জমে উঠেছে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। যেখানে সুপার এইটে ওঠার লড়াইয়ে প্রতিনিয়ত একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে প্রতিটি দল। ইতোমধ্যেই ‘ডি’ গ্রুপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ‘বি’ গ্রুপ থেকে অস্ট্রেলিয়া নিশ্চিত করেছে তাদের সুপার এইট। বাকি আরও যে ৬টি আসন ফাঁকা রয়েছে সুপার এইটের, সেই দৌঁড়ে রয়েছে অন্যান্য দলগুলো।
চলমান বৈশ্বিক এই মেগা ইভেন্টে এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে একটিতে জয় ও অন্যটিতে হার নিয়ে বর্তমানে গ্রুপ ‘ডি’-এর পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তারা। শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও এখনও রাউন্ড রবিন লিগের বেশ কিছু খেলা বাকি রয়েছে। এরপর জানা যাবে কারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও সেকেন্ড পজিশনে থেকে কোয়ার্টার নিশ্চিত করল।
তবে এরই মধ্যে সুপার এইটে কে কার প্রতিপক্ষ হবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। যদিও আইসিসি আগে থেকেই প্রতিপক্ষ ঠিক করে দিয়েছে। কিন্তু তারপরেও যেহেতু এখনও রাউন্ড রবিন লিগের খেলা শেষ হয়নি, সেহেতু কে কততম হয়ে সুপার এইটে উঠবে তা নিয়ে যেন জল্পনা-কল্পনার অন্ত নেই।
চলমান টি-২০ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে জয় পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে বাংলাদেশ দল। তবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে যদি টাইগাররা জয়ও পেত, তবুও দলটি সুপার এইটে উঠলেও প্রতিপক্ষ পরিবর্তন হতো না।
কারণ সুপার এইটের প্রতিপক্ষ আগে থেকেই নির্ধারণ করা আছে। গ্রুপ পর্বে নিজেদের পরের দুই ম্যাচ জিতে টাইগাররা পরের পর্বে গেলে নিয়ম অনুযায়ী বেশ শক্ত প্রতিপক্ষ পাবে বলেই এখন পর্যন্ত সমীকরণ ইঙ্গিত দিচ্ছে। কিন্তু সেই শক্ত প্রতিপক্ষ কে হতে পারে?
আইসিসির ফিক্সচার অনুযায়ী ‘ডি’ গ্রুপ থেকে যারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার এইটে উঠবে তাদের সাথে খেলা পড়বে ‘এ’ গ্রুপের দ্বিতীয় দলের সাথে। অর্থাৎ ভারত, পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে থেকে যে দল এ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় হয়ে পরের রাউন্ডে যাবে তারা প্রতিপক্ষ হবে বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস বা নেপালের।
এবার বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে ছিল চার গ্রুপ। পাঁচ দলের একেক গ্রুপ থেকে দুটি করে দল উঠবে সুপার এইটে। সুপার এইটে থাকছে আবার দুই গ্রুপ। তবে গ্রুপ পর্বের অবস্থানের ভিত্তিতে নয়, গত দুই আসরের মতো পূর্বনির্ধারিত সিডিং অনুযায়ী ঠিক হবে সুপার এইটের গ্রুপ। দর্শকদের টিকিট কাটার সুবিধা, দলগুলোর লজিস্টিক ঠিক করার সুবিধার কথা বিবেচনা করা- এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি।
গ্রুপ পর্বের চারটি শীর্ষ বাছাই ধরে নিয়ে সুপার এইটের জন্য আগেই একটা সিডিং করা আছে। যেমন ‘এ’ গ্রুপ থেকে ভারতকে এ১ এবং পাকিস্তানকে এ২ ধরা হয়েছে। তাদের টপকে যদি অন্য কোনো দল সুপার এইটে ওঠে, তাহলে সেই দল পাবে বাদ পড়া দলের সিডিং নম্বর। এখানে যেমন পাকিস্তানের সুপার এইট পর্বে খেলা শঙ্কার মুখে, এই গ্রুপ থেকে যদি যুক্তরাষ্ট্র সুপার এইটে যায়, তবে তারা পাবে এ২ সিডিং, সুপার এইটের গ্রুপ টুতে স্থান হবে তাদের।
এভাবে র্যাংকিং বিচারে ‘ডি’ গ্রুপের সিডিং অনুযায়ী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ডি১ ও শ্রীলংকাকে ডি২ ধরা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার যেহেতু সুপার এইট অনেকটা নিশ্চিত, সে ক্ষেত্রে শ্রীলংকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা বাংলাদেশ সুপার এইটে উঠলে লঙ্কানদের ডি২-তে জায়গা পাবে। এতে সুপার এইটের গ্রুপ ওয়ানে যাবে বাংলাদেশ।
সুপার এইটে উঠলে গ্রুপ ওয়ানে থাকবে অস্ট্রেলিয়া, ভারত। নিউজিল্যান্ডকে টপকে যদি আফগানিস্তান সুপার এইটে ওঠে, তাহলে তারাও গ্রুপ ওয়ানের সঙ্গে হবে।
এদিকে রানরেটে অনেকটা এগিয়ে থাকায় ইংল্যান্ডকে টপকে সুপার এইটের দৌড়ে আছে স্কটল্যান্ড। পাকিস্তানকে হারানো যুক্তরাষ্ট্রও দেখছে সুপার এইটের স্বপ্ন। পরের রাউন্ডে গেলে এই দুই দলেরই জায়গা হবে গ্রুপ টুতে। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর মধ্যে এক পা দিয়ে রেখেছে।
তবে এত সব সমীকরণের মাঝে আসলেই কে হচ্ছে কার প্রতিপক্ষ তা জানা যাবে কিছুদিন পরই। ইতোমধ্যেই সুপার এইট নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া। আর তৃতীয় দল হিসেবে কে যাচ্ছে সুপার এইটে তা জানা যাবে আজ রাতেই। আজ রাত সাড়ে ৮টায় নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। এই দুই দলই এখন পর্যন্ত দুটি করে জয় পেয়েছে।
বাংলাদেশ সুপার এইট টি-২০ বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
ব্রাজিল বনাম উরুগুয়ের মধ্যকার কোয়র্টার ফাইনালের ম্যাচ রেফারি হিসেবে তিন আর্জেন্টাইনকে দায়িত্ব দিয়েছে কনমেবল । এতে ক্ষোভে ফুঁসছেন ব্রাজিল ভক্তরা।
কনমেবলের
প্রকাশিত
ম্যাচ
অফিসিয়ালদের
তালিকায়
অনুযায়ী,
ব্রাজিল
ও
উরুগুয়ে
ম্যাচে
মূল
রেফারি
হিসেবে
দায়িত্ব
পালন
করবেন
আর্জেন্টিনার
দারিও
হেরেরা।
তার
সহকারী
হিসেবে
থাকবেন
হুয়ান
বেলাত্তি
ও
ক্রিস্টিয়ান
নাভারো।
তারা
তিনজনই
আর্জেন্টাইন৷ ভিএআরের
দায়িত্বে
থাকবেন
এদিন
মেক্সিকোর
গুইলারমো
পাসেকো।
এল
সালভাদরের
ইভান
বারটন
থাকবেন
চতুর্থ
রেফারি
হিসেবে
এবং
পঞ্চম
রেফারির
দায়িত্ব
পালন
করবেন
নিকারাগুয়ার
হেনরি
পুপিরো।
কোপা আমেরিকায় রেফারি নিয়ে
বিতর্ক প্রায় লেগেই থাকে। ২০১৯ সালে কোপা আমেরিকার সেমি ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হারের
পর রেফারিং নিয়ে সরব হয়েছিলেন লিওনেল মেসি। এছাড়া চলতি মৌসুমেও রেফারিং নিয়ে বিতর্ক
হয়েছে বেশ কয়েকবার।
এবার সেই বিতর্কের আগুনে যেন
ঘি ঢেলেছে কনমেবল। ব্রাজিল বনাম উরুগুয়ের ম্যাচের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তিন আর্জেন্টাইন
রেফারিকে।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী
আর্জেন্টিনার
রেফারিকে
দায়িত্ব
দেয়ায়
এরই মধ্যে শুরু
হয়েছে
নানা
সমালোচনা।
অনেক
ব্রাজিল
ভক্ত
সমালোচনা
করেছেন
কনমেবলের।
তাদের
শঙ্কা,
ব্রাজিলের
বিপক্ষে
পক্ষপাতমূলক
সব
সিদ্ধান্ত
আসতে
পারে
আর্জেন্টাইন
রেফারিদের
কাছ
থেকে।
এর
আগে
গ্রুপপর্বের
শেষ
ম্যাচে
ব্রাজিল-কলম্বিয়ার
ম্যাচকে
কেন্দ্র
করেই
মূলত
শুরু
হয়
এই
বিতর্ক।
সেই
ম্যাচে
ভিএআরের
দায়িত্বে
ছিল
আর্জেন্টাইন
রেফারি
মাউরো
ভিগলিয়ানো।
যেখানে
ব্রাজিলের
আবেদন
করা
পেনাল্টি
নাকচ
করে
দেন
তিনি।
এমনকি
এই
সিদ্ধান্তের
কারণে
পরবর্তী
ব্রাজিলের
কাছে
ক্ষমাও
চাইতে
হয়
কনমেবলকে।
কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ৪২ মিনিটে বল নিয়ে ডি-বক্সের ভেতর ঢুকে যান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়াস জুনিয়র। তাকে ফাউল করে ফেলে দেন কলম্বিয়ার ড্যানিয়েল মুনোজ। সেই ফাউলটি পেনাল্টি হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য দুই মিনিট সময় নিয়ে দেখেন রেফারি ভিগলিয়ানো। পরবর্তীতে পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেন তিনি।
এমন কিছুর পর স্বাভাবিকভাবেই উরুগুয়ে ম্যাচ নিয়ে কনমেবলের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ব্রাজিল ভক্তরা।
ব্রাজিল কোপা আমেরিকা রেফারি আর্জেন্টাইন
মন্তব্য করুন
ইকুয়েডরের বিপক্ষে টাইব্রেকারে প্রথম শট মিস করেন লিওনেল মেসি। ২০১৬ সালের পর আবারও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পেনাল্টি শটে গোল করতে ব্যর্থ আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। শঙ্কা জেগেছিল তাহলে সেবারের মতো এবারও মার্কিন মাটিতে শিরোপা জিতে জেতা হবে না মেসির।
তবে সেই শঙ্কা দূর হয়ে যায় গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজের বীরত্বে। এ জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে আর্জেন্টাইনদের প্রিয় দিবুকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন মেসি।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে টেক্সাসের হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামে ৩৫ মিনিটে লিসান্দ্রো মার্তিনেজের গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। যোগ করা সময়ে কেভিন রদ্রিগেজের গোলে সমতায় ফেরে ইকুয়েডর।
ফাইনাল ছাড়া নকআউট পর্বে অতিরিক্ত সময় নেই। তাই ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শুট আউটে। প্রথম শট মিস করেন দলের প্রাণভোমরা মেসি। হতাশা নিমজ্জিত আর্জেন্টাইনদের উল্লাসের উপলক্ষ এনে দেন। ইকুয়েডরের প্রথম দুই শট আটকে নিশ্চিত করেন বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সেমিফাইনাল।
অ্যাস্টন ভিলার গোলকিপারের প্রশংসা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের অ্যাকাউন্টে মেসি লিখেছেন, ‘আরও একটি ধাপ...কঠিন এক প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আমরা অনেক ভুগেছি। আমরা সেমিফাইনালে উঠেছি, সে জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমাদের দলে আছে বিশ্বের সেরা গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। এগিয়ে যাও আর্জেন্টিনা।’
আগামী বুধবার (১০ জুলাই) প্রথম সেমিফাইনালে কানাডার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। এর আগে গ্রুপ পর্বের দেখায় মধ্য আমেরিকার দেশটিকে সহজে হারিয়েছিল আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন।
কোপার ৪৮তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে দুই স্ট্রাইকার জুলিয়ান আলভারেজ ও লাউতারো মার্তিনেজের গোলে ২-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ফলে বলা যায়, সেমিতে তুলনামূলক অনেকটা সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছে মেসি-মার্তিনেজরা।
মন্তব্য করুন
নারী আম্পায়ারিংয়ে বাংলাদেশের যাত্রা খুব বেশিদিনের নয়। চলতি বছরের মার্চে প্রথমবারের মতো দুই নারী আম্পায়ার জেসি ও মিশু চৌধুরিকে নিয়োগ দেয় বিসিবি। এরপর প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিও তাদের আম্পায়ারিং ডেভলপমেন্ট প্যানেলে পাঁচ বাংলাদেশি নারীকে যুক্ত করে।
তাদের মধ্যে চারজন দেশের নারী আম্পায়ার– সাথিরা জাকির জেসি, রোকেয়া সুলতানা, ডলি রানি সরকার এবং চম্পা চাকমা। এ ছাড়া ম্যাচ রেফারি হিসেবে সুপ্রিয়া রানী দাসও ওই প্যানেলে যুক্ত হয়েছেন।
তবে নারী আম্পায়ার ইতোমধ্যেই আইসিসিতে যুক্ত হলেও বড় কোন ইভেন্টে কোন বাংলাদেশি নারী আম্পায়ারিং করার সুযোগ পাননি। তবে আসন্ন নারী এশিয়া কাপে এবার সেই সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের নারী আম্পায়ার সাথীরা জাকির জেসির। শ্রীলঙ্কার মাটিতে ১৮-২৮ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মহাদেশীয় এই শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেসি।
নিজের অনুভূতি জানিয়ে আম্পায়ার জেসি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ স্বপ্ন সত্যি করে নারী এশিয়া কাপ ২০২৪–এ নতুন যাত্রা শুরু হচ্ছে। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আমাকে আসন্ন নারী এশিয়া কাপের জন্য নির্বাচিত করেছে। শ্রীলঙ্কায় ১৮-২৮ জুলাই এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।’
উল্লেখ্য, ১৯ জুলাই শ্রীলঙ্কায় পর্দা উঠবে নারী এশিয়া কাপের, দিনের দ্বিতীয় ম্যাচেই সন্ধ্যা ৭টায় মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে রয়েছে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড। আসরের দ্বিতীয় দিনেই মুখোমুখি হবে নতুন দুই উষ্ণ প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ও লঙ্কান মেয়েরা। মহাদেশীয় আসরটি চলবে ২৮ জুলাই পর্যন্ত। সবমিলিয়ে ১৫টি ম্যাচই হবে ডাম্বুলায়।
নারী ক্রিকেট এশিয়া কাপ বাংলাদেশ আম্পায়ারিং সাথিরা জাকির জেসি ডিপিএল
মন্তব্য করুন
ফুটবল বিশ্বের অন্যতম মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। টানা দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ও ক্লাব ফুটবলের মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি। কখনও ইউরোপ, কখনও স্পেন; আবার কখনও বা পর্তুগালের জার্সি গায়ে ছুটে চলা। দীর্ঘ এই ক্যারিয়ারে নানা চড়াই উতরায়ের মধ্য দিয়ে কাটিয়েছেন এই গোল মেশিন।
তবে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে এসে বিদায়টা এমন বিষাদময় হবে কে জানতো? কিন্তু ঘটলো যে তাই। নিজের ক্যারিয়ার যে শেষের পথে, সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ইতোমধ্যে নিজের শেষ ইউরো ম্যাচও খেলে ফেললেন গতকাল (শুক্রবার)। টাইব্রেকারে ফ্রান্সের কাছে হেরে চলমান মহাদেশীয় এই শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেছে পর্তুগাল। তার পর থেকেই আলোচনা হচ্ছে এটাই জাতীয় দলে রোনালদোর শেষ ম্যাচ কি না। যা নিয়ে কথা বললেও, স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি পর্তুগিজ কোচ রবার্তো মার্টিনেজ।
গতকাল ফ্রান্স-জার্মানির নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় হয়নি কোনো গোল। তারপর অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়াল। ১২০ মিনিটেও কোনো ফল না আসায় টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। তাতে পর্তুগালকে হারিয়ে ইউরো কাপের সেমিফাইনালে উঠে গেছে ফ্রান্স। এরপর রোনালদোর অবসর নিয়ে জানতে চাওয়া হয় পর্তুগাল কোচের কাছে। সংবাদ সম্মেলনে কোচ মার্টিনেজ বলেছেন, ‘ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই এটা নিয়ে কথা বলাটা একটু আগেভাগেই হয়ে যায় এবং ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে এ বিষয়ে (রোনালদোর অবসর) কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
একই প্রশ্ন গিয়েছিল পর্তুগিজ ডিফেন্ডার পেপের কাছেও। তিনিও নিজের শেষ ইউরো খেলেছেন, এবারের আসর খেলতে নেমেই তিনি সর্বোচ্চ বয়সী হিসেবে রেকর্ড গড়েছিলেন। জাতীয় দলে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ৪১ বছর বয়সী পেপে বলেন, ‘ভবিষ্যতে এটা নিয়ে কথা বলার সুযোগ পাব। এখন কথা বলতে চাই না। কারণ, লোকজন প্রক্রিয়া ভুলে আগামীকাল আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলবে।’
এদিকে, এবারের পুরো ইউরোতেই নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন সিআরসেভেন। সবমিলিয়ে ১০টি শট নিয়েও তিনি গোলের দেখা পাননি। কেবল তাই নয়, ইউরোয় এক আসরে সর্বোচ্চসংখ্যক শট নিয়েও গোল না পাওয়ার অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডও হয়ে গেছে তার। যদিও সেই রেকর্ড হয়েছে যৌথভাবে, আগে বেলজিয়ামের কেভিন ডি ব্রুইনা করেছিলেন ভুলে যাওয়ার মতো এমন কীর্তি। সবমিলিয়ে পর্তুগালের হয়ে সর্বশেষ ৯ ম্যাচেই গোলের দেখা পাননি আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদো।
৪১ বছর বয়সী এই তারকা ষষ্ঠবারের মতো ইউরো খেলতে নেমে বলেছিলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই অবশ্যই এটাই শেষ (ইউরো। তবে আবেগ ছুঁয়ে যাচ্ছে না। ফুটবলের সবকিছুই আমাকে প্রভাবিত করে। খেলাটির প্রতি এখনো আমার যে উৎসাহ, দর্শকের আগ্রহ, পরিবারকে পাওয়া, লোকজনের ভালোবাসা...ব্যাপারটা আসলে ফুটবলবিশ্ব ছেড়ে যাওয়া নয়। আমার জেতার বা করার জন্য আর কীই-বা বাকি আছে?’ ফলে ২০২৬ বিশ্বকাপে রোনালদোর না খেলারই বেশি ইঙ্গিত মিলছে।
রোনালদো ইউরো খেলছেন ২০০৪ থেকে, টানা ছয়টি টুর্নামেন্ট খেলে তার নামের পাশে মোট ১৪ গোল। অথচ ইউরোয় ১০ গোলও নেই আর কারও। কিন্তু সেই তারকাই কি না এবার প্রথম কোনো বড় মঞ্চ থেকে গোলহীন হয়ে ফিরছেন। পর্তুগালের হয়ে সবমিলিয়ে ২১২ ম্যাচে রোনালদোর গোল ১৩০টি। যা আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ।
Cristiano Ronaldo Pepe Portugal পেপে রোনালদো পর্তুগাল
মন্তব্য করুন
মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই চলমান কোপা আমেরিকার দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে আজ মুখোমুখি হয়েছিল কানাডা ও ভেনেজুয়েলা। যেখানে টাইব্রেকারে ভেনেজুয়েলাকে হারিয়ে সেমিতে জায়গা করে নিয়েছে কানাডা।
এদিন নির্ধারিত সময়ে ১-১ সমতায় খেলা শেষ হলে ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে ভেনেজুয়েলাকে (৪-৩) কাঁদিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে দ্য রেডসরা।
শনিবার টেক্সাসের এটি অ্যান্ড টি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুদল। যেখানে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয় ১-১ সমতায়। কানাডার হয়ে একটি করে গোল করেন জ্যাকব শ্যাফেলবার্গ। অন্যদিকে ভেনেজুয়েলার হয়ে সমতাসূচক গোল করেছিলেন স্যালমন রোন্দন। তবে টাইব্রেকারে গড়ানো ম্যাচটিতে ভেনেজুয়েলাকে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে জেসি মার্শের শিষ্যরা।
আগামী বুধবার (১০ জুলাই) আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে নামবে কানাডা। ম্যাচটি হবে মেটলাইফ স্টেডিয়ামে। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায়।
ম্যাচটিতে ৫৬ শতাংশ বল দখলে রেখে ১৬টি শট নেয় ভেনেজুয়েলা। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৩টি। অন্যদিকে ৪৪ শতাংশ বল নিয়ন্ত্রণে রেখে ১৬টি শট নেয় কানাডাও। তার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৭টি।
কানাডা ভেনেজুয়েলা কোপা আমেরিকা
মন্তব্য করুন