রৌদ্রোজ্জ্বল
দিনে এখনও প্রচণ্ড গরম অনুভূত হলেও রাতের শেষ ভাগে শীত অনুভূত হচ্ছে দেশের উত্তরের
জেলা কুড়িগ্রামে। ঋতু পরিক্রমায় এখন চলছে শরৎকাল। এখনো শীত আসতে ২ মাস বাকি। তবুও কুড়িগ্রামে
ঘন কুয়াশা দেখা দিয়েছে।
কুয়াশায় ঘোলাটে
আকাশ। দূরের গাছপালা যেন ক্যানভাসে আঁকা জলরঙের স্থিরচিত্র। কুয়াশার আবরণ ভেদ করে কমলা
রং ধারণ করে উঁকি দিচ্ছে দিনমণি। ফসলের মাঠে মাঠে মুক্তদানা ছড়িয়ে রেখেছে প্রকৃতি।
সবুজ ফসলের ডগায় ডগায় ঝুলছে মুক্তার ফল। সবুজ ঘাসে ঘাসে হাসছে স্বচ্ছ স্ফটিক। মাঠজুড়ে
শিশিরের রাজত্ব।
বাংলা পঞ্জিকা
অনুযায়ী বুধবার ১৩ আশ্বিন। সেই অনুযায়ী শরতের দ্বিতীয় মাস। এরপর হেমন্তের দুই মাস পর
শুরু হবে শীতকাল। তবে দেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামে এরই মধ্যে শীতের
আবহ শুরু হয়েছে। সীমান্তবর্তী এ জেলা ভারতের হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় আগাম শীতের দেখা
মিলেছে হেমন্তের আগেই।
অন্যান্য বছরগুলোতেই
দেখা গেছে, কার্ত্তিক মাসের শুরুতেই শীতের অনুভূত হলেও এবার প্রায় এক মাস আগে আশ্বিনের
শুরুতেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে এ অঞ্চলে শুরু হয়েছে শীতের আগমনী বার্তা। মধ্যরাতের
পর থেকে হালকা কুয়াশা পড়ছে। এ কুয়াশায় সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বিভিন্ন গাছের ডগা ও ধান
ক্ষেতে শিশির জমে থাকার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। শেষ রাতে শরীরে হালকা কাঁথা ও কম্বলও জড়াতে
হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিসের
তথ্যানুযায়ী, এবার এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কম হওয়ার শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে। এ কারণে
এ অঞ্চলে আগাম কড়া নাড়ছে শীত।
কুড়িগ্রাম জেলার
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সবুর মিয়া জানান, পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত
না হওয়ায় এ অঞ্চলে শীত আগাম কড়া নাড়ছে। ফলে গভীর রাত থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কুয়াশা
পড়েছে।
মন্তব্য করুন
চলতি মাসের বাকি দিনগুলোতে তাপপ্রবাহ কমার সম্ভাবনা নেই। এ সময়ে
দিনে গরম তো থাকছেই, রাতেও যে তপ্ত বাতাস বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আগামী
মাসের শুরুতে বৃষ্টির আভাস রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আগামী মাসের শুরুতে সিলেট ও
চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তখন ওই দুই বিভাগে গরমের কষ্ট
কমে আসতে পারে। উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে অবশ্য রাজধানী ঢাকা এবং রাজশাহী ও খুলনার মতো
এতটা উষ্ণতা নেই। তবে মে মাসের বাকি সময়জুড়ে উত্তরেও গরমের তীব্রতা বেশি থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, চলতি মাসের বাকি দিনগুলোতে তাপপ্রবাহ কমার
সম্ভাবনা নেই। এ সময়ে দিনে গরম তো থাকছেই, রাতেও যে তপ্ত বাতাস বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত
থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দেশের অন্তত
১৪টি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ হয়ে গেছে। অর্থাৎ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি
সেলসিয়াস অতিক্রম করে গেছে। অর্ধেকের বেশি জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪০ ডিগ্রি
সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, গতকাল ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা উঠে ৩৯
দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি। গতকাল দেশের
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
ছিল তেঁতুলিয়ায় ১৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম বলেন, ‘এপ্রিল ও মে এমনিতেই
আমাদের এখানে সবচেয়ে উষ্ণ মাস। এবার পূর্ব এশিয়ার মিয়ানমার থেকে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া
হয়ে লাওস পর্যন্ত আর দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে পাকিস্তান
ও আফগানিস্তান পর্যন্ত তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তর তীব্র তাপপ্রবাহ বৃষ্টি
মন্তব্য করুন
সিলেটে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা থেকে পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর গুলোর জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে আগামী তিন দিনেও বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে স্বস্তির খবর, আগামী ৩ দিনে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশকিছু অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে এই সময়ে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার (৩ দিন) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
হিট অ্যালার্ট বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা আরও ৩ দিন বাড়লো। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।
মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, আমরা এর আগে তিন দিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম তার মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা হিট অ্যালার্ট জারি করে সরকারকে জানিয়ে দিই। সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের করণীয় যা সেটা করবে।
তিনি বলেন, সারা দেশের তাপমাত্রা গতকালের থেকে আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে, এটা মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগে পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে বুধবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তর হিট অ্যালার্ট তাপপ্রবাহের
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিলেটে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা থেকে পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর গুলোর জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।