বাজারে
যে কোনো পণ্য কিনতে ক্রয়মূল্য নিয়ে স্বস্তি পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। প্রতিটি পণ্যের
দামই হু হু করে বাড়ছে। মধ্যবিত্তরাও এখন দামের চাপে ব্যাগের তলানিতে পণ্য নিয়ে ফিরছেন
ঘরে। নিম্নবিত্তদের অবস্থা অবর্ণনীয়।
শুক্রবার
সকালে রাজধানীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দাম বাড়ার কোনো কারণ না থাকলেও ফের
বাড়তে শুরু করেছে মোটা চাল, আটা, ময়দা, তেল, চিনি, পেঁয়াজ, মসুর ডালসহ প্রায় সব ধরনের
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এসব পণ্যের বাড়তি দামের চোটে যেমন একদিকে ক্রেতারা চাহিদার
তুলনায় পণ্য কম কিনছেন, তেমনি বিক্রেতাদেরও কেনাবেচা কমেছে।
সবকিছুর
দাম বাড়তি। দাম শুনে অনেকে পণ্য না নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। যেটা না নিলেই নয়, সেসব পণ্য
এক কেজির জায়গায় আধা কেজি নিচ্ছেন। আগে যারা পুরো প্যাকেট নিতেন, তারা খোলা কিনছেন।
এ
অবস্থায় ক্রেতারা নাজেহাল। বাজারে একের পর এক জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। খরচ কমাতে কমাতে
একবেলা না খেয়ে থাকার চিন্তায় আছেন অনেকে।
এদিকে
শুক্রবারের বাজারে নতুন অস্বস্তি নিয়ে এসেছে ভোজ্যতেল। দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম
কমেছিল এক মাস আগে। এর মধ্যেই আবার দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এবার
তারা লিটারে ১৫ টাকা বাড়াতে চান। গত মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেওয়ার
পর এরই মধ্যে বাজারে তেল সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে কোম্পানিগুলো। সেজন্য এখন বেশির ভাগ দোকানে
আগের নির্ধারিত দাম অনুযায়ী তেল পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল
১৭৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৫৮ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও কিনতে হচ্ছে আরও
বেশি দরে।
সরকার
ঘোষণা দেওয়ার আগেই ডিলাররা তেলের দাম বেশি নেওয়া শুরু করেছে। বোতলজাত সয়াবিনের পাশাপাশি
খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দামও বেড়েছে পাইকারি বাজারে। পাইকারি পযার্য়ে প্রতি ড্রাম
(২০৪ লিটার) সয়াবিন ও পাম তেলে এক থেকে দেড় হাজার টাকা বেড়েছে।
অন্যদিকে
বাজারে চিনির দাম এখনো কমেনি। প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ৯৫ টাকা
নির্ধারিত থাকলেও বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। আবার সরকারি চিনিকলের চিনিগুলো
প্রতিকেজি ৮৫ টাকা দর নির্ধারিত থাকলেও সেসব বাজারে মিলছে না।
গত
তিনদিনে মিল পযার্য়ে মোটা চাল প্রতি বস্তায় (৫০ কেজি) ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। সে
কারণে খুচরা বাজারে খোলা চালের দামও বেড়েছে ১-২ টাকা। প্রতি কেজি পায়জাম ও গুটি স্বর্ণা
জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৩ থেকে ৫৬ টাকায়। বিআর-২৮ জাতের চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়।
খুচরা
বাজারে বেড়েছে খোলা আটা-ময়দার দামও। প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। যা
আগে ৫ টাকা কম ছিল। একইভাবে ভালো মানের ময়দার দাম ৬৫-৭০ টাকা হয়েছে। ডালের দামও গত
তিন-চার দিনে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। দেশি প্রতি কেজি মশুর ডাল ১২৫ থেকে ১৩০
এবং আমদানি করা ডাল ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে
সপ্তাহের ব্যবধানে আরও ৫ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজের কেজি ঠেকেছে ৬০ টাকায়। আবার ভালোমানের
বাছাই করা পেঁয়াজ নিতে গেলে কোথাও কোথাও ৭০ টাকাও দিতে হচ্ছে। আমদানি করা পেঁয়াজের
কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম ৮০ টাকা কেজি। ৮০ টাকা বা তার কিছু কমবেশি দামের সবজির তালিকায় রয়েছে কাকরোল, কচুর লতি, উস্তা, করলা, ঝিঙা ও শিম। বেগুন, পটল, চিচিঙ্গা, মুলা ও একপিস ফুলকপি পাওয়া যাচ্ছে ৬০ টাকার মধ্যে। কম দামে শুধু পেঁপে, যা ৪০ টাকা কেজি। আর টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে।
বাজার ক্রয়মূল্য দামের উর্ধ্বগতি
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।