ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিতর্ক সৃষ্টি করে ক্রিকেটেই ফিরলেন সাকিব

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১২ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail বিতর্ক সৃষ্টি করে ক্রিকেটেই ফিরলেন সাকিব

আগামী ২৭ আগস্ট দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তানের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এশিয়া কাপ। এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই শুরু হতে হাতে সময় বাকি খুব কম। ভারত-পাকিস্তান নিজেদের দল ঘোষণা করে দিয়েছে আগেই। কিন্তু এখন পর্যন্ত স্কোয়াড চূড়ান্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সাকিব ও বেটিং প্রতিষ্ঠান বেটউইনারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ক্রীড়া বিষয়ক সংবাদমাধ্যম বেটউইনার নিউজের পণ্যদূত হওয়ার চূক্তির কারণেই এতটা বিলম্ব। কেননা অধিনায়কত্ব পাবার তালিকায় তার নামও রয়েছে। এর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের ইনজুরি সমস্যা তো আছেই। সব মিলিয়ে দল দিতে এত সময়ক্ষেপণ। বোর্ড প্রধান জানিয়েছিলেন, বেটউইনারের সাথে চুক্তি বাতিল না করলে এশিয়া কাপ এর পাশাপাশি বাংলাদেশ ক্রিকেটে থেকে নিষিদ্ধ হতে পারেন সাকিব। বেঁধে দিয়েছিলেন নিয়ম-আজকের মধ্যে উত্তর জানাতে হবে। হয় বেটিং, নয়তো দেশের ক্রিকেট যে কোনো একটা বেছে নেয়ার মধ্যে অবশেষে ক্রিকেটকেই বেছে নিলেন এই তারকা অলরাউন্ডার। বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে বিসিবিকে চুক্তি বাতিল করার কথা জানান তিনি।

এই চুক্তি নিয়ে বিগত কয়েকদিনে জন্ম হয়েছে বিতর্ক ও নানা আলোচনা-সমালোচনার। তবে, সাকিবকে ঘিরে বিতর্ক তো এই প্রথম নয়। এর আগেও নানা সময়ে তিনি জড়িয়েছেন নানা বিতর্কে। সাকিবের চেয়ে তো কোনো দল ছোট নয়, দলের চেয়ে দেশ ছোট নয়। কিন্তু সাকিব তার নিজের কাজে-কর্মে কী প্রমাণ করছেন? যাবতীয় নিয়ম-কানুন থোড়াই কেয়ার করছেন। যেন আইন-কানুন তৈরিই হয় অন্যদের জন্য, সাকিবের জন্য নয়। তিনি যেন অনায়াসেই আইন ভাঙার অধিকার পেয়ে যান। আইন ভাঙলে, নিয়ম ভাঙলেও তাকে কোনো শাস্তির মুখোমুখি হতে হয় না, জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হয় না। সাকিব যেন সব আইন-কানুন আর নিয়মের ঊর্ধ্বে। একবার নয়, বারবার এমন কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে যাচ্ছেন এবং ছাড়ও পেয়ে যাচ্ছেন। সাকিবের ঊর্ধ্বতন নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ বিষয়টা নিয়ে কী ভাবছে, তারাই হয়তো ভালো জানেন। কিন্তু দেশবাসী এ নিয়ে পুরোপুরি অন্ধকারে।

২০১৯ বিশ্বকাপের আগের সেই ঘটনার কথা নিশ্চয়ই সবার মনে আছে। বিশ্বকাপ খেলতে দল যাবে ইংল্যান্ডে। তার আগে অফিসিয়াল ফটোসেশনে বিশ্বকাপের জার্সি গায়ে টিম বাংলাদেশ মিরপুর স্টেডিয়ামে হাজির হলো গ্রুপ ছবি তোলার জন্য। কিন্তু নেই তিনি। সাকিব আল হাসান থাকতে পারবেন না। একজন সচেতন ক্রিকেটার হিসেবে সাকিবের এসব জানার কথা। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেই কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভাঙতে দেখা যায় তাকে। এই ছবি তোলার চেয়েও তার জরুরি কাজ পড়ে গেছে। তিনি চলে গেছেন বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং করতে। একটা জাতীয় স্বার্থ, অন্যটা নিজের স্বার্থ। সাকিবের নিজের স্বার্থের সামনে জাতীয় স্বার্থ সেদিন জলাঞ্জলি হয়ে গেছে। ২০১৯ এর বিশ্বকাপের অফিসিয়াল ফটোতে নেই সাকিব। দেশের একজন সেরা পারফরমার, একাদশের অপরিহার্য খেলোয়াড়। তাকে ছাড়াই বিশ্বকাপে দেশের পরিচিতি দাঁড়ালো।

আবার ওই একই সময় জাতীয় দলের স্পন্সর হিসেবে একটি ফোন কোম্পানির আসার কথা ছিল; কিন্তু সেখানে সাকিব একাই গিয়ে সেই কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে গেলেন। যে কারণে, জাতীয় ক্রিকেট দল কিংবা বোর্ডের (বিসিবি) স্বার্থ জলাঞ্জলি হলো একটি ব্যক্তিস্বার্থের সামনে।

মানুষ বেমালুম ভুলে গেলো সাকিবের এই ঔদ্ধত্যের কথা। কারণ, বিশ্বকাপে তিনিই বাংলাদেশ দলের একমাত্র পারফরমার। ব্যাট হাতে ৬০৬ রান, বল হাতে ১১ উইকেট। বাংলাদেশ কেন, বিশ্বের ইতিহাসেই তো এমন অলরাউন্ড নৈপুণ্য আর কারো নেই। যে ইতিহাস রচনা করে এসেছেন তিনি, তা আর কেউ কখনো ভাঙতে পারবে কি না সন্দেহ।

বিশ্বকাপের পরপর ক্রিকেটারদের বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেওয়া থেকে শুরু করে অনেক ঘটনারই জন্ম দিয়েছেন তিনি। কিন্তু কথায় বলে না! পাপ বাপকেও ছাড়ে না। ফিক্সারদের প্রস্তাবের কথা গোপন করায় আইসিসির পক্ষ থেকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তির খড়গে পড়তে হলো সাকিবকে। এরই মধ্যে এসে গেলো করোনা মহামারি। সাকিবের নিষেধাজ্ঞার সময়টাতে বাংলাদেশ দলেরও তেমন ক্রিকেট খেলা হলো না। করোনার কারণে সারা বিশ্বেই নতুন কিছু নিয়মের অবতারণা হলো। কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন, বায়ো-বাবল - কত কিছুর সাথে মানুষের পরিচয় ঘটলো। এক দেশ থেকে আরেক দেশে গেলে নিয়ম অনুযায়ী কোয়ারেন্টাইন করতে হয়, আইসোলেশনে থাকতে হয়।

একজন সচেতন ক্রিকেটার হিসেবে সাকিবের এসব জানার কথা। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেই কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভাঙতে দেখা যায় তাকে। কোয়ারেন্টাইন না করে তিনি কোনো এক শো রুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম থোড়াই কেয়ার করে তিনি সড়ক পথে চলে যান কলকাতায়। সেখানে পূজার অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে জন্ম দেন অনেক বড় বিতর্কের। জানা যায়, সেখানেও নাকি ছিল অর্থযোগ। শুধু তাই নয়, বেনাপোল স্থলবন্দরে উৎসুক ভক্ত-সমর্থকরা তার সঙ্গে ছবি তুলতে চাইলে তিনি ভক্তের ফোন ছুঁড়ে মারেন। যারা তাকে ভালোবেসে মাথায় তোলে, বারবার সাকিব তাদের লাথি দেন। ড্রেসিংরুমে বসে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন কিংবা দর্শককে মারার জন্য তেড়ে যান।

নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে আসার পর বাংলাদেশের ক্রিকেট সাকিবের কাছে হয়ে গেছে যেন ইচ্ছের পুতুল। মন চাইলে তিনি খেলবেন, নাহলে খেলবেন না। আইপিএল খেলার জন্য বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে ‘না’ করে দেবেন, নিউজিল্যান্ড সফরে ‘না’ করে দেবেন, জিম্বাবুয়ে সফরকে বাদ দিয়ে দেবেন- এসবই তার যেন ইচ্ছের খেল। আবার জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলনেও তার খুব একটা আগ্রহ কম। নিজের মত করে কিছু অনুশীলন করেন। প্রয়োজন মনে করলে করেন, প্রয়োজন না মনে করলে করেন না। মাঝে-মাঝে ইনজুরিতেও আক্রান্ত হন। যদিও ঠিকই ফ্রাঞ্জাইজি ক্রিকেটের মৌসুম এলে, বিশেষ করে আইপিএল-বিপিএল কিংবা সিপিএল, এসব এলেই সাকিব দিব্যি ইনজুরিমুক্ত হয়ে যান। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে তিনি অংশ নেন ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। দুষ্টজনেরা সোশ্যাল মিডিয়া কাঁপায়, ‘আইপিএল এলো তো, সাকিব সুস্থ হয়ে গেলো।’

যদিও দুর্ভাগ্য, সাকিবকে এবার আর আইপিএলের কোনে দল নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেনি। ২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যও যে ১০টি ফ্রাঞ্চাইজির সব মালিকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে! আইপিএলে সাকিবের আগের আসরগুলোর পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করে, এই অর্থ অযথা নষ্ট করার পথে কেউ হাঁটেনি। আইপিএলের নিলামের আগে জ্বল্পনা ছিল, সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবেন কি না। কারণ, আইপিএলে সুযোগ পেলে দেশের হয়ে কেন খেলবেন তিনি? দেশের জার্সিতে তো ‘চিল!’ হয় না। টাকা কম, গ্ল্যামার কম, বিশ্বের নামি-দামি ক্রিকেটার, বলিউডি তারকাদের সঙ্গে ওঠা-বসা এসব তো আর জাতীয় দলের জার্সিতে খেললে হবে না। কিন্তু সাকিব হয়তো জানতেন না, মুদ্রার উল্টোপিঠও আছে। সময় সেই উল্টো পিঠ দেখিয়ে দেয়।

সাকিবের ঔদ্বত্যের শেষ তবুও হয়নি। বিপিএলে ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক। টানা ৫ ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়ে রেকর্ড গড়েছেন। নিশ্চিতভাবেই বৃহস্পতি তুঙ্গে। তো সন্দেহ নেই, এ সময় বিজ্ঞাপনের বাজারেও নিজের দামটা বেড়ে গেছে। সাকিবও সুযোগটা লুফে নিলেন। বিপিএল ফাইনালের ঠিক আগেরদিন তিনি চলে গেলেন বিজ্ঞাপন করতে। দুই ফাইনালিস্ট দলের অধিনায়কের ট্রফি ধরে অফিসিয়াল ফটোসেশন, অফিসিয়াল প্রেস মিট- এটা একটা নিয়ম। কিন্তু যিনি কোনো নিয়মেরই তোয়াক্কা করেন না, তার কাছে এই নিয়ম ভাঙা তো কোনো ব্যাপারই না। সুতরাং, কোনোটাতেই নেই সাকিব।

প্রথমে জানানো হলো, সাকিবের পেটের পীড়া। এ কারণে তিনি আসতে পারেননি। বিষয়টা এখানেই হয়তো থেমে যেতো। কিন্তু বরিশালের হয়ে এসব আনুষ্ঠানিকতা সারতে আসা নুরুল হাসান সোহান বলে দিলেন, সাকিবের অনুপস্থিতির কারণ তিনি কিছুই জানেন না। ম্যানেজমেন্ট জানেন, সাকিব জানেন। সন্দেহের তীর ছোড়া হলো সেখান থেকে। পরে জানা গেলো, বিজ্ঞাপনের শুটিং করতে গিয়েছেন সাকিব। স্বাভাবিক, বিজ্ঞাপন মানেই টাকা। আর টাকা যেখানে সাকিব সেখানে। এতে কার কী আসবে যাবে? যার যা যায় যাক, সাকিবের কাছে টাকাই আসল। এখানে ব্যক্তি স্বার্থের সামনে উপেক্ষিত হলো দলের স্বার্থ। বিদেশি মিডিয়ার কাছে জলাঞ্জলি হলো দেশের সম্মান। কারণ, বিদেশি মিডিয়াতে নিউজ হয়েছে, সব বাদ দিয়ে সাকিব চলে গেলেন বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং করতে।

বিপিএল ফাইনালের আগে সাকিবের এই অফিসিয়াল আনুষ্ঠানিকতায় যোগ না দেয়ায় দুটি আইন বা নিয়ম ভঙ হলো। একে তো অফিসিয়াল আনুষ্ঠানিকতায় তিনি বরাবরের মতই অনুপস্থিত, এই নিয়ম-কানুনকে তিনি থোড়াই কেয়ার করলেন। আরেকটা হলো তিনি করোনা বিধি লঙ্ঘন করেছেন। বিপিএলের জন্য যে বায়ো-বাবল সিস্টেম তৈরি করা হয়েছিল, তা তিনি ভেঙেছেন। আবার দেখুন, ঠিকই পরেরদিন ফাইনাল খেললেন সাকিব। করোনা বিধিটা আসলে কী? বায়ো-বাবলের নিয়মই বা কী? আমরা সাধারণত জানি, অন্য দেশে পালন করা হয়- কোনো খেলোয়াড় বায়ো-বাবল ভাঙলে তাকে অন্তত সাতদিন আইসোলেশন কিংবা কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়। এরপর আরটি-পিসিআর টেস্ট করে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে পুনরায় বায়ো-বাবলে প্রবেশ করতে হয়।

বায়ো-বাবল ভাঙার অপরাধে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিন শ্রীলংকান ক্রিকেটার। কুশল মেন্ডিস, দানুশকা গুনাথিলাকা, নিরোশান ডিকভেলার মতো ক্রিকেটারকে এক বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। গতবছর পিএসএলে বায়ো-বাবল ভেঙে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন পেশোয়ার জালমির দুই ক্রিকেটার হায়দার আলি ও উমাইদ আসিফ। যে কারণে তারা ফাইনাল পর্যন্ত খেলতে পারেননি। শুধু তাই নয়, ওমান-আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বায়ো-বাবল ভেঙে শাস্তি পেয়েছিলেন ইংলিশ আম্পায়ার মাইকেল গফ। সেখানে সাকিব আল হাসানকে কিছুই করতে হয়নি। স্রেফ ফাইনাল শুরুর আগে একটি আরটি-পিসিআর টেস্ট দিলেন। নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়েই নেমে গেলেন মাঠে। আইসোলেশন-কোয়ারেন্টাইনের কোনো ধার ধারলেন না।

তার বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশন পর্যন্ত নিতে পারলো না আমাদের প্রবল ক্ষমতাধর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। যদিও ফাইনাল শেষে সাকিবের দল ফরচুন বরিশালকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। অর্থাৎ এখানে ব্যক্তি সাকিবকে যেন ঘাঁটাতেই চায় না বিসিবি। নিয়ম ভঙ করেছে ব্যক্তি, জবাব দিতে হবে দলকে! উদোরপিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর মত অবস্থা। আর কারণ দর্শানোটাও যে শুধু কিছু আনুষ্ঠানিকতা করে সাকিবকে দায়মুক্তি দেয়া কিংবা এই বিষয়টাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা, সেটা নিয়েও বিস্তর আলোচনা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

শেষ করতে চাই সাকিবের ফেসবুক পেজের একটি পোস্ট এবং সেখানে করা কয়েকটি মন্তব্য উল্লেখ করে। রুচি সসের একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশের আগে তার একটি প্রমো নিজের পেজে আপলোড করেছিলেন সাকিব। যেখানে দেখা যাচ্ছে বাগানের ভেতর তিনি দৌড়াচ্ছেন। তিনি ক্যাপশন লিখেছেন, ‘কিসের পেছনে দৌড়াচ্ছি বলুন তো?’ জনৈক ভক্ত সেখানে লিখেছেন, ‘টাকা’। আরেকজন লিখেছেন, ‘টাকা ছাড়া কোনো কিছুর পেছনে তুমি ছোটো না ভাই।’ ভক্ত-সমর্থকরাও এখন জেনে গেছেন, সাকিব ক্রিকেটের চেয়ে টাকার পেছনে কতটা বেশি ছোটেন। ক্রিকেটকে তিনি ব্যবহার করেন শুধু টাকা কামানোর হাতিয়ার হিসেবে। যখনই প্রয়োজন কিছু পারফর্ম করেন আর বিজ্ঞাপনের বাজারে নিজের মূল্য বাড়িয়ে নেন।

সাকিবের অফিসিয়াল ফেসবুজ পেজে ঢুকলেই দেখা যাবে, ক্রিকেটের চেয়ে সেখানে বিজ্ঞাপন কতটা স্থানজুড়ে রয়েছে। স্বর্ণ আমদানি, ব্রোকারেজ হাউজ, বিদ্যুৎ, ই-কমার্স এবং ব্যাংক ব্যবসা থেকে শুরু করে হেন কোনো ব্যবসা নেই, যেখানে সাকিব নাম লেখাননি। ক্রিকেটার সাকিবের চেয়ে তাকে ব্যবসায়ী সাকিব বলাই কি এখন বেশি যুক্তিযুক্ত না?

বিতর্ক   ক্রিকেট   সাকিব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মাঠে ফেরা নিয়ে শঙ্কিত জোফরা আর্চার!

প্রকাশ: ০৫:০৯ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ঘরের মাঠে ফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড। যেখানে নির্ধারিত ৫০ ওভারের খেলায় ড্র হওয়ায় সুপার ওভারে গড়ায় শিরোপার লড়াই। আর সেই সুপার ওভারেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে শিরোপার স্বাদ দেন জোফরা আর্চার। আর সেই থেকেই স্পট লাইটে আসেন তিনি।

তবে এই গতি তারকা সর্বশেষ টেস্টে মাঠে ছিলেন ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সে সময়ে ইনজুরিতে হুমকির মুখে পড়ে তার ক্যারিয়ার এবং ডানহাতের কনুইতে চিড় ধরায় গত বছরের পুরো ঘরোয়া মৌসুমেই খেলতে পারেননি সাসেক্সের এই পেসার।

এবার ইঞ্জুরি কাটিয়ে আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে মাঠে ফেরার প্রত্যাশা ডানহাতি এই পেসারের। তবে আর্চার মনে করেন, আরও একটি স্বপ্ন ভঙ্গের ফলে যে মানসিক এবং শারীরিক ধাক্কা আসবে, সেটি মানিয়ে নেওয়া কঠিন হবে।

ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করার মানসিকতা থাকলেও আর্চারের দাবি, ‘আমি জানি না, আমাকে আরও এক বছর যাওয়া-আসার মধ্যে থাকতে হবে কি-না।’

ফোরকাস্টস অ্যাথলেট ভয়েস পডকাস্টে আর্চার বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি জানি না আমার জন্য আরও এক যাওয়া-আসার বছর আছে কি না। এটা সত্যি যে আমি জানি না আরও এক বছর আমার জন্য কি অপেক্ষা করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি পুরো এক বছর ক্রিকেট থেকে দূরে আছি। গত বছর জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত খেলেছিলাম। আমার মনে হয়, আগের বছর সাসেক্সের হয়ে এক বা দুটি ম্যাচ খেলেছি। কিন্তু আমি পুরো বছর খেলেনি।’

এই মাসের শুরুর দিকে ইংল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান রব কি জানিয়েছেন, ২০২৫ সাল পর্যন্ত কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলবেন না আর্চার। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই আর্চারের মূল্য লক্ষ্য।

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে আর্চার বড় ভূমিকা রাখবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তার খেলার সম্ভাবনা এখনও ক্ষীণ।

আর্চারের ভাষ্য, ‘জুন মাসের প্রথম ম্যাচে আমি সত্যিই দলে থাকতে চাই। গত দুই বছর দলে যাওয়া-আসার মধ্যে ছিলাম। আমি মনে করি, সবাই এই বিষয়টিকে সহজভাবেই নিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও আমি সত্যিই এটি নিয়ে ভাবতে চাই না। কোনো কারণে বিশ্বকাপে খেলতে না পারলেও, এখনও টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট ও দ্য হান্ড্রেড আছে।’


জোফরা আর্চার   ইংল্যান্ড   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিটনেসের অংশ হিসেবে ১৬০০ মিটার দৌড়ে সেরা দুই পেসার

প্রকাশ: ০৩:৩৪ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর কিছুদিন পরেই টাইগারদের ঘরের মাঠে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের পাঁচ ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজ আসন্ন  টি-২০ বিশ্বকাপের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচনা করছেন ক্রীড়া বিশ্লেষকরা। আর তাই টাইগাররা বেশ ভালোভাবেই নজর দিচ্ছেন এই সিরিজের দিকে।

জিম্বাবুয়ে সিরিজের পাশাপাশি আসন্ন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সম্ভাব্য ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা করেছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। যার অংশ হিসেবে শনিবার (২০ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ১৬০০ মিটার দৌড়েছেন জাতীয় দলের বিবেচনায় থাকা প্রায় ৩৫ ক্রিকেটার। বিসিবির ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স অ্যাসেসমেন্টের রানিং প্রতিযোগিতায় দুই গ্রুপ থেকে সেরা হয়েছেন দুই পেসার।

এক গ্রুপে প্রথম হয়েছেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা। আরেক গ্রুপে সবার আগে দৌড় শেষ করেন তানজিম হাসান সাকিব। চমক দেখিয়েছেন বর্তমান দলের অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। সিনিয়র ক্রিকেটার হয়েও তরুণদের সঙ্গে সমানতালে পাল্লা দিয়ে এক গ্রুপের দ্বিতীয় হয়েছেন তিনি।

বর্তমান দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবার সিনিয়র ৩৮ পেরুনো মাহমুদউল্লাহ দৌড় শেষ করেছেন সবার শেষে। ফিটনেস সেশন শেষে ট্রেনার ইফতেখার ইসলাম ইফতি জানান, ডিপিএল-বিপিএলের পর ক্রিকেটারদের ফিটনেসের অবস্থা বুঝার জন্যই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই পরীক্ষার মাধ্যমে খেলোয়াড়দের অবস্থাটা কেমন সেটা বুঝলাম। এটার মধ্যে পাশ-ফেলের কিছু নেই। ডিপিএল গেছে, বিপিএল গেছে। এরপর ওদের ফিটনেসের অবস্থা কি সেটা জানার জন্য এই উদ্যোগ। এটা জানার পর খেলোয়াড়দের কাকে কি অনুশীলন করাতে হবে এটা খুঁজে বের করব। ওদের জানিয়ে দেব, ওভাবে আমরা প্রয়োগ করব।’


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএলে এক ম্যাচে দুই দলের অধিনায়কেরই জরিমানা

প্রকাশ: ০৩:০৫ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জমে উঠেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসর। মাঝ পর্যায়ে এসে সব দলের লড়াই চলছে হাড্ডাহাড্ডি। কেউ কাউকে ছাড় দিয়ে কথা বলছে না।

আইপিএলে এবারের আসরে শুরু থেকে বেশ ভালো অবস্থানে ছিল চেন্নাই সুপার কিংস। ব্যাটিং-বোলিং সবদিক থেকেই বেশ ব্যালেন্সড টিম গঠন করেছিল এবার তারা। তবে গতকাল প্রতিপক্ষ লখনৌ সুপার জায়ান্টসের মাঠে খেলতে নেমে কোনো পাত্তাই পায়নি ধোনি-মুস্তাফিজরা। তার ওপর ‘বাড়তি পাওনা’ হিসেবে অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় পেয়েছেন আর্থিক শাস্তি।

অবশ্য কেবল চেন্নাই নয়, ম্যাচজয়ী লখনৌও একই জরিমানার অধীনে পড়েছে। স্লো ওভার রেটের কারণে স্বাগতিক অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকেও জরিমানা করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ে ওভার শেষ করতে না পারায় একই ম্যাচের দুই অধিনায়কই জরিমানা গুনলেন।

এদিন লখনৌর একানা স্টেডিয়ামে স্বাগতিকরা চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ব্যাপক দাপট দেখিয়ে জিতেছে। শুরুতে ব্যাট করে মুস্তাফিজুর রহমানের চেন্নাই ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান তোলে। রানতাড়ায় ব্যাট করতে নেমে লখনৌ ১৯ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ম্যাচটি জিতে নেয়। অধিনায়ক রাহুল দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে সামনে থেকে জয় উপহার দিয়েছেন। সর্বোচ্চ ৮২ রানের ইনিংস খেলেন রাহুল।

তবে ঘরের মাঠে জয় পেলেও, স্লো ওভার রেটের কারণে জরিমানার মুখে পড়তে হচ্ছে এই লখনৌ অধিনায়ককে। আইপিএলের কোড অফ কন্ডাক্ট লঙ্ঘন করেছে লখনৌ ও চেন্নাই উভয় শিবিরই। এক্ষেত্রে দলগত অপরাধের শাস্তি পেতে হয় দুই অধিনায়ক রাহুল ও গায়কোয়াড়কে। কারণ মাঠে দল পরিচালনার ক্ষেত্রে অধিনায়কদের ভূমিকাই প্রধান হয়ে থাকে। এক বিবৃতিতে দুজনের শাস্তির কথা নিশ্চিত করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।

প্রথমবার আইপিএলের আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য রাহুল ও গায়কোয়াড়কে ভারতীয় মুদ্রায় ১২ লাখ রুপি করে জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারিও পেয়েছেন তারা। টুর্নামেন্টের বাকি অংশে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি হলে এই শাস্তির পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণ হবে।

আইপিএলের আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রথমবার স্লো ওভার রেটের দায়ে পড়লে শুধুমাত্র অধিনায়কের ১২ লাখ রুপি জরিমানা হয়। এক মৌসুমে দ্বিতীয়বার এই ভুলের জন্য দলনেতাকে ২৪ লাখ রুপি জরিমানা দিতে হয় এবং ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়সহ দলের বাকিদের জরিমানা হয় ৬ লাখ রুপি করে অথবা ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ অর্থ। তৃতীয়বার একই অপরাধ করলে অধিনায়ককে ৩০ লাখ রুপি জরিমানার পাশাপাশি এক ম্যাচেও নিষিদ্ধ হতে হবে। সেই সঙ্গে দলের বাকিদের জরিমানা হয় ১২ লাখ রুপি করে বা ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ অর্থ।


আইপিএল   চেন্নাই সুপার কিংস   লখনৌ সুপার জায়ান্টস   ঋতুরাজ   লোকেশ রাহুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইউরোপা লিগের সেমির পূর্বে নিষেধাজ্ঞায় মার্টিনেজ

প্রকাশ: ০২:৩৯ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। আর্জেন্টিনার আন্তর্জাতিক শিরোপাখরা কাটানোর অন্যতম নায়ক তিনি। তবে শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক খেলায় নয়, ক্লাব ফুটবলেও দিনের পর দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছেন এমি।

দুইদিন পূর্বেই উয়েফা ইউরোপা কনফারেন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে লিলের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটিতে অ্যাস্টন ভিলার জয়ের নায়ক ছিলেন এমি। টাইব্রেকারে গড়ানো ম্যাচে দুটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই অর্জেন্টাইনের।

যার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সেমি ফাইনালের টিকিট পেয়েছিল অ্যাস্টন ভিলা, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাকেই পাচ্ছে না দলটি। আগামী ২ মে গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে প্রথম লেগের ম্যাচটিতে খেলতে পারবেন না মার্টিনেজ।

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী এই গোলকিপারকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে উয়েফা। কারণ, কনফারেন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগ মিলিয়ে তিনটি হলুদ কার্ড দেখেছেন তিনি।

গতকাল কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে দুবার হলুদ কার্ড দেখেন মার্টিনেজ। প্রথমবার ম্যাচের ৩৯ তম মিনিটে তাকে হলুদ কার্ড দেন রেফারি। এরপর ম্যাচ ট্রাইব্রেকারে গড়ালে সেখানেও হলুদ কার্ড পান মার্টিনেজ।

সবমিলিয়ে মার্টিনেজ ম্যাচে দুটি হলুদ কার্ড দেখার পরও লাল কার্ড দেখাননি রেফারি। কারণ উয়েফার নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচের নিয়মিত সময়ে দেখা হলুদ কার্ড টাইব্রেকারের সময়ের দেখা হলুদ কার্ডের সঙ্গে যোগ হয় না। তবে এটা আবার সামগ্রিক কার্ড দেখার হিসেবে যোগ হয়। তাই লাল কার্ড না পেলেও, ঠিকই নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন।

সেমি ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচে খেলতে না পারলেও দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে মাঠে নামতে পারবেন মার্টিনেজ।


এমি মার্টিনেজ   আর্জেন্টিনা   ফুটবল   ইউরোপা লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

গুঞ্জন উড়িয়ে জার্মানির সাথে নাগলসমানের চুক্তি নবায়ন

প্রকাশ: ০১:৫৯ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বেশ কিছুদিন ধরেই ফুটবল পাড়ায় গুঞ্জন চলছে যে, আসন্ন ইউরো শেষেই জার্মানির প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়ছেন ইউলিয়ান নাগলসমান। শুধু তাই নয়, এমনও শোনা যাচ্ছিল যে, তিনি আবারও ফিরবেন তার পুরোনো ঠিকানায়। তবে এবার সব জল্পনা-কল্পনা শেষে আবারও জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের (ডিএফবি) সঙ্গে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী এ কোচ।

জাতীয় দলের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত নাগলসমান। জাতোয় দলের সঙ্গে কাজ করাটা কতটা উপভোগ করেন তিনি, তা বুঝাতে গিয়ে এই কোচ বলেছেন—সিদ্ধান্তটা মাথা দিয়ে নয়, হৃদয় থেকে নিয়েছেন।

ডিএফবির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের পর নাগলসমান বলেছেন, ‘সিদ্ধান্তটা হৃদয় থেকে নিয়েছি। জাতীয় দলকে প্রশিক্ষণ দিতে পারা এবং দেশের সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। দারুণ পারফর্ম করে সাফল্য পাওয়ার মাধ্যমে পুরো দেশকে অনুপ্রাণিত করার সুযোগ আমাদের আছে।’

গত বছরের সেপ্টেম্বরে হানসি ফ্লিককে বরখাস্ত করে নাগলসমানকে দায়িত্ব দেয় ডিএফবি। প্রাথমিকভাবে ফেডারেশনের সঙ্গে ২০২৪ ইউরো পর্যন্ত চুক্তি ছিল। তার অধীনে এখন পর্যন্ত ৬টি ম্যাচ খেলেছে জার্মানি। জিতেছে ৩টি, হেরেছে ২টি ও ড্র করেছে ১টি ম্যাচ। ৩ জয়ের মধ্যে সর্বশেষ ২টি আবার দুই পরাশক্তি নেদারল্যান্ডস ও ফ্রান্সের বিপক্ষে।

শিষ্যদের এমন পারফরম্যান্স মুগ্ধ করেছে কোচকে। নাগলসমান বলেন, ‘মার্চে ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় দুটি সত্যিই আমাকে ছুঁয়ে গেছে। আমরা নিজেদের মাঠে সাফল্যমণ্ডিত ইউরো খেলতে চাই। আমি এখন সেদিকেই তাকিয়ে আছি এবং (এরপর) আমার কোচিং দলকে নিয়ে বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জ নেওয়ার অপেক্ষায় থাকব।’


নাগালসমান   জার্মানি ফুটবল ফেডারেশন   ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন