থনীতিতে টলটলয়মান করে দিয়েছে। এখন আবার নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে। বলা যায় বিশ্বে একটা মিনি বিশ্ব যুদ্ধ চলছে। গাজায় হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এরকম পরিস্থিতিতে দার্শনিক শেখ হাসিনার সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ। তবে আশার কথা যে, এখন পর্যন্ত তিনি সঠিক পথে আছেন এবং সফল ভাবে পুরো পরিস্থিতি মোকাবিলা করে যাচ্ছেন। বিশ্বের অস্থির পরিস্থির কথা অনুধাবন করে তিনি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম নির্দেশনা দিচ্ছেন। যেমন-বিশ্ব বাজারে নতুন নতুন বাজারের সন্ধান। আমাদের যেন খাদ্য ঘাটতি পড়তে না হয় সেজন্য তিনি আগাম আমাদের সতর্ক করে দিচ্ছেন। পাশাপাশি আমাদের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতেও তিনি জোরালো ভাবে আহ্বান করেছেন। 

একজন জেনারেলকে কীভাবে বিচার করা হয়? তিনি কয়টি ব্যাটল জয় করলেন সেটা দিয়ে কিন্তু নয়। তাকে বিচার করা হয় যখন তিনি একটা ব্যাটলে হেরে যান এবং তার সৈন্যরা যখন পুরো ভেঙে পড়েন ঠিক সে সময় তিনি কীভাবে তার সৈন্যদের উজ্জীবিত করতে পারলেন সেটা বিবেচনায় নেওয়া হয়। দার্শনিক শেখ হাসিনাও সে রকম একজন জেনারেল, যে জেনারেল কঠিন সময়ে সাধারণ জনগণকে সবচেয়ে কম কষ্টে রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতেও যেন তিনি সফল ভাবে নিয়ে যাবেন সেটা বলাই বাহুল্য। অনেকে তার সমালোচনা করছেন ঠিক কিন্তু কেউ তার বিকল্পের কথা বলতে পারছেন না। তিনি দলকে যেমন ধরে রেখেছেন বা নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঠিক তেমনিভাবে সরকারকেও সঠিক পথে পরিচালনা করছেন। সুতরাং শেখ হাসিনার বিকল্প যে শেখ হাসিনাই এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। নতুন সরকারের প্রথম ১০০ দিনের মত সামনের দিনগুলোতে সাফল্য ধরে রাখবে এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

কতিপয় সাংবাদিক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও ক্ষমতাধর


Thumbnail

বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।

ভিন্ন চিত্র দেখলাম শনিবার সকালে বরিশাল সদর হাসপাতালে। দায়িত্বরত চিকিৎসক ওয়ার্ডে রাউন্ড দিতে যেয়ে দেখেন দুজন টিভি সাংবাদিক ওয়ার্ডে ভিডিও করছেন। ভিডিও শেষ হবার পর চিকিৎসক তাঁর রাউন্ড শুরু করলেন। রাউন্ড শুরু করতেই দুজন সাংবাদিক আবার ক্যামেরা ধরে চিকিৎসকের সাথে কথা বলা শুরু করলেন। চিকিৎসক তাদের পরিচয় জানতে চাইলেন। বিনয়ের সাথে নিচু স্বরে একে একে ২০ বার (গুনে নিশ্চিত হয়েই বলছি) সাংবাদিকের নাম জিজ্ঞেস করলেন, পরিচয় জানতে চাইলেন। উক্ত সাংবাদিক নাম বলেননি, পরিচয় দেননি। বরং উচ্চস্বরে উল্টা পাল্টা কথা বলেছেন, পাল্টা প্রশ্ন করেছেন। অবশেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক উর্ধতন কাউকে ফোন দেয়ার পর সাংবাদিক সাহেব তার নাম বলেছেন। এখানে দুটি প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।  প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে, সাংবাদিক দুজন কি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও ক্ষমতাধর হয়ে গেছেন ? দ্বিতীয় প্রশ্ন, সাংবাদিক দুজনকে কেন নাম বলতে হবে ? নাম, পদবি, পরিচয় থাকবে তাদের বুকে বা কোমরে প্রদর্শিত আই ডি কার্ডে। এখন দেখার বিষয়,  প্রদর্শিত স্থানে আই ডি ছিল কিনা ? না থাকলে থাকবে না কেন?

সাংবাদিক ও চিকিৎসকবৃন্দ ঘটনার ভিডিও চিত্র সমূহ পৃথকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়েছেন। সব গুলো ভিডিও কয়েকবার দেখেছি, পর্যালোচনা করেছি। দায়িত্বরত চিকিৎসক কখনোই উচ্চস্বরে কথা বলেননি। তিনি যথেষ্ট ধৈর্য্য, বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। পক্ষান্তরে সাংবাদিক দুজন বারবার উচ্চস্বরে কথা বলেছেন। তাদের কথা বলার ধরণ দেখে মনে হয়েছে, এটি একটি মগের মুল্লুক। কর্তব্যরত চিকিৎসক ওয়ার্ড রাউন্ড শুরু করার আগে প্রতি রোগীর সাথে একজন এটেন্ডেন্ট ব্যাতিরেকে সবাইকে বের হবার কথা বলেছেন। সবাই বেরিয়ে না গেলে তিনি চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। সেটাই নিয়ম।  সারা দুনিয়ায় সেটাই হয়ে থাকে। সাংবাদিকদ্বয় সেটি শুনতে নারাজ। এখানে তারা স্পষ্টতই সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করেছেন, যা আইনত দণ্ডনীয়।  

দিন শেষে বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেখলাম সাংবাদিকদের হেনস্থা করেছে ডাক্তার। অথচ ভিডিও গুলি পর্যালোচনা করলে যে কেউ বলবেন, ডাক্তারকে হেনস্থা করেছে সাংবাদিকরা। আসলেই মগের মুল্লুক। ঘটনা কি ? আর সংবাদ শিরোনাম কি? এসব মগের মুল্লুকের রাজত্ব  থেকে জাতিকে পরিত্রান দেয়া প্রয়োজন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিএমএ, এফডিএসএর, বিডিএফ ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সমন্বয়ে একটি কমিটি করে দেয়া দরকার। কমিটি হাসপাতালে সাংবাদিক প্রবেশে ও তাদের দায়িত্ব নির্ধারণে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করবে। সে নীতিমালায় যাতে স্বাস্থ্য কর্মীদের কাজে বাধা প্রদান না করা হয়, রোগীর অনুমতি ব্যাতিরেকে তাদের ছবি, ভিডিও বা রোগ সংক্রান্ত কোন তথ্য প্রকাশ বা প্রচার না করা হয়, সেসব বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা প্রয়োজন। তা না হলে হাসপাতাল সমূহে এ ধরণের অরাজকতা হতেই থাকবে, বাড়তেই থাকবে।  

লেখকঃ প্রবাসী চিকিৎসক, কলামিস্ট।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

প্রথম আলোর পর কী ডেইলি স্টারও বিক্রি হবে?


Thumbnail

এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা করবেন।

প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর। আমার ধারণা যারাই প্রথম আলো কিনেন না কেন তারা প্রথম দিকে মতিউর রহমান সাহেবকে রাখলেও পরবর্তীতে ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে সম্পাদক পরিবর্তন করবে। আর প্রথম আলো যদি কোন যুক্তিপূর্ণ লোকের কাছে দেয় তাহলে আমার মতে এখানে সম্ভবত আনিসুল হক সাহেব সম্পাদক হবেন। কারণ তার প্রতি লোকের অনেক শ্রদ্ধাবোধ আছে এবং তিনি সবসময় একটা রেড লাইন রক্ষা করে চলেন। এটা আমরা সকলেই জানি। তার সাথে অনেকেরই  ভালো সম্পর্ক এবং তিনি খুবই জ্ঞানী লোক।

এর আগে মতিউর রহমান যখন একতা থেকে আজকের কাগজে যান, তখন তার উদ্দেশ্যই ছিল যে, একটি পত্রিকা কীভাবে চলে সেটা শেখা এবং এখান থেকে একসাথে সাংবাদিক নিয়ে বেরিয়ে যাওয়া। তিনি সেটা করেছিলেন। তারপর ভোরের কাগজ থেকে একই কাজ করেছেন। সুতরাং তার সত্যিকারের নীতিবোধ বলতে যেটা বোঝায় সেটা দুর্ভাগ্যবশত তিনি প্রমাণ করতে পারেননি।

তিনি এক সময় কমিউনিস্টদের সাথে থাকলেও এখন তার চেয়ে বড় দক্ষিণপন্থী পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়াই কঠিন। এ কারণে প্রথম আলো যে বিক্রি হবে এই ব্যাপারে সাধারণ লোকের ভিতরে এখন আর কোন সন্দেহ নেই।

এখন প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টারের কী হবে এই নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে এবং এই আলাপ আলোচনা খুব দীর্ঘদিন যে চলবে তা না। আমার মনে হয় জুন-জুলাই মাসের ভিতরেই এর একটা ফয়সালা হয়ে যাবে। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই বুঝি যে, একটি পত্রিকা পাঠকপ্রিয়তা পেতে বেশ সময় লাগে। এটা একদিন দুইদিনের ব্যাপার না। আবার ঠিক তেমনিভাবে যখন পাঠকপ্রিয়তা কমতে থাকে সেটাও একদিন দুইদিনে হয় না। ধীরে ধীরে হয়। এই মিডিয়া জগতের নিয়মই তাই।

আমি ১৯৬১ সালে পত্রিকা বলতে শুধুমাত্র ইত্তেফাক এর কথাই জানতাম। সেই ধারণা থেকে বলতে পারি এখন প্রথম আলোর যদি কিছু কর্মী এর চেয়ে ভালো কোন সুযোগ সুবিধা দেখেন তাহলে তারা বিক্রি হওয়ার আগেই চলে যাবেন। কারণ স্বাভাবিকভাবেই একজন সাংবাদিকের একটা ক্যারিয়ার আছে এবং প্রথম আলোর মতো পত্রিকাতে কাজ করে তিনি তো যে কোন পত্রিকায় যেতেও পারবেন না। তার কারণ গেলে তার ওই লেখার যে মান সেটা মূল্যায়ন নাও হতে পারে। তবে আমার ধারণা প্রথম আলোতে কাজ করেছেন এমন যে কাউকে টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমি অবাক হব না যদি দু এক মাসের ভিতরে দেখা যায় যে আস্তে আস্তে প্রথম আলো বিভিন্ন কর্মী অন্য পত্রিকায় যাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।

ব্যাংক মার্জারের যেমন একটি ঘটনা বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ঠিক তেমনি পত্রিকা জগতেও শিল্প গোষ্ঠীর যে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে এটিও ব্যাংক মার্জারের ঘটনার পর্যায়ে চলে যাবে। ব্যাংকিং ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুটি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে। আর এদিকে দেখা যাবে, সংবাদকর্মীরা অন্য পত্রিকায় চলে যাচ্ছে।

তবে আমার মনে হয় না, এখন যে অবস্থা চলছে এতে প্রথম আলো আর আগের মতো প্রথম আলো থাকতে পারবে। এটা কিছুতেই সম্ভব না এটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত। তাই আমার মনে হয় প্রথম আলো সেই ব্যাংক মার্জারের পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন অন্য পত্রিকা যাদের আছে, তারাও প্রথম আলো কিনে নিতে পারেন। এটি সম্ভব। এরকম শিল্পগোষ্ঠীর কোন কমতি বর্তমানে বাংলাদেশে নেই। যে কোন শিল্প গোষ্ঠীই এটা কিনবে।

তবে আমি আশা রাখব, যারাই প্রথম আলো কিনবে, তারা যেন অন্তত পক্ষে এটা খেয়াল রাখে যাতে সাংবাদিকদের কোন ক্ষতি না হয়। সুতরাং এদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমার দাবী হচ্ছে সাংবাদিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।


প্রথম আলো   ডেইলি স্টার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন