ইনসাইড বাংলাদেশ

বাবা হত্যার বিচার চাইলেন মেয়ে

প্রকাশ: ০২:৫৭ পিএম, ২২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাবা হত্যার বিচার দাবি করেছেন ঝিনাইদহ- আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে মুনতারিন ফেরদৌস ডরিন। বুধবার (২২ মে) ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি দাবি জানান।

কান্নারত অবস্থায় তিনি বলেন, এই হত্যা কারা করেছে কেন করেছে আমি এটা জানতে চাই, তাদের ফাঁসি চাই, আমি এতিম হয়ে গেছি। আমার পড়াশোনা শেষ হয়নি। বাবার মতো কেউ হয় না। যতই আত্মীয়স্বজন থাকুক। আমি স্বচক্ষে হত্যাকারীদের ফাঁসি দেখতে চাই।

ঘটনায় জড়িত কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের চেনেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তাদের চিনি না। কিন্তু আমি তাদের চিনতে চাই।

তিনি বলেন, সর্বশেষ আমি ভিডিও কলে বাবার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন ইন্ডিয়া যাচ্ছি, কয়েকদিন পর চলে আসব। কিন্তু আর আসেননি।

তিনি আরও বলেন, আমি এই ঘটনার কোনো কিছুই জানি না। তবে আমি সব জানতে চাই। কেন মারল আমার বাবাকে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।

জানা গেছে ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজিমের মরদেহ কলকাতার নিউটাউন এলাকার সঞ্জিভা গার্ডেন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২২ মে) কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাস সূত্রে তথ্য জানা গেছে।


বাবা   হত্যা   বিচার   দাবি   মেয়ের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুর্নীতিগ্রস্ত সার্ভেয়ারকে চাকরিতে পুনর্বহাল প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব যা জানালেন

প্রকাশ: ০৯:১২ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার জেরে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক সার্ভেয়ারকে সম্প্রতি চাকরিতে ফের পুনর্বহাল করা হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেনের কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘কিছু বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। দুদক কিংবা অন্য একটি আদালত যেভাবে কাজ করে, ডিপার্টমেন্টাল কাজ কিন্তু সেভাবে না।’

আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিব এ কথা বলেন।

অভিযোগ রয়েছে, পদ্মাসেতু প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের সময় মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় জাল দলিল তৈরির সাথে যুক্ত ছিলেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের সাবেক সার্ভেয়ার মাইনুল হাসান। জানা যায়, ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠলে জেলা প্রশাসন ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের তদন্তে ওই জালিয়াতিতে সহায়তার জন্য তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েচ্ছিলেন।

পরে গত বছরের নভেম্বরে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলেও আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশবলে চলতি বছরের ৯ জুন তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়।

এ বিষয়েই মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বিভাগীয় কর্মপদ্ধতির প্রসঙ্গ এনে বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে তদন্তে দুর্নীতি হিসেবে সাব্যস্ত হলে একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া মানতে হচ্ছে। তাকে বরখাস্ত কিংবা চাকরিতে রেখে তার বিরুদ্ধে ডিপি চালু করি। তাকে চাকরিতে রেখেই ব্যবস্থা নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির পরেও বরখাস্ত কেন করা হয়নি, সেটা হয়তো সেই কর্তৃপক্ষ জবাব দিতে পারবে। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় প্রক্রিয়া চলমান কিনা।’

ব্রিফিংয়ের সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, মাদারীপুরের শিবচরে ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রনটিয়ার টেকনোলজি’ নামের একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠান করতে চায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি)। তবে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নামের বিষয়ে ‘না’ বলেছেন। নাম বদলে হচ্ছে ইনস্টিটিউট অব ফ্রনটিয়ার টেকনোলজি। এ লক্ষ্যে ‘ইনস্টিটিউট অব ফ্রনটিয়ার টেকনোলজি, আইন ২০২৪’–এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।


মন্ত্রী পরিষদ সচিব   দুর্নীতি   পুনবর্হাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী মিশর: নানক

প্রকাশ: ০৮:৫১ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বস্ত্র পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, মিশর বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী। বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্রুত একটি যৌথ প্রটোকল স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সোমবার (১ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর এলদিন আহদে ফাহমি এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী কথা জানান। 

এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, ৫ম বারের মতো সরকার গঠন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং তাঁর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন মিশরের রাষ্ট্রদূত।

মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি বলেন, ‘মিশর বাংলাদেশ ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। সেজন্য মিশর বাংলাদেশের পাট-বস্ত্র, তুলাসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য ছাড়াও সাংস্কৃতিক শিক্ষা ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ উন্নয়নে আগ্রহী।

এছাড়া, গতবছর মিশর বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করা হয়েছে। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে বলে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন।

সাক্ষাৎকালে দুদেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছাড়াও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।


বাণিজ্য   মিশর   রাষ্ট্রদূত   নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তিস্তা নিয়ে চীন-ভারতের কূটনৈতিক লড়াই

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনা নিয়ে চীন-ভারতের কূটনৈতিক লড়াই এখন শেষ পরিণতির অপেক্ষায়। আগামী ৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী চীন সফরে যাচ্ছেন। সেখানে অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বিষয়ে চীনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো এ কথা স্বীকার করেছে।

ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, তিস্তা নিয়ে ভারত যেমন প্রস্তাব দিয়েছে, তেমনই চীনের প্রস্তাবও আছে। যে প্রস্তাবটি সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য হবে বাংলাদেশের কাছে, সেই প্রস্তাবটি বাংলাদেশ গ্রহণ করবে। প্রধানমন্ত্রী এটাও বলেছেন, দেশের স্বার্থ সবার আগে বিবেচনা করা হবে।

পানি চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তার প্রেক্ষিতে তিস্তাকে ঘিরে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রথম এগিয়ে আসে চীন। চীন বাংলাদেশ অংশে তিস্তার প্রবেশমুখে অনেকগুলো জলাধার নির্মাণ করা এবং জলাধারের মাধ্যমে বর্ষা মৌসুমে পানি সংগ্রহ করা এবং সেই পানি শুষ্ক মৌসুমে ছেড়ে দিয়ে নদীকে সজীব রাখার একটি প্রস্তাব দেয়। একশ কোটি ডলারের এই প্রস্তাবটির সম্ভাব্যতা যাচাই হওয়ার পরেও এটা থেমে আছে।

ভারত এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে। তবে নির্বাচনের পর পর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ সফর করেন এবং তখন তিনি তিস্তা নিয়ে বিকল্প প্রস্তাব দেন। তিস্তা মহাপরিকল্পনার বিকল্প প্রস্তাবটি এবার প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হয় এবং ভারত নিয়ে একটি সমীক্ষার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। ভারতের বিশেষজ্ঞ দল তিস্তার নাব্যতা ঠিক রাখা এবং তিস্তা নদীকে সজীব রাখার জন্য যৌথভাবে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে চাই।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মনে করা হচ্ছে যে, ভারত এবং বাংলাদেশ যৌথভাবে যেহেতু তিস্তা নদীর পানি ব্যবহার করে সেই জন্য ভারতের প্রস্তাবটি ব্যাপারে তারা বেশি আগ্রহী। কারণ এই প্রস্তাবটি হলে ভারতের সঙ্গে পানি চুক্তির বিষয়টি নিয়েও মীমাংসা করা যাবে।

অন্যদিকে চীনের প্রস্তাবটি যদি বাংলাদেশ গ্রহণ করে তাহলে সেক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে পানি চুক্তি নিয়ে বৈরিতা সৃষ্টি হতে পারে। প্রত্যেকটি নদীর উৎস হল ভারত। সে কারণে দীর্ঘমেয়াদী সঙ্কটের কথাও বাংলাদেশ চিন্তা করছে।

তবে এখন অর্থনৈতিক সংকটে থাকা বাংলাদেশের জন্য চীনের সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীন এবার প্রধানমন্ত্রীর সফরে সাতশ কোটি ডলার সহায়তা দেবে বলে প্রাথমিক সূত্রে জানা গেছে। এই সাতশ কোটি ডলারের মধ্যে দুইশ কোটি ডলার হবে বাজেট সহায়তা। আর এই সহায়তা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। আর চীন কোন কিছুর বিনিময় ছাড়াই এ ধরনের প্রস্তাব দেবে এটা ভাবা যায় না।

এখন একদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক এবং প্রত্যেকটি নদীর উৎসমুখ ভারতে থাকার কারণে পানির জন্য ভারত নির্ভরতা, অন্যদিকে আর্থিক বিষয়ে চীনের উপর নির্ভরতা। এই দুটির মধ্যে সমন্বয় করে বাংলাদেশ তিস্তা নিয়ে কোন প্রকল্প গ্রহণ প্রকল্প গ্রহণ করবে সেটি দেখার বিষয়। তবে তিস্তা নিয়ে চীন ভারতের কূটনৈতিক লড়াই এখন বেশ জমে উঠেছে।


তিস্তা চুক্তি   চীন   ভারত   বাংলাদেশ   কূটনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সাভারে ডেইরি ফার্মে মিললো ১২ নিষিদ্ধ গরু

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সাদিক অ্যাগ্রোকে প্রতারণায় সহায়তার অভিযোগে সাভার কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে অভিযান চালিয়েছে দুদক দুদক। সময় সাভারে কেন্দ্রীয় গো প্রজনন কেন্দ্রে নিষিদ্ধ ব্রাহমা প্রজাতির ৫টি গাভী ৭টি বাছুরের সন্ধান পেয়েছে দুদকের আভিযানিক দল।

সোমবার (১ জুলাই) দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের টিম সেখানে অভিযান চালায়। গেল বছর কোন প্রক্রিয়ায় সরকারের এই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৬টি ব্রাহমা জাতের গরু সাদিক এগ্রোকে দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়সহ অন্যান্য বিষয়ে খোঁজ নিতে অভিযান চালায় দুদকের টিম।

জানা যায়, বাংলাদেশ মাংস উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের পর সরকার ২০১৬ সালে ব্রাহমা প্রজাতির গরু আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কিন্তু ২০২১ সালের জুলাই মাসে নিষেধাজ্ঞা না মেনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সে করে ১৮ টি ব্রাহমা জাতের গরু দেশে আনে সাদিক অ্যাগ্রো। তবে গরু আমদানির বৈধ কাগজ উপস্থাপন করতে পারেননি সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন।

গরু আমদানি করতে সাদিক অ্যাগ্রো প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জাল কাগজপত্র ব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। জাল নথি দিয়ে গরু আনার ঘটনায় তখন আদালতে মামলা করা হয়। পরবর্তীতে আদালতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষে রায় দিলে ওই ১৭টি ব্রাহমা গরু বাজেয়াপ্ত করে রাখা হয় কেন্দ্রীয় গো প্রজনন দুগ্ধ খামারে।

উল্লেখ্য, নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরু আমদানিতে সাদিক অ্যাগ্রো তিনটি জাল নথি জমা দিয়েছিলে। নথিগুলো হলো- গবাদিপশু আমদানি-সংক্রান্ত একটি নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণী কোয়ারেন্টাইন বিভাগের কাছ থেকে একটি চিঠি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে গবাদিপশু আমদানির অনুমতিপত্র, যার প্রতিটিকেই জাল হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন তখনকার শুল্ক কর্মকর্তারা।


সাদিক অ্যাগ্রো   প্রতারণা   ব্রাহমা গরু   সাভার ডেইরি ফার্ম   দুদক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পবিস-১ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি পালন

প্রকাশ: ০৬:২১ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিভিন্ন দাবিতে ফের কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সোমবার (০১ জুলাই) সকাল থেকে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর প্রধান কার্যালয় চাটমোহরে এই কর্মবিরতি পালন শুরু হয়েছে।

পবিস-১ কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি এ জি এম (মানব সম্পদ) খ ম কুদরত-ই এলাহীর সভাপতিত্বে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সমিতির কার্যালয়ের সামনে তারা এ কর্মসূচী পালন করেন।

নিজেদের দাবী সমূহ তুলে ধরে বক্তব্য দেন, পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর এজিএম (আইটি) সামিরুল ইসলাম, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র হাসানুজ্জামান, লাইনম্যান সাজেদুর রহমান, লাইন টেকনিশিয়ান আখতার উদ্দিন প্রমুখ।

পবিস-১ কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি খ ম কুদরত-ই এলাহী জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে কাজ করছেন। নিরলসভাবে সেবা দিয়ে আসছেন। অথচ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈত নীতির কারণে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করলেও পদ, বেতন, ভাতা, উৎসব ভাতা ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, বৈষম্যহীন অভিন্ন চাকুরী বিধির দাবীতে এর আগে গত ৫ মে থেকে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন শুরু করলে বিদ্যুৎ বিভাগ পরবর্তী পনেরো কার্যদিবসের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসবে এমন আশ্বাস দিলে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে ফিরেছিলেন। সমস্যা সমাধানে এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ফের আমরা কর্মবিরতিতে নামতে বাধ্য হয়েছি। কেন্দ্রীয় কমিটির পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত জরুরী বিদ্যুৎ সচল ও গ্রাহক সেবা অক্ষুন্ন রেখে আমরা আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতি কর্মসূচী অব্যাহত রাখবো।


পবিস   পল্লী বিদ্যুৎ   কর্মবিরতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন