ইনসাইড গ্রাউন্ড

নরমাল ম্যান বিং দ্যা স্পেশাল ওয়ান

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

সব যুগেরই অবসান আছে, সব ভালোরই শেষ আছে। তা হোক রাজনীতিতে বা ক্রিয়াঙ্গনে। ঠিক তেমনি অবসান হয়েছে লিভারপুলে ক্লপ অধ্যায়ের। অবশেষে দীর্ঘ ৯ মৌসুম পর লিভারপুল ছেড়েছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। রোববার (১৯ মে) ওলসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজের অ্যানফিল্ড অধ্যায় শেষ করে ক্লপ।

২০১৫ সালের অক্টোবরে মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে লিভারপুলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। সেসময় লিভারপুলের অবস্থা কি নাজুক ছিল তা সবারই জানা। লিগ শিরোপা জেতাতো দূরের কথা চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও জায়গা করে নেয়া ছিল একসময়ের ঐতিহ্যবাহী দলটির স্বপ্ন। এর পর ক্লপের ৯ বছরে ইউরোপের সম্ভাব্য সব ট্রফিই জেতে লিভারপুল।

এর আগে ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ‘বিগ সিক্স’ এর খেতাব পাওয়া দলটির ট্রফি কেবিনেটে এক প্রকার ধুলোর আস্তরণ পড়েগেছিল। কেননা, ৩০ বছর ধরে তারা জিততে পারেনি ইপিএল শিরোপা, ১০ বছর আগে জিতেছিল সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এমনকি ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ফুটবল লিগ এফএ কাপের শিরোপাও জিততে পারেনি ৯ বছর ধরে।

কিন্তু যে শহরে ‘বিটলস’ এর জন্ম সে শহরে ‘হেভি মেটাল’এ কখনো মরচে ধরবে! তারা ফিরে আসবে বারবার ফিনিক্স পাখি হয়ে। আর ক্লপের মতোই কেউ তাদেরকে ফেরাবে। যেমনটি ফিরেছে লিভারপুল ক্লপের জামানায়।

২০১৫ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর ক্লপ তার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন ‘I am the normal one, not the special one.’ কতটা সাধাসিধে ভাবে তিনি এ কথাটা বলেছিলেন তা ঐ সংবাদ সম্মেলনটি যারা দেখেছে তারাই জানেন। অথচ কালের বিবর্তনে সেই ‘নরমাল ওয়ান’ পরিণত হয়েছে লিভারপুলের স্পেশাল ওয়ানে। তিনি নিজেকে নিয়ে গেছেন রয় ইভায়নস, বিল শ্যাঙ্কলি, টম ওয়াটসনদের তালিকায়।

আরও পড়ুন: ছন্দপতন থেকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, ইপিএলের শ্রেষ্ঠত্বে সিটিজেনরাই

ইপিএলে পেপ গার্দিওয়ালা ২০১৫ সালে সিটিতে যোগ দেয়ার পর থেকেই তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ধরা হতো ইয়ুর্গেন ক্লপকে। কারণ তার ফুটবলীয় দর্শন ছিল অনন্য। আধুনিক ফুটবলে বল দখলের লড়াই মাঠের লড়াইকে খুব প্রভাবিত করে। আর এই বল দখলের লড়াইয়ের সবচেয়ে কঠিন ট্যাকটিস হলো ‘গেগেন প্রেসিং’। আর ইয়ুর্গেন ক্লপের সাফল্যের মূল মন্ত্রটি ছিল এই ‘গেগেন প্রেসিং’। স্বয়ং পেপ গার্দিওয়ালার গ্যাম প্লান, ট্যাকটিসকে ক্লপ তার ফুটবলীয় দর্শনের মধ্যে দিয়ে নাকানি-চুবানি দিয়েছেন বহুবার। গত নয় বছরে সিটি-লিভারপুল লড়াইয়ে তা স্পষ্টই দেখা গেছে।

ক্লপ একবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘মেশিনের মতো দল তৈরিতে আমরা ধাপে ধাপে এগিয়েছি। আমি সবসময় সেরাদের বিপক্ষে খেলার মতো এমন একজন কোচ হতে চেয়েছি। সবসময় নিজের সেরা একটা দল করতে চেয়েছি, তখন নিজের সেরাটা দিতে সবসময় প্রস্তুত ছিলাম। আমি এমন এক দল চেয়েছি যাদের সঙ্গে খেলতে সবাই ভয় পাবে।’

নিজের খেলোয়ারী জীবনে ক্লপ ছিলেন ম্লান। মাইঞ্জের হয়ে খেলার সময়ই ক্লাবের বয়স ভিত্তিক দলের কোচ হিসেবে নিজের কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। এরপর ২০০১ সালে অবসরের পর দলটির মূল দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। এরপর ২০০৬-০৭ মৌসুমে তাকে অব্যাহতি দেয়া হলে পরবর্তী কয়েকদিন সিনেমার রিল টেনে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। তারপর ২০০৮ সালে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কোচ হিসেবে নিয়োগ পান পান তিনি। দলটির হয়ে কোন লিগ শিরোপা না জিততে পারলেও তিনি দলকে ২০১২-১৩ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তুলতে সক্ষম হন। কিন্তু বিধি বাম। সেইবার আরেক জার্মান প্রতিদ্বন্দ্বী বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হতে হয়েছিল তাকে। এরপর ২০১৫ সালের অক্টোবরে লিভারপুলে যোগ দেন। এবং লিভারপুলের হয়ে ইউরোপের সম্ভাব্য সকল ট্রফি জেতেন।

একনজরে লিভারপুলে ক্লপের অর্জন:

২০১৯-২০

প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন,

২০১৯-২০

ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন

২০১৯-২০

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ

২০২১-২২

এফএ কাপ চ্যাম্পিয়ন

২০২১-২২, ২০২৩-২৪

ইএফএল চ্যাম্পিয়ন

 

সবশেষ একটি কথায় বলা যায়, ক্লপ তুলনাহীন। কয়েকটি ট্রফি আর অর্জন দিয়ে তার ফুটবলের দর্শন আর ফুটবলের প্রতি ভালোবাসাকে ছোট করাটা বোকামি। লিভারপুলের পর হয়তো তিনি অন্য কোন ক্লাবে যোগ দেবেন কিংবা নিজের ব্যক্তিগত জীবনে ব্যস্ত হয়ে যাবেন। কিন্তু আধুনিক ফুটবলে তার গ্যাম প্ল্যান, ট্যাক্টিস ফুটবল ভক্তদের কাছে রয়ে যাবে আজীবন। কারণ লিভারপুলকে তিনি জিততে শিখিয়েছেন, ফিনিক্স পাখির মতো ফিরিয়েছেন। অ্যানফিল্ডের প্রতিটি ঘাস, ড্রেসিংরুম, স্টোডিয়ামের গ্যালারি সবকিছুই তাকে স্মরণ করবে লিভারপুলকে দেয়া স্মৃতির জন্য।


ইয়ুর্গেন ক্লপ   লিভারপুল   ইংলিশ লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোয়ার্টার ফাইনালে মেসি খেলবেন কি?

প্রকাশ: ০৫:৩১ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

চলছে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই কোপা আমেরিকা। যেখানে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সহ প্রতিটি দলই নিজেদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে গ্রুপ পর্বের খেলা। যেখানে সবার আগেই পর পর তিন ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার নিশ্চিত করেছিল আর্জেন্টিনা। আর সবশেষ দল হিসেবে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ড্র করে আজ শেষ আট নিশ্চিত করলো পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।

গ্রুপপর্বের লড়াই শেষে এবার কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালকে সামনে রেখে অনুশীলনে ব্যস্ত সময় পার করছে দলগুলো। যার মধ্যে রয়েছে, তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। দলের বাকি ফুটবলারদের ছাপিয়ে সবার নজর এখন চোটাক্রান্ত লিওনেল মেসির দিকে। কোয়ার্টার ফাইনালে মেসি পুরোপুরি ফিট হয়ে খেলতে পারবেন কি না সেই প্রশ্ন অনেকেরই।

মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে মেসিকে পূর্ণ ফিট অবস্থায় ফিরে পেতে মরিয়া আর্জেন্টিনা দল। শুক্রবার (০৫ জুলাই) ইকুয়েডরের বিপক্ষে শেষ আটের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।

কোপা আমেরিকায় চিলির বিপক্ষে খেলার সময় চোটে পড়েন মেসি। অস্বস্তিকে সঙ্গী করেই সেদিন খেলেন তিনি। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলারকে ছাড়াই মাঠে নামে আর্জেন্টিনা।  এখন কোয়ার্টার ফাইনালেও মেসির পুরো ৯০ মিনিটে খেলা নিয়ে আছে শঙ্কা।

কোয়ার্টার ফাইনালে দলের অধিনায়ক ও সেরা খেলোয়াড়কে মাঠে পেতে মরিয়া স্কালোনি। আর্জেন্টিনার স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বর্তমানে আগের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছেন মেসি। বল নিয়ে অনুশীলনেও দেখা গেছে তাকে।

ইকুয়েডরের বিপক্ষে মেসিকে খেলাতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি স্কালোনি। যদি কোনো কারণে মেসিকে শুরু থেকে খেলানো সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে তাকে বেঞ্চ থেকে মাঠে নামাবেন কোচ। আর মেসি বেঞ্চে থাকলে দলের অধিনায়কত্ব করবেন আনহেল দি মারিয়া।


আর্জেন্টিনা   কোপা আমেরিকা   লিও মেসি   লিওনেল স্কালোনি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘সাংবাদিকরা গুজবের ভিত্তিতে খবর প্রচার করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে’

প্রকাশ: ০৪:৩৬ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বকাপের সাফল্য-ব্যর্থতা ছাপিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তাসকিন আহমেদের ঘুম-কাণ্ড।  সংবাদমাধ্যমে রটেছে, টি-২০ বিশ্বকাপে ভারত ম্যাচের দিন নাকি ঘুম ভাঙেনি তাসকিনের। এমনকি ঘুম থেকে দেরিতে ওঠায় টিম বাস মিস করেন তিনি। সেই কারণে নাকি ওই ম্যাচের একাদশেও রাখা হয়নি বাংলাদেশ দলের সহ অধিনায়ককে।

বিষয়টি নিয়ে গতকাল সাকিব আল হাসান ও বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন গণমাধ্যমে কথা বলেছেন ঠিকই। কিন্তু তাদের কথার মধ্যেও নানারকম ধোঁয়াশা ছিল। তবে এবার নিজের ফেসবুক পেজে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিলেন খোদ তাসকিন নিজেই।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তাসকিন লেখেন, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি সম্প্রতি অনলাইনে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে সম্প্রতি শেষ হওয়া টি-২০ বিশ্বকাপের একটি ঘটনা নিয়ে অনেক হৈচৈ করা হচ্ছে।

প্রথমত, আমি সবাইকে জানাতে চাই যে বেশিরভাগ সংবাদ এবং তথ্য যা ছড়ানো হচ্ছে তা কেবল গুজব এবং আমি আশা করি ভক্তরা এটি সেইভাবে দেখবেন।

দ্বিতীয়ত, আমি ঘটনাটি সেদিন আসলে কী ঘটেছিল তা পরিষ্কার করতে চাই। আমি স্বীকার করি যে আমি স্বাভাবিকের চেয়ে পরে উঠেছি এবং এর জন্য আমি ইতিমধ্যে পুরো দল এবং ম্যানেজমেন্টের  কাছে ক্ষমা চেয়েছি।

আমি সকাল ৮:৩৭ এ উঠেছিলাম এবং ৮:৪৩ এ লবিতে গিয়েছিলাম এবং আমার রাইড প্রস্তুত হওয়ার সাথে সাথে আমি সকাল ৯:০০ এ হোটেল ছেড়েছি। আমি সকাল ৯:৪০ এ স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছি, ম্যাচ টসের ২০ মিনিট আগে সকাল ১০:০০ এ। আমরা সকাল ১০:১৫ এ জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছিলাম এবং ম্যাচটি সকাল ১০:৩০ এ শুরু হয়েছিল।

এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে এই তথাকথিত ক্রীড়া সাংবাদিকরা গুজবের ভিত্তিতে খবর প্রচার/মুদ্রণ করছে এবং যাচাই না করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে যা জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন খেলোয়াড় হিসাবে।

যারা আমাকে চেনেন তারা জানেন আমি আমাদের দেশকে কতটা ভালোবাসি এবং বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য কতটা নিবেদিত, উৎসাহী এবং গর্বিত। আমি জানি আমি সময়মতো টিমের বাসে না উঠার একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল করেছি, কিন্তু আমি টসের আগেই স্টেডিয়ামে ছিলাম। আমার চূড়ান্ত দলে নির্বাচিত না হওয়াটা টিম ম্যানেজমেন্টের  সিদ্ধান্ত ছিলো। যা সঠিক টিম কম্বিনেশন পাওয়ার সাথে সম্পর্কিত  এবং এটি আমার টিম বাসে না ওঠার ব্যর্থতার সাথে সম্পর্কিত ছিল না।

তাই, আমি আশা করি মিডিয়া এবং ক্রীড়া সাংবাদিকরা মিথ্যা গল্প লেখার আগে আরও সতর্কতা অবলম্বন করবেন এবং একটি বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করবেন না। এটি কেবল আমাদের খেলোয়াড়দের ক্ষতি করে না বরং আমাদের দেশের সামগ্রিক চিত্রকে ক্ষুণ্ন করে। আমি বিশ্বাস করি আমরা সবাই সৎ এবং পেশাদার সাংবাদিকতা আশা করি যাতে জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে পারি।

ভবিষ্যতে, আমি আইনি ভাবে এই ধরনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো যাতে কেউ আমার ক্রীড়াবিদ বা মানুষ হিসাবে আমার সুনাম বা অখণ্ডতা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা না করে। আমার সকল ভক্তদের ধন্যবাদ তাদের অব্যাহত সমর্থনের জন্য।

উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত টি-২০ বিশ্বকাপে সুপার এইটের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে একাদশে ছিলেন না তাসকিন। আর এ নিয়ে বেশকিছু গণমাধ্যমে খবর বের হয়, ঘুমের কারণে নাকি মহাগুরুত্বপূর্ণ সেই ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। যা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।


তাসকিন আহমেদ   বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড   বিসিবি   সাকিব আল হাসান   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অবশেষে দেশে ফিরছে বিশ্বকাপজয়ী ভারত!

প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দীর্ঘ প্রায় এক মাসের লড়াইয়ের পর অবশেষে গত ২৯ জুন পর্দা নেমেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। ৫৫ ম্যাচের এই মেগা ইভেন্টের শেষ হাসি হেসেছে ভারত। ২০০৭ সালের পর দ্বিতীয়বার এবং তৃতীয় দেশ হিসেবে দুইটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে রোহিত শর্মার দল।

তবে তিনদিন পূর্বে বিশ্বকাপ মিশন শেষ হলেও এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নরা নিজ দেশে ফিরতে পারেনি। এমনকি নির্ধারিত রুট ধরে দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রাটাই শুরু করা হয়নি তাদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে এখনও রওনাই দিতে পারেনি ভারত ক্রিকেট দল। আটলান্টিক মহাসাগরে হারিকেন ‘বেরিল’-এর কারণে বার্বাডোজেই আটকে রয়েছে রোহিত-কোহলিরা।

তবে সর্বশেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী অবশেষে আজ বুধবার দেশের উদ্দেশে রওনা দিতে পারছে ভারত দল। আজ বিসিসিআইয়ের তত্ত্বাবধানে জয় শাহ’র নেতৃত্বে এক বিশেষ চার্টার ফ্লাইটে কোচিং স্টাফ, খেলোয়াড় ও সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে বার্বাডোজ ছাড়ার কথা রয়েছে রোহিতদের। খবর এনডিটিভির।

উল্লেখ্য, গত শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনাল জেতার পর রোববার এমনিতেও বার্বাডোজ থাকার কথা ছিল ভারতের। কারণ, ওই দিন ছিল ফাইনালের আনুষ্ঠানিক রিজার্ভ ডে। তবে এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘বেরিল’ ধেয়ে আসায় ভ্রমণসংক্রান্ত পরিকল্পনা বদলাতে হয় দলটির।

প্রাথমিকভাবে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে বার্বাডোজ থেকে নিউইয়র্ক, এরপর দুবাই হয়ে ভারতে ফেরার কথা ছিল রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের। তবে এখন চার্টার ফ্লাইটে সরাসরি দেশে ফিরবেন তারা।

বিশ্বকাপজয়ী দল, তাদের পরিবার, কোচিং স্টাফ, বিসিসিআইয়ের কর্মকর্তাসহ প্রায় ৭০ জনের বহর আটকে পড়েছিল ‘ক্যাটাগরি ফোর’ বা চতুর্থ শ্রেণির ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ ওই ঘূর্ণিঝড়ে। বার্বাডোজের বিমানবন্দরও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মটলি বলেন, শিগগির বিমানবন্দরটি খুলে দেওয়ার আশা প্রকাশ করছেন তারা। পিটিআইকে তিনি বলেন, ‘আগবাড়িয়ে কিছু বলতে চাই না। কিন্তু আমি বিমানবন্দর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং তারা তাদের শেষ মুহূর্তের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। জরুরি ভিত্তিতে আমরা স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা শুরু করে দিতে চাই।’

মটলি বলেন, ‘গতকাল রাতে বা আজ বা আগামীকাল বেশ কয়েকজনের (বার্বাডোজ) ছাড়ার কথা ছিল। আমরা তাদের সেই সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করে দিতে চাই। ফলে অনুমান করছি, আগামী ৬ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে বিমানবন্দর খুলে যাবে।’


টি-২০ বিশ্বকাপ   ফাইনাল   ভারত   ঘুর্ণিঝড় বেরিল   হারিকেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আমি কখনও বলিনি ‘আমাদের লক্ষ্য পরের বিশ্বকাপ’

প্রকাশ: ০৩:০২ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সালটা ২০২২। টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে। যেখানে রয়েছে বাংলাদেশও। তবে বিশ্বকাপের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পূর্বে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে টি-২০ দল নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন।

একপর্যায়ে পাপন বলে বসেন ‘সবসময় এটা আপনাদের বুঝতে হবে যে আমাদের লক্ষ্য পরের বিশ্বকাপ’। সেই ঘটনার দুই বছর পর বিসিবি সভাপতি দাবি করেছেন, এ ধরনের কোনো কথাই বলেননি তিনি।

পাপন সেদিন বলেছিলেন, এতদিন যা হয়েছে তো হয়েছে। এখন আমরা দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করছি। এখন আমরা টার্গেট করেছি পরের টি-২০ বিশ্বকাপ। এটার জন্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে, ওঠা-নামা হবে। এসব পরের ব্যাপার। তবে আমরা তা মেনে নিতে তৈরি। ওটা যদি খারাপও হয়, আমরা হতাশ হব না। আমরা চাই, ভালো করুক। তবে ৬-৭ মাস পরে যেন আমাদের একটা ভালো দল দাঁড়িয়ে যায়, অন্তত ১ বছরের মধ্যে ভালো ও শক্তিশালী দল যেন পাই, এটাই লক্ষ্য। সবসময় এটা আপনাদের বুঝতে হবে যে আমাদের লক্ষ্য পরের বিশ্বকাপ, এবারেরটি নয়।

পাপনের সেই বক্তব্য নিয়ে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে শুরু হয় ব্যাঙ্গ-বিদ্রূপ। এখনো যা চলমান। এদিকে সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের বাজে পারফর্মেন্সের কারণে চারদিক থেকে ভেসে আসছে সমালোচনা।

এরই মাঝে গত মঙ্গলবার বোর্ড সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বিসিবি সভাপতি। সেখানে তাকে ‘আমাদের লক্ষ্য পরের বিশ্বকাপ’ বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে অস্বীকার করেন তিনি।

পাপন বলেন, এই যে আপনি কথাটা বললেন... আমরা খেলার আগে বলি যে নেক্সট বিশ্বকাপ। এটা কোথায় পেলেন? আমি দেখলাম এক জায়গা আমি নাকি বলছি যে...আমি জীবনে এই কথা বলিই নাই। এইগুলো বানান কেমনে? কে বানায়, আপনারা?

তিনি আরো বলেন, আমি বলছি যারা বানায়, তারা বানায় কেমনে। যা দিয়ে বানায়, এখন যদি বানানোর পর যদি কেউ প্রশ্ন করেন, আমার কিছু বলার আছে? এমন অবস্থা হচ্ছে কোনটা যে সত্যি, কোনটা মিথ্যা বলা খুব মুশকিল। আমাকে পাঠিয়ে বলে এটা কী সত্যি? আমি কীভাবে বলবো সত্যি।


নাজমুল হাসান পাপন   বিসিবি   পরবর্তী বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অলিম্পিকের জন্য আর্জেন্টিনার ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা

প্রকাশ: ০১:৪০ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

প্যারিস অলিম্পিকের জন্য ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কোচ হ্যাভিয়ের মাশ্চেরানো। অলিম্পিক দলে তিনজন মেজর (২৩ বছরের বেশি) ফুটবলার রাখার নিয়ম রয়েছে। সেই তালিকায় সুযোগ পেয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার ওতামেন্ডি ও গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলি। তবে এ দলে জায়গা হয়নি অলিম্পিকে খেলতে ক্লাব অ্যাস্টন ভিলার সঙ্গে যুদ্ধের ঘোষণা করা গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজের।

তবে, ১৮ সদস্যের এই দলে লিওনেল মেসি ও অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে চেয়েছিলেন আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কোচ। কিন্তু পরপর দুটি বড় টুর্নামেন্টে খেলতে রাজি হয়নি মেসি।

উল্লেখ্য, কোপা আমেরিকা ফাইনাল হওয়ার ১০ দিন পর ২৪ জুলাই থেকে শুরু হবে অলিম্পিকে পুরুষদের ফুটবল। ১৬ দলের এই টুর্নামেন্টে আর্জেন্টিনার গ্রুপে রয়েছে মরক্কো, ইরাক ইউক্রেন।

প্যারিসে অলিম্পিকে আর্জেন্টিনা স্কোয়াড

গোলকিপারলিয়ান্দ্রো ব্রে, জেরোনিমো রুলি 

রক্ষণভাগমার্কো ডি সিজার, জুলিও সোলার, জোয়াকিন গার্সিয়া, গঞ্জালো লুজান, নিকোলাস ওতামেন্ডি, ব্রুনো অ্যামিওন 

মাঝমাঠএজেকিয়েল ফার্নান্দেজ, সান্তিয়াগো হেজে, ক্রিস্টিয়ান মদিনা,কেভিন জেনন

আক্রমণ ভাগজুলিয়ানো সিমিওনে, লুসিয়ানো গন্ডৌ, থিয়াগো আলমাদা, ক্লদিও এচেভেরি, জুলিয়ান আলভারেজ, লুকাস বেল্ট্রান।


প্যারিস অলিম্পিক   দল ঘোষণা   হেভিয়ের মার্চেরানো   অনূর্ধ্ব ২৩   আর্জেন্টিনা   মেসি   ডি মারিয়া  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন