ক্লাব ইনসাইড

ইবির প্রকল্প থেকে কোটি টাকা আত্মসাৎ, ৮ প্রকৌশলীকে দুদকে তলব


Thumbnail

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) চলমান মেগা প্রকল্পের ৬ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা বিল গরমিলের অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলীসহ আট প্রকৌশলীকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি দুদকের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে তথ্যটি জানা গেছে।

তবে ওই চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীষ্মকালীন ও ঈদুল আযহার ছুটি চলাকালীন আসায় যথাসময়ে উপস্থিত হতে পারেননি কর্মকর্তারা। ফলে মঙ্গলবার (২৫ জুন) রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে দুদকের সঙ্গে আলোচনা করে সাক্ষাতের নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, দুদক প্রকৌশলীদের বক্তব্য শুনতে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু ওই সময় ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় চিঠি পড়ে ছিল। পরে দুদকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে সাক্ষাতের নতুন সময় জানিয়েছি।

দুদকের দেয়া চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রশাসন ভবন নির্মাণে সর্বশেষ চলতি বিলে ভুয়া বিল দিয়ে ৬ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা উত্তোলন ও ভাগ-বাটোয়ারা করে আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। অনুসন্ধানের স্বার্থে আট প্রকৌশলীর বক্তব্য গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত ৮ প্রকৌশলী হলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শরীফ উদ্দীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন ও আলিমুজ্জামান টুটুল, নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) বাদশা মামুনুর রশিদ ও মোহা. নুর আলম, উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) প্রসেনজিৎ কুমার বিশ্বাস, রাজিব হোসাইন ও সোহাগ ইসলাম সাগর।

এদের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশী এ কে এম শরীফ উদ্দীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন ও আলিমুজ্জামান টুটুলকে ১ জুলাই ও বাকিদের আগামী ৩০ জুন ডাকা হয়েছে।

এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৩৭ কোটি টাকার মেগাপ্রকল্পের কাজের সোয়া ৬ কোটি টাকার ভুয়া বিল উত্তোলন ও ভাগবাটোয়ারার অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক সমিতি, শাপলা ফোরামসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ সংক্রান্ত একটি উড়ো চিঠি আসে। সেই চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক, ঠিকাদারসহ একাধিক কর্মকর্তা ও কয়েকজন সাবেক-বর্তমান ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে এই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। একই অভিযোগের চিঠি পাঠানো হয় দুদকেও। পরে তদন্ত শুরু করে দুদক। এ ছাড়া অভিযোগ পাওয়ার পর ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায়। প্রতিবেদনে আর্থিক অনিয়মের সত্যতাও পাওয়া যায়। ১৯ মে অনুষ্ঠিত ইবির সর্বশেষ সিন্ডিকেট সভায় এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিলো। তবে প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের বিষয়ে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তা নির্দিষ্ট করা ছিলো না। এজন্য শাস্তির ধারা নির্ণয় ও নির্দিষ্ট করার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সিন্ডিকেটে। কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।


ইবি   প্রকল্প   অর্থ আত্মসাৎ   প্রকৌশলী   দুদক  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে জবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি

প্রকাশ: ০৫:৫০ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবি পূর্নদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সোমবার জবি শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে এ কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। এদিন দুপুর বারোটা থেকে একটা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন তারা। 

 

এসময় পেনশন স্কিম বাতিলের আন্দোলনকে শিক্ষার্থীদের স্বার্থের আন্দোলন উল্লেখ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, পেনশন স্কিম বাতিলে আমাদের যে আন্দোলন, এটা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্যই। নতুন পেনশন স্কিমে আমাদের বর্তমান শিক্ষকদের কোনো ক্ষতি হবে না, যেসব মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আসবেন তাদেরই ক্ষতি হবে। আমরা তাদের আর্থিক স্বচ্ছতা ও স্বকীয়তা রক্ষায় আন্দোলন করছি।

 

ড. শেখ মাশরিক হাসান আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবক। আন্দোলনের ফলে শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক কোনো ক্ষতি হলে আমরা পরবর্তীতে রুটিন সমন্বয় করে সে ঘাটতি পুষিয়ে দেবো।’ 

 

কর্মসূচিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় লাইফ এন্ড আর্থ সাইন্স অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া বলেন, ‘এটা পেনশন না, নামে মাত্র পেনশন । এটা একটি ষড়যন্ত্র। যারা এটা ড্রাফটিং করেছে তাদের বিচার হওয়া উচিত। এটা প্রভিডেন্ড ফান্ডের মতই হচ্ছে। এসব পদ্ধতি দেখে মনে হচ্ছে এটা একটা ইন্সুরেন্স ব্যাবস্থা। এটা দ্রুত বাতিল করা হোক।’

 

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের অধ্যাপক ড. হোসেন আরা বেগম, ‘শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. মো. মমিন উদ্দীন সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতির নেতারাসহ বক্তব্য রাখেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।’

এছাড়াও এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অ্যাকডেমিক ভবনের সামনে সকাল দশটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।


প্রত্যয় স্কিম   সার্বজনীন পেনশন   প্রত্যাহার   সর্বাত্মক কর্মবিরতি  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ

প্রকাশ: ০১:১৮ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

মেয়াদোত্তীর্ণ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের বিরুদ্ধে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। নিজের মেসেঞ্জারের মাধ্যমে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে এ প্রশ্নপত্র ও উত্তর দিতে দেখা যায়।

 

প্রশ্নফাঁসের মেসেঞ্জারের স্ক্রিণ রেকর্ডের ভিডিওসহ সকল তথ্য প্রমাণ এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। মেসেঞ্জার রেকর্ডে দেখা যায়, জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আকতার হোসাইন তার নিজের মেসেঞ্জার থেকে একজনকে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্র সরবরাহ করছেন। ওই উত্তরপত্রের অধিকাংশ ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সাথে মিলে গেছে। 

 

মেসেঞ্জারে দেখা যায়, যিনি উত্তরপত্র নিচ্ছেন তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতারকে বলছেন, 'সব দিছেন ভাই?' জবাবে আকতার হোসাইন বলেন, 'হ্যা, কেউ কে দিয়ো না আবার।' এরপর স্কিণ রেকর্ডে মেসেঞ্জার থেকে আকতার হোসাইনের ফেসবুক প্রোফাইলে ঢুকে আইডির সত্যতাও দেখা গেছে।

 

এদিকে প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি অনুসন্ধানে এসএম আকতার হোসাইনের মামাতো ভাই পরিচয়ে মাদারীপুরের কাঁকন মিয়ার একটি অডিও ক্লিপও এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। তিনি একজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে ভর্তি পরীক্ষায় টিকিয়ে দেয়ার গ্যারান্টি দেন। কাঁকন মিয়া বলেন, 'এখানে আমি আকতারের আপন মামাতো ভাই। আকতারও এটা বলেছে। আপনিও বলেছেন যে ভাই আপনি যে কয়টা কাজ দিয়েছেন একটাও মিস হয়না।' এ বিষয়ে কাকন মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, 'আপনি ওই যার পরিচিত তার কাছে শোনেন। আমার কাছে জানার কি আছে।'

 

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতিবাচক এরুপ সংশ্লিষ্টতার কারনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অন্যান্য নেতারা। জবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিথুন বাড়ৈ বলেন, জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আকতার হোসাইন দীর্ঘদিন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র জালিয়াতি ও অপকর্মের সাথে জড়িত। 

 

জবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল রায়হান বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। প্রশ্নফাঁসের মতো এই গুরুতর অভিযোগে সাংগঠনিক ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্র বিরোধী এ কাজের জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত। 

 

জবি ছাত্রলীগের আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রাসেল বলেন, আশা করছি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবেন। আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুর রহমান হামিম বলেন, কেউ যদি ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে ছাত্রলীগকে কলুষিত করে আশা করছি এর যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

 

তবে এসব কর্মকাণ্ডের জড়িত থাকার বিষয় অস্বীকার করে জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এম আকতার হোসাইন বলেছেন, 'এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ভিত্তিহীন। এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত।' 

 

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, ‘প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ একটি গুরুতর বিষয়। আমরা যদি কারো বিরুদ্ধে এমন সংশ্লিষ্টতা প্রমান পাই তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।’

 

জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিষয়টি অবগত নই। যদি কোন অপরাধে যুক্ত থাকে তবে অপরাধীর স্থান ছাত্রলীগে নেই।’

 

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন বলেন, ‘যেকোনো অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর অবস্থান। অনৈতিক ও গঠনতন্ত্র বিরোধী, শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ও আদর্শ বিরোধী কর্মকান্ডে যুক্ত থাকলে অবশ্যই সংগঠন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের পহেলা জানুয়ারী ইব্রাহীম ফরাজীকে সভাপতি ও এস এম আকতারকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে জবি ছাত্রলীগের কমিটি গঠন হয়। এরপর ক্যাম্পাসের সকল টেন্ডার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়া, ঠিকাদারদের চেক আটকে দেয়া, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের লাঞ্চনা, রিসোর্টে নারী কর্মী নিয়ে কেলেঙ্কারি ও সদরঘাটে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে ৬ মাস পরেই এ কমিটি স্থগিত হয়ে যায়। পরে কমিটি ফিরে পেলেও দেড় বছর ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ এ কমিটির নতুন কমিটি হয়নি।


প্রশ্ন ফাঁস   অভিযোগ   মেডিকেল   ভর্তি পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি, স্থগিত ক্লাস-পরীক্ষা

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বৈষম্যমূলক পে-স্কেল ও পেনশন স্কেলের প্রতিবাদে আজ (সোমবার) থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। যার কারণে বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার ক্লাস ও পরীক্ষা। 

গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে এ ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতারা। 

একই দিন রাজশাহী, জগন্নাথ, চট্টগ্রাম ও  খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) সহ আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করা হয়।


সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের দাবি তিনটি—প্রত্যয় কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে (প্রশাসনে জ্যেষ্ঠ সচিবেরা যে ধাপে বেতন-ভাতা পান) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন। আর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি শুধু প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিল। আর এসব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি পালিত হবে বলে জানান শিক্ষক নেতারা। 

প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে জানা যায়, সকাল থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতির পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। 

গতকাল (রোববার) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের এ আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্দোলন। 

বৈষম্যমূলক ও মর্যাদাহানিকর প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে।

বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা ৯টি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে; অনলাইন, সান্ধ্যকালীন ক্লাস, শুক্র ও শনিবারের প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাস বন্ধ থাকবে; সকল পরীক্ষা বর্জন করা হবে। মিডটার্ম, ফাইনাল ও ভর্তি পরীক্ষাসহ কোনো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। বিভাগীয় চেয়ারম্যান বিভাগীয় অফিস, সেমিনার, কম্পিউটার ল্যাব ও গবেষণাগার বন্ধ রাখবেন। 

প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১৩ মার্চ সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আর এতে ‘প্রত্যয় স্কিম’ এ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অন্তর্ভূক্তির শুরু থেকেই এই ব্যবস্থাকে একটি বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা বলে বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনগুলো। এ সংগঠনগুলো দাবি আদায়ে বেশ কিছু কর্মসূচী পালন করে।

এদিকে গত ৪ জুন দাবি আদায়ে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। এরপরও তাদের দাবির বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নেয়ার গত ২৫,২৬ ও ২৭ জুন অর্ধদিবস এবং ৩০ জুন কর্মবিরতি পালন করেন তারা। 


কর্মবিরতি   স্থগিত   পে-স্কেল   প্রত্যয় স্কিম  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাচ্ছে ইবি শিক্ষক সমিতি


Thumbnail

তিন দফা দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতি। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে ১লা জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি করবেন বলে জানান শিক্ষকরা।

দাবিগুলো হলো-অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের।

রোববার (৩০ জুন) ইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মামুনুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ১লা জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে। ফেডারেশনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরা এই কর্মসূচি পালন করবো। কর্মবিরতির অংশ হিসেবে সকল প্রকার ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।

এদিকে একই দাবিতে রোববার (৩০ জুন) দিনব্যাপী কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এ ছাড়া সর্বজনীন পেনশন নীতিমালা প্রত্যাহার দাবিতে ক্যাম্পাসে তিনঘন্টা প্রতিবাদ সমাবেশ ও কর্মবিরতি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতি।


ইবি   পেনশন স্কীম   সর্বাত্মক কর্মবিরতি   শিক্ষক সমিতি  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

জাবির বাজেটের ৭৫ শতাংশই বেতন-ভাতা ও পেনশনে বরাদ্দ

প্রকাশ: ১২:২৬ পিএম, ৩০ জুন, ২০২৪


Thumbnail

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৩১৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট। এতে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা-পেনশন বাবদ খরচ ধরা হয়েছে ২২১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, যা মোট ব্যয়ের ৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। 

 

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্টার ভবনের সিনেট হলে ৪১তম সিনেট অধিবেশনে এই বাজেটের চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়। সভায় বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আক্তার। 

 

এবার বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা ছিল ৩৫৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। কিন্তু ইউজিসি বরাদ্দ করেছে ৩১৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে বেতন, ভাতা ও পেনশন বাবদ ২২১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, যা মোট ব্যয়ের ৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ; গবেষণা বাবদ ৭কোটি ২২ লাখ টাকা, যা মোট ব্যয়ের ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। পণ্য ও সেবা খাতে ৭৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে যা বাজেটের ২৫.২৪ শতাংশ। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বাজেট ধরা হয়েছে ৪৩ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ০ দশমিক ১৫ শতাংশ। 

 

এদিকে এবারের বাজেটে বরাবরের মতোই শিক্ষার্থী-সংশ্লিষ্ট খাতগুলো অবহেলিত বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।


জাবি   বাজেট   বেতন-ভাতা   পেনশন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন