ক্লাব ইনসাইড

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কার্যকরী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাস এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ এ কমিটি অনুমোদন করেছেন।

শনিবার (৪ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি করা হয়েছে রুমা আক্তারকে এবং শাহিনুর নার্গিসকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।


জাতীয়তাবাদী মহিলা দল   কমিটি  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিন জবি শিক্ষকদের কর্মবিরতি

প্রকাশ: ০৬:১৬ পিএম, ২৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সার্বজনীন পেনশন স্কিমের 'প্রত্যয়' স্কিম বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য সতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মত অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। 

 

বুধবার (২৬ জুন) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আহ্বানে সকাল সাড়ে আটটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত কর্মবিরতি ও দুপুর বারোটা থেকে একটা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। 

 

কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ও সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড.আব্দুল মোমিন বলেন, এ পেনশন শিক্ষকতা পেশার জন্য হুমকিস্বরূপ। এটা বাস্তবায়ন হলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে নিরুৎসাহিত হবে। জাতির স্বার্থে এ পেনশন স্কিম আমরা বাতিল চাই।

 

কর্মসূচিতে জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, আমরা বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে আগেও কর্মসূচি পালন করেছিম এবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিম আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা পহেলা জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করব। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

 

অবস্থান কর্মসূচিতে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন। এসময় শিক্ষক সমিতির নেতারা সহ বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।


প্রত্যয় স্কিম   সার্বজনীন পেনশন   প্রত্যাহার  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

জাবিতে নিয়ম ভেঙ্গে নারী কর্মচারীর পদোন্নতি লাভের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ২৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রচলিত নিয়ম ভেঙ্গে উচ্চমান সহকারী থেকে উর্ধ্বতন সহকারী পদে পদোন্নতি লাভের অভিযোগ উঠেছে একজন নারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে। ওই কর্মচারীর নাম জিনাত ফাতিমা। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পট্রোলার অফিসের হিসাবরক্ষক পদে কর্মরত রয়েছেন।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১২ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উচ্চমান সহকারী থেকে ঊর্ধ্বতন সহকারী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রশাসন। যেখানে আবেদনের সর্বশেষ তারিখ ছিল ওই বছরের ২৫ জুলাই পর্যন্ত। কিন্তু এর পরেও নভেম্বর মাসে করোনার কারণ দেখিয়ে কোনরকম পুনঃবিজ্ঞপ্তি ছাড়া ওই কর্মচারীর আবেদন গ্রহণ করা হয়। এসব ক্ষেত্রে সেসময় ওই কর্মচারীর ঘনিষ্ঠ ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ২/ কাউন্সিল) বি.এম. কামরুজ্জামান তাকে সহযোগিতা করেন বলে একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, নিয়ম ভেঙ্গে আবেদন পত্র জমা দানের বিষয়টি সেসময় কামরুজ্জামান চেপে (আড়াল করা) যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

 

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, ‘চাকরি ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ডেডলাইনের পরে আবেদন জমা নেওয়ার নজির আমি ক্যাম্পাসে আর দেখিনি। একমাত্র জিনাত ফাতেমার পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিএম কামরুজ্জামান সাহেব বিষয়টি বিবেচনা করেছিলেন বলে জানি। কিন্তু ওনার দায়িত্বের জায়গা থেকে তিনি পুনঃবিজ্ঞপ্তি না দিয়ে বিলম্বে কারো জমাদানকৃত আবেদন পত্র গ্রহণ করতে পারেন না। এটা বিধিবহির্ভূত কর্মকান্ড। এধরনের দৃষ্টান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাম্য নয়।’

 

এদিকে সম্প্রতি উর্ধ্বতন সহকারী থেকে প্রশাসনিক অফিসার পদে পদোন্নতি লাভের এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই নিয়োগ সভা ২৫ শে জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এতে জিনাত ফাতিমা তার পদোন্নতি লাভের জন্য চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।

 

তবে এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে জিনাত ফাতিমার মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ভুল নাম্বারে কল করেছেন বলে কেটে দেন।

 

অন্যদিকে এবিষয়ে প্রশাসন ২/ কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি রেজিস্ট্রার বি.এম. কামরুজ্জামান বলেন, ‘ওই নারী কিভাবে বিলম্বে আবেদন করে পদোন্নতি পেয়েছেন সে বিষয়ে অফিসে ফাইল রয়েছে। সেটা দেখলে বুঝতে পারবেন। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’

 

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ২) এবিএম আজিজুর রহমান মুকুল বলেন, ‘ঘটনাটি যেসময়ের সেসময় এ সেকশনে আমি দায়িত্বে ছিলাম না। তবে ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছিনা।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে আমি পুরোপুরি অবগত না। এ মুহূর্তে এ বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই।’


জাবি   নারী কর্মচারী   পদোন্নতি  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ইবির প্রকল্প থেকে কোটি টাকা আত্মসাৎ, ৮ প্রকৌশলীকে দুদকে তলব


Thumbnail

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) চলমান মেগা প্রকল্পের ৬ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা বিল গরমিলের অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলীসহ আট প্রকৌশলীকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি দুদকের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে তথ্যটি জানা গেছে।

তবে ওই চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীষ্মকালীন ও ঈদুল আযহার ছুটি চলাকালীন আসায় যথাসময়ে উপস্থিত হতে পারেননি কর্মকর্তারা। ফলে মঙ্গলবার (২৫ জুন) রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে দুদকের সঙ্গে আলোচনা করে সাক্ষাতের নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, দুদক প্রকৌশলীদের বক্তব্য শুনতে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু ওই সময় ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় চিঠি পড়ে ছিল। পরে দুদকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে সাক্ষাতের নতুন সময় জানিয়েছি।

দুদকের দেয়া চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রশাসন ভবন নির্মাণে সর্বশেষ চলতি বিলে ভুয়া বিল দিয়ে ৬ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা উত্তোলন ও ভাগ-বাটোয়ারা করে আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। অনুসন্ধানের স্বার্থে আট প্রকৌশলীর বক্তব্য গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত ৮ প্রকৌশলী হলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শরীফ উদ্দীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন ও আলিমুজ্জামান টুটুল, নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) বাদশা মামুনুর রশিদ ও মোহা. নুর আলম, উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) প্রসেনজিৎ কুমার বিশ্বাস, রাজিব হোসাইন ও সোহাগ ইসলাম সাগর।

এদের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশী এ কে এম শরীফ উদ্দীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন ও আলিমুজ্জামান টুটুলকে ১ জুলাই ও বাকিদের আগামী ৩০ জুন ডাকা হয়েছে।

এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৩৭ কোটি টাকার মেগাপ্রকল্পের কাজের সোয়া ৬ কোটি টাকার ভুয়া বিল উত্তোলন ও ভাগবাটোয়ারার অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক সমিতি, শাপলা ফোরামসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ সংক্রান্ত একটি উড়ো চিঠি আসে। সেই চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক, ঠিকাদারসহ একাধিক কর্মকর্তা ও কয়েকজন সাবেক-বর্তমান ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে এই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। একই অভিযোগের চিঠি পাঠানো হয় দুদকেও। পরে তদন্ত শুরু করে দুদক। এ ছাড়া অভিযোগ পাওয়ার পর ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায়। প্রতিবেদনে আর্থিক অনিয়মের সত্যতাও পাওয়া যায়। ১৯ মে অনুষ্ঠিত ইবির সর্বশেষ সিন্ডিকেট সভায় এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিলো। তবে প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের বিষয়ে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তা নির্দিষ্ট করা ছিলো না। এজন্য শাস্তির ধারা নির্ণয় ও নির্দিষ্ট করার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সিন্ডিকেটে। কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।


ইবি   প্রকল্প   অর্থ আত্মসাৎ   প্রকৌশলী   দুদক  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে জবি শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি

প্রকাশ: ০৪:৪৪ পিএম, ২৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

 

আজ সোমবার (২৫ জুন) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ডাকে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। 

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্ত্বরে এ অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষকরা বলেন, আমাদের এ আন্দোলন সরকার বিরোধী আন্দোলন নয়। এটা আমাদের শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি। এই আন্দোলন অর্থের জন্য নয়, আমাদের মর্যাদার জন্য। এতে শিক্ষকদের মর্যাদা ভুলুন্ঠিত হচ্ছে। পেনশন স্কিমে প্রথমে প্রত্যয় স্কিম ছিলো না, একটা কুচক্রী মহল এটিকে পরে নিয়ে এসে শিক্ষকদের এর অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হব।

 

কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মোহাম্মদ লুৎফর বলেন, এটা আমাদের যৌক্তিক দাবি। আমরা আমাদের পেশার সুযোগ সুবিধার কথা বলছি। শ্রীলঙ্কা ও নেপালের মতো দেশেও বেশ শিক্ষকদের জন্য রয়েছে সম্মানজনক পে স্কেল। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতেও একজন লেকচারারারদের পে স্কেল আমাদের প্রফেসরের চেয়ে বেশি। আমাদের বর্তমান যে সুযোগ আছে সেটাকেও কেটে ফেলা হচ্ছে। আমরা শিক্ষক, আমরা আন্দোলন চাই না। আমাকে রাস্তায় রাখা হলে আমি গবেষণা করতে পারব না। 

 

এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, এই কর্মসূচিতে আমরা কোনো প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কোনো কাজ করব না। আমরা শুধু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজগুলো করব। 

 

তিনি বলেন, ১ তারিখ থেকে আমাদের যে কর্মসূচি সেখানে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান কোনো দাপ্তরিক কাজ করবেন না, হল প্রভোস্ট হলে যাবেন না, অন্য শিক্ষকরাও যারা বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বে আছেন তারাও তাদের কাজ করবেন না। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য আন্দোলন করছি। তারা যেন কর্মপেশায় এসে বঞ্চিত না হয় সেজন্যই আমাদের এই আন্দোলন।


জবি   পেনশন স্কিম   কর্মবিরতি   অবস্থান কর্মসূচি  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

জাবি শিক্ষকদের অর্ধদিবস কর্মবিরতি

প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ২৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপারগ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভূক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। 

 

পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল নয়টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো অনুষদে এ কর্মসূচি পালিত হয়। পরে দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

 

এসময় শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় শিক্ষকরা দ্রুততম সময়ে এ পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানান।

 

পলিসি মেকাররা শিক্ষকদের মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে মন্তব্য করে ভূগোল ও পরিবেশে বিভাগের অধ্যাপক নূরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকরা প্রতিটি ক্ষেত্রে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছে। প্রথমে ৭৮ হাজার টাকার গ্রেড নিয়ে টালবাহানা হয়েছে। প্রফেসরদের তিনটা ক্যাটাগরি করেছে। এখন সার্বজনীন পেনশন একটা ইন্সুরেন্সের মতো।  দুইদিন পর রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে অর্থ না থাকলে আপনাকে বেতনের জন্য আন্দোলন করতে হবে। ইউজিসি নির্ধারিত সময়ে আমাদের বেতনের টাকাও দিবে না। সরকারি কলেজে শিক্ষকদের পাসপোর্টটাও সরকারি। সরকারি কর্মকর্তারা গাড়ি পরিচালনার জন্য ৫০ হাজার পায়।  এর প্রতিবাদে দল-মত নির্বিশেষে আমাদের রাজপথে থাকতে হবে।

 

এসময় গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক আব্দুর রব বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। স্বাধীনতার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বায়ত্তশাসন দেয়ার মূল স্পিরিট ছিল শিক্ষকদের কাজের ফ্রিডম, আর্থিক ফ্রিডম, প্রশাসনিক ফ্রিডম দেয়। কিন্তু এখন যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে তাতে শিক্ষকরা আগামীতে বেতনাদি পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আশা করি সরকারের এ শুভবুদ্ধির উদয় হবে। আশা করি আমাদের ১ জুলাই থেকে কর্মবিরতিতে যেতে হবে না৷

 

সমাপনী বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, গত দুইমাস যাবৎ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দাবি আদায় না হওয়ায় আমরা অর্ধদিবস কর্মসূচি দিতে বাধ্য করেছি। দাবি আদায় না হলে আমরা ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাব। কারণ এই প্রত্যয় স্কিম বৈষম্যমূলক। আমরা তো নতুন কিছু চাই না, আমরা যেখানে ছিলাম সেখানেই থাকতে চাই। আর সুপারগ্রেড তো অনেক আগের দাবি। যদি এই স্কিম সার্বজনীনই হয়ে থাকে তবে কেন শুধু শিক্ষকদেরকে আলাদা করা হলো। সরকারকে বুঝতে হবে শিক্ষকদের পিঠ যদি দেয়ালে ঠেকে যায় তাহলে তারা সবার্ত্মক আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে। সরকার যত দ্রুত আমাদের দাবি মেনে নিবে তত তাড়াতাড়ি আমরা ক্লাসে ফিরে যাব। সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলাকালে শিক্ষকরা হলের প্রভোস্ট, লাইব্রেরি, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস কোথাও দায়িত্ব পালন করবেন না। 

উল্লেখ্য, পেনশন স্কিম বাতিলের দাবি জানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি, কর্মবিরতি ও সমাবেশ করে আসছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। ৩০ জুন পূর্ণ কর্মদিবস পালন করা হবে। তবে এ সময় পরীক্ষা ও পরীক্ষাসংক্রান্ত কাজ কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে। পাশাপাশি সে সময় ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি থাকবে। তবে দাবি পূরণ না হলে আগামী ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। 


জাবি   কর্মবিরতি   অর্ধদিবস   সার্বজনীন পেনশন স্কীম  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন