ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সোনালী ব্যাংককে ৯৬ লাখ রুপি জরিমানা করলো ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক

প্রকাশ: ১০:১৪ পিএম, ১৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

লেনদেনের বিধি ও নির্দেশনা লঙ্ঘন করায় বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংককে ৯৬ লাখ ৪০ হাজার রুপি জরিমানা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। মুম্বাইভিত্তিক সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকেও একই অভিযোগে ১ কোটি ৫০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। 

২০২২ সালের ৩১ মার্চ থেকে চলমান একটি পর্যবেক্ষণের ফল হিসেবে এই জরিমানা করেছে আরবিআই। পর্যবেক্ষণে বেশ কিছু অসংগতিপূর্ণ আচরণ ধরা পড়ে। এ কারণে ব্যাংক দু’টিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল। 

সরকারের ভর্তুকির বিপরীতে একটি প্রতিষ্ঠানকে ঋণের অনুমোদন দিয়েছিল মুম্বাইভিত্তিক সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। এ ছাড়া অননুমোদিত ই–লেনদেনের সঙ্গেও যুক্ত ছিল ব্যাংকটি।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরবিআই জানিয়েছে, এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বিধি প্রতিপালনে ব্যর্থতার কারণে। গ্রাহকের সঙ্গে লেনদেন বা চুক্তি সংক্রান্ত কোনো ব্যত্যয়ের বিষয় নয়। আর এই জরিমানা ছাড়া ব্যাংক দুটির বিরুদ্ধে অন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরবিআই আরও জানিয়েছে, ২০১৬ সালের গ্রাহক নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও তা অনুসরণ না করায় এবং আরও কিছু নির্দেশনা মেনে না চলায় সোনালী ব্যাংকে ৯৪ লাখ ৪ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়েছে। 

আরবিআই বলছে, এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বিধি প্রতিপালনে ব্যর্থতার কারণে। গ্রাহকের সঙ্গে লেনদেন বা চুক্তি সংক্রান্ত কোনো ব্যত্যয়ের বিষয় নয়। আর এই জরিমানা ছাড়া ব্যাংক দুটির বিরুদ্ধে অন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।


সোনালী ব্যাংক   ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মুখোমুখি বাইডেন-ট্রাম্প: নির্বাচনী ফলাফলে কতটা প্রভাব ফেলে টেলিভিশন বিতর্ক?

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ২৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথমবারের মতো বিতর্কে অংশ নিতে যাচ্ছেন জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার আটলান্টায় এই দুই নেতার মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। এই বিতর্কের আয়োজক সিএনএন ও এবিসি। 

জানা গেছে, বর্তমান ও সাবেক এই প্রেসিডেন্টদের মধ্যে ৯০ মিনিটের টেলিভিশন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যা যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে শুরু হবে (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ৭টা)।

এদিন বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মানুষের নজর থাকবে এই বিতর্কে। ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রথম বিতর্ক দেখেছিলেন প্রায় সাড়ে ৮ কোটি মানুষ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের মুখোমুখি বিতর্ক দর্শকদের জন্য বেশ আগ্রহোদ্দীপক বিষয়। গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ, গুরুগম্ভীর কথা, হাসিঠাট্টা, তির্যক মন্তব্য, পাল্টাপাল্টি আক্রমণ, গোলমাল, বিশৃঙ্খলা, এমনকি কেলেঙ্কারির নজিরও আছে এসব বিতর্কে। বিগত ৬০ বছরের বেশি সময়ের এমন বিতর্কের কিছু স্মরণীয় ঘটনা দেখে নেওয়া যাক।

কেনেডি-নিক্সন

১৯৬০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছিলেন জন এফ কেনেডি ও রিচার্ড নিক্সন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই বিতর্ক টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। ভোটারদের মধ্যে রাজনীতিবিদদের ভাবমূর্তি গড়তে এই বিতর্ক যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তা তখন প্রতিষ্ঠিত হয়।

দেশটির দুবারের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক্সন নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে বিতর্কের আগে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু বিতর্ক তাঁর জন্য ভালো ফল বয়ে আনেনি।

টেলিভিশনের পর্দায় আসার আগে নিক্সন মেকআপ নিতে অস্বীকৃতি জানান। ৬ কোটি ৬০ লাখ দর্শকের সামনে তাঁকে বেশ ফ্যাকাশে ও ঘর্মাক্ত দেখায়।

নিক্সনের বিপরীতে টেলিভিশনের পর্দায় ম্যাসাচুসেটসের তরুণ সিনেটর কেনেডিকে বেশ ঝাঁ–চকচকে ও ফুরফুরে দেখা যায়। নিক্সন বারবার উপস্থাপকের দিকে তাকাচ্ছিলেন। তাঁকে উদ্দেশ করে কথা বলছিলেন। কিন্তু কেনেডির দৃষ্টি ছিল সরাসরি ক্যামেরার দিকে। ক্যামেরায় ভোটারদের দিকে তাকিয়ে তিনি নিজের মনোভাব জানিয়ে দিয়েছিলেন।

বিতর্কের প্রভাব পড়েছিল ব্যালট বাক্সে। রিপাবলিকান নিক্সনকে হারিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট দলের কেনেডি।

ফোর্ড-কার্টার

রিপাবলিকান দলের জেরাল্ড ফোর্ড ও ডেমোক্র্যাট দলের জিমি কার্টার প্রথমবারের মতো বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন ১৯৭৬ সালের ৬ অক্টোবর। এই বিতর্কে ২৭ মিনিট অডিও ছিল না।

দ্বিতীয় বিতর্ক তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফোর্ডের পক্ষে যায়নি। তিনি একটি বড় ভুল করে বসেন, যার মাশুল তাঁকে দিতে হয় নির্বাচনে। বিতর্কে ফোর্ড বলেছিলেন, পূর্ব ইউরোপে সোভিয়েত ইউনিয়নের কোনো আধিপত্য নেই আর ফোর্ড প্রশাসনের অধীন তা কখনোই হবে না।

তখন স্নায়ুযুদ্ধ চরমে। আর পূর্ব ব্লকে সোভিয়েত সেনা মোতায়েন ছিল। দিন কয়েক পরে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন ফোর্ড। তবে তত দিনে যা ঘটার ঘটে গেছে। ভোটারদের মন জয় করে ফেলেছেন কার্টার। নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্ট হন কার্টার।

রিগ্যান-মন্ডেল

১৯৮৪ সালের ২১ অক্টোবর বিতর্কে মুখোমুখি হন রিপাবলিকান রোনাল্ড রিগ্যান ও ডেমোক্র্যাট ওয়াল্টার মন্ডেল। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রিগ্যানের বয়স তখন ৭৩ বছর আর মন্ডেলের ৫৬। বয়স নিয়ে মজার উত্তর দিয়ে বিতর্কের মোড় নিজের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন রিগ্যান।

বয়সের কথা উল্লেখ করে রিগ্যানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য তিনি পুরোপুরি উপযুক্ত কি না? জবাবে মজার ছলে রিগ্যান বলেছিলেন, তিনি তাঁর প্রতিপক্ষের তারুণ্য ও অনভিজ্ঞতাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবেন না। এমন উত্তর ভোটারদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছিল। নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন রিগ্যান।

বুশ-ক্লিনটন-পেরোট

১৯৯২ সালের ১৫ অক্টোবর। দ্বিতীয় বিতর্কে মুখোমুখি হন জর্জ বুশ, বিল ক্লিনটন ও রস পেরোট। বুশ রিপাবলিকান প্রার্থী, ক্লিনটন ডেমোক্র্যাট, আর পেরোট নির্দলীয়।

ক্লিনটন যখন একজন দর্শকের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন বুশ তাঁর ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছিলেন। এই ঘটনা ক্যামেরায় ধরা পড়ে। ভোটারেরা বুশের এমন আচরণ ভালো চোখে দেখেননি। নির্বাচনে জয় পান ক্লিনটন। বছরখানেক বাদে বুশ বলেছিলেন, তিনি এমন বিতর্ক ঘৃণা করেন।

ওবামা-রমনি

বারাক ওবামা ও মিট রমনি বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন ২০১২ সালের ২২ অক্টোবর। এতে রিপাবলিকান রমনি বলেছিলেন, ১৯১৬ সালে মার্কিন নৌবাহিনীর যত জাহাজ ছিল, এখন তার চেয়ে কম আছে।

রমনির এই বক্তব্য লুফে নেন ওবামা। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে ঘোড়া ও বেয়নেটও কম আছে। কেননা, আমাদের সামরিক বাহিনীর ধরনই বদলে গেছে। আমাদের আছে বিমানবাহী রণতরি। এতে উড়োজাহাজ অবতরণ করে। আছে জলের তলে চলাচলকারী পারমাণবিক সাবমেরিন।’

ওবামার এ বক্তব্য অনলাইনে ভাইরাল হয়ে যায় আর নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্ট হন ওবামা।

ট্রাম্প-হিলারি

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারি ক্লিনটন দ্বিতীয় বিতর্কে মুখোমুখি হন ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর।

হিলারির স্বামী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। বিতর্কে তাঁর যৌন কেলেঙ্কারি, হিলারির নিজের ই-মেইল কেলেঙ্কারিসহ নানা বিষয় সামনে এনে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ শানেন ট্রাম্প।

জবাব দিতে গিয়ে হিলারি বলেন, এটা খুবই ভালো দিক যে ট্রাম্পের মতো মেজাজের কেউ যুক্তরাষ্ট্রের আইন বিভাগের দায়িত্বে নেই।

ট্রাম্পও চটজলদি জবাব দেন, ‘তাহলে আপনি কারাগারে থাকতেন।’

২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হন।

বাইডেন-ট্রাম্প

জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়েন। সে বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁরা প্রথম বিতর্কে অংশ নেন। বিতর্কে তাঁরা একে অপরকে নিয়ে অপমানসূচক কথা বলেন। এমনকি চিৎকার করেও কথা বলেন।

বিতর্কে বাইডেন যখন কথা বলছিলেন তখন বারবার তাঁকে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায় ট্রাম্পকে। একপর্যায়ে বিরক্ত হয়ে বাইডেন মেজাজ হারান। তিনি বলেন, ‘আপনি কি চুপ করবেন?’

ট্রাম্পকে ‘ভাঁড়’ ও ‘পুতিনের কুকুরছানা’ বলেও কটূক্তি করেন বাইডেন।

নির্বাচনের ফলাফল যা-ই হোক না কেন, মেনে নেবেন কি—এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান ট্রাম্প।

বাইডেন-ট্রাম্পের এ বিতর্ক সঞ্চালনায় ছিলেন ফক্স নিউজের সাংবাদিক ক্রিস ওয়ালেস। পরে তিনি বিতর্কে দুই নেতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার ঘটনাকে ‘হতাশাজনক’ বলে বর্ণনা করেন।

নির্বাচনে ট্রাম্পকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হন বাইডেন। তবে এই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনেন ট্রাম্প। তিনি তাঁর পরাজয় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেননি।


আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বিশ্বজুড়ে নানা সংকটের মধ্যেই এবার নির্বাচন হতে যাচ্ছে দেশটিতে।

এরই মধ্যে মার্কিন রাজনীতি নিয়ে মানুষ বিভক্ত হয়ে পড়েছে। অনেক মার্কিন ভোটারেরই আশঙ্কা নির্বাচনের পরে সংঘাত ছড়িয়ে পড়াতে পারে।

এদিকে নোবেলজয়ী ১৬ অর্থনীতিবিদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার প্রেসিডেন্ট হলে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

তারা বলেন, আমরা মনে করি ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের জন্য এলে বিশ্ব অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের ওপর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ও যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে।


বিতর্ক   বাইডেন   ট্রাম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়ায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত ৭০

প্রকাশ: ০৩:৪৩ পিএম, ২৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ায় একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ট্রেনের অন্তত ৭০ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। 

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাশিয়ান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য জানিয়েছে।

রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার (২৬ জুন) স্থানীয় সময় রাশিয়ার কোমি প্রজাতন্ত্রে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই দুর্ঘটনায় ৭০ জন আহত হলেও এখনো কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটির নাম ট্রেন ৫১১। এটি উত্তর-পূর্ব কোমির ভোরকুটা থেকে প্রায় ৫ হাজার কিলোমিটার দূরে কৃষ্ণ সাগরের বন্দর নগরী নভোরোসিয়স্কে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় ১৪ বগির এই ট্রেনে ২৩২ জন যাত্রী ছিলেন।

ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে দেয়া এক বার্তায় রাশিয়ান রেল কর্তৃপক্ষ বলেছে, ঘটনাস্থলে জরুরি পরিষেবা বিভাগের কর্মীদের পাঠানো হয়েছে। যাত্রীদের সহায়তার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আহতদের নাম-পরিচয় শনাক্ত করা হচ্ছে। ওই লাইনে ট্রেন চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।

সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব কোমি অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই কারণে এই লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারপরও লাইনচ্যুত হওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রাশিয়ান রেলওয়ে জেনারেল ডিরেক্টর ওলেগ বেলোজারভের নেতৃত্বে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে।


রাশিয়া   ট্রেন দুর্ঘটনা   আহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মুখোমুখি বিতর্কে বাইডেন-ট্রাম্প, আলোচনায় পররাষ্ট্রনীতি

প্রকাশ: ০৩:১৯ পিএম, ২৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে আজ প্রথমবারের মতো মুখোমুখি টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিচ্ছেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে এ বিতর্কে বৈশ্বিক ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে দুই নেতার অবস্থানের ওপর নজর থাকবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। 

আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দুটি মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন বাইডেন ও ট্রাম্প। দুটি বিতর্কের আয়োজক সিএনএন ও এবিসি। 

আজ বৃহস্পতিবার(২৭ জুন) সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওতে প্রথমবারের মত বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। আর দ্বিতীয় বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর।

যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমান ও সাবেক প্রেসিডেন্টের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘটনা বিরল। ‘সবার আগে আমেরিকা’ প্রচার চালিয়ে ক্ষমতায় আসা ট্রাম্প তার ২০১৭-২১ মেয়াদে অনেকটাই বিশ্বব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার নীতি নেন। অন্যদিকে বৈশ্বিক মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের অঙ্গীকার করে ‘আমেরিকার প্রত্যাবর্তন’ স্লোগান নিয়ে ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসেন বাইডেন।

এদিকে, আটলান্টায় অনুষ্ঠেয় ওই ৯০ মিনিটের বিতর্কে কোনও দর্শক উপস্থিত থাকবেন না। প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর বক্তৃতার ক্ষেত্রেও ‘কড়া সময়সীমা’ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

কিছু মৌলিক বিষয়ে বাইডেন ও ট্রাম্প দুজনেরই অবস্থান অভিন্ন। যেমন আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে দুই প্রেসিডেন্টেরই অবস্থান ছিল অনমনীয়। তারা মনে করছিলেন যে দেশটির সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে মার্কিনদের রক্তক্ষয় ও অর্থ ব্যয়ের কোনো মানে নেই।

দুই নেতার বিতর্কে আলোচনায় আসতে পারে যে বিষয়গুলো-

ইউক্রেন-ইসরায়েল ইস্যু

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিয়ে আসছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বাইডেনের উদ্যোগে অস্ত্র ও বাজেট–সহায়তা হিসেবে কিয়েভের জন্য ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস।

তবে ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদানের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছেন ট্রাম্প। তিনি মনে করেন, এই যুদ্ধে রাশিয়া জিতবে। তাঁর সমর্থকেরা ইউক্রেনের জন্য প্রস্তাবিত শেষ সামরিক সহায়তা প্যাকেজ কয়েক মাস কংগ্রেসে আটকে রাখে। প্রেসিডেন্ট হলে এ যুদ্ধ ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে বন্ধ করার সামর্থ্য রাখেন’ বলেও দাবি করেন ট্রাম্প।

অর্থনীতি

ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরলে দেশটির অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ও মূল্যস্ফীতি ফিরে আসবে বলে সতর্ক করেছেন ১৬ জন নোবেল পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ। এক চিঠিতে এ সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন তারা। গত মঙ্গলবার এ চিঠি প্রকাশ করা হয়। চিঠিতে ওই অর্থনীতিবিদেরা বলেন, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প জিতলে তিনি ‘আর্থিকভাবে দায়িত্বহীন বাজেটের’ মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা উস্কে দিতে ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি ফিরিয়ে আনতে পারেন।

আইনের শাসন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা

অর্থনীতিবিদদের মতে, অর্থনৈতিক সাফল্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামকের মধ্যে রয়েছে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিশ্চয়তা। অন্যান্য দেশের সঙ্গে গভীর সম্পর্কে আবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের মতো কোনো দেশের জন্য আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করা এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল সম্পর্ক বজায় রাখাও অপরিহার্য।

ইউক্রেন ও ইসরায়েল ইস্যু

প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনকাল ইসরায়েলকে নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়ে যান ট্রাম্প। তিনি জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং মার্কিন দূতাবাস সেখানে সরিয়ে নেন। পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে চান ফিলিস্তিনিরাও।

বাইডেনও নিজেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে দাবি করে আসছেন। তবে গাজায় বেসামরিক ফিলিস্তিনি হত্যার ঘটনায় দুই হাজার পাউন্ড ওজনের বোমার একটি চালান আটকে দেওয়া নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে বাইডেনের সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়।

এছাড়াও, চীন, উত্তর কোরিয়া ও তাদের মিত্রদের বিষয়ে ট্রাম্প ও বাইডেনের অবস্থান অভিন্ন। দুজনই বেইজিংকে ওয়াশিংটনের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখেন। তবে চীনের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাইডেন ও ট্রাম্প প্রশাসনের মাত্রাগত কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে।


জো বাইডেন   ডোনাল্ড ট্রাম্প   পররাষ্ট্রনীতি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬৯ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশ: ০১:৩৯ পিএম, ২৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের যুদ্ধ বিমান থেকে গাজার উত্তর, মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে। এতে ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ১৪০ জন।

আজকেও রাতারাতি ইসরায়েলি হামলায় নতুন করে আরও ৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অনেকেই।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাফাহ শহরের দক্ষিণাঞ্চলে পরিকল্পিতভাবে আবাসিক ভবনগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রধান এক ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন যে, হাজার হাজার নিখোঁজ শিশুর মৃতদেহ গাজার বিভিন্ন স্থানে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।

এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, ওয়াশিংটন ডিসিতে তার সফরের সময় ইসরায়েলের ফোর্স বিল্ড আপ এবং অস্ত্র সরবরাহের জন্য মার্কিন সমর্থনের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। 

উল্লেখ্য, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৭১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৮৬ হাজার ৩৭৭ জন।


ফিলিস্তিন   নিহত   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিরোধীনেতা হিসেবে কী কী সুবিধা ও ক্ষমতা পাবেন রাহুল গান্ধী?

প্রকাশ: ১২:৪৫ পিএম, ২৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের ১৮তম লোকসভায় বিরোধী দলনেতার আসনে বসলেন কংগ্রেসের এমপি রাহুল গান্ধী। এর মাধ্যমে ২০ বছর পর গান্ধী পরিবারের তৃতীয় সদস্য হিসেবে বিরোধী দলনেতা হলেন রাহুল। 

প্রায় ৩ দশকের রাজনৈতিক কেরিয়ারে এই প্রথম কোনো সাংবিধানিক পদে বসলেন রাহুল গান্ধী। দীর্ঘদিন সক্রিয় রাজনীতি করছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল। এর আগে দলের সভাপতিও হয়েছেন। কিন্তু কোনো সাংবিধানিক পদে কখনো বসেননি।

ফলে ১৯৭৭ সালের সংসদীয় আইন অনুসারে, বেতন ও ভাতার পাশাপাশি বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা ও ক্ষমতাও পাবেন রাহুল। নিয়ম অনুসারে, বিরোধী দলনেতা, ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান মর্যাদা পান।

তিনি বসেন লোকসভার স্পিকারের চেয়ারের বাম দিকের একেবারে সামনের সারিতে।

এই সাংবিধানিক পদ কিন্তু রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক জীবনের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে তার সম্পর্কে বিজেপি নেতারা নানা সময়ে কটাক্ষ করেছেন। তারা প্রশ্ন তুলতেন- রাহুল গান্ধী কে? তিনি বিরোধী দলনেতাও নন, কংগ্রেসের সভাপতিও নন। তাহলে তার কথাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে কেন? তবে এখন বিরোধী দলনেতা হয়ে যাওয়ার পর কিন্তু রাহুল গান্ধীকে আর এতটা হেলাফেলা করা যাবে না।

রাহুল গান্ধীর হাতে যে ক্ষমতাগুলো থাকবে

১০ বছর পর ফের ভারতীয় লোকসভায় দেখা গেল প্রথম বিরোধী দলনেতাকে। এবার কিন্তু তার সমর্থন ছাড়া মোদি সরকারের পক্ষে একতরফা কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন হবে। আগেই বলা হয়েছে, বিরোধী দলনেতা একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান মর্যাদা, বেতন এবং ভাতা পান। সেই হিসেবে রাহুল গান্ধীর বেতন হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার রুপি।

ক্যাবিনেট মন্ত্রী পর্যায়ের নিরাপত্তাও পাবেন তিনি। অর্থাৎ জেড প্লাস (Z+) ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পাবেন রাহুল। ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের মতো সরকারি বাংলোও পাবেন সাবেক এই কংগ্রেস সভাপতি।

সেই সঙ্গে রাহুল গান্ধী থাকবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং দুই নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ের তিন সদস্যের প্যানেলেও। তবে এখানে তিনি থাকবেন সংখ্যালঘু হিসেবে। কারণ, তিনি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়া, এই প্যানেলে থাকবেন আরও একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

অবশ্য লোকসভায় এবার বিজেপির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায়, রাহুল গান্ধীর ওপর কোনো সিদ্ধান্ত ‘চাপিয়ে’ দেওয়া কঠিন হবে।

সিবিআই, ইডি বা সিভিসির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর প্রধানদের বাছাই করার কমিটিরও সদস্য হবেন রাহুল গান্ধী। এই কমিটিগুলো বাছাইয়ের ক্ষেত্রে রাহুলের হাতে আরও বেশি ক্ষমতা থাকবে। তিন সদস্যের এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আর তৃতীয় সদস্য হিসেবে থাকবেন ভারতের প্রধান বিচারপতি বা সুপ্রিম কোর্টের কোনও একজন বিচারপতি। এটা বিরোধী পক্ষের জন্য বড় উৎসাহদায়ক হতে পারে। কারণ বিরোধীরা বারবারই অভিযোগ করেন, বিরোধী নেতাদের হয়রানি করতেই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে অপব্যবহার করে মোদির বিজেপি সরকার।


রাহুল গান্ধী   ভারত   লোকসভা   কংগ্রেস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন