ইনসাইড ইকোনমি

লবণাক্ত পানির অভাব: বিসিকের চিংড়ি ব্যবসায় ধস


Thumbnail লবণাক্ত পানির অভাব: বিসিকের চিংড়ি ব্যবসায় ধস

উপযুক্ত পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও পার্শ্ববর্তী বেতনা নদী থেকে লবণাক্ত পানি সংগ্রহের সুযোগ না থাকায় সাতক্ষীরা বিসিকে চিংড়ি ব্যবসায় ধস নেমেছে।এতে করে বাধ্য হয়ে চিংড়ি উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। 

তথ্যমতে,সাতক্ষীরা বিসিক শিল্পনগরী  থেকে প্রতি বছর গড়ে  ৭৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার পণ্য উৎপাদিত হয়। তার মধ্যে  শিল্পনগরীতে চিংড়ি ব্যবসায় দেখা দিয়েছিল নতুন করে সম্ভাবনা। কিন্তু লবণাক্ত পানির অভাবে সেই সম্ভাবনাময়ী শিল্পটি এখন বিলুপ্ত হতে চলেছে। ইতিমধ্য লোকাসান পোষাতে না পরে বিসিকি শিল্প নগরীর চারটি চিংড়ির প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিসমিল্লাহ হ্যাচারি ও সোনারগাঁও হ্যাচারি ও চিশতিয়া হ্যাচারি বন্ধ হয়ে গেছে। নামে টিকে আছে চিংড়ি বাংলা হ্যাচারী। এই শিল্পনগরীতে নতুন করে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এগ্রো বেজ ও ভেটেরিনারি ব্যবসা।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগে চিংড়ি হ্যাচারির ব্যবসায়ীরা পার্শ্ববর্তী বেতনা নদী থেকে খুব সহজে লবণাক্ত পানি সংগ্রহ করত। তবে বেতনা নদী খনন করায় সেটা এখন সম্ভব হয় না। তাই বাধ্য হয়ে সাগর থেকে পানি পরিবহন করে আনতে হতো। এতে অনেক বেশি খরচ পড়ে যেত। এটাই মূলত লোকসানের কারণ। 

চিংড়ি ব্যবসার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ব্যবসায়ীরা নতুন করে এগ্রো বেজ শিল্প ও ভেটেরিনারি ওষুধ কারখানার দিকে ঝুঁকছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি গ্রুপের শিল্প-কারখানা করার প্রক্রিয়া চলছে। তাছাড়া দুটি ভেটেরিনারি ওষুধ কারখানা অল্প সময়ের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানা গেছে।

বিসিকির তথ্য মতে, সাতক্ষীরা বিসিকে ৩৩টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিপরীতে মোট ৯৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া আছে। যেখানে চালু রয়েছে ২৬টি প্রতিষ্ঠান। এদের অন্যতম ছিল চিংড়ি উৎপাদন শিল্প। কিন্তু চিংড়ি উৎপাদন করতে লবণ পানির সল্পতার কারণে বন্ধ হয়েছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। সাগর থেকে লবণ পানি পরিবহন করে এনে লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, লবণাক্ত পানির অভাবে চিংড়ি ব্যবসায় ধস নেমেছে। ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়ে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছেন। দুই বছরের বেশি সময় ধরে বিসিক শিল্পনগরী সাতক্ষীরায় বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে আছে। পরিত্যাক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে চালুর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই প্রতিষ্ঠানগুলো সরিয়ে নতুন প্রতিষ্ঠান করার সুযোগ করে দিচ্ছে না। 

তিনি আরও জানান, সাতক্ষীরা চিংড়ির জন্য বিখ্যাত হলেও লোকসানে পড়ে চিংড়ি ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে উদ্যোক্তারা এখন কৃষি ও ভেটেরিনারি শিল্পের দিকে ঝুঁকছে। কীটনাশক থেকে শুরু করে গবাদিপশুর ওষুধ কারখানা করার প্রক্রিয়া চলছে। 

বিসিকির  এক ব্যবসায়ী জানান, সাতক্ষীরা বিসিক শিল্প নগরীতে এক সময় চিংড়ির রমরমা ব্যবসা ছিল। তবে লবণাক্ত পানির সংকটে পড়ে চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তিনটি বন্ধ হয়ে গেছে। একটি টিকে আছে, তবে সেটা নামেমাত্র। ব্যবসায়ীরা এখন চিংড়ির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে এগ্রো বেজ ও ভেটেরিনারি বিজনেসের দিকে ঝুঁকছে। 

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের উপ-ব্যবস্থাপক গোলাম সাকলাইন বাংলা ইনসাইডার কে জানান, সাতক্ষীরা এক সময় চিংড়ির জন্য বিখ্যাত ছিল। এখানে ব্যবসায়ীরা চিংড়ির পোনা উৎপাদন করত। তবে লবণাক্ত পানির সংকটসহ অন্য কারণে চিংড়ি ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন উদ্যোক্তারা চিংড়ি থেকে মুখ ফিরিয়ে এগ্রো বেজ ও ভেটেরিনারি বিজনেসের দিকে ঝুঁকছেন।

তিনি আরও জানান,বিসিক শিল্পনগরী ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুর দিকে দিকে এখানে তেমন শিল্প উদ্যোক্তা পাওয়া যেত না। সে সময়ে বিরানভূমি আকারে পড়েছিল এই শিল্পনগরী। তবে বর্তমানে ৯৬টি শিল্প প্লট ৩৩টি শিল্প ইউনিটের বিপরীতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্য ২৬টি শিল্প ইউনিট চালু ও ৭টি শিল্প ইউনিট বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো বছরে ৭৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার পণ্য উৎপাদন করে।

লবণাক্ত পানি   চিংড়ি ব্যবসা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

সিটির সঙ্গে একীভূত হতে চায় না বেসিক ব্যাংক

প্রকাশ: ১১:০৭ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বেসরকারি সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত না হওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কথা জানিয়ে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে।

এর আগে ৯ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়ে ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বলেছিলেন, তাঁরা বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চান না। বেসিক ব্যাংক শতভাগ রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। সরকারি এই ব্যাংককে বেসরকারি একটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার খবরে তাঁরা ‘আতঙ্কগ্রস্ত’।

বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্তে আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন বেসিক ব্যাংকের আমানতকারীরা। তাঁদের কেউ কেউ বেসিক ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিতে শুরু করেছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোই আমানত বেশি সরিয়ে নিচ্ছে।

বেসিক ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে পাঁচ কার্যদিবসে ব্যাংকটি থেকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আমানত তুলে নেওয়া হয়েছে। আমানত তুলে নিতে আরও কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটিকে চিঠি দিয়েছে। এতে তীব্র তারল্যসংকটে পড়েছে ব্যাংকটি। এর ফলে বেসিক ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাহিদামতো নগদ জমা (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমা (এসএলআর) রাখতে পারছে না।

বেসিক ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংকটিতে আমানতের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা, যা কমে এখন ১২ হাজার কোটি টাকায় নেমেছে। গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণ ছিল ১২ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণই ৮ হাজার ২০৪ কোটি টাকা বা ৬৪ শতাংশ।

বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) এ এম মোফাজ্জেল বলেন, ‘২০১৫ সাল থেকে সোনালী, জনতার মতো আমরাও রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক। এ কারণে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা আমাদের ব্যাংকে টাকা জমা রেখেছে। বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার খবরে তারা টাকা তুলে নিতে শুরু করেছে।’ তিনি বলেন, এ জন্যই সরকারি কোনো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার জন্য সরকারের কাছে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পরিচালনা পর্ষদ।


সিটি ব্যাংক   বেসিক ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

আবারও ২০ বিলিয়নের নিচে নামল রিজার্ভ

প্রকাশ: ১০:৩৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২০ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার কোটি ডলারের ওপরে। ঈদের ছুটিসহ এক সপ্তাহে বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে ২১ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়েছে। ফলে রিজার্ভ আবার ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুসারে বর্তমানে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক হাজার ৯৮৯ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার (বিপিএম-৬)। এক সপ্তাহ আগে এ রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ১০ কোটি ৫৮ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার (বিপিএম-৬)।

বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ৫৩০ কোটি ৩  লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এক সপ্তাহ আগে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৫৩৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার। এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমল ৮ কোটি ৪৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা দাঁড়ায় ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারে।

গত ২০ মার্চ বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ ছিল ১৯.৯৮ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৯৯৮ কোটি ডলার। গত ৬ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত দুই সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমে ১.০৯ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী, কমে ১.১৬ বিলিয়ন ডলার।

রিজার্ভ   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

স্বর্ণের দাম আবারও বাড়লো

প্রকাশ: ০৮:৫৩ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের বাজারে এটাই স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নতুন দাম নির্ধারণের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা। ভালো মানের স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও কমানো হয়েছে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের নতুন দাম হবে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা যা এতদিন ছিল ৮০  হাজার ১৯০ টাকা।

এদিকে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

গত ৮ এপ্রিল স্বর্ণের দাম কমিয়েছিল বাজুস। যা ওইদিনই বিকেলে কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী আজ ৭টা পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ৮০  হাজার ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়।


স্বর্ণ   দাম   বৃদ্ধি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ব্যাংক আলফালাহ কিনে নিচ্ছে ব্যাংক এশিয়া

প্রকাশ: ০৮:০৯ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার পাকিস্তানভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ কিনে নিচ্ছে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের ব্যাংক এশিয়া। বুধবার (১৭ এপ্রিল) পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ ও দেশটির একাধিক গণমাধ্যমের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশে পাকিস্তানি ব্যাংকটির কার্যক্রম, সম্পদ ও দায় ব্যাংক এশিয়া কর্তৃক অধিগ্রহণের বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে ব্যাংক আলফালাহর পরিচালনা পর্ষদ। এর আগে ব্যাংকটি এ বিষয়ে ব্যাংক আলফালাহর কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল।

জানা যায়, ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম অধিগ্রহণের বিষয়টি সব ধরনের প্রযোজ্য আইন ও বিধি মেনে করবে। অধিগ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে এখন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের অনুমোদন চাইবে ব্যাংক আলফালাহ।

বাংলাদেশে ব্যাংক আলফালাহর মোট সম্পদের স্থিতি ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা। ঢাকায় পাঁচটি, চট্টগ্রাম ও সিলেটে একটি করে তাদের মোট ৭টি শাখা আছে। 

পাকিস্তানের অন্যতম বৃহৎ ব্যাংক হলো ব্যাংক আলাফালাহ। দেশটির ২০০টির বেশি শহর ও মফস্বলে তাদের ১ হাজার ২৪টির বেশি শাখা রয়েছে। এর বাইরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উপস্থিতি আছে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে। 

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু করে ব্যাংক এশিয়া। প্রতিষ্ঠার পর এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো কোনো বিদেশি ব্যাংকের বাংলাদেশে থাকা কার্যক্রম ক্রয়ের পদক্ষেপ নিয়েছে ব্যাংক এশিয়া। এর আগে কানাডাভিত্তিক নোভা স্কোটিয়া ও পাকিস্তানের আরেক ব্যাংক মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যক্রম অধিগ্রহণ করেছিল ব্যাংক এশিয়া।

ব্যাংক আলফালাহ   ব্যাংক এশিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

শেয়ারবাজার: প্রথম দেড় ঘণ্টায় লেনদেন ২০০ কোটি টাকা

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সকাল থেকে সূচকের বেশ উত্থান–পতন লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে লেনদেন শুরুর প্রথম আধা ঘণ্টা পরই ডিএসইর প্রধান সূচকটি বেশ নিচে নেমে যায়। তবে প্রথম ঘণ্টা শেষে সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা শেষে ডিএসইতে ২০০ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সকালে বেশ কিছু ভালো কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ডিএসইতে প্রথম দেড় ঘণ্টার লেনদেনে এগিয়ে রয়েছে ওষুধ ও রাসায়নিক, প্রকৌশল, ভ্রমণ, খাদ্য, সিরামিক এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানিগুলো।

এ সময় লেনদেনে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রাসায়নিক খাতের কোম্পানি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। দেড় ঘণ্টায় এটির ১৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাতের প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন সন লিমিটেড।

এ সময় এটির ১১ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভ্রমণ খাতের কোম্পানি বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের ৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিনটি সূচকই নিম্নমুখী ছিল। এদের মধ্যে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৪ দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৭৫ পয়েন্টে, ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। এ ছাড়া ডিএস ৩০ সূচক ২ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হয়েছে প্রায় ৫৪০ কোটি টাকার।


শেয়ারবাজার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন