ইনসাইড থট

অদম্য শেখ হাসিনার অনন্য অর্জন এবং ষড়যন্ত্রকারীদের নব নব অসার তত্ত্ব


Thumbnail

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সকল ষড়যন্ত্রের জাল ভেদ করে শত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে নির্মিত হয়েছে বাঙালির স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এর সুফল ভোগ  করছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ। স্বাধীনতার পর থেকে এই অঞ্চলের কোটি মানুষের স্বপ্ন ছিল 'পদ্মা সেতু'। অবশেষে প্রায় অর্ধ শতকের স্বপ্ন আর অপেক্ষার অবসান হয়েছে তাদের। প্রমত্তা পদ্মা নদীর বুক ভেদ করে দৃশ্যমান হয়েছে অনন্য নির্মাণশৈলীর দৃষ্টিনন্দন পদ্মা সেতু। গত ২৫ জুন প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষের উপস্থিতিতে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুগ যুগ ধরে ফেরি পারাপারের চরম দুর্ভোগ আর কষ্টের অবসান হয়েছে এ অঞ্চলের কোটি মানুষের। এ কারনে তাদের মনে এখন সীমাহীন আনন্দ আর বাঁধভাঙা উল্লাস। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন পরবর্তী মিলিয়ন মানুষের জনসভায় উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। পদ্মা সেতু মানুষের কাছে যে কতটা আবেগের তা আমি অনুভব করেছি তাদের অপার আনন্দ আর উচ্ছ্বাস দেখে।

বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় জাতীয় সংসদে পদ্মা সেতু নির্মাণের দাবি তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মাদারীপুরের সংসদ সদস্য ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী। বঙ্গবন্ধু সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণে সম্মত ছিলেন। তবে স্বল্পমেয়াদি ঐ সরকার সেতু নির্মাণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে নি। তবে কন্যা শেখ হাসিনা তার সরকারের প্রথম মেয়াদে ১৯৯৯ সালে প্রাক–সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষার মাধ্যমে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সূত্রপাত করেন। ২০০১ সালের ৪ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সমীক্ষা শেষে ২০০৫ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য প্রাথমিক প্রাক্কলন ধরা হয় ১২,০০০ কোটি টাকা। তবে ঐ সরকারের উদাসীনতার কারনে তারা ডিপিপি অনুমোদন করে যেতে পারেনি। পরবর্তীতে ওয়ান-ইলেভেন সরকার বিশদ নকশা প্রণয়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগে ২০০৭ সালে দরপত্র আহ্বান করে এবং সেতু নির্মাণে একটি ডিপিপি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে অনুমোদন দেয়। তখন ব্যয় ধরা হয় ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা। ডিপিপিতে ২০১৫ সালের মধ্যে সেতু নির্মাণের লক্ষ্য ঠিক করা হলেও ঐ সরকারের আমলে সেতু নির্মাণের কাজ আর অগ্রসর হয়নি।

২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর মাত্র ২২ দিনের মাথায় পদ্মা সেতুর চূড়ান্ত পূর্ণাঙ্গ নকশা তৈরির জন্য নিউজিল্যান্ডভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মনসেল এইকমকে নিয়োগ দেওয়া হয়। দ্রুততম সময়ের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০১০ সালের মধ্যে নকশা চূড়ান্ত হওয়ায় পরের বছর জানুয়ারিতে ডিপিপি সংশোধন করা হয়। সংশোধনীতে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। শুরুতে মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ধরা হয়েছিল ৫.৫৮ কিলোমিটার। পরে তা বৃদ্ধি করে ৬.১৫ কিলোমিটার করা হয়। প্রথম ডিপিপিতে সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে মাত্র তিনটির নিচ দিয়ে নৌযান চলাচলের ব্যবস্থা রেখে নকশা করা হয়েছিল। পরে ৩৭টি স্প্যানের নিচ দিয়ে নৌযান চলাচলের সুযোগ রাখার বিষয়টি যুক্ত করা হয়। প্রথম সংশোধিত ডিপিপিতে বেশি ভার বহনের ক্ষমতাসম্পন্ন রেল সংযোগ যুক্ত করা হয় যা বিএনপি বা ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় করা ডিপিপিতে ছিল না। কংক্রিটের বদলে ইস্পাত বা স্টিলের অবকাঠামো যুক্ত হয় সংশোধিত ডিপিপিতে। সেতু নির্মাণে পাইলিংয়ের ক্ষেত্রেও বাড়তি গভীরতা ধরা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন এবং জমি অধিগ্রহন ব্যয় বৃদ্ধি পায়। পদ্মা সেতুতে নদী শাসন করতে হয়েছে ১৪.৫ কিলোমিটার যা নজিরবিহীন। সংশোধিত ডিপিপিতে সেতুর ব্যয় বৃদ্ধির পেছনে এসব কারণ উল্লেখ করে সেতু বিভাগ।

নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে সেতু প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়ে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা ও ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) এর সঙ্গে ঋণচুক্তি সই করে সরকার। প্রায় একই সময়ে দেশের নোবেল বিজয়ী ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত তার বয়সজনিত আইনি বাধার কারনেই তাকে গ্রামীণ ব্যাংকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গিয়ে হেরে যান নোবেল বিজয়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস। ফলে সরকারের বিরুদ্ধে নাখোশ হন তিনি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে ফোন আসে আমেরিকার প্রভাবশালী পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারী ক্লিনটনের। কিন্তু অনড় প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন আইনের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ তার নেই। আমেরিকায় বসবাসকারী প্রধানমন্ত্রীর পুত্রকে হুমকি দেওয়া হয় তার মাকে চাপ দিতে- যাতে ইউনূসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হয়। তার বিরুদ্ধে অডিট করার হুমকি দেওয়া হয় ওবামা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা কোনো চাপের কাছেই মাথানত করেন নি।

কথিত আছে এ কারনেই ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের প্ররোচনায় পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের তদারক করতে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের দাবির মুখে সরকার সে সময়কার যোগাযোগ মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা এবং  যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়। যোগাযোগ সচিবকে আসামি করে মামলা ও করেছিল দুদক। তিনি জেল ও খাটেন অনেকদিন। তারপর ও বিশ্বব্যাংক সহ একে একে অন্যান্য সব অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিশ্রুত অর্থায়ন স্থগিত ঘোষণা করেন। কানাডার টরেন্টোর আদালত এবং বাংলাদেশের দূর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে সে সময় দূর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। অথচ বিশ্বব্যাংক সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান তাদের পূর্বের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে, যা পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ বন্ধ করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অংশ বলেই এদেশের সিংহভাগ মানুষের বিশ্বাস।

শেখ হাসিনা জানতেন, বিশ্ব ব্যাংকের দূর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিলের উছিলা মাত্র। তারা কোনোভাবেই পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করবে না। সে কারনে ২০১২ সালের ৯ জুলাই মন্ত্রীপরিষদের এক বৈঠকে সবাইকে তাক লাগিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সাহসি সিদ্ধান্ত নেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মত এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেকের মনে শঙ্কা থাকলেও উন্নয়নকামী স্বাধীনচেতা বাঙালি শেখ হাসিনাকে বিপুলভাবে সমর্থন দেন। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ১২ ই ডিসেম্বর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধিজনিত কারনে প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় বেড়ে হয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা। সেতুর দুই পাড়ে প্রায় ১৪.৫ কিলোমিটার নদী শাসন করতেই ব্যয় হয় প্রায় ৯,০০০ কোটি টাকা। পৃথিবীর আর কোনো সেতুর ক্ষেত্রে নদী শাসনে এত ব্যয় হয় নি। দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে বিএনপি সহ তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সেতু নির্মাণের শুরু থেকেই কাল্পনিক দূর্নীতি, অধিক নির্মাণ ব্যয় সহ বিভিন্ন অযৌক্তিক বিষয়কে সামনে এনে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সেতু নির্মাণের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগেন। বিশ্বব্যাংক সহ অন্যান্য দাতা সংস্থার পক্ষাবলম্বন করেন তারা।



বিশ্বব্যাংক সহ দাতা সংস্থাগুলোর পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধের পর  দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া প্রকাশ্য জনসভায় শেখ হাসিনার সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারবেনা বলে মন্তব্য করেন। তবে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে সেতুর কাজ শুরু করলে- জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে এরুপ হাস্যকর দাবি করে দেশের মানুষকে পদ্মা সেতুতে উঠতে নিষেধ করেন। উঠলে ভেঙে পড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। লোড ক্যাপাসিটি, ভূমিকম্প সহনীয়তা সহ সবদিক বিবেচনায় বিশ্বের অন্যতম সেরা এই স্থাপনার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের জুৃলাই মাসে সরকারবিরোধী চক্রের কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ায়। পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগবে বলে ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালায় ঐ অপশক্তি। সরকারের সেতু বিভাগ বিষয়টিকে গুজব বলে জনগণকে বিভ্রান্ত না হতে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেন। তখন গুজবের কারনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা ও অপহরণকারী সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে পিটিয়ে মারার মত ঘটনাও ঘটে।

অবশেষে শত চ্যালেঞ্জ, প্রতিবন্ধকতা এবং ষড়যন্ত্রকে দৃঢ়তার সাথে মোকাবিলা করে অদম্য শেখ হাসিনা সরকার জাতিকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উপহার দিয়েছেন। পৃথিবীর দ্বিতীয়  খরস্রোতা পদ্মা নদীর বুক ভেদ করে সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাঙালির গর্বের পদ্মা সেতু। গত মাসের ২৩ জুন সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয় এবং ২৫ জুন উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুঁড়ির দেশ নয়, বরং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ এক দেশের নাম। পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে আমাদের আত্মসম্মানবোধকে সমুন্নত করেছেন, আমাদের সক্ষমতার জানান দিয়েছেন। অথচ সেতু উদ্বোধনের পরও বিএনপি সহ সরকার বিরোধী কিছু রাজনৈতিক সংগঠন সরকারকে সাধুবাদ না জানিয়ে বরং কোথায় সেতুর নাট-বল্টু লুজ আছে সেসব প্রচারে ব্যস্ত।

তারা মাত্র ১২০ টন লোড ক্যাপাসিটির ভারতের ভূপেন হাজারিকা সেতুর নির্মাণ ব্যয়ের সাথে ১০,০০০ টন লোড ক্যাপাসিটির পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয়ের তুলনা করে পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির আষাড়ে গল্প শোনায়। পদ্মা সেতু পৃথিবীর দ্বিতীয় খরস্রোতা নদী পদ্মার উপর নির্মিত। অন্যদিকে ভূপেন হাজারিকা সেতু নির্মিত হয়েছে ব্রহ্মপুত্রের উপনদী লোহিত নদীর উপরে। 'ভূপেন হাজারিকা' সেতুর দীর্ঘতম স্প্যান ৫০ মিটার এবং পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ এবং বিখ্যাত চীনের 'বেইজিং গ্রান্ড ব্রীজ' এর স্প্যানের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য যেখানে ৪৪ মিটার সেখানে পদ্মা সেতুর প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার! অর্থাৎ তিন গুণ। আবার পৃথিবী বিখ্যাত ক্যালিফোর্নিয়ার 'গোল্ডেন গেট ব্রীজ' এর পিলারের গভীরতা মাত্র ১৯.৮১ মিটার! এবং 'সিডনী হার্বর ব্রীজ' এর পিলারের গভীরতা যেখানে ৮৯ মিটার সেখানে পদ্মা সেতুর পিলারের গভীরতা ১২২ মিটার! এত দীর্ঘ গভীরতায় পিলার পৃথিবীর আর কোনো সেতুতে নেই। যা সেতুটিকে অনন্যতা দান করেছে।

ভারতের গঙ্গা (পদ্মা) নদীর উপর ১৯৭২-'৮২ পর্যন্ত নির্মিত মহাত্মা গান্ধী সেতুর নির্মাণ ব্যয়ও শুরুতে ধার্যকৃত ব্যয় থেকে প্রায় দ্বিগুন বেড়ে যায় (৪৬ কোটি রুপি থেকে ৮৭ কোটি রুপি)। কারন প্রকল্প শেষ হওয়ার মেয়াদ ৭৮-৮২ অর্থাৎ চার বছর বেড়ে যাওয়ায় নির্মাণ ব্যয় ও সে সময় বেড়ে যায়। অথচ পদ্মা সেতু প্রকল্পের মেয়াদ ৭ বছর বাড়ার কারনে নির্মাণ ব্যয় বেড়েছে দেড় গুন। কাজেই পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধি কতটুকু অযৌক্তিক? আর মূল সেতুর নির্মাণ ব্যয় ১০,১৬১ কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে ১২,১৩৩ কোটি। অর্থাৎ বেড়েছে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা যা সামগ্রিক ব্যয় বৃদ্ধির তুলনায় কমই বলা চলে। মহাত্মা গান্ধী সেতু নির্মাণের ৩৮ বছরের মাথায় ২০২০ সালে কেবল এর মেরামত বাবদ খরচ হয়েছে ১৭৪২ কোটি রুপি যা নির্মাণ ব্যয়ের ও ২০ গুনের বেশি! প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লে নির্মাণ ব্যয় কতটা বাড়তে পারে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ ভারতের মহাত্মা গান্ধী সেতু।

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আমেরিকার সানফ্রান্সিসকোর ৭.১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ 'ওকল্যান্ড বে ব্রীজ' পূনর্গঠনে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছিল ০.২৫ বিলিয়ন ডলার। অথচ ২০০২ সালে শুরু হয়ে ২০১৩ সালে শেষ হওয়া পূনর্গঠন কাজে ব্যয় হয়েছিল ৬.৩ বিলিয়ন ডলার! অর্থাৎ আনুমানিক ব্যয়ের তুলনায় ২৫ গুনের ও বেশি! পদ্মা সেতুর ন্যায় ওকল্যান্ড বে ব্রীজ পূনর্গঠনে ও বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় কিন্তু ২৫ গুন বাড়ে নি, বেড়েছে দেড় গুন। পদ্মা সেতুর তুলনায় মাত্র ১ কিলোমিটার বেশি দীর্ঘ এই ব্রীজের শুধুমাত্র পূনর্গঠনে ব্যয় হয়েছে পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয়ের প্রায় দ্বিগুন! অথচ বিএনপির মাননীয় সাংসদ ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানারা সংসদে এসব তথ্য দেন না। নির্মাণশৈলীতে অনন্য পদ্মা সেতুর তুলনা করেন ভারতের সাধারন মানের ভূপেন হাজারিকা সেতুর সাথে। এটি হয় তাদের জ্ঞানের নয়তো মনের দৈন্যতা।

অনুমান করা হচ্ছে যে এই সেতুর টোল বাবদ যে আয় হবে, শুধু তা দিয়ে সেতুর ব্যয় উঠে আসতে সময় লাগবে মাত্র সাড়ে ৯ বছর। বিশ্বব্যাংকের বরাতে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা জানায়, আগামী ৩১ বছরে যোগাযোগ খাতে পদ্মা সেতু থেকে আয় হবে ১৮.৫ বিলিয়ন ডলার, যা নির্মাণ খরচের ৫.৫ গুণ। এ ছাড়া সামাজিক অগ্রগতি অর্থনীতিতে যোগ করবে ২৫ বিলিয়ন ডলার। দুই পাড়ে নদী শাসনের মাধ্যমে যে জমি রক্ষা হয়েছে তার মূল্য প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সেতুর মাধ্যমে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও ইন্টারনেট লাইন গিয়ে সাশ্রয় করবে ২,৪০০ কোটি টাকা। ফেরি চলাচল না হওয়ায় খরচ সাশ্রয় হবে ৩,৬০০ কোটি টাকা। চুক্তি অনুযায়ী সেতু কর্তৃপক্ষ আগামী ৩৫ বছরে ১% মুনাফায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করবে অর্থ মন্ত্রনালয়কে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টোল থেকে আদায়কৃত অর্থ এর বেশিরভাগ দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা হবে এবং বাকি অর্থ দিয়ে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।

অনন্য নির্মাণশৈলীর পদ্মা সেতু কেবল স্টীল, পাথর, রড, সিমেন্ট আর কংক্রিটের এক স্থাপনা নয়, এটি দেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠীর স্বপ্ন, সম্ভাবনা আর সমৃদ্ধির ভবিষ্যৎ সোপান। ১৬ কোটি বাঙালির সক্ষমতা আর আত্মমর্যাদার প্রতীক। শেখ হাসিনার অদম্য সাহসি নেতৃত্বের অনন্য অর্জন। এ সক্ষমতা ষড়যন্ত্রকারী, অপপ্রচারকারী গোষ্ঠীর মুখে কেবল চপেটাঘাত নয়, তাদের নিদারুণ পরাজয় আর অদম্য শেখ হাসিনার হাত ধরে আত্মমর্যাদাশীল বাঙালি জাতির সমৃদ্ধির সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে যাওয়ার চূড়ান্ত হাতছানি!

শেখ হাসিনা   পদ্মা সেতু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

এক বছরের রাষ্ট্রপতির যত অর্জন


Thumbnail

আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।

দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।

আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।

গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে, তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও একই ভাবে থেকেছেন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।


রাষ্ট্রপতি   মো. সাহাবুদ্দিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

শেখ হাসিনা ছাড়া কেউই অপরিহার্য নয়


Thumbnail

প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।

আওয়ামী লীগ যদি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় সেটি ভিন্ন কথা। কিন্তু আওয়ামী লীগ যদি টিকে থাকতে চায় তাহলে দলকে এবার কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। এটা এখন সময়ের দাবি। যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তারা ইনিয়ে বিনিয়ে এখন নানান অজুহাত তৈরি করছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের উচিত হবে এ সমস্ত অজুহাত না শোনা। কারণ যিনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত পরিপন্থি কাজ করেছেন এটা সুস্পষ্ট। সুতরাং এখানে দল উচিত তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। দল করলে তাকে দলীয় শৃঙ্খলা মানতেই হবে। অনথায় দল থেকে বাদ দিতে হবে। যারা দলীয় সিদ্ধান্তের পরিপন্থী কাজ করেন তারা কখনই দলের জন্য মঙ্গলজনক নয়। এদের মত আট-দশ দলে না থাকলে আওয়ামী লীগের কিছু যায়-আসে না। একমাত্র আওয়ামী লীগ সভাপতি দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক ছাড়া আর কেউই আওয়ামী লীগের জন্য অপরিহার্য নয়। শেখ হাসিনাই কেবল মাত্র আওয়ামী লীগ এবং দেশের স্বার্থে অপরিহার্য। সুতরাং, এখন আমরা দেখতে চাই শৃঙ্খলা পরিপন্থীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

যারা আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্দেশনা অমান্য করেছেন তিনি দলের যত বড় নেতাই হোন না কেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি। দরকার হলে দল থেকে তাদেরকে বাদ দিতে হবে কিংবা বহিষ্কারের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। শুধু বহিষ্কারই নয়, তাদের প্রাথমিক সদস্য পদও বাতিল করতে হবে। এতে করে কারও যদি এমপিত্ব চলে যায় তো যাবে। কিন্তু দলের শৃঙ্খলা ধরে রাখতে হবে দলের স্বার্থে। তাদের আসনে যে কাউকে নির্বাচন করে জিতে আসতে পারবেন। কোন মন্ত্রী এমপি আওয়ামী লীগের জন্য অপরিহার্য নয়। যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন উপজেলা গুলো প্রার্থী দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে দল কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটা দেখার জন্য গোটা দেশের মানুষ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দিকে তাকিয়ে আছে।

অতীতে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেখেছি দেশের বৃহত্তর স্বার্থে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে। বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কঠোর পদক্ষেপ নেবেন এমনটি আশা আওয়ামী লীগের প্রতিটি তৃণমূল নেতাকর্মীর। এখন আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেয় আমরা সেটার অপেক্ষা আছি।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

শেখ হাসিনার সমালোচনা করলেও কেউই তার বিকল্প খুঁজে পান না


Thumbnail

দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। 

দার্শনিক শেখ হাসিনা এখন আগে দার্শনিক পরে রাষ্ট্রনায়ক। এতদিন তিনি ছিলেন আগে রাষ্ট্রনায়ক পরে এবং দার্শনিক। এখন তিনি আগে দার্শনিক পরে রাষ্ট্রনায়ক। কারণ তিনি একের পর এক দর্শনকে যেভাবে স্থায়ী রূপ দিয়ে যাচ্ছেন তাতে এদেশের সকলের মনোবলও বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন মন্ত্রিসভাতেও তিনি দর্শনের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। তিনি পুরনোদের সাথে নতুনদের যুক্ত করে নেতৃত্বের একটি চমৎকার ভারসাম্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। যা আমরা এই ১০০ দিনে বুঝতে পেরেছি এই নতুন মন্ত্রিসভার কাজকর্মে। সেদিক থেকে আমি অনুধাবন করতে পারি যে, এই ১০০ দিনে দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এখন পর্যন্ত শতভাগ সফল।

গোটা বিশ্ব এখন যুদ্ধের মধ্যে পড়েছে। করোনার পর থেকে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ গোটা বিশ্ব অর্থনীতিতে টলটলয়মান করে দিয়েছে। এখন আবার নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে। বলা যায় বিশ্বে একটা মিনি বিশ্ব যুদ্ধ চলছে। গাজায় হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এরকম পরিস্থিতিতে দার্শনিক শেখ হাসিনার সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ। তবে আশার কথা যে, এখন পর্যন্ত তিনি সঠিক পথে আছেন এবং সফল ভাবে পুরো পরিস্থিতি মোকাবিলা করে যাচ্ছেন। বিশ্বের অস্থির পরিস্থির কথা অনুধাবন করে তিনি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম নির্দেশনা দিচ্ছেন। যেমন-বিশ্ব বাজারে নতুন নতুন বাজারের সন্ধান। আমাদের যেন খাদ্য ঘাটতি পড়তে না হয় সেজন্য তিনি আগাম আমাদের সতর্ক করে দিচ্ছেন। পাশাপাশি আমাদের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতেও তিনি জোরালো ভাবে আহ্বান করেছেন। 

একজন জেনারেলকে কীভাবে বিচার করা হয়? তিনি কয়টি ব্যাটল জয় করলেন সেটা দিয়ে কিন্তু নয়। তাকে বিচার করা হয় যখন তিনি একটা ব্যাটলে হেরে যান এবং তার সৈন্যরা যখন পুরো ভেঙে পড়েন ঠিক সে সময় তিনি কীভাবে তার সৈন্যদের উজ্জীবিত করতে পারলেন সেটা বিবেচনায় নেওয়া হয়। দার্শনিক শেখ হাসিনাও সে রকম একজন জেনারেল, যে জেনারেল কঠিন সময়ে সাধারণ জনগণকে সবচেয়ে কম কষ্টে রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতেও যেন তিনি সফল ভাবে নিয়ে যাবেন সেটা বলাই বাহুল্য। অনেকে তার সমালোচনা করছেন ঠিক কিন্তু কেউ তার বিকল্পের কথা বলতে পারছেন না। তিনি দলকে যেমন ধরে রেখেছেন বা নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঠিক তেমনিভাবে সরকারকেও সঠিক পথে পরিচালনা করছেন। সুতরাং শেখ হাসিনার বিকল্প যে শেখ হাসিনাই এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। নতুন সরকারের প্রথম ১০০ দিনের মত সামনের দিনগুলোতে সাফল্য ধরে রাখবে এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

কতিপয় সাংবাদিক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও ক্ষমতাধর


Thumbnail

বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।

ভিন্ন চিত্র দেখলাম শনিবার সকালে বরিশাল সদর হাসপাতালে। দায়িত্বরত চিকিৎসক ওয়ার্ডে রাউন্ড দিতে যেয়ে দেখেন দুজন টিভি সাংবাদিক ওয়ার্ডে ভিডিও করছেন। ভিডিও শেষ হবার পর চিকিৎসক তাঁর রাউন্ড শুরু করলেন। রাউন্ড শুরু করতেই দুজন সাংবাদিক আবার ক্যামেরা ধরে চিকিৎসকের সাথে কথা বলা শুরু করলেন। চিকিৎসক তাদের পরিচয় জানতে চাইলেন। বিনয়ের সাথে নিচু স্বরে একে একে ২০ বার (গুনে নিশ্চিত হয়েই বলছি) সাংবাদিকের নাম জিজ্ঞেস করলেন, পরিচয় জানতে চাইলেন। উক্ত সাংবাদিক নাম বলেননি, পরিচয় দেননি। বরং উচ্চস্বরে উল্টা পাল্টা কথা বলেছেন, পাল্টা প্রশ্ন করেছেন। অবশেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক উর্ধতন কাউকে ফোন দেয়ার পর সাংবাদিক সাহেব তার নাম বলেছেন। এখানে দুটি প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।  প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে, সাংবাদিক দুজন কি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও ক্ষমতাধর হয়ে গেছেন ? দ্বিতীয় প্রশ্ন, সাংবাদিক দুজনকে কেন নাম বলতে হবে ? নাম, পদবি, পরিচয় থাকবে তাদের বুকে বা কোমরে প্রদর্শিত আই ডি কার্ডে। এখন দেখার বিষয়,  প্রদর্শিত স্থানে আই ডি ছিল কিনা ? না থাকলে থাকবে না কেন?

সাংবাদিক ও চিকিৎসকবৃন্দ ঘটনার ভিডিও চিত্র সমূহ পৃথকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়েছেন। সব গুলো ভিডিও কয়েকবার দেখেছি, পর্যালোচনা করেছি। দায়িত্বরত চিকিৎসক কখনোই উচ্চস্বরে কথা বলেননি। তিনি যথেষ্ট ধৈর্য্য, বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। পক্ষান্তরে সাংবাদিক দুজন বারবার উচ্চস্বরে কথা বলেছেন। তাদের কথা বলার ধরণ দেখে মনে হয়েছে, এটি একটি মগের মুল্লুক। কর্তব্যরত চিকিৎসক ওয়ার্ড রাউন্ড শুরু করার আগে প্রতি রোগীর সাথে একজন এটেন্ডেন্ট ব্যাতিরেকে সবাইকে বের হবার কথা বলেছেন। সবাই বেরিয়ে না গেলে তিনি চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। সেটাই নিয়ম।  সারা দুনিয়ায় সেটাই হয়ে থাকে। সাংবাদিকদ্বয় সেটি শুনতে নারাজ। এখানে তারা স্পষ্টতই সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করেছেন, যা আইনত দণ্ডনীয়।  

দিন শেষে বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেখলাম সাংবাদিকদের হেনস্থা করেছে ডাক্তার। অথচ ভিডিও গুলি পর্যালোচনা করলে যে কেউ বলবেন, ডাক্তারকে হেনস্থা করেছে সাংবাদিকরা। আসলেই মগের মুল্লুক। ঘটনা কি ? আর সংবাদ শিরোনাম কি? এসব মগের মুল্লুকের রাজত্ব  থেকে জাতিকে পরিত্রান দেয়া প্রয়োজন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিএমএ, এফডিএসএর, বিডিএফ ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সমন্বয়ে একটি কমিটি করে দেয়া দরকার। কমিটি হাসপাতালে সাংবাদিক প্রবেশে ও তাদের দায়িত্ব নির্ধারণে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করবে। সে নীতিমালায় যাতে স্বাস্থ্য কর্মীদের কাজে বাধা প্রদান না করা হয়, রোগীর অনুমতি ব্যাতিরেকে তাদের ছবি, ভিডিও বা রোগ সংক্রান্ত কোন তথ্য প্রকাশ বা প্রচার না করা হয়, সেসব বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা প্রয়োজন। তা না হলে হাসপাতাল সমূহে এ ধরণের অরাজকতা হতেই থাকবে, বাড়তেই থাকবে।  

লেখকঃ প্রবাসী চিকিৎসক, কলামিস্ট।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

প্রথম আলোর পর কী ডেইলি স্টারও বিক্রি হবে?


Thumbnail

এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা করবেন।

প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর। আমার ধারণা যারাই প্রথম আলো কিনেন না কেন তারা প্রথম দিকে মতিউর রহমান সাহেবকে রাখলেও পরবর্তীতে ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে সম্পাদক পরিবর্তন করবে। আর প্রথম আলো যদি কোন যুক্তিপূর্ণ লোকের কাছে দেয় তাহলে আমার মতে এখানে সম্ভবত আনিসুল হক সাহেব সম্পাদক হবেন। কারণ তার প্রতি লোকের অনেক শ্রদ্ধাবোধ আছে এবং তিনি সবসময় একটা রেড লাইন রক্ষা করে চলেন। এটা আমরা সকলেই জানি। তার সাথে অনেকেরই  ভালো সম্পর্ক এবং তিনি খুবই জ্ঞানী লোক।

এর আগে মতিউর রহমান যখন একতা থেকে আজকের কাগজে যান, তখন তার উদ্দেশ্যই ছিল যে, একটি পত্রিকা কীভাবে চলে সেটা শেখা এবং এখান থেকে একসাথে সাংবাদিক নিয়ে বেরিয়ে যাওয়া। তিনি সেটা করেছিলেন। তারপর ভোরের কাগজ থেকে একই কাজ করেছেন। সুতরাং তার সত্যিকারের নীতিবোধ বলতে যেটা বোঝায় সেটা দুর্ভাগ্যবশত তিনি প্রমাণ করতে পারেননি।

তিনি এক সময় কমিউনিস্টদের সাথে থাকলেও এখন তার চেয়ে বড় দক্ষিণপন্থী পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়াই কঠিন। এ কারণে প্রথম আলো যে বিক্রি হবে এই ব্যাপারে সাধারণ লোকের ভিতরে এখন আর কোন সন্দেহ নেই।

এখন প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টারের কী হবে এই নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে এবং এই আলাপ আলোচনা খুব দীর্ঘদিন যে চলবে তা না। আমার মনে হয় জুন-জুলাই মাসের ভিতরেই এর একটা ফয়সালা হয়ে যাবে। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই বুঝি যে, একটি পত্রিকা পাঠকপ্রিয়তা পেতে বেশ সময় লাগে। এটা একদিন দুইদিনের ব্যাপার না। আবার ঠিক তেমনিভাবে যখন পাঠকপ্রিয়তা কমতে থাকে সেটাও একদিন দুইদিনে হয় না। ধীরে ধীরে হয়। এই মিডিয়া জগতের নিয়মই তাই।

আমি ১৯৬১ সালে পত্রিকা বলতে শুধুমাত্র ইত্তেফাক এর কথাই জানতাম। সেই ধারণা থেকে বলতে পারি এখন প্রথম আলোর যদি কিছু কর্মী এর চেয়ে ভালো কোন সুযোগ সুবিধা দেখেন তাহলে তারা বিক্রি হওয়ার আগেই চলে যাবেন। কারণ স্বাভাবিকভাবেই একজন সাংবাদিকের একটা ক্যারিয়ার আছে এবং প্রথম আলোর মতো পত্রিকাতে কাজ করে তিনি তো যে কোন পত্রিকায় যেতেও পারবেন না। তার কারণ গেলে তার ওই লেখার যে মান সেটা মূল্যায়ন নাও হতে পারে। তবে আমার ধারণা প্রথম আলোতে কাজ করেছেন এমন যে কাউকে টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমি অবাক হব না যদি দু এক মাসের ভিতরে দেখা যায় যে আস্তে আস্তে প্রথম আলো বিভিন্ন কর্মী অন্য পত্রিকায় যাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।

ব্যাংক মার্জারের যেমন একটি ঘটনা বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ঠিক তেমনি পত্রিকা জগতেও শিল্প গোষ্ঠীর যে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে এটিও ব্যাংক মার্জারের ঘটনার পর্যায়ে চলে যাবে। ব্যাংকিং ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুটি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে। আর এদিকে দেখা যাবে, সংবাদকর্মীরা অন্য পত্রিকায় চলে যাচ্ছে।

তবে আমার মনে হয় না, এখন যে অবস্থা চলছে এতে প্রথম আলো আর আগের মতো প্রথম আলো থাকতে পারবে। এটা কিছুতেই সম্ভব না এটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত। তাই আমার মনে হয় প্রথম আলো সেই ব্যাংক মার্জারের পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন অন্য পত্রিকা যাদের আছে, তারাও প্রথম আলো কিনে নিতে পারেন। এটি সম্ভব। এরকম শিল্পগোষ্ঠীর কোন কমতি বর্তমানে বাংলাদেশে নেই। যে কোন শিল্প গোষ্ঠীই এটা কিনবে।

তবে আমি আশা রাখব, যারাই প্রথম আলো কিনবে, তারা যেন অন্তত পক্ষে এটা খেয়াল রাখে যাতে সাংবাদিকদের কোন ক্ষতি না হয়। সুতরাং এদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমার দাবী হচ্ছে সাংবাদিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।


প্রথম আলো   ডেইলি স্টার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন