আজ থেকে বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে সরকার। সারাদেশ থেকে প্রতি কেজি ধান ২৭ টাকা দরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কেনা শুরু হয়েছে। আগামী ৭ মে থেকে শুরু হবে চাল সংগ্রহ। এ সংগ্রহ অভিযান আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) খাদ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষ হতে ভার্চুয়ালি এ সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আজ সারাদেশে ধান সংগ্রহ শুরু হলেও চাল সংগ্রহ হবে ৭ মে থেকে। ৭-১৬ মে’র মধ্যে খাদ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে মিল মালিকদের চুক্তিবদ্ধ হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনোক্রমেই চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময় বাড়ানো হবে না।
এসময় মন্ত্রী বলেন, লাইসেন্স ছাড়া কেউ ধান কিনে অবৈধ মজুদ করতে পারবেন না। কে কত টুকু ধান কিনছেন, কোন মিল মালিকের কাছে বিক্রি করছেন তা খাদ্য বিভাগকে জানাতে হবে।খাদ্য কর্মকর্তাদের এসব তথ্য নিয়মিত অধিদপ্তরে প্রেরণ করত হবে। কেউ অবৈধভাবে মজুদ করছে কি না তা কঠোর নজরদারিতে থাকবে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, সংগ্রহ অভিযান সফল করতে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা দরকার। সংগ্রহ মৌসুমের শেষের দিকে তাড়াহুড়ো না করে পরিকল্পনা মোতাবেক সংগ্রহ কার্যক্রম সফল করতে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা দেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঠিকভাবে নির্দেশনা মোতাবেক ধান সংগ্রহের মাধ্যমে মজুত বাড়ানোর নির্দেশনা দেন। গুদামে ধান দেওয়ার সময় কৃষকগণ যাতে কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হন সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্যও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি ধান এবং চালের কোয়ালিটির সঙ্গে কোনো প্রকার আপস করা হবে না বলেও জানান।
এসময় ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল, রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ, রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বরিশাল বিভাগের বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহ হতে জেলার জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, মিল মালিক এবং কৃষক প্রতিনিধিগণ অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মাৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. মজিবুর রহমান, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং পরিচালক (সংগ্রহ) মো. রায়হানুল কবীর বক্তব্য রাখেন।
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় চলতি বোরো মৌসুমে সারাদেশে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান, মিলারদের কাছ থেকে ৪০টাকা কেজি দরে ১১ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৩৯ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মতিউর রহমান ছাগলকাণ্ড বাহাউদ্দিন নাছিম
মন্তব্য করুন
ছাগল-কাণ্ডের জন্য আলোচিত রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার সাদিক এগ্রোর অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। সংস্থাটি বলছে, সাদিক এগ্রো লিমিটেড অবৈধভাবে খাল ও সড়কের জায়গা দখল করে আছে।
অভিযান চালাতে প্রয়োজনীয় পুলিশ ফোর্স মোতায়েন চেয়ে ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে দেওয়া এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানা গেছে। আজ বুধবার প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম স্বাক্ষরিত ওই চিঠি ডিএমপিকে দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা উত্তর সিটির আওতাধীন অঞ্চল-৫–এর অন্তর্ভুক্ত মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধসংলগ্ন আশপাশের অবৈধ স্থাপনাসহ খাল ও সড়কের জায়গায় সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেডের অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা অপসারণ করা হবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। এ সময় তিন প্লাটুন পুরুষ পুলিশ ফোর্স ও এক প্লাটুন নারী পুলিশ ফোর্স প্রয়োজন হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-৫–এর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে, তারা (সাদিক অ্যাগ্রো) রামচন্দ্রপুর খালের জায়গা ভরাট করে খামার করেছে। রাস্তার জায়গায় বেড়া দিয়ে গরুর অবৈধ হাট বসিয়েছিল। এর আগেও তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু খামার কর্তৃপক্ষ এসব কোনো বিষয়ে তোয়াক্কা করেনি।’
সাদিক অ্যাগ্রো কী পরিমাণ জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে—জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, আগের একটা পরিমাপ রয়েছে। তবে আবার নতুন করে অবৈধ দখলের পরিমাণ মেপেই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ওই খামার নিয়ে যেসব আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে, এর সঙ্গে এ অভিযানের কোনো সম্পর্ক নেই।
সাদিক অ্যাগ্রো ডিএনসিসি উচ্ছেদ অভিযান
মন্তব্য করুন
উদয়ন এক্সপ্রেস ধর্ষণ গ্রেপ্তার
মন্তব্য করুন
সমরাস্ত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোর্সেস গোল-২০৩০
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন, গণমাধ্যম, এমনকি রাজনীতিবিদরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে চিহ্নিত করতে না পারলো না। তাকে চিহ্নিত করলো একটি বোবা প্রাণি ছাগল। এমন মতিউর আরও আছে কি না খতিয়ে দেখতে হবে। ভবিষ্যতে ছাগল বা অন্য কোনো বোবা প্রাণি তাদের চিহ্নিত করার আগেই যেন সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো চিহ্নিত করতে পারে।