ইনসাইড পলিটিক্স

সত্যিই কি বেগম জিয়ার সাথে রাজনীতি নিয়ে কথা হয়নি?

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ঈদের দিন ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সরকারের কৃপায় চিকিৎসার জন্য ফিরোজায় অবস্থানরত বেগম খালেদা জিয়া দুই দফায় বিএনপির ১৫ জন নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর আগেও বেগম খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ করেছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে এবং এলডিপির নেতা কর্নেল অলি আহমেদের সাথে। সবকিছু মিলিয়ে ঈদের ছুটিতে ব্যস্ত সময় কেটেছে বেগম খালেদা জিয়ার। যদিও ঈদের দিন রাতে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ছয় সদস্যের পক্ষ থেকে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন যে, তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে এসেছেন। রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি। দেশের মঙ্গল কামনা করেছেন এবং দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। 

উল্লেখ্য যে, প্রথম দফায় রাত সাড়ে আটটায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির ৬ জন সদস্য বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন। এই ৬ সদস্যের দলে ছিলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান। তারা রাত সাড়ে নয়টার দিকে বেরিয়ে আসেন। তারা বেরিয়ে আসার পরপরই দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আবদুল্লাহ আল নোমান ও বরকতউল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুজা উদ্দিন, আব্দুল কাইয়ুম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এই দুটি সাক্ষাৎ কি কেবলই ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় নাকি এর ভেতর বিএনপিতে চলমান তোলপাড় নিয়ে আলোচনা হয়েছে- এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানারকম গুঞ্জন চলছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপিতে কমিটির ভাঙা গড়ার খেলা চলছে। আর এই ভাঙ্গা গড়ার খেলা নিয়ে নেতৃবৃন্দের মধ্যে বিরাজ করছে চরম অসন্তোষ, হতাশা। এর প্রেক্ষাপটে ঈদের দিন দুই দফায় বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির নেতৃবৃন্দের এই বৈঠক নিয়ে নতুন করে আলোচনা এবং গুঞ্জন সৃষ্টি করেছে। যদিও বিএনপি নেতৃবৃন্দ অস্বীকার করেছেন যে, তাদের এসব বৈঠকে শুধুমাত্র ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে। 

প্রশ্ন উঠেছে যে, ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ই যদি হবে, তাহলে দুই দফায় কেন বেগম খালেদা জিয়া নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দেখা করলেন? ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় হলে সবাই এক সঙ্গে দেখা করতে পারতেন। বলা হচ্ছে, বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, সেখানে বেশিক্ষণ ভিড় করা ঠিক না। তিনি বেশিক্ষণ কথা বলতে পারেন না। এটি যদি সত্যি হয় তাহলে বিএনপির ১৫ জন নেতা একসঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন না কেন? বিএনপির প্রথম দফার ৬ জন নেতা বেরিয়ে আসার পর কেন দ্বিতীয় দফায় ৯ জন নেতা সাক্ষাৎ করলেন-এই প্রশ্নের উত্তর বিএনপি নেতাদের নাই। 

ঈদের প্রধান তাৎপর্য হলো সমতা এবং ভ্রাতৃত্ব। তাই যদি হবে বিএনপিতে কি তাহলে উচু নিচু জাতপাত আছে? স্থায়ী কমিটির সদস্যরা যখন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করবেন তখন স্থায়ী কমিটির সদস্য নন এমন নেতারা দেখা করতে পারবেন না -এমন কোন নিয়ম নীতি আছে? এই প্রশ্নটি উঠেছে। 

তবে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্যই নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দুই দফায় সাক্ষাৎ করেছেন। এর আগে তিনি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ডেকে পাঠান। তার সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন। ঈদের আগের রাতে তার সঙ্গে দেখা করেছেন কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত অলি আহমেদ। 

লক্ষণীয় ব্যাপার হল যে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রথম সাক্ষাৎকারটি ছিল স্থায়ী কমিটির ৬ জন সদস্যের সঙ্গে এবং এখানে স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন না। বিশেষ করে আমীর খসরু মাহমুদ দেশে অবস্থান না করার জন্য তিনি এই বৈঠকে ছিলেন না। সালাহউদ্দিন আহমেদও বিদেশে অবস্থান করছেন। এ কারণে তিনি আসেননি। রফিকুল ইসলাম মিয়া গুরুতর অসুস্থ। তিনিও আসতে পারেননি। অন্যদিকে দ্বিতীয় দফায় যারা বৈঠক করেছেন তার সবাই খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপিতে যে ধরনের ঘটনা প্রবাহ গুলো ঘটছে এ ব্যাপারে তিনি সকলের মতামত জানতে চেয়েছেন। কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছেন না পেয়েছেন তা নিয়ে কথা বলেছেন।

একটি সূত্র দাবি করছে যে, বিএনপিতে নতুন মহাসচিব নিয়োগের তোড়জোড় চলছে। এই মহাসচিব নিয়োগের বিষয়টি নিয়েও হয়তো বেগম খালেদা জিয়া সকলের মতামত নিয়ে থাকতে পারেন। আবার বিএনপিতে স্থায়ী কমিটির শূন্যপদগুলো পূরণের গুঞ্জন চলছে। সে ব্যাপারেও তারা আলোচনা করছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক সূত্রগুলো দাবি করছে আসলে বেগম খালেদা জিয়া এ সব বৈঠকের মাধ্যমে তারেক জিয়ার ওপর একটি মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। বিএনপিতে বেগম জিয়ার অবস্থান যে এখনও শক্ত এটি তারেক জিয়াকে জানিয়ে দেওয়ার জন্যই এই বৈঠকের নাটক বলে অনেকে মনে করছেন।


খালেদ জিয়া   রাজনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খেলা কিন্তু হবে, ছেড়ে দেয়া হবে না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৭:৩৩ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে খেলা হবে। মাঠে থেকে সব মোকাবিলা করবো। খেলা কিন্তু হবে, ছেড়ে দেয়া হবে না। 

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপির কর্মসূচির প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারেক রহমান পলাতক নেতা, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। লন্ডনে বসে কর্মসূচি দেয়। এই কর্মসূচি কেউ মানে? পরিষ্কার বলে দিতে চাই- আন্দোলন করেন। তবে সহিংসতার পন্থা যুক্ত হলে খবর আছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে অকুতোভয়ে এগিয়ে যাওয়ার নাম আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের জন্ম জগগণ থেকে। অস্ত্র উঁচিয়ে শেষরাতে ক্ষমতা দখলের দল নয় আওয়ামী লীগ।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে বিএনপি নেতাদের মন্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, দাসত্ব, ইজারা কাকে বলে ভুলে কি গেছেন? ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পরদিন সকালে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস বন্ধ ছিল, সেই অফিসের সামনে বিএনপি নেতারা ফুলের মালা নিয়ে গেছেন। দালালি করতে চেয়েছিলেন, পারেননি। পাত্তা পাননি, আর যত দোষ নন্দ ঘোষ। আমরা বন্ধু আছি, বন্ধু থাকবো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশে আমাদের সবাই বন্ধু। আমাদের প্রভু নেই, আপনাদের আছে। মনে আছে, কথায় কথায় নিষেধাজ্ঞা-ভিসানীতি, জজ মিয়া নাটক। বাইডেনের বন্ধু সাজিয়ে আরেফিকে সাংবাদিকদের সামনে নিয়ে আসছেন। পরে দেখা গেল বাইডেনের বন্ধু ‘ভুয়া’। এ সময় নেতাকর্মীদের ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগানে মুখরিত হয় সভাস্থল।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, কেউ বাড়াবাড়ি করবেন না। ক্ষমতার দাপট কেউ দেখাবেন না। কাউকে ক্ষমা করা হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শূন্য সহিষ্ণুতার নীতিতে বিশ্বাসী।

ওবায়দুল কাদের   আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শুধু বক্তৃতায় খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে না: গয়েশ্বর রায়

প্রকাশ: ০৬:০৫ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের নেত্রীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামিন পান, তিনি (খালেদা জিয়া) জামিন পান না। হাইকোর্টেও জামিন মিলল না। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে বক্তৃতা দিয়ে হবে না। যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন হয়েছে।

শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, বিগত সাতটি বছর খালেদা জিয়া মঞ্চে আসেন না, জনগণ তার কণ্ঠ শুনতে পায় না। সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করেছে। তিনি এখনও বন্দী, তিনি উপযুক্ত চিকিৎসা পান না, জামিন পান না, অথচ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা জামিন পান।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যে মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে, সে মামলায় এক দিনের জন্যও তাকে কারাদণ্ড দেওয়ার কোনো কারণ নেই। শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্যই এই রায়। আর যারা ক্ষমতায় আনে, তাদের সন্তুষ্টির জন্যই এই রায়।’

খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে না পারলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব মুছে যাবে বলেও মন্তব্য করেন গয়েশ্বর রায়। তিনি বলেন, যেসব চুক্তি ভারতের সঙ্গে (সরকার) করেছে, প্রতিটি চুক্তি বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় সমাবেশে জ্যেষ্ঠ নেতা ও অংঙ্গ, সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন।

খালেদা জিয়া   গয়েশ্বর চন্দ্র রায়   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দলীয় কোন্দল-সহিংসতা: কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগে দলীয় কোন্দল এবং সেখান থেকে সহিংসতা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। আর এবিষয়ে অবশেষে কঠোর হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের ভেতর বিশৃঙ্খল অবস্থা নিয়ে অত্যন্ত বিরক্ত হয়েছেন এবং তিনি এগুলো দমনের জন্য কঠোর অবস্থা নেয়ার জন্য ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক বিভিন্ন স্থানে সাংগঠনিক সম্পাদকদের তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলেছেন এবং এ তদন্ত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে যারা যে স্থানে দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং এ বৈঠকে এ বিষয়টি আলোচিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে রাজশাহীর বাঘাতে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি নিয়ে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড অত্যন্ত বিরক্ত। বিশেষ করে একজন এমপিকে ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ কর্তৃক অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার বিষয়টি আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সহজভাবে নিতে পারেননি। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে এব্যাপারে ইতোমধ্যে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে। সারাদেশের যেখানে বিশৃঙ্খলা হবে, যেখানে চেইন অব কমান্ড ভাঙ্গা হবে সেখানে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য যে, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে থেকেই আওয়ামী লীগের ভেতর কোন্দল ছড়িয়ে পড়তে থাকে। বিশেষ করে নির্বাচন উন্মুক্ত করে দেয়ার পর আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াই তীব্র হয়। এসময় আওয়ামী লীগের যারা দলীয় প্রতীক পেয়েছেন এবং যারা স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন তার মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে যায়। একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করতে থাকেন এবং পরবর্তীতে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের ভেতর এই বিরোধ আরো বাড়তে থাকে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েক দফা এই বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আহ্বান জানান। তিনি নির্বাচনে যা হবার হয়ে গেছে, ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে একসাথে সকলকে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু তারপরও বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে এবং এ সহিংসতা এখন উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে গেছে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।

এ অবস্থায় আর ধৈর্য ধরার উপায় নেয় বলেও মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেছেন যে, দ্রুতই দলের ভেতর চেইন অব কমান্ড ফিরিয়ে আনা হবে এবং এজন্য যা যা করা দরকার সেটি করা হবে। তবে আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, যে ১৮ থেকে ২০ জেলায় দলীয় কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে এবং সহিংসতা বেড়েছে সেসমস্ত এলাকাগুলোতে সাংগঠনিক সম্পাদকরা দুই পক্ষকে নিয়ে বসবে এবং শেষ বারের মতো সতর্কবার্তা দিবে। এরপরও যদি কাজ না হয় তাহলে সহিংসতার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং প্রয়োজনে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারাই যখন বিরোধে জড়িয়ে যান তখন সেটি দলের জন্য একটি খারাপ বার্তা বহন করে। সেরকম পরিস্থিতি এখন হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের নেতারা আশাবাদী। আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন, বাজেট অধিবেশন এবং প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের পর এই পরিস্থিতিগুলোর দিকে নজরদারি বাড়ানো হবে। এবং এধরনের সহিংস ঘটনার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে।


ওবায়দুল কাদের   রাজনীতি   সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির মহানগর কমিটি নিয়ে কোটি টাকার বাণিজ্য

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

গত ১৩ জুন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত হয়েছিলো। বিলুপ্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত এ কমিটিগুলো গঠিত হয়নি। কথা ছিলো এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা মহানগর কমিটি গঠন করা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের উত্তর-দক্ষিণ কোন কমিটি গঠন করা হয়নি। 

বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতারা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা এবং আন্দোলনের নানারকম চাপের কারণে তারা এখন পর্যন্ত এই কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি। তবে কমিটির বিষয়টি চূড়ান্ত করছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। যেকোন সময় কমিটি গঠিত হতে পারে বলেও বিএনপি নেতারা আশ্বস্ত করেছেন। তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, ঢাকা মহানগরের কমিটি নিয়ে চলছে কোটি টাকার বাণিজ্য। তারেক জিয়া সরাসরি সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং যারা যত বেশি টাকা দিবেন তারাই কমিটিতে রাখা হবে বলে বিভিন্ন সূত্রগুলো ইঙ্গিত করেছে। আর এই মহানগরের কমিটি করতে কোটি টাকার বাণিজ্যের খবর পাওয়া যাচ্ছে। 

দলীয় সূত্রগুলো থেকে জানা যাচ্ছে, উত্তরের বিএনপির বিদায়ী কমিটির সদস্য সচিব সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক ঢাকা মহানগরের নতুন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক হতে পারেন। তাকে সভাপতি করার সম্ভাবনা বেশি। তিনি এই মুহূর্তে কমিটিতে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি হতে হলে এক কোটি টাকা দিতে হবে বলে বিভিন্ন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে জানিয়েছেন। 

তবে তার পদের জন্য এখন বড় রকমের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন যুব দলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব। সম্প্রতি নীরব জেল থেকে বেরিয়েছেন এবং তিনি আমিনুল হকের চেয়ে বেশি অর্থ দিয়ে এই পদ গ্রহণে আগ্রহী। নীরবের সঙ্গে ইতোমধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার কথা হয়েছে বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। বিভিন্ন মহল নীরব সভাপতি হওয়ার জন্য যে নাজরানা দিতে হবে তা দিতে প্রস্তুত। এছাড়াও উত্তরের নেতৃত্বের জন্য যুবদলের সাবেক সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীরও চেষ্টা করে যাচ্ছেন। 

আরও পড়ুন: রুমিন ফারহানা কোথাও নেই কেন?

সাধারণ সম্পাদক পদে বিদায়ী কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এজিএম শামসুল হক, আতাউর রহমান, মোস্তফা জামান, আখতার হোসেন ও উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম কফিল উদ্দিন আহমেদ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এরা সবাই এই পদের জন্য লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এবং কে কত অর্থ দিতে পারবেন তার ফিরিস্তিও প্রকাশ করছেন। 

দক্ষিণে সভাপতি পদের জন্য সবচেয়ে বেশি আলোচিত আগের কমিটির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু। তিনি ইতোমধ্যে দেড় কোটি টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রকাশ্যেই। দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে তিনি দক্ষিণের সভাপতি হতে চান বলেও তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন। 

আরও পড়ুন: বিএনপিতে শুরু হচ্ছে রিজভী যুগ

আর সাধারণ সম্পাদক পদে আগের কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ রবিনের কথা শোনা যাচ্ছে। তিনিও প্রায় এক কোটি টাকা দিয়ে এ পদ আঁকড়ে রাখতে চান। তবে রফিকুল আলম সবুজের প্রচেষ্টায় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদায়ী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবিউল্যা নবি। তিনি এখন আরো বেশি অর্থ দিয়ে এ পদটি গ্রহণ করার জন্য দেন-দরবার এবং তদবীর শুরু করেছেন। তবে নবিউল্যা নবির একটি নেতিবাচক বিষয় রয়েছে। তাহলো তিনি প্রয়াত বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত। সেকারণে এটি তার জন্য একটি নেতিবাচক দিক হতে পারে। এর বাইরেও দক্ষিণ বিএনপির হামিদুর রহমান হামিদ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রশিদ  হাবিব এবং বিলুপ্ত কমিটির সিনিয়র সদস্য ইশরাক হোসেনের নামও আছে। 

তবে শেষ পর্যন্ত এ পদগুলো আসলে নিলামে উঠবে। যিনি বেশি অর্থ দিবেন তিনিই হবেন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণের কাণ্ডারি।


বিএনপি   মহানগর কমিটি   কোটি টাকার বাণিজ্য   সভাপতি   সাধারণ সম্পাদক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে জড়ো হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা। আজ (শনিবার) বিকেলে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

দেখা যায়, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ মিছিলে মিছিলে আলোচনা সভায় আসছেন। সময় নেতারাজয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু,’ ‘শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা,’ ‘শেখ হাসিনা সরকার, বার বার দরকার,’ ‘উন্নয়নের সরকার, বার বার দরকারসহ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী সঞ্চালনা করবেন সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।


আওয়ামী লীগ   আলোচনা   সভা   মিছিল   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন