ইনসাইড গ্রাউন্ড

ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসে রেকর্ড বাজেট, গুরুত্ব বিশেষ কিছু প্রকল্পে

প্রকাশ: ০৯:৪২ এএম, ০৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট, ব্যাংক ও আর্থিকখাতে অস্থিরতাসহ নানা সংকটের মুখে নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছে সরকার। যা দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বাজেট। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম এ বাজেটে করহার বৃদ্ধি ও সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের পরিধি বাড়ানোসহ বেশ কিছু কৌশল নেওয়া হয়েছে।

এ বাজেটে ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসে রেকর্ড বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। গত অর্থবছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মোট সংশোধিত বাজেটের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫২৩ কোটি ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। এবার তা বাড়ানো হয়েছে আরও ৬৮৮ কোটি ৬০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। ফলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পরিচালনা ও উন্নয়ন ব্যয় মিলিয়ে সর্বমোট বাজেট দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২১১ কোটি ৯৫ লাখ টাকাতে। যা ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসে রেকর্ড বাজেট প্রস্তাব।

মোট বাজেটের মধ্য থেকে উন্নয়ন খাতে ১ হাজার ২৩৪ কোটি ৮ লাখ টাকা এবং পরিচালন খাতে ৯৭৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে উন্নয়ন খাতের পরিমাণ ছিল ৬০১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এবং পরিচালনা খাতের পরিমাণ ছিল ৯২১ কোটি ৬৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে গত অর্থ বছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মোট সংশোধিত বাজেটের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫২৩ কোটি ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে বিকাল ৩ টা থেকে ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ শীর্ষক বাজেট বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।

এ সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার ক্রীড়ার মানোন্নয়ন এবং খেলাধুলার সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্লাবে ক্রীড়া সামগ্রী ও আর্থিক অনুদান প্রদানসহ আধুনিক স্টেডিয়াম, জিমনেসিয়াম, সুইমিংপুলসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন করে আসছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতায় যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অধিকতর উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, উপজেলা পর্যায়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্প, বরিশাল আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নতকরণ এবং বিদ্যমান জেলা সুইমিং পুলের উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প।

এ ছাড়াও ভোলা জেলার গজনবী স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন, ইনডোর স্টেডিয়াম এবং সুইমিংপুল নির্মাণ প্রকল্প, মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলা, ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন, গাজীপুর জেলা সদরে সুইমিং পুল নির্মাণ প্রকল্প, গাজীপুর জেলার শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম এবং পটুয়াখালীর কাজী আবুল কাসেম স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প।

‘চাঁদপুর জেলা স্টেডিয়াম, সুইমিং পুলের অধিকতর উন্নয়নসহ ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মাণ, শরীয়তপুর জেলা সদরে ইনডোর স্টেডিয়াম ও টেনিস কোর্ট নির্মাণ প্রকল্প, কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠা মাইন উপজেলায় ‘রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ স্টেডিয়াম’ নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রকল্প এবং গাজীপুর জেলার পুবাইল থানায় শেখ রাসেল মিনি স্পোর্টস গ্রাউন্ড নির্মাণের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণ প্রকল্প।’

২০২৩-২৪ অর্থবছরে ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নের জন্য ১৩টি প্রকল্প চালু রয়েছে, যার মধ্যে মাঠ পর্যায়ে খেলাধুলা উৎসাহিত করার লক্ষ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘উপজেলা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প’। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী বাজেটে বিভিন্ন ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মাণসহ যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নে ২০টি প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়।

পাশাপাশি দক্ষ খেলোয়াড় তৈরির লক্ষ্যে দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক দ্বারা ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণের মাধ্যমে বিভিন্ন বিভাগ থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় খুঁজে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক খেলাধুলার আয়োজন ও অংশগ্রহণের জন্য ক্রীড়া ফেডারেশন, এসোসিয়েশন ও সংস্থাসমূহকে নিয়মিত আর্থিক অনুদান ও ক্রীড়া সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে।

অন্যদিকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতি বছর বাজেটে যে খাতসমূহে বরাদ্দ দেওয়া হয়ে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বেকার যুবকদের আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি, যুব কার্যক্রমের ওপর গবেষণা ও জরিপ, জাতি গঠনমূলক কাজে যুবকদের সম্পৃক্তকরণ ও ক্ষমতায়ন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান, ক্রীড়া ক্ষেত্রে প্রতিভা অন্বেষণ, গ্রামাঞ্চলে ক্রীড়া পরিবেশ সৃষ্টি ও দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরি, বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থাকে অনুদান ও অস্বচ্ছল ক্রীড়াবিদদের কল্যাণ অনুদান প্রদান ও ক্রীড়া স্থাপনা নির্মাণ, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ।


বাজেট   ২০২৪-২৫ অর্থবছর   ক্রিকেট   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে শেষ মিনিটের গোলে জার্মানিকে বিদায় করে সেমিতে স্পেন

প্রকাশ: ০১:২৯ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দুই হেভিওয়েট দলের লড়াই।  গ্রুপ পর্ব থেকেই খেলে আসছে দাপুটে ফুটবল।  ২০২২ বিশ্বকাপে দুই দলের সবশেষ সাক্ষাৎটাও ১-১ সমতায় ছিল।  কিন্তু এবার আর অমীমাংসিত থাকলো না।  ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনের কাছে হেরে শিরোপার লড়াই থেমে গেল স্বাগতিক জার্মানির।

স্পেন ও জার্মানি তিনবার করে ইউরোর চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরেছে।  ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল দুটো চলমান আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে নামবে আর উত্তেজনা থাকবে না সেটা কি হয়? ফাইনালের আগেই যেন দেখা গেলো আরেক ফাইনাল।  যেখানে হেরে যাওয়া দলটার নাম জার্মানি।

তবে জার্মানি হেরে যাওয়ার আগে ম্যাচে অনেক নাটকীয় মুহুর্ত এসেছে।  তবে যত নাটকীয় মুহুর্তই আসুক না কেন।  শেষ পর্যন্ত জার্মানির বিদায় নিশ্চিত হল ইউরো থেকে।  ম্যাচের একদম অন্তিম মুহুর্তে জার্মানির মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান উইর্টজের গোলে সমতায় ফেরার পর জার্মানরা এরপর ম্যাচে ছিল শুধুই অতিরিক্ত সময়ের ৩০মিনিট।  শেষ পর্যন্ত নাটকীয় ম্যাচটার রেজাল্ট গেছে স্পেনের পক্ষে।  ২-১ গোলের জয়ে ইউরোর সেমিফাইনালে প্রথম দল হিসেবে নাম লেখালো স্পেন।

এদিন ঘরের মাঠে ম্যাচ বিধায় বাড়তি সুবিধা পায় জার্মানরা।  কিন্তু সাম্প্রতিক ফর্ম এগিয়ে রাখে স্প্যানিয়ার্ডদের।  আর সেই ফর্ম ম্যাচের ৫১ মিনিটে কাজেও লাগায় লুইস ফুয়েন্তের দল।  স্পেনকে ১-০ গোলের লিড এনে দেন দানি অলমো।

এরপর ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময় লিড ধরে রেখে স্পেন যখন জয়ের স্বপ্ন দেখছে তখনই ম্যাচের একদম অন্তিম মুহুর্তে সমতায় ফেরে স্বাগতিক জার্মানি।  ৮৯ মিনিটে মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান উইর্টজের গোলের দেখা পায় হুলিয়ান নাগেলসম্যান শিষ্যরা।  ম্যাচ তখন ১-১ সমতায়।

এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।  সেখানেও একদম শেষ বাশি বাজার আগে গোলের দেখা পায় স্পেন।  মিকেল মেরিনোর গোলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় স্পেন।

এর আগে কোয়ার্টার ফাইনালে আসার পথে দুই দলই আধিপত্য দেখিয়েই এসেছে।  এবারের আসরের একমাত্র দল হিসেবে চার ম্যাচের সবকটিতেই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে  প্রাধান্য বিস্তার করে এসেছে স্পেন।  জার্মানি চার ম্যাচের তিনটি জিতেছে।  অন্যটি ড্র করেছে।
 
শেষবার দুই দলের বড় কোনো শিরোপা জয়েরও পেরিয়েছে এক দশক।  ২০১৪ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন জার্মানি।  আর শেষবার স্পেন বড় সাফল্য পেয়েছে ২০১২ সালে।  সেটি ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে।

এর আগে দুই দলের মুখোমুখিতে ২৬ ম্যাচের নয়টিতে জয় ছিল জার্মানদের আর আটটিতে জয় স্পেনের।  বাকি আটটি ম্যাচ অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়।

এমন পরিসংখ্যানকে সামনে রেখে দুই দলের লড়াইয়ে এদিন ম্যাচ শুরুর আগে থেকে লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গিয়েছিল।  যেখানে শুরু থেকেই জমে উঠতে থাকে দুই দলের মাঠের লড়াই।

ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজার ৫৩ সেকেন্ডেই স্পেনের সুযোগ এসেছিল এগিয়ে যাওয়ার।  কিন্তু পেদ্রির দূরপাল্লার শট ঠেকিয়ে দেন জার্মান গোলরক্ষক নয়্যার।  মুহুর্মুহু আক্রমণের পসরা সাজাতে থাকে দুই দল।  চলে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের লড়াই।  এরমাঝেই আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন স্প্যানিশ ফরওয়ার্ড পেদ্রি।

এদিকে বল দখলের লড়াইয়ে প্রথমার্ধে আধিপত্য দেখায় জার্মানরা।  এই সময়ে বল পাসেও এগিয়ে ছিল দলটি।  অপরদিকে বেশ কয়েকটি আক্রমণ করলেও সফল হতে পারেনি।
বলের দখল আর পাসিংয়ে জার্মানদের আধিপত্য থাকলেও গোলপোস্টে শট বেশি নিয়েছে স্পেন।  জার্মানি যেখানে স্পেনের গোলপোস্টে ৫ টি শট নিয়েছে, সেখানে স্পেন গোলপোস্টে শট নিতে পেরেছে ১২ টি।  

এভাবে দুই দলের এগিয়ে যাওয়ার আক্রমণ যেন আরও বেড়ে যায়।  কিন্ত জোরালো আক্রমণ করতে না পারায় বারবার ব্যার্থ হতে থাকে স্পেন ও জার্মানি।  শেষ পর্যন্ত গোলের মুখ খুলতে পারেনি কোনোদল।  যার ফলে প্রথমার্ধ ০-০ তে শেষ করে দুই হেভিওয়েট স্পেন ও ইতালি।

এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবারও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ স্পেন।  এবার ডি-বক্সের ভিতরে সহজ সুযোগ মিস করেন মোরাতা।  বারের উপর দিয়ে বল চলে যাওয়ায় লিড নেয়া হয়নি স্পেনের।

এরইমধ্যে দুই দল আবারও প্রথমার্ধের মতই খেলা শুরু করে সমানতালে।  যেখানে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে দুই দল।  এরপর আসে ম্যাচের কাঙ্খিত সেই মুহুর্ত।  গোলের দেখা পেয়ে যায় স্পেন।  ম্যাচের বয়স ৫১ মিনিট, ঠিক তখন সম্মিলিত আক্রমণে স্পেনকে লিড এনে দেন ফরওয়ার্ড দানি অলমো।

স্পেন এগিয়ে যাওয়ার পর আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে ম্যাচের উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকে।  ম্যাচের বয়স যত বাড়তে থাকে পিছিয়ে পড়া জার্মানদের আক্রমণ যেন ততই বেড়ে যায়।  

এদিকে ম্যাচের ৬৯ মিনিটে ডি বক্সের খুব কাছে থেকে সুযোগ পায় জার্মানি।  কিন্তু স্পেন গোলকিপার বাধা হয়ে দাঁড়ালে সমতায় ফেরার অপেক্ষা আরও বেড়ে যায় হুলিয়ান নাগেলসম্যান শিষ্যদের।

এরপর ম্যাচের ৭৬ মিনিটে জার্মানদের সমতা ফেরার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় গোলবার।  তবে ৮২ মিনিটে স্প্যানিশ গোলকিপারের ভুলে সহজ সুযোগ কাইল হার্ভাটেজ কাজে লাগাতে না পারায় আরও একবার সমতায় ফিরতে ব্যার্থ হয় জার্মানি।

এদিকে ম্যাচের বয়স বাড়তে থাকায় স্পেন লিড ধরে রেখে খেলতে থাকে আর জার্মানরা একের পর এক আক্রমণের ধার বাড়াতে থাকে।

কিন্তু ঠিকএরপরই আসে জার্মানদের ম্যাজিকাল মোমেন্ট।  ম্যাচের এক মিনিট বাকি থাকতে মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান উইর্টজের গোলে সমতায় ফেরে জার্মানি।  এরপর নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ১-১ সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধেও এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে মাঠে নামে দুই দল।  যেখানে ম্যাচের একদম অন্তিম মুহূর্তে শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগে গোলের দেখা পায় স্পেন।  মিকেল মেরিনোর গোলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় স্পেন।  শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়ে ইউরোর সেমিফাইনালে চলে যায় তারা।


ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ   জার্মানি   স্পেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাবর-রিজওয়ানকে যে আলটিমেটাম দিলেন সাবেক তারকা

প্রকাশ: ১০:০৬ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর যেন অস্তিত্ব সংকটে পড়ে গেছে পাকিস্তানের ক্রিকেট। সামনের দিনে কীভাবে এগোবে দেশটির ক্রিকেট, তা নিয়ে নানা মুনি নানা মত দিচ্ছেন।

বিশ্বকাপের পর পাকিস্তান দলের খোলনলচে বদলে ফেলার কথা বলেছেন দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি মহসিন নকভি। বাবর আজমের অধিনায়ত্ব নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। নজর এড়ায়নি তার স্লো ব্যাটিংয়ের বিষয়টিও।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করেননি মোহাম্মদ রিজওয়ানও। কানাডার বিপক্ষে ম্যাচে ফিফটি করলে বল নষ্ট করেছেন অনেকগুলো। এমন বাজে পারফরম্যান্সের কারণে বাবর ও রিজওয়ানকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক রশিদ লতিফ।

দলের এই দুই তারকাকে নিজেদের খেলায় পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিয়েছেন লতিফ। তাদেরকে বদলে ফেলতে হবে ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ। যেমনটি করেছেন ভারতের রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। আর যদি পরিবর্তন করতে না পারে, তাহলে যেন তারা দল থেকে বেরিয়ে যায়, এমন আল্টিমেটাম দিয়েছেন লতিফ।

লতিফ বলেন, ‘আমি রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির উদাহরণ দেবো। তারা কীভাবে নিজেদের বদলেছে তা দেখানোর জন্য। রোহিত নিজেকে ১৯০ ডিগ্রি পরিবর্তন করেছে; পরিবর্তন সম্ভব। কারণ সে একজন আদর্শ ক্রিকেটার হয়ে উঠেছে। তার আইপিএল স্ট্রাইক রেট আগে ছিল ১৩০-১৪০। কিন্তু এই বছর তা ১৬০ এ গিয়ে ঠেকেছে। বিরাট কোহলিও তাই করেছে।’

‘এই দুই ব্যাটসম্যান যদি বদলাতে পারে, তাহলে যে কেউ পারবে। আমি বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানকে টি-টোয়েন্টিতে তাদের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ পরিবর্তন করার জন্য ৫টি ম্যাচ সুযোগ দেবো। এবং যদি তারা তা না করে, তবে তাদের জন্য দলে কোনো জায়গা থাকা উচিত নয়’-যোগ করেন লতিফ।


বাবর   রিজওয়ান   আলটিমেটাম   রশিদ লতিফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

২ ম্যাচ নিষিদ্ধ হলেন তুরস্কের শেষ ষোলোর নায়ক

প্রকাশ: ০৯:৪১ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

চলমান ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বড় ধাক্কা খেয়েছে তুরস্ক। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে তুরস্কের জয়ের নায়ক মেরিহ ডেমিরালকে ২ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে উগ্র জাতীয়বাদী কায়দায় গোল উদযাপনের অভিযোগ এনে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে উয়েফা।

ইউরোপিয়ান চাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলোর ম্যাচে গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) অস্ট্রিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করে তুরস্ক। ঐ ম্যাচে একাই জোড়া গোল করে দলকে জেতান ডিফেন্ডার দেমিরাল।
 
ম্যাচটিতে দ্বিতীয় গোলটি করার সময় তার করা উদযাপনকে ভালোভাবে নেয়নি উয়েফা কর্তৃপক্ষ। উদযাপনের সময় দুই হাত দিয়ে তিনি যে প্রতীক তৈরি করেছিলেন সেটা তুরস্কের উগ্র-জাতীয়তাবাদী সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্কিত। যারা ‘গ্রে উলভস’ নামে বেশি পরিচিত।
 
‘গ্রে উলভস’ গ্রুপকে ফ্রান্সে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া অস্ট্রিয়ায় ‘গ্রে উলফ স্যালুট’ ব্যবহার নিষিদ্ধ। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর দেমিরালের বিরুদ্ধে ‘অনুপযুক্ত আচরণ’ করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত শেষে শুক্রবার (৫ জুলাই) দেমিরালের শাস্তি ঘোষণা করে উয়েফা।
 
দেমিরালের শাস্তি ঘোষণার বিবৃতিতে উয়েফা জানিয়েছে, আচরণের সাধারণ নীতিমালা মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়া, শালীন আচরণের মৌলিক নিয়ম লঙ্ঘন করা এবং ফুটবলের দুর্নাম করার জন্য দেমিরালকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
 
দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হওয়ায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে দেমিরালকে পাবে না তুরস্ক। দল সেমিফাইনালে উঠলেও খেলতে পারবেন না তিনি।


ইউরো   তুরস্ক   ডেমিরাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নিষিদ্ধ হলেন ইংল্যান্ডের তারকা খেলোয়াড়

প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

শুরু থেকেই জমজমাট লড়াই উপহার দিয়ে আসছে জার্মানিতে চলমান ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। গ্রুপপর্ব ও শেষ ষোলো পেরিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের আগে সেই রোমাঞ্চ আরও বেড়েছে। টিকে থাকা দলগুলোর এখনকার লড়াই আরও গুরুত্বপূর্ণ, হারলেই ছিটকে যেতে হবে ইউরো থেকে।

কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম দিনে দু’টি খেলা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী শনিবার হবে আরও দুটি কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। শনিবারের (৬ জুলাই) দুটি কোয়ার্টারে ইংল্যান্ড মুখোমুখি হবে সুইজারল্যান্ডের এবং নেদারল্যান্ডস মুখোমুখি হবে তুরস্কের।

এ ম্যাচের আগে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে ইংল্যান্ড ও তুরস্ক। রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ ইংলিশ তারকা জুড বেলিংহ্যাম এক ম্যাচ ও তুরস্কের ডিফেন্ডার মেরিহ দেমিরাল দুই ম্যাচের জন্য নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন। শুক্রবার (৫ জুলাই) ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (উয়েফা) তাদের এ শাস্তির কথা এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করে।

শেষ ষোলোর ম্যাচে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে গোল করার পর বুনো উদযাপনে মাতেন রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ ইংলিশ তারকা জুড বেলিংহ্যাম। তার এই বুনো উদযাপন ভালো চোখে দেখেনি উয়েফা কর্তৃপক্ষ। তাই তদন্ত করার পর দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ৩০ হাজার ইউরো জরিমানাও করেছে।

নিজের ওই অঙ্গভঙ্গির ব্যাখ্যাও পরে দিয়েছিলেন বেলিংহাম। ম্যাচের পর জানিয়েছিলেন, মাঠে থাকা তার বন্ধুদের উদ্দেশ্য করে তিনি এটা করেছিলেন। তবে এতে ছাড় মেলেনি। শাস্তি তবুও পেতে হয়েছে তাকে।

তবে স্বস্তির বিষয় হচ্ছে বেলিংহ্যাম নিষিদ্ধ হলেও খেলতে পারবেন কোয়ার্টার ফাইনালে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। কেননা উয়েফা তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, বেলিংহ্যামের শাস্তি এখনই কার্যকর করা হচ্ছে না। এই স্থগিত নিষেধাজ্ঞা আগামী এক বছরের যেকোনো ম্যাচে বাস্তবায়ন করা যাবে। তাই সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে খেলতে পারবেন এই তারকা।  

শুধু বেলিংহ্যামই নন, শাস্তি পেয়েছে ইংল্যান্ড ফুটবল ফেডারেশনও। স্লোভাকিয়া ম্যাচে ইংলিশ দর্শকদের আচরণ ছিল বিশৃঙ্খলাজনিত। তাদের বিশৃঙ্খলাজনিত আচরণের জন্য ১০ হাজার ইউরো এবং গ্যালারিতেই বাজির কাজে আগুন ধরানোয় এক হাজার ইউরো জরিমানা গুনতে হচ্ছে ইংলিশ ফেডারেশনকে।

এদিকে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে জয় পাওয়া ম্যাচে বুনো উদযাপন করায় দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তুরস্কের ডিফেন্ডার মেরিহ দেমিরাল। ম্যাচের ৫৯তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করার পর উদযাপনের সময় দুই হাত দিয়ে একটি প্রতীক তৈরি করেন দেমিরাল। যা তুরস্কের উগ্র-জাতীয়তাবাদী সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্কিত। যারা ‘গ্রে উলভস’ নামে বেশি পরিচিত।

ম্যাচের সময় গোল উদযাপনে এমন আচরণ করার অভিযোগ ওঠার পর তদন্ত শুরু করে উয়েফা। তদন্ত শেষে শুক্রবার তার শাস্তির ঘোষণা করে সংস্থাটি।

বেলিংহ্যাম শাস্তি থেকে বেঁচে গেলেও তুরস্কের দেমিরালের মুক্তি মিলছে না। তাই কোয়ার্টার ফাইনালে আগামী শনিবার (৬ জুলাই) নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বার্লিনের ম্যাচটি মিস করবেন তিনি। সেই সঙ্গে তুরস্ক সেমিতে উঠলে সেটিও মিস করবেন দেমিরাল। অর্থাৎ তুরস্ক ফাইনালে গেলেই কেবল খেলতে পারবেন দেমিরাল। তবে তুরস্ক যদি কোয়ার্টার থেকে বাদ পড়ে তাহলে জাতীয় দলের পরবর্তী ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকবেন দেমিরাল।


ফুটবল   ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ   ইউরো-২০২৪  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রোনালদোর বিপক্ষে খেলাও সম্মানের: এমবাপ্পে

প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে আজ মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দুই পরাশক্তি ফ্রান্স ও পর্তুগাল। হাইভোল্টেজ এই ম্যাচটি ইউরোর দুই সেরা দলের হলেও, অন্য এক দিক থেকে আজকের এই লড়াই যেন ভক্ত-সমর্থকদের কাছে বাড়তি উত্তেজনার খোরাক জোগাচ্ছে। আর তা হচ্ছে, ইতিহাসের সেরাদের অন্যতম ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সাথে তার শিষ্য সময়ের সেরা তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের লড়াই। আজকের এই দুই দলের মহারণের মহাদ্বৈরথে বিদায়ের সুর বেজে ওঠবে একজনের।   বাংলাদেশ সময় রাত রাত ১টায় শুরু হবে খেলা।

ফুটবলের মাঠে অনেক সিনিয়র তারকা রোনালদোর বিপক্ষে খেলতে পারাকে নিজের জন্য সম্মানের মনে করছেন এমবাপে। এই বিষয়ে ফরাসি তারকা বলেন, ‘ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের মুখোমুখি হচ্ছি। মানে মুখোমুখি হতে যাচ্ছি রোনালদোরও। তার মুখোমুখি হওয়াটাও সম্মানের।’

ফ্রান্স ও পর্তুগালের মুখোমুখি হওয়াটা ২০১৬ ইউরোর ফাইনালের পুনরাবৃত্তি। সেই আসরে পর্তুগাল ফাইনালে ১-০ গোলে ফ্রান্সকে হারিয়ে তাদের প্রথম বড় আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতেছিল।

রোনালদো ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত রিয়ালের জার্সিতে ৪৩৮ ম্যাচ খেলে ৪৫০ গোল করেছেন। জিতেছেন ২টি লা লিগা ও চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাা।

অন্যদিকে ২৫ বছর বয়সী ফরাসি সুপারস্টার এমবাপে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন। রিয়ালের জার্সিতে রোনালদোর মতো মহিমা অর্জনের আশা নিশ্চয়ই করবেন এমবাপে। তার আগে ৫ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকার সঙ্গে মাঠে দেখা হয়ে যাচ্ছ তার।

ম্যাচটা উপভোগ করবেন,এমনটি উল্লেখ করে এমবাপে বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমি তাকে (রোনালদো) জানার এবং তার সঙ্গে অনেকবার কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের এখনও যোগাযোগ আছে। তিনি সর্বদা আমাকে পরামর্শ দেওয়ার এবং আমার সবকিছু আপ টু ডেট রাখার চেষ্টা করছেন। তাই বলছি, তার বিরুদ্ধে খেলা সম্মানের। আগে যা ঘটেছে বা পরে যা ঘটুক না কেন, তিনি সর্বদা কিংবদন্তি হয়েই থাকবেন। তবে আশা করি, তাকে হারিয়ে অবশ্যই আমরা সেমিফাইনালে উঠবো।’

এমবাপে রোনালদোর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলেছেন, ‘তাকে অনুকরণের কোনো আগ্রহ নেই। কারণ, এটা একটি অসম্ভব কাজ। মাদ্রিদে আমি নিজের গল্প লিখে সামনের বছরগুলো ব্যবহার করতে চাই। আমি যথেষ্ট ভাগ্যবান যে, মাদ্রিদে একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমার স্বপ্নের জীবন শুরু করার সুযোগ পেয়েছি। আশা করি, সেখানে একটি দুর্দান্ত গল্প লিখবো। তবে এটা ঠিক, আমি অবশ্যই সেখানে ক্রিশ্চিয়ানোর বাকি গল্প লিখতে যাচ্ছি না। মাদ্রিদে তিনি যা করেছেন তা অনন্য। তিনি কী ছিলেন, তিনি কী- সেটা আপনাকে উপলব্ধি করতে হবে।’


Cristiano Ronaldo   kylian mbappé   Portugal VS France   এমবাপ্পে   রোনালদো   পর্তুগাল   ফ্রান্স  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন