ইনসাইড গ্রাউন্ড

সুপার এইটের পথে বাংলাদেশ, কারা হচ্ছেন প্রতিপক্ষ?

প্রকাশ: ০২:২৪ পিএম, ১৪ জুন, ২০২৪


Thumbnail

চলমান টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরের গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো প্রায় শেষের দিকে। ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছে সুপার এইটের চার দল। বাকি চার দল হিসেবে কারা উঠছেন কোয়ার্টারে তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো যত শেষের দিকে এগোচ্ছে ততই নিশ্চিত হচ্ছে সুপার এইট পর্বের লাইন আপও। বিশেষ করে বাংলাদেশ সুপার এইটে যে গ্রুপে থাকবে, সেটির দলগুলো ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে। ‘ডি’ গ্রুপ থেকে সুপার এইটে গেলে বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ কারা হবে, তা আগেই নির্ধারণ করে রেখেছিল আইসিসি। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে দুই জয়ে সুপার এইটে নিজেদের জায়গা প্রায় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে বড় কোনো অঘটন না ঘটলে টাইগাররাই খেলবে পরের পর্বে।

আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী সুপার এইটে বেশ শক্ত প্রতিপক্ষ পাবে বাংলাদেশ। টাইগারদের প্রতিপক্ষগুলো হচ্ছে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও আফগানিস্তান। সূচি অনুসারে ম্যাচগুলো ২১ জুন (ভোর ৬.৩০ মিনিট), ২২ জুন (রাত ৮.৩০ মিনিট) ও ২৫ জুন (ভোর ৬.৩০ মিনিট) অনুষ্ঠিত হবে।

এবার বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে ছিল চার গ্রুপ। পাঁচ দলের একেক গ্রুপ থেকে দুটি করে দল উঠবে সুপার এইটে। সুপার এইটে থাকছে আবার দুই গ্রুপ। তবে গ্রুপ পর্বের অবস্থানের ভিত্তিতে নয়, গত দুই আসরের মতো পূর্বনির্ধারিত সিডিং অনুযায়ী ঠিক হবে সুপার এইটের গ্রুপ। দর্শকদের টিকিট কাটার সুবিধা, দলগুলোর লজিস্টিক ঠিক করার সুবিধার কথা বিবেচনা করা- এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি।

গ্রুপ পর্বের চারটি শীর্ষ বাছাই ধরে নিয়ে সুপার এইটের জন্য আগেই একটা সিডিং করা আছে। যেমন ‘এ’ গ্রুপ থেকে ভারতকে এ১ এবং পাকিস্তানকে এ২ ধরা হয়েছে। তাদের টপকে যদি অন্য কোনো দল সুপার এইটে ওঠে, তাহলে সেই দল পাবে বাদ পড়া দলের সিডিং নম্বর।

এখানে যেমন পাকিস্তানের সুপার এইট পর্বে খেলা শঙ্কার মুখে, এই গ্রুপ থেকে যদি যুক্তরাষ্ট্র সুপার এইটে যায়, তবে তারা পাবে এ২ সিডিং, সুপার এইটের গ্রুপ টুতে স্থান হবে তাদের। এভাবে র‍্যাংকিং বিচারে ‘ডি’ গ্রুপের সিডিং অনুযায়ী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ডি১ ও শ্রীলংকাকে ডি২ ধরা হয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকা এরই মধ্যে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে। আর শ্রীলংকা টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে। নেদারল্যান্ডস পুরোপুরি বিদায় না নিলেও তাদের চেয়ে ঢের এগিয়ে টাইগাররা। ফলে বাংলাদেশ সুপার এইটে উঠলে লঙ্কানদের ডি২-তে জায়গা পাবে। এতে সুপার এইটের গ্রুপ ওয়ানে যাবে বাংলাদেশ।

সুপার এইটের গ্রুপ ওয়ানের সিডিংয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও আফগানিস্তান নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে। ফলে বাংলাদেশ সুপার এইটে উঠলে এই দলগুলোকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে।


বাংলাদেশ   সুপার এইট   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন রোহিত-কোহলিদের জন্য ভারতে বিশাল আয়োজন

প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

১৯৮৩ তে কপিল দেব। এরপর ২০০৭ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত মহেন্দ্র সিং ধোনির ট্রেবল। তারপর যেন সবকিছুই নিস্তব্ধ হয়ে ছিল একটা লম্বা সময় ধরে। অধিনায়কের পর অধিনায়ক বদল, ট্যাক্টিকস-কোচ-প্রতিপক্ষ সবখানেই পরিবর্তন। কিন্তু কোন কিছুতেই যেন কাজ হচ্ছিল না। বারবার সেমি অথবা ফাইনালে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হচ্ছিল রোহিত-কোহলিদের। যার জন্য ‘নব্য চোকার’ তকমাটাও লাগার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল ভারতের নামের পাশে। কিন্তু অবশেষে সকল অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে টানা ১১ বছর পর শিরোপা খরা কাটলো ভারতের। আসল ‘চোকার্স’ খ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে নবম টি-২০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রাহুল দ্রাবিড়ের শিষ্যরা।

বারবার হৃদয়ভঙ্গের বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে ভারত। স্বাভাবিকভাবেই এই ট্রফি তাদের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। তাই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বরণ করে নিতেও বাড়তি আয়োজন রেখেছে বিসিসিআই। রোহিত-কোহলিদের বরণ করে নিতে আয়োজনে কোনো কমতি রাখছে না বিশ্বের সবচেয়ে ধ্বনী ক্রিকেট বোর্ডটি।
 
বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের জয়ের ৪ দিন পেরিয়ে গেছে। তবে ট্রফি নিয়ে এখনও দেশে ফিরতে পারেননি ভারতীয় ক্রিকেটাররা। ভয়ংকর হারিকেন ঝড় ‘বেরিলে’র কবলে পড়ে ক্যারিবীয় দ্বীপ বার্বাডোজেই আটকে গিয়েছিল পুরো ভারত দল। তবে দেরিতে হলেও দেশে ফিরতে যাচ্ছে ভারত দল। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিশ্বকাপজয়ী দল ভারতে অবতরণ করবে বলে জানা গেছে।

বিশ্বকাপজয়ী দলকে নিয়ে ভারতে 'ভিক্টরি প্যারেড’ হওয়ার কথা রয়েছে। টুইটারে নিজেই এই ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্যারেডে সমর্থকদের উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়ে রহিত লিখেছেন,  ‘আপনাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বিশেষ মুহূর্তটা (বিশ্বকাপ জয়) উদযাপন করতে চাই। ৪ জুলাই বিকেল পাঁচটা থেকে মেরিন ড্রাইভ এবং ওয়াংখেড়েতে ভিক্টরি প্যারেড করে এই জয়টা উদযাপন করতে চাই। ইটস কামিং হোম।’
 
২০০৭ সালে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। সেবারও ট্রফি নিয়ে প্যারেড করেছিল দলটি। সেই স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়ে টুইটারে এক বার্তা দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ। ২০০৭ সালের প্যারেডের ছবি যোগ করে তিনি লিখেছেন, ‘ভারতীয় দলের বিশ্বকাপ জয়ের মতো অর্জনকে সম্মান জানাতে ভিক্টরি প্যারেডে যোগ দিন। মেরিন ড্রাইভ এবং ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ৪ জুলাই বিকেল ৫টায় এই উদযাপন হবে, তারিখটি স্মরণে রাখুন।’


টি-২০ বিশ্বকাপ   ফাইনাল   ভারত   দক্ষিণ আফ্রিকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-২০ অলরাউন্ডার র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হার্দিক, সাকিব কোথায়?

প্রকাশ: ০৯:৫৩ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

হার্দিক পান্ডিয়া। সাম্প্রতিক সময়ে তার ক্যারিয়ারে যেন এক তুফান বয়ে গেছে। স্ত্রীর কাছে প্রতারিত হলেন। আইপিএলে অধিনায়কত্ব পেলেন ঠিকই কিন্তু পারিবারিক অশান্তির ফলে দল ও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স যারপরনাই বাজে।  তবে বিশ্বকাপের আগে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকাে এই মানুষই ফাইনালে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন। ফিরে আসার গল্পের অন্যতম বড় নায়ক তো তিনিই।

ভারতের দ্বিতীয় টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন এ অলরাউন্ডার। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি থেকে দারুণ এই পারফরম্যান্সের ফল হাতেনাতে পেয়েছেন হার্দিক। প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-২০র অলরাউন্ডারদের র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছেন তিনি।

বুধবার (৩ জুলাই) বিশ্বকাপ শেষে আইসিসির সবশেষে হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিংয়ে এ পরিবর্তন এসেছে। এক্ষেত্রে তিনি পেছনে ফেলেছেন শ্রীলংকার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে। বিশ্বকাপ চলাকালে র‌্যাঙ্কিংয়ের ছয়ে নেমে যাওয়া সাকিব আল হাসান এগিয়েছেন এক ধাপ।

টি-২০ বিশ্বকাপ শুরুর আগে টি-২০ অলররাউন্ডারদের শীর্ষ র‌্যাঙ্কিংটি দখলে ছিল সাকিবের। কিন্তু আসরে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে এক ধাক্কায় ছয়ে নেমে যান তিনি। তবে বিশ্বকাপ শেষে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ উন্নতি হয়েছে তার, আছেন পাঁচ নম্বরে।

অলরাউন্ডারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে সাকিব ছাড়াও এক ধাপ করে এগিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টয়নিস (৩), জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা (৪) ও ইংল্যান্ডের লিয়াম লিভিংস্টোন (৮)।

তবে চার ধাপ পিছিয়ে শীর্ষ পাঁচ থেকে ছিটকে গেছেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবি। এক ধাপ পিছিয়ে দুইয়ে হাসারাঙ্গা। এক ধাপ করে পিছিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মার্করাম (৯) ও ইংল্যান্ডের মঈন আলীও (১০)।


হার্দিক পান্ডিয়া   ভারত   বিশ্বকাপ   সাকিব আল হাসান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোয়ার্টার ফাইনালে মেসি খেলবেন কি?

প্রকাশ: ০৫:৩১ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

চলছে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই কোপা আমেরিকা। যেখানে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সহ প্রতিটি দলই নিজেদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে গ্রুপ পর্বের খেলা। যেখানে সবার আগেই পর পর তিন ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার নিশ্চিত করেছিল আর্জেন্টিনা। আর সবশেষ দল হিসেবে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ড্র করে আজ শেষ আট নিশ্চিত করলো পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।

গ্রুপপর্বের লড়াই শেষে এবার কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালকে সামনে রেখে অনুশীলনে ব্যস্ত সময় পার করছে দলগুলো। যার মধ্যে রয়েছে, তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। দলের বাকি ফুটবলারদের ছাপিয়ে সবার নজর এখন চোটাক্রান্ত লিওনেল মেসির দিকে। কোয়ার্টার ফাইনালে মেসি পুরোপুরি ফিট হয়ে খেলতে পারবেন কি না সেই প্রশ্ন অনেকেরই।

মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে মেসিকে পূর্ণ ফিট অবস্থায় ফিরে পেতে মরিয়া আর্জেন্টিনা দল। শুক্রবার (০৫ জুলাই) ইকুয়েডরের বিপক্ষে শেষ আটের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।

কোপা আমেরিকায় চিলির বিপক্ষে খেলার সময় চোটে পড়েন মেসি। অস্বস্তিকে সঙ্গী করেই সেদিন খেলেন তিনি। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলারকে ছাড়াই মাঠে নামে আর্জেন্টিনা।  এখন কোয়ার্টার ফাইনালেও মেসির পুরো ৯০ মিনিটে খেলা নিয়ে আছে শঙ্কা।

কোয়ার্টার ফাইনালে দলের অধিনায়ক ও সেরা খেলোয়াড়কে মাঠে পেতে মরিয়া স্কালোনি। আর্জেন্টিনার স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বর্তমানে আগের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছেন মেসি। বল নিয়ে অনুশীলনেও দেখা গেছে তাকে।

ইকুয়েডরের বিপক্ষে মেসিকে খেলাতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি স্কালোনি। যদি কোনো কারণে মেসিকে শুরু থেকে খেলানো সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে তাকে বেঞ্চ থেকে মাঠে নামাবেন কোচ। আর মেসি বেঞ্চে থাকলে দলের অধিনায়কত্ব করবেন আনহেল দি মারিয়া।


আর্জেন্টিনা   কোপা আমেরিকা   লিও মেসি   লিওনেল স্কালোনি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘সাংবাদিকরা গুজবের ভিত্তিতে খবর প্রচার করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে’

প্রকাশ: ০৪:৩৬ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বকাপের সাফল্য-ব্যর্থতা ছাপিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তাসকিন আহমেদের ঘুম-কাণ্ড।  সংবাদমাধ্যমে রটেছে, টি-২০ বিশ্বকাপে ভারত ম্যাচের দিন নাকি ঘুম ভাঙেনি তাসকিনের। এমনকি ঘুম থেকে দেরিতে ওঠায় টিম বাস মিস করেন তিনি। সেই কারণে নাকি ওই ম্যাচের একাদশেও রাখা হয়নি বাংলাদেশ দলের সহ অধিনায়ককে।

বিষয়টি নিয়ে গতকাল সাকিব আল হাসান ও বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন গণমাধ্যমে কথা বলেছেন ঠিকই। কিন্তু তাদের কথার মধ্যেও নানারকম ধোঁয়াশা ছিল। তবে এবার নিজের ফেসবুক পেজে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিলেন খোদ তাসকিন নিজেই।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তাসকিন লেখেন, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি সম্প্রতি অনলাইনে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে সম্প্রতি শেষ হওয়া টি-২০ বিশ্বকাপের একটি ঘটনা নিয়ে অনেক হৈচৈ করা হচ্ছে।

প্রথমত, আমি সবাইকে জানাতে চাই যে বেশিরভাগ সংবাদ এবং তথ্য যা ছড়ানো হচ্ছে তা কেবল গুজব এবং আমি আশা করি ভক্তরা এটি সেইভাবে দেখবেন।

দ্বিতীয়ত, আমি ঘটনাটি সেদিন আসলে কী ঘটেছিল তা পরিষ্কার করতে চাই। আমি স্বীকার করি যে আমি স্বাভাবিকের চেয়ে পরে উঠেছি এবং এর জন্য আমি ইতিমধ্যে পুরো দল এবং ম্যানেজমেন্টের  কাছে ক্ষমা চেয়েছি।

আমি সকাল ৮:৩৭ এ উঠেছিলাম এবং ৮:৪৩ এ লবিতে গিয়েছিলাম এবং আমার রাইড প্রস্তুত হওয়ার সাথে সাথে আমি সকাল ৯:০০ এ হোটেল ছেড়েছি। আমি সকাল ৯:৪০ এ স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছি, ম্যাচ টসের ২০ মিনিট আগে সকাল ১০:০০ এ। আমরা সকাল ১০:১৫ এ জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছিলাম এবং ম্যাচটি সকাল ১০:৩০ এ শুরু হয়েছিল।

এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে এই তথাকথিত ক্রীড়া সাংবাদিকরা গুজবের ভিত্তিতে খবর প্রচার/মুদ্রণ করছে এবং যাচাই না করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে যা জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন খেলোয়াড় হিসাবে।

যারা আমাকে চেনেন তারা জানেন আমি আমাদের দেশকে কতটা ভালোবাসি এবং বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য কতটা নিবেদিত, উৎসাহী এবং গর্বিত। আমি জানি আমি সময়মতো টিমের বাসে না উঠার একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল করেছি, কিন্তু আমি টসের আগেই স্টেডিয়ামে ছিলাম। আমার চূড়ান্ত দলে নির্বাচিত না হওয়াটা টিম ম্যানেজমেন্টের  সিদ্ধান্ত ছিলো। যা সঠিক টিম কম্বিনেশন পাওয়ার সাথে সম্পর্কিত  এবং এটি আমার টিম বাসে না ওঠার ব্যর্থতার সাথে সম্পর্কিত ছিল না।

তাই, আমি আশা করি মিডিয়া এবং ক্রীড়া সাংবাদিকরা মিথ্যা গল্প লেখার আগে আরও সতর্কতা অবলম্বন করবেন এবং একটি বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করবেন না। এটি কেবল আমাদের খেলোয়াড়দের ক্ষতি করে না বরং আমাদের দেশের সামগ্রিক চিত্রকে ক্ষুণ্ন করে। আমি বিশ্বাস করি আমরা সবাই সৎ এবং পেশাদার সাংবাদিকতা আশা করি যাতে জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে পারি।

ভবিষ্যতে, আমি আইনি ভাবে এই ধরনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো যাতে কেউ আমার ক্রীড়াবিদ বা মানুষ হিসাবে আমার সুনাম বা অখণ্ডতা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা না করে। আমার সকল ভক্তদের ধন্যবাদ তাদের অব্যাহত সমর্থনের জন্য।

উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত টি-২০ বিশ্বকাপে সুপার এইটের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে একাদশে ছিলেন না তাসকিন। আর এ নিয়ে বেশকিছু গণমাধ্যমে খবর বের হয়, ঘুমের কারণে নাকি মহাগুরুত্বপূর্ণ সেই ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। যা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।


তাসকিন আহমেদ   বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড   বিসিবি   সাকিব আল হাসান   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অবশেষে দেশে ফিরছে বিশ্বকাপজয়ী ভারত!

প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দীর্ঘ প্রায় এক মাসের লড়াইয়ের পর অবশেষে গত ২৯ জুন পর্দা নেমেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। ৫৫ ম্যাচের এই মেগা ইভেন্টের শেষ হাসি হেসেছে ভারত। ২০০৭ সালের পর দ্বিতীয়বার এবং তৃতীয় দেশ হিসেবে দুইটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে রোহিত শর্মার দল।

তবে তিনদিন পূর্বে বিশ্বকাপ মিশন শেষ হলেও এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নরা নিজ দেশে ফিরতে পারেনি। এমনকি নির্ধারিত রুট ধরে দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রাটাই শুরু করা হয়নি তাদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে এখনও রওনাই দিতে পারেনি ভারত ক্রিকেট দল। আটলান্টিক মহাসাগরে হারিকেন ‘বেরিল’-এর কারণে বার্বাডোজেই আটকে রয়েছে রোহিত-কোহলিরা।

তবে সর্বশেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী অবশেষে আজ বুধবার দেশের উদ্দেশে রওনা দিতে পারছে ভারত দল। আজ বিসিসিআইয়ের তত্ত্বাবধানে জয় শাহ’র নেতৃত্বে এক বিশেষ চার্টার ফ্লাইটে কোচিং স্টাফ, খেলোয়াড় ও সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে বার্বাডোজ ছাড়ার কথা রয়েছে রোহিতদের। খবর এনডিটিভির।

উল্লেখ্য, গত শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনাল জেতার পর রোববার এমনিতেও বার্বাডোজ থাকার কথা ছিল ভারতের। কারণ, ওই দিন ছিল ফাইনালের আনুষ্ঠানিক রিজার্ভ ডে। তবে এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘বেরিল’ ধেয়ে আসায় ভ্রমণসংক্রান্ত পরিকল্পনা বদলাতে হয় দলটির।

প্রাথমিকভাবে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে বার্বাডোজ থেকে নিউইয়র্ক, এরপর দুবাই হয়ে ভারতে ফেরার কথা ছিল রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের। তবে এখন চার্টার ফ্লাইটে সরাসরি দেশে ফিরবেন তারা।

বিশ্বকাপজয়ী দল, তাদের পরিবার, কোচিং স্টাফ, বিসিসিআইয়ের কর্মকর্তাসহ প্রায় ৭০ জনের বহর আটকে পড়েছিল ‘ক্যাটাগরি ফোর’ বা চতুর্থ শ্রেণির ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ ওই ঘূর্ণিঝড়ে। বার্বাডোজের বিমানবন্দরও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মটলি বলেন, শিগগির বিমানবন্দরটি খুলে দেওয়ার আশা প্রকাশ করছেন তারা। পিটিআইকে তিনি বলেন, ‘আগবাড়িয়ে কিছু বলতে চাই না। কিন্তু আমি বিমানবন্দর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং তারা তাদের শেষ মুহূর্তের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। জরুরি ভিত্তিতে আমরা স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা শুরু করে দিতে চাই।’

মটলি বলেন, ‘গতকাল রাতে বা আজ বা আগামীকাল বেশ কয়েকজনের (বার্বাডোজ) ছাড়ার কথা ছিল। আমরা তাদের সেই সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করে দিতে চাই। ফলে অনুমান করছি, আগামী ৬ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে বিমানবন্দর খুলে যাবে।’


টি-২০ বিশ্বকাপ   ফাইনাল   ভারত   ঘুর্ণিঝড় বেরিল   হারিকেন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন