ইনসাইড পলিটিক্স

বাংলাদেশ ইস্যুতে অবস্থান পাল্টাবে ভারত? কোনপথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক?


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও, শরিকদের ওপর ভর করেই টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের অপেক্ষায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন 'এনডিএ' জোট। অন্যদিকে, এখনও সরকার গঠনের আশা ছাড়েনি ফিনিক্স পাখির মতো খাঁদের কিনারা থেকে ফিরে আসা ভারতের প্রাচীনতম দল কংগ্রেস। সবধরনের বুথফেরত জরিপ ও মোদি ম্যাজিক মিথ্যা প্রমাণ করে বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া' পেয়েছে ২৩২টি আসন। আর তাই, যেকোন মূল্যে 'এনডিএ' জোট শরিকদের মধ্য থেকে কাউকে নিজেদের ডেরায় এনে সরকার গঠনের চেষ্টায় বুঁদ হয়ে আছে তারাও।  

তবে, শেষ পর্যন্ত যারাই সরকার গঠন করুক না কেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে খুব একটা পরিবর্তন আসবে না বলেই মত বিশ্লেষকদের। গত এক দশকে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির সঙ্গে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকারের একটা চমৎকার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। দুই দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমাধান হয়েছে হৃদ্যতাপূর্ণভাবেই। তবে, অমীমাংসিত কোনো বিষয় যে নেই এমনটাও নয়। বিশেষ করে গঙ্গা ও তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধ নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে অনেকদিন ধরেই কিছুটা টানাপোড়েন চলছে। অন্যদিকে, কংগ্রেসের সঙ্গেও আওয়ামী লীগের বেশ ভাল একটা সম্পর্ক রয়েছে। এক্ষেত্রে তারাও যদি সরকারে আসে, বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের অবস্থান পরিবর্তনের তেমন কোন সুযোগ নেই বলেও মত সংশ্লিষ্টদের। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এখন যে পর্যায়ে রয়েছে এর চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারে না। আর তাই কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলেও, বাংলাদেশের জন্য তেমন কোনো সমস্যা হবেনা বলেও মনে করছেন তারা। গেল কয়েক দশকের ইতিহাস বলে, যারাই ক্ষমতায় আসবে তারাই চাইবে দু'দেশের সম্পর্কের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে। 

তবে, এই মুহূর্তে ভারত নিয়ে বাংলাদেশের একটিই চাওয়া, আর তা হলো একটি স্থিতিশীল সরকার। কেননা, দেশটির ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, অতীতের জোট সরকারগুলোর অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর ছিলনা। সেক্ষেত্রে জোটের ওপর ভর করে বিজেপি ক্ষমতায় এলেও, শরিকদের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি কতদিন তার সরকার টিকিয়ে রাখতে পারবেন সেটিই এখন দেখার বিষয়।


বাংলাদেশ   ভারত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

চিকিৎসা সরঞ্জামের যথাযথ ব্যবহারের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ১০:০৫ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ে সতর্কতা বজায় রাখার পাশাপাশি প্রকৃত প্রয়োজনের ভিত্তিতে সরকারি হাসপাতালের জন্য চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয় করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, চিকিৎসা সরঞ্জামের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বুধবার গণভবনে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠায় স্বাস্থ্য খাতের রূপান্তর বিষয়ে একটি উপস্থাপনা দেখার সময় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তার সরকার স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। গত দেড় দশকে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে নেওয়া পদক্ষেপগুলোর বর্ণনা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন জানান, উপস্থাপনা দেখার পর প্রধানমন্ত্রী সবার জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।

স্বাস্থ্য খাতের আরো উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাধীনতার পর সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধুর যুগান্তকারী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।

উপস্থিত অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান এবং স্বাস্থ্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।


প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা   নির্দেশনা   চিকিৎসা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শিক্ষক আর কোটা আন্দোলনে ভর করেছে বিএনপি: কাদের

প্রকাশ: ০৯:৩৫ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার পতনে নিজেদের আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি এখন শিক্ষক আর কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে সাভারের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ভুয়া দলের ভুয়া কর্মসূচি। আন্দোলন আর কবে হবে? আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এখন কোটা আর শিক্ষক আন্দোলনের ওপর ভর করেছে বিএনপি। এই পরজীবী আন্দোলন কখনো সফল হবে না।

আন্দোলনের হাট ভেঙে বিএনপি পরজীবী হয়ে পড়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপির মনের জোর কমে গেছে। তবে বেড়েছে গলার জোর। শক্তি যত কমে, মুখের বিষ তত উগ্র হয়ে ওঠে।

বিএনপির নেতাদের মুখের কোনো লাগাম নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতিতে বিএনপি বেপরোয়া চালক। বিএনপি এখন চলে না। খালেদা জিয়ার বদলে বিএনপি চালায় তারেক রহমান।

লন্ডনের ফরমায়েশে বিএনপির কার কখন পদ যায় দলটির নেতারা সেই আতংকে আছেন মন্তব্য করে কাদের বলেন, ফখরুলসহ বিএনপির সবাই এখন তারেক আতংকে আছে।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা নিয়ে সমালোচনায় নেমেছেন বিএনপির নেতারা। এদিন তাদের সমালোচনা জবাব দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যে দলের নেত্রী ভারত গিয়ে গঙ্গার পানির হিস্যার কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলেন, সেই বিএনপির নেতারা এখন কোন মুখে পানি চুক্তির কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি আবারও আগুন সন্ত্রাস করতে এলে খবর আছে। আন্দোলনে আপত্তি নেই, কিন্তু আগুন সন্ত্রাস ও রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করলে খবর আছে।

কোটা বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ, বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি ঘোষণা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ, বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি ঘোষণা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালোর দিকে যাচ্ছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, রিজার্ভ বাড়তে শুরু করেছে। জিনিসপত্রের দামও কমে আসবে।

তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়বে আওয়ামী লীগ। দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই হবে। জনপ্রতিনিধিরা সৎ হলে দুর্নীতিবাজরা পালিয়ে যাবে। কাজেই জনপ্রতিনিধিদের সৎ হতে হবে।


ওবায়দুল কাদের   রাজনীতি   সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে আপত্তি নেই ভারতের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে ভারতের কোনো আপত্তি নেই। ভারত সফরের সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এই সফরের কথা জানিয়েছিলেন। বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে স্মার্ট লাইব্রেরি ও ওয়েবসাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। গত ১৫ বছর ধরে আমরা এটাই করে আসছি। বিএনপির শাসনামলে বাংলাদেশ ভারতীয় পণ্যের বাজারে পরিণত হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেবল শ্রমিক রপ্তানির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সৌদি আরব বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগে আগ্রহী। কিছু অসাধু শ্রম রপ্তানিকারকদের কারণে যে শ্রমিকরা কাজ পায় না, তাদের ঠেকাতে দুই দেশের মধ্যে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠনের আলোচনা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আগামী ৮ জুলাই চার দিনের সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই দীর্ঘদিন পর দ্বিপক্ষীয় সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে ১০টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।


প্রধানমন্ত্রী   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ভারত   চীন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যুক্তরাজ্যের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আগামীকাল যুক্তরাজ্যের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে যে সমস্ত আগাম জরিপ প্রকাশিত হচ্ছে, তাতে ঋষি সুনাকের ভরাডুবি অত্যাসন্ন বলেই মনে করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন পর লেবার পার্টি ব্রিটেনের সরকার গঠন করতে পারে এমন আভাসও দেখা যাচ্ছে। তবে এ সব পূর্বাভাসকে পাশ কাটিয়ে নির্বাচনের ফলাফলের দিকে দৃষ্টি রয়েছে সবার।

বাংলাদেশে এই নির্বাচন নানা কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। ভারতের নির্বাচনের দিকে যেমন আওয়ামী লীগ-বিএনপি উভয় রাজনৈতিক দল তাকিয়ে ছিল। এবার যুক্তরাজ্যে নির্বাচনের দিকেও প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল নজর রাখছে। নানা কারণে এই নির্বাচন আওয়ামী লীগ-বিএনপি উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে যদি শেষ পর্যন্ত কনজারভেটিভ পার্টি পরাজিত হয় এবং লেবার পার্টি সরকার গঠন করে তাহলে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সে দেশে থাকাটা কঠিন হয়ে পড়বে।

ইতিমধ্যে তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করছে বলে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন। যদি লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসে তাহলে তারেক জিয়ার রাজনৈতিক আশ্রয় জটিল হয়ে পড়বে। কারণ লেবার পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। তাছাড়া এবার লেবার পার্টি থেকে যারা নির্বাচন করছেন তাদের মধ্যে অন্যতম রয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিকি। এই নির্বাচনে যদি লেবার পার্টি সরকার গঠন করে তাহলে টিউলিপ সিদ্দিকের মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ লেবার পার্টির ছায়া ক্যাবিনেটে টিউলিপ সিদ্দিকী ছায়া মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। লেবার পার্টিতে তার প্রভাব অনেক বেশি৷

তাছাড়াও লেবার পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। ৭৫’র ১৫ আগস্টের পর বিশ্বে যে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে জনমত গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল তা ব্রিটেন থেকে শুরু হয়েছিল। এবং শেখ হাসিনার পক্ষে সেসময় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে যারা দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁরা প্রায় সবাই লেবার পার্টির এমপি।

আর এবারও আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিটেনের কাছ থেকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ডিত তারেক জিয়াকে ফেরত চাইছেন। আর এক্ষেত্রে লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসলে ফিরিয়ে আনার পথ অনেক সহজ হবে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর জন্য ফাস্ট ট্র্যাক চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। আর এই চুক্তির আওতায় বেশ কিছু অভিবাসীদেরকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

কনজারভেটিভ পার্টির সঙ্গে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়ার একটি গোপন সম্পর্ক রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র বলছে। বিশেষ করে যেসমস্ত পাকিস্তান বংশোদ্ভূত ব্যক্তি রয়েছেন তাদের একটি প্রভাব কনজারভেটিভ পার্টিতে রয়েছে। এই কারণেই তারেকের সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ এবং সেখানে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা সহজ হচ্ছে।

সেখানে যদি সরকার পরিবর্তন হয় এবং লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসে তাহলে তারেক জিয়ার সাথে এই সম্পর্কের ইতি ঘটবে বলে অনেকে মনে করছেন। তারেক জিয়া এবং তার অনুগত বাহিনীরা টিউলিপ সিদ্দিকীকে নির্বাচনে পরাজিত করার জন্য একধরনের প্রচারণা করছে। যেটি লন্ডনে বাঙালীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কারণ লন্ডনে দলমত নির্বিশেষে বাঙালি অভিবাসীদের পক্ষে সবাই একাট্টা। এখানে তারা আওয়ামী লীগ-বিএনপি দেখতে চায় না। কিন্তু তারেক জিয়া বাঙালিদের মধ্যেই বিভক্তি সৃষ্টির মতো ন্যাক্কারজনক কাজ করছেন এবং টিউলিপ সিদ্দিকীর নির্বাচনী এলাকায় টিউলিপ সিদ্দিকী বিরোধী প্রচারণা করা হচ্ছে। যদিও এই প্রচারণা হালে পানি পায়নি। কারণ ব্রিটিশ নাগরিকরা তারেক জিয়ার এই কুৎসিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকে মোটেও আমলে নিচ্ছে না। আর এ বাস্তবতায় শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের ফলাফল কি হয় সেটির উপর তারেক জিয়ার থাকা না থাকা অনেকটাই নির্ভর করছে। একারণেই এ নির্বাচন বাংলাদেশের প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির কাছে আলাদা গুরুত্ব বহন করছে।


যুক্তরাজ্য নির্বাচন   লেবার পার্টি   কনজারভেটিভ পার্টি   আওয়ামী লীগ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জাহাঙ্গীর আলমকে বাদ দিয়ে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সম্মেলনের ১৯ মাস ১৪ দিন পর ঘোষণা করা হয়েছে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি। তবে এ কমিটিতে জায়গা হয়নি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাঙ্গাঙ্গীর আলম। তাঁকে কোনো পদে, এমনকি সদস্য হিসেবেও রাখা হয়নি।

বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট এই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির(২০২২-২০২৫) অনুমোদন দেন। কমিটিতে উপদেষ্টা পরিষদের ২৮ সদস্যের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছিল। ওই সম্মেলনে শুধু সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের পদে নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর দীর্ঘ সময় চলে গেলেও করা হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। নিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।


জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অনুমোদনে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আজমত উল্লা খানকে সভাপতি আতা উল্যাহ মন্ডলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এছাড়া কমিটির সহ-সভাপতি করা হয়েছে সামসুন নাহার ভূঁইয়া, মতিউর রহমান, আবদুল হাদী, রেজাউল করিম ভূঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, ওসমান আলী, আসাদুর রহমান, সফর উদ্দিন খান, শেখ মো. আসাদুল্লাহ, হেদায়েতুল ইসলাম মো. আবদুল আলীম মোল্লাকে।

কমিটির অন্যান্য পদের নেতারা হলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন সরকার, কাজী ইলিয়াস আহমেদ বি এম নাসির উদ্দিন।


কমিটিতে স্থান পেয়েছেন আইনবিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন, কৃষি সমবায়বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন মোল্লা, তথ্য গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ফজলুর রহমান, ত্রাণ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মওলানা আক্তার হোসেন গাজীপুরী, প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হালিম সরকার, বন পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সাইজ উদ্দিন মোল্লা, বিজ্ঞান প্রযুত্তিবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ উল্লাহ, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক হোসনে আরা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. খালেকুজ্জামান, যুব ক্রীড়া সম্পাদক হীরা সরকার, শিক্ষা মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান, শিল্প বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. বাছির উদ্দিন এবং শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো. সোলায়মান মিয়া।


কমিটিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল মেহের আফরোজ চুমকি এবং কাজী আলিম উদ্দিন, অধ্যাপক এম বারী, ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, মো. আবদুর রউফসহ ৩৬ জনকে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয় ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর। সে সময় সভাপতি করা হয় আজমত উল্লা খানকে আর সাধারণ সম্পাদক করা হয় আতা উল্যাহ মন্ডলকে। জাহাঙ্গীর আলম দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর সাধারণ সম্পাদক পদে আসেন আতা উল্যাহ মন্ডল। আজ ঘোষিত নতুন কমিটিতে আজমত উল্লা খানকে সভাপতি আতা উল্যাহ মন্ডলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।


এর আগে ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠে সম্মেলন শেষে মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতার নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে জাহাঙ্গীর আলমকে দলে ফিরিয়ে আনেন ওবায়দুল কাদের।

বিষয়টি পত্রের মাধ্যমেও জানানো হয়। দীর্ঘদিন পর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলেও এবার সদস্য হিসেবেও জাহাঙ্গীর আলমকে রাখা হয়নি।


গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ   কমিটি ঘোষণা   পূর্ণাঙ্গ কমিটি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন