গতকাল সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ৭৩ মিনিটে করা রিচার্লিসনের গোলটি যেনো ফুটবলের অতীত বর্তমান সামনে নিয়ে আসলেন । পিরমিনোর পরিবর্তে দলে জায়গা পেয়ে নয় নম্বর জার্সি গায়ে দেওয়ার সুযোগ পান রিচার্লিসন। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেই এমন চমকপ্রদ গোল। ফুটবল প্রেমিদের করলো মুগ্ধ। রিচার্লিসনের গোলের মুগ্ধতা ছড়িয়ে গেলো সারা বিশ্বে। মনে করিয়ে দিলেন নম্বর নয়ের অতীত ইতিহাস। ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে নয় নম্বর জার্সি পুনরুজ্জীবত করলেন রিচার্লিসন। পাশের দেশ আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘ওলে’ লিখছেন গোলের ছবি প্রকাশ করে ‘অন্য মাত্রার’। বিশ্বকে তোলপাড় করা গোলটির রয়েছে অনবদ্য এক ইতিহাস। ২০০২ বিশ্বকাপ থেকে পরপর চারটি বিশ্বকাপে ৯ নম্বর জার্সি গায়ে কোন খোলায়ড়ি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে করতে পারেনি গোল। সে খরা কাটিয়ে দিলেন রিচার্লিসন।
স্পেনের সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’ মনে করছে,
রিচার্লিসন এই গোলে ব্রাজিলকে জাগিয়ে তুলেছেন। এমনকি ইতালিও কাঁপছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম গাজেত্তা দেয়ো স্পোর্ত’ লিখেছে,
কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই এত ভয়ংকর।
সার্বিয়ার বিপক্ষে কাল ব্রাজিলের ২-০ গোলের জয়ে দ্বিতীয়ার্ধে তিতের দল যে খেলা দেখিয়েছে, তা প্রতিপক্ষ দলগুলোর জন্য সত্যিই ভয়ংকর। ৭৩ মিনিটে ভিনিসিয়ুসের পাসটি প্রথম টাচে শূন্যে তুলে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চোখ ধাঁধানো বাইসাইকেল কিকে গোল করেন ব্রাজিলের এই নম্বর নাইন। রবার্তো ফিরমিনো বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার পর অনেকেই তিতের সমালোচনা করেছিলেন। ব্রাজিলের হয়ে গোল করবেন কে—এই প্রশ্ন উঠেছিল। রিচার্লিসন ৯ নম্বর জার্সির আবেদন কতটা পূরণ করতে পারবেন, উঠেছিল সে প্রশ্নও। তিতে রিচার্লিসনের ওপর আস্থা রেখেছিলেন। বিশ্বকাপ খেলতে কাতারে আসার আগে তুরিনে অনুশীলন ক্যাম্প করেছে ব্রাজিল। সেখানে ভলি থেকে গোল করা অনুশীলন করেছেন রিচার্লিসন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর এই অনুশীলনের ভিডিও ব্রাজিলের ভক্তরা ফলাও করে প্রকাশ করেছেন কাল রাতে বাইসাইকেল কিক ভলিতে তাঁর চোখ ধাঁধানো গোলটির পর।
টটেনহামের হয়ে এই মৌসুমে ১৫ ম্যাচে মাত্র ২ গোল করলেও ব্রাজিলের হয়ে ৩৯ ম্যাচে রিচার্লিসনের ১৫ গোলে মজেছিলেন তিতে। ব্রাজিল কোচ যে ভুল করেননি তা তো এখন পরিষ্কার। ক্লাবের হয়ে যাই হোক,
দেশের ৯ নম্বর জার্সিটা পরলের রিচার্লিসন যে অন্য মানুষ বনে যান,
সেটা টের পেয়েছিলেন তিতে।
১৯৮২ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ডান প্রান্ত থেকে উড়ে আসা ক্রসে বাইসাইকেল কিক করে গোল করেছিলেন ‘সাদা পেলে’ জিকো। ২০০২ বিশ্বকাপে সেই স্মৃতি ফেরান এডমিলসন।
ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যমে কেন বলাবলি হচ্ছে,
রিচার্লিসন ৯ নম্বর জার্সিটা পুনরুজ্জীবিত করেছেন। সেখানেও জড়িয়ে আছে ২০ বছরের হিসেব। ২০০২ জাপান-কোরিয়া বিশ্বকাপের পর থেকে গত চারটি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৯ নম্বর জার্সি পরা কোনো খেলোয়াড়ের কাছ থেকে গোল পায়নি ব্রাজিল। রিচার্লিসন দুই দশকের সেই খরার ইতিটা কালই টেনেছেন।
২০০২ বিশ্বকাপে তুরস্কের বিপক্ষে ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচে গোল করেছিলেন ৯ নম্বর জার্সিকে কিংবদন্তিতে পরিণত করা রোনালদো। তাঁর আগে বিশ্বকাপের যেসব আসরে ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচে ৯ নম্বর জার্সির খেলোয়াড়েরা গোল করেছেন—বালতাজার (১৯৫০ ও ১৯৫৪), রেইনালদো (১৯৭৮)ও ক্যারেকা(১৯৯০)। এর মধ্যে ৯০ ইতালি বিশ্বকাপে সুইডেনের বিপক্ষে ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল করেন ক্যারেকা। রিচার্লিসন সেই স্মৃতিই ফেরালেন। এই জোড়া গোলে দারুণ একটি ক্লাবেও নাম লিখিয়েছেন টটেনহাম তারকা।
বিশ্বকাপে ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল করা খেলোয়াড়েরা হলেন—লিওনিদাস (১৯৩৮), আদেমির (১৯৫০), পিঙ্গা (১৯৫৪), মাজ্জোলা (১৯৫৮) জর্জিনিও (১৯৭০), কারেকা (১৯৯০) এবং নেইমার (২০১৪)। সর্বশেষ নামটি বাদ পড়েছে—রিচার্লিসন (২০২২)।
মজার বিষয়,
এই তালিকায় প্রথম যে খেলোয়াড়টি (লিওনিদাস), ব্রাজিলে তাঁকে ‘বাইসাইকেল কিক’ এর জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যদিও এই কিকের আবিষ্কার আরও আগে,
কিন্তু ব্রাজিলে লিওনিদাসকে এই শটের পারফেকশনিস্ট হিসেবে ধরা হয়। আর পেলের দাবি ব্রাজিলে লিওনিদাসই প্রথম বাইসাইকেল কিক মারেন। ইতিহাস বলে,
ব্রাজিলে ১৯৩২ সালের ২৪ এপ্রিল ক্যারেওকা-বোনসুকেসো ম্যাচে প্রথম এই শট নিয়েছিলেন লিওনিদাস।
ব্ল্যাক ডায়মন্ডও রাবার ম্যা নামে পরিচিত লিওনিদাস ১৯৩৮ বিশ্বকাপে সাবেক চেকোশ্লোভাকিয়ার বিপক্ষে বাইসাইকেল কিক নেওয়ার পর চমকে গিয়েছিলেন রেফারিও। শটটি নিয়মের মধ্যে পড়ে কি না, রেফারি তা নিয়ে সন্দেহে ছিলেন! কালের পরিক্রমায় সেই সন্দেহ ঘুচে গেলেও মানুষ এখনো চমকায়। এমন গোল ও কি করা যায়। রিচার্লিসনের বাইসাইকেল গোলটি তাকে নিয়ে গেলো ব্রাজিল কিংবদন্তীদের কাতারে।
কাতার বিশ্বকাপ রিচার্লিসন ব্রাজিল বাইসাইকেল শট
মন্তব্য করুন
আইপিএল কলকাতা নাইট রাইডার্স পাঞ্জাব
মন্তব্য করুন
বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার আইন অনুযায়ী, কোনো দেশের ফুটবল ফেডারেশনে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অবৈধ। যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে তবে সেই দেশকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। তেমনই এক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে পারে স্পেন ফুটবলের কার্যক্রম।
দেশটির ফুটবল ফেডারেশনকে (আরএফইএফ) পরিচালনার জন্য বিশেষ কমিটি ঘোষণা করে স্পেনের সরকার। মূলত এ কারণেই ফিফা থেকে নিষেধাজ্ঞা পেতে পারে তারা।
নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ‘ফুটবল ফেডারেশন চলমান সংকট ও স্পেনের স্বার্থ রক্ষায় দেশটির সরকার এই বিশেষ কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সিএসডি)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিশেষ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয় স্পেনের সরকারি সংস্থা সিএসডি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরএফইএফ যে গুরুতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা ঠিক করতে এবং সংস্থাটির পুনর্জাগরণ ঘটাতে স্পেন সরকার একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফেডারেশনের তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্বের জন্য এ কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন স্বীকৃত মর্যাদাবান স্বতন্ত্র ব্যক্তিরা।’
স্বাভাবিকভাবে এ বিশেষ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে ভালোভাবে নেয়নি ফিফা ও উয়েফা। এক যৌথ বিবৃতিতে দুই সংস্থা জানিয়েছে, ‘সিএসডির তথাকথিত তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্ব কমিশন আরএফইএফের স্বাধীনভাবে ও সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়াই কার্যাবলি পরিচালনার বাধ্যবাধকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ফিফা এবং উয়েফা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে অতিরিক্ত তথ্য চাইবে।’
গত বছর নারী ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে স্পেন। সেবার শিরোপা বিতরণের মঞ্চে চুমু-কাণ্ডে ফেডারেশনের প্রধানের পদ হারান লুইস রুবিয়ালেস। আর দুর্নীতির অভিযোগে আটক হন তিনি। এরপর থেকেই অস্থিরতা চলছে স্প্যানিশ ফুটবলে।
আগামী জুনে জামার্নিতে বসবে ইউরো কাপ। এর আগে নিষেধাজ্ঞা পেলে ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে বিপাকে পড়তে হতে পারে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
মন্তব্য করুন
এবারের নারী এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো আম্পায়ারিং করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) জেসিকে বিষয়টি ইতোমধ্যেই মৌখিকভাবে অবগত করেছে।
এ বিষয়ে জেসি বলেন, ‘চলতি বছরের জুলাইতে এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবো। বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।’
জেসির ঝুলিতে এর আগেও ইমার্জিং এশিয়া কাপে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। গত বছরের জুনে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে হংকংয়ে। এছাড়া চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এসিসি প্রিমিয়ার কাপে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন জেসি।
চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় হবে এবারের নারী এশিয়া কাপ। গত এশিয়া কাপ বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হলেও দেশি কোনো আম্পায়ার ছিল না।
বাংলাদেশ দলের হয়ে তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা জেসির পুরো মনোযোগ এখন আম্পায়ারিংয়ে। এখন পর্যন্ত ৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সামনেই ঘরের মাঠে আছে বিশ্বকাপ। জেসি এখন নিজেকে প্রস্তুতি করছেন বৈশ্বিক মঞ্চে দায়িত্ব পালনের জন্য।
তিনি বলেন, ‘আমি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করছি নিয়মিত। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, তো অবশ্যই স্বপ্ন দেখি। আমি প্রস্তুত বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালনের জন্য।’
নারী ক্রিকেট এশিয়া কাপ বাংলাদেশ আম্পায়ারিং সাথিরা জাকির জেসি
মন্তব্য করুন
বিশ্ব ফুটবলে উঠতি তারকাদের আইডলদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা। এই যেমন- কিলিয়ান এমবাপ্পের রোনালদো, লামিনে ইয়ামালের লিও মেসি। বিশ্ব ফুটবলে এত তারকা, কিংবদন্তি থাকতে এদেরকেই সবচেয়ে বেশি আইডল মানার কারণটাও অবশ্য সকলেরই জানা। প্রায় দুই দশক ধরে ফুটবল বিশ্বকে যেন নিজেদের খেলা দিয়ে মোহে আটকে রেখেছেন তারাই।
বর্তমানে উঠতি তারকা যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে খেলার ধরনে লিওনেল মেসির সঙ্গে কিছুটা মিল আছে জামাল মুসিয়ালার। জার্মানীর এই তরুণ এখনও আছেন ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে। তবে হাঁটছেন মেসির পথ ধরেই। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নিজের সবচেয়ে পছন্দের ফুটবলার বলে কথা জানালেন মুসিয়ালা। তিনি জানান, মেসিকে দেখেই নাকি ফুটবলকে ভালোবাসার শুরু তার। তাই সর্বকালের সেরাও মানেন এই আর্জেন্টাইনকে।
সময়ের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এতে সবাই একমত। তবে দ্বন্দ্ব হয় কে সেরা তা নিয়ে! এই প্রশ্নের উত্তর গত দেড় দশক ধরে দিয়ে আসছেন সাবেক ও বর্তমান ফুটবলাররা।
সম্প্রতি বায়ার্ন টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসিকে সেরা বলেছেন মুসিয়ালা। বায়ার্নের এই ফুটবলার বলেন, 'দুজনই ভালো ফুটবলার, তবে আমার চোখে সবসময়ই মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলার।'
জার্মান দলেও মুসিয়ালা এখন নিয়মিত। পরেন ‘আইকনিক’ ১০ নম্বর জার্সি। যা আবার লিওনেল মেসিরও জার্সি নম্বর। যাকে দেখে বড় হওয়া তার জার্সি নম্বর গায়ে জড়ানোকে স্বপ্ন পূরণ বলছেন এই ২১ বছর বয়সী ফুটবলার।
তিনি বলেন, 'ছোট থেকেই ১০ নম্বর জার্সি পরাটা ছিল স্বপ্নের মতো। তখনই দেখেছি মেসির মতো বড় ফুটবলাররা এই নম্বরটাই পরে। তবে আমি মাঠে কখনোই এগুলো মাথায় আসতে দেই না। এগুলো বাড়তি চাপ তৈরি করে।'
লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনা ইন্টার মায়ামি
মন্তব্য করুন
শিরোপার দিক থেকে ধরতে গেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রাজা ধরা হয় অস্ট্রেলিয়াকে। আর অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল অধিনায়ক হচ্ছেন রিকি পন্টিং। কারণ তার নেতৃত্বেই দুইবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে অজিরা। তবে পন্টিং তার বর্ণাঢ্য এই ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন এক যুগ আগেই।
ক্রিকেটার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ারকে বিদায় বললেও ছেড়ে যাননি এই প্রাঙ্গণ। এখনও নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন ক্রিকেটের মধ্যেই। বর্তমানে আইপিএলের দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ তিনি। সম্প্রতি দলটির এক সাক্ষাৎকারে নিজের সংগ্রহে থাকা ১ হাজার ব্যাটের বিষয়টি জানিয়েছেন এই অজি কিংবদন্তি।
রিকি পন্টিং বলেন, ‘বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমি প্রথম যে ব্যাট দিয়ে খেলেছি এখনো বাড়িতে সেটি সংগ্রহে আছে। এমনকি ব্যাটের গায়ে থাকা স্টিকারসহ প্রতিটি জিনিসই আছে অক্ষত অবস্থায়। এভাবে সবমিলিয়ে এক হাজার ব্যাট আছে আমার কাছে, কিছু কিছু ব্যাট একটা আরেকটার চেয়ে বেশি স্পেশাল।’
২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। সৌরভ গাঙ্গুলির দলের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন একাই চুরমার করে দেন পন্টিং। সেই ম্যাচে ১৪০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটার।
সেই ব্যাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই (সংগ্রহে আছে)। তবে এটি এমন নয় যে, বাসায় প্রদর্শনের জন্য রেখে দিয়েছি এসব, সব গ্যারেজে রাখা আছে।’
রিকি পন্টিং অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
বিশ্ব ফুটবলে উঠতি তারকাদের আইডলদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা। এই যেমন- কিলিয়ান এমবাপ্পের রোনালদো, লামিনে ইয়ামালের লিও মেসি। বিশ্ব ফুটবলে এত তারকা, কিংবদন্তি থাকতে এদেরকেই সবচেয়ে বেশি আইডল মানার কারণটাও অবশ্য সকলেরই জানা। প্রায় দুই দশক ধরে ফুটবল বিশ্বকে যেন নিজেদের খেলা দিয়ে মোহে আটকে রেখেছেন তারাই।