মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথমবারের মতো বিতর্কে অংশ নিতে যাচ্ছেন জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার আটলান্টায় এই দুই নেতার মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। এই বিতর্কের আয়োজক সিএনএন ও এবিসি।
জানা গেছে, বর্তমান ও সাবেক এই প্রেসিডেন্টদের মধ্যে ৯০ মিনিটের টেলিভিশন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যা যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে শুরু হবে (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ৭টা)।
এদিন বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মানুষের নজর থাকবে এই বিতর্কে। ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রথম বিতর্ক দেখেছিলেন প্রায় সাড়ে ৮ কোটি মানুষ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের মুখোমুখি বিতর্ক দর্শকদের জন্য বেশ আগ্রহোদ্দীপক বিষয়। গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ, গুরুগম্ভীর কথা, হাসিঠাট্টা, তির্যক মন্তব্য, পাল্টাপাল্টি আক্রমণ, গোলমাল, বিশৃঙ্খলা, এমনকি কেলেঙ্কারির নজিরও আছে এসব বিতর্কে। বিগত ৬০ বছরের বেশি সময়ের এমন বিতর্কের কিছু স্মরণীয় ঘটনা দেখে নেওয়া যাক।
কেনেডি-নিক্সন
১৯৬০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছিলেন জন এফ কেনেডি ও রিচার্ড নিক্সন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই বিতর্ক টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। ভোটারদের মধ্যে রাজনীতিবিদদের ভাবমূর্তি গড়তে এই বিতর্ক যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তা তখন প্রতিষ্ঠিত হয়।
দেশটির দুবারের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক্সন নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে বিতর্কের আগে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু বিতর্ক তাঁর জন্য ভালো ফল বয়ে আনেনি।
টেলিভিশনের পর্দায় আসার আগে নিক্সন মেকআপ নিতে অস্বীকৃতি জানান। ৬ কোটি ৬০ লাখ দর্শকের সামনে তাঁকে বেশ ফ্যাকাশে ও ঘর্মাক্ত দেখায়।
নিক্সনের বিপরীতে টেলিভিশনের পর্দায় ম্যাসাচুসেটসের তরুণ সিনেটর কেনেডিকে বেশ ঝাঁ–চকচকে ও ফুরফুরে দেখা যায়। নিক্সন বারবার উপস্থাপকের দিকে তাকাচ্ছিলেন। তাঁকে উদ্দেশ করে কথা বলছিলেন। কিন্তু কেনেডির দৃষ্টি ছিল সরাসরি ক্যামেরার দিকে। ক্যামেরায় ভোটারদের দিকে তাকিয়ে তিনি নিজের মনোভাব জানিয়ে দিয়েছিলেন।
বিতর্কের প্রভাব পড়েছিল ব্যালট বাক্সে। রিপাবলিকান নিক্সনকে হারিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট দলের কেনেডি।
ফোর্ড-কার্টার
রিপাবলিকান দলের জেরাল্ড ফোর্ড ও ডেমোক্র্যাট দলের জিমি কার্টার প্রথমবারের মতো বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন ১৯৭৬ সালের ৬ অক্টোবর। এই বিতর্কে ২৭ মিনিট অডিও ছিল না।
দ্বিতীয় বিতর্ক তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফোর্ডের পক্ষে যায়নি। তিনি একটি বড় ভুল করে বসেন, যার মাশুল তাঁকে দিতে হয় নির্বাচনে। বিতর্কে ফোর্ড বলেছিলেন, পূর্ব ইউরোপে সোভিয়েত ইউনিয়নের কোনো আধিপত্য নেই আর ফোর্ড প্রশাসনের অধীন তা কখনোই হবে না।
তখন স্নায়ুযুদ্ধ চরমে। আর পূর্ব ব্লকে সোভিয়েত সেনা মোতায়েন ছিল। দিন কয়েক পরে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন ফোর্ড। তবে তত দিনে যা ঘটার ঘটে গেছে। ভোটারদের মন জয় করে ফেলেছেন কার্টার। নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্ট হন কার্টার।
রিগ্যান-মন্ডেল
১৯৮৪ সালের ২১ অক্টোবর বিতর্কে মুখোমুখি হন রিপাবলিকান রোনাল্ড রিগ্যান ও ডেমোক্র্যাট ওয়াল্টার মন্ডেল। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রিগ্যানের বয়স তখন ৭৩ বছর আর মন্ডেলের ৫৬। বয়স নিয়ে মজার উত্তর দিয়ে বিতর্কের মোড় নিজের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন রিগ্যান।
বয়সের কথা উল্লেখ করে রিগ্যানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য তিনি পুরোপুরি উপযুক্ত কি না? জবাবে মজার ছলে রিগ্যান বলেছিলেন, তিনি তাঁর প্রতিপক্ষের তারুণ্য ও অনভিজ্ঞতাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবেন না। এমন উত্তর ভোটারদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছিল। নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন রিগ্যান।
বুশ-ক্লিনটন-পেরোট
১৯৯২ সালের ১৫ অক্টোবর। দ্বিতীয় বিতর্কে মুখোমুখি হন জর্জ বুশ, বিল ক্লিনটন ও রস পেরোট। বুশ রিপাবলিকান প্রার্থী, ক্লিনটন ডেমোক্র্যাট, আর পেরোট নির্দলীয়।
ক্লিনটন যখন একজন দর্শকের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন বুশ তাঁর ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছিলেন। এই ঘটনা ক্যামেরায় ধরা পড়ে। ভোটারেরা বুশের এমন আচরণ ভালো চোখে দেখেননি। নির্বাচনে জয় পান ক্লিনটন। বছরখানেক বাদে বুশ বলেছিলেন, তিনি এমন বিতর্ক ঘৃণা করেন।
ওবামা-রমনি
বারাক ওবামা ও মিট রমনি বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন ২০১২ সালের ২২ অক্টোবর। এতে রিপাবলিকান রমনি বলেছিলেন, ১৯১৬ সালে মার্কিন নৌবাহিনীর যত জাহাজ ছিল, এখন তার চেয়ে কম আছে।
রমনির এই বক্তব্য লুফে নেন ওবামা। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে ঘোড়া ও বেয়নেটও কম আছে। কেননা, আমাদের সামরিক বাহিনীর ধরনই বদলে গেছে। আমাদের আছে বিমানবাহী রণতরি। এতে উড়োজাহাজ অবতরণ করে। আছে জলের তলে চলাচলকারী পারমাণবিক সাবমেরিন।’
ওবামার এ বক্তব্য অনলাইনে ভাইরাল হয়ে যায় আর নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্ট হন ওবামা।
ট্রাম্প-হিলারি
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারি ক্লিনটন দ্বিতীয় বিতর্কে মুখোমুখি হন ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর।
হিলারির স্বামী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। বিতর্কে তাঁর যৌন কেলেঙ্কারি, হিলারির নিজের ই-মেইল কেলেঙ্কারিসহ নানা বিষয় সামনে এনে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ শানেন ট্রাম্প।
জবাব দিতে গিয়ে হিলারি বলেন, এটা খুবই ভালো দিক যে ট্রাম্পের মতো মেজাজের কেউ যুক্তরাষ্ট্রের আইন বিভাগের দায়িত্বে নেই।
ট্রাম্পও চটজলদি জবাব দেন, ‘তাহলে আপনি কারাগারে থাকতেন।’
২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হন।
বাইডেন-ট্রাম্প
জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়েন। সে বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁরা প্রথম বিতর্কে অংশ নেন। বিতর্কে তাঁরা একে অপরকে নিয়ে অপমানসূচক কথা বলেন। এমনকি চিৎকার করেও কথা বলেন।
বিতর্কে বাইডেন যখন কথা বলছিলেন তখন বারবার তাঁকে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায় ট্রাম্পকে। একপর্যায়ে বিরক্ত হয়ে বাইডেন মেজাজ হারান। তিনি বলেন, ‘আপনি কি চুপ করবেন?’
ট্রাম্পকে ‘ভাঁড়’ ও ‘পুতিনের কুকুরছানা’ বলেও কটূক্তি করেন বাইডেন।
নির্বাচনের ফলাফল যা-ই হোক না কেন, মেনে নেবেন কি—এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান ট্রাম্প।
বাইডেন-ট্রাম্পের এ বিতর্ক সঞ্চালনায় ছিলেন ফক্স নিউজের সাংবাদিক ক্রিস ওয়ালেস। পরে তিনি বিতর্কে দুই নেতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার ঘটনাকে ‘হতাশাজনক’ বলে বর্ণনা করেন।
নির্বাচনে ট্রাম্পকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হন বাইডেন। তবে এই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনেন ট্রাম্প। তিনি তাঁর পরাজয় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেননি।
আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বিশ্বজুড়ে নানা সংকটের মধ্যেই এবার নির্বাচন হতে যাচ্ছে দেশটিতে।
এরই মধ্যে মার্কিন রাজনীতি নিয়ে মানুষ বিভক্ত হয়ে পড়েছে। অনেক মার্কিন ভোটারেরই আশঙ্কা নির্বাচনের পরে সংঘাত ছড়িয়ে পড়াতে পারে।
এদিকে নোবেলজয়ী ১৬ অর্থনীতিবিদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার প্রেসিডেন্ট হলে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
তারা বলেন, আমরা মনে করি ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের জন্য এলে বিশ্ব অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের ওপর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ও যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে।
মন্তব্য করুন
বদলে গেল ব্রিটিশ যুগের ভারতের দণ্ডবিধি আইন। আর কেউ প্রতারণা ও জালিয়াতি ঘটনার জেরে ‘ফোর টোয়েন্টি’ বা ‘৪২০’ বলতে পারবে না। জালিয়াতি বা প্রতারণার দণ্ড থাকলেও সেই দণ্ড আর দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় নেই। সেই ধারা বদলে গেছে নতুন করে কার্যকর হওয়া ভারতের ‘ন্যায় সংহিতা’ আইনে।
সোমবার (১ জুলাই) বিদায় হয়ে গেল ভারতের দণ্ডবিধির এই ধারা।
ভারতে দণ্ডবিধি আইনকে আমূল পরিবর্তন করে চালু করা হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বা বিএনএস। এই বিএনএস অনুযায়ী প্রতারণা ও জালিয়াতির ধারা বদলে হয়েছে ৩১৮ (৪) ধারা। আবার গৃহবধূ নির্যাতনের ধারা ছিল দণ্ডবিধির ৪৯৮ এ। নতুন কার্যকর হওয়া ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় সেই ধারা বদলে হয়েছে ৮৫। এছাড়া কিছু দণ্ডের ধারা বদলে গেছে ন্যায় সংহিতায়।
১৮৬০ সালে তৈরি হয় ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ (ভারতীয় দণ্ডবিধি)।
সোমবার ভারতে কার্যকর হয়েছে এই ন্যায় সংহিতা। তবে ৩০ জুন রাত ১২টার আগে সংগঠিত অপরাধের বিচার হবে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুয়ায়ী, আর রাত ১২টা পর সংগঠিত অপরাধের জন্য এই আইন কার্যকর হবে নতুন ন্যায় সংহিতার ধারা অনুযায়ী।
যদিও এই আইনের বদলকে একদল আইনজীবীও মেনে নেয়নি। আলিপুর, কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্ট ও শিয়ালদহের আদালতে আইনজীবীদের একাংশ এই আইনের প্রতিবাদ করে কালো ব্যাজ পরলেও আবার অনেকেই মামলায় শামিল হয়েছেন। তবে সোমবার বামফ্রন্ট, এসইউসিআইর ছাত্র সংগঠন ডিএসও, মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর, সিপিআই (এমএল) এবং নতুনকরে কলকাতায় গড়া ‘সংগঠন বাঁচাও সমিতি’ কলকাতায় এই আইনের প্রতিবাদে সভা সমাবেশ করেছে।
আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, এই আইন কার্যকর হওয়ায় অনেক আইনজীবী ও মক্কেল সমস্যায় পড়বেন। অনেকে আবার বলছেন, এই আইনে সংশোধন এনে বহু আইনকে আরও কড়া করা হয়েছে। দণ্ডের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। গণপিটুনির মতো অপরাধের শাস্তি যাবজ্জীবন থেকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত করার বিধান রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধীর এক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তাল ভারতের লোকসভা। সোমবার অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির প্রারম্ভিক ভাষণ নিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে প্রথমবার বক্তব্য রাখতে ওঠেন রাহুল। সাংসদদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা নিজেদের হিন্দু বলেন, তারা শুধু হিংসার কথা বলেন, ঘৃণার কথা এবং অসত্য কথা বলেন। তার পরই ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে হইচই শুরু হয়ে যায়।
সোমবার (১ জুলাই) অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের আলোচনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস নেতা। ক্ষমতাসীনদের লক্ষ্য করে তিনি বলেন, তারা যা করছে তা হিন্দু ধর্ম নয়। বিজেপি ধর্মের নামে হিংসা, ঘৃণা ও অসত্য ছড়ায়। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন
লোকসভায় বক্তব্যের শুরুতেই রাহুল দাবি করেন, ভারত নামক ধারণার উপরে আঘাত নেমে আসছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই ইডি তাকে হেনস্থা করেছে। রাহুল বলেন, আমি ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আক্রমণের শিকার হয়েছি। আমার সবচেয়ে উপভোগযোগ্য মুহূর্ত হলো ৫৫ ঘণ্টা ধরে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হওয়া।
ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে কংগ্রেস নেতা বলেন, দেবতা শিব বলেছেন ভয় করো না, ভয় পেয়ো না। তিনি অহিংসার কথা বলেছেন। আর যারা নিজেদের হিন্দু বলে, তারা ২৪ ঘণ্টা হিংসা, ঘৃণা অসত্যের কথা বলে। আপনারা হিন্দু হতেই পারেন না। হিন্দু ধর্মে সাফ লেখা আছে। সত্যের পক্ষে থাকতে হবে। সত্য থেকে পিছু হটা যাবে না।
রাহুলের এই বক্তব্যের মাঝেই লোকসভায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরো হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে এ ধরনেরর মন্তব্য বিপজ্জনক।
বিরোধী নেতার মন্তব্যের সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। রাহুলকে আক্রমণ করতে গিয়ে কংগ্রেস আমলের হিংসাত্মক সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন তিনি। অবিলম্বে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতেও বলেন অমিত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উনি জানেন না এই দেশে কোটি কোটি মানুষ নিজেদের গর্বের সঙ্গে হিন্দু বলেন। তারা কি সবাই হিংসার কথা বলে, হিংসা করে। তার ক্ষমা চাওয়া উচিত।
তবে ক্ষমার প্রশ্নে রাহুল গান্ধী ঘোষণা দেন, লোকসভায় স্পিকার ছাড়া কারও কাছে মাথা নত করবেন না তিনি।
রাহুল গান্ধী লোকসভা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
সোমবার পহেলা জুলাই ছিল প্রিন্সেস ডায়ানার ৬৩তম জন্মদিন। ব্রিটেনের রাজপরিবারের পক্ষ থেকে নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয় জন্মদিন। তবে এবারের জন্মদিনে তার দুই ছেলে একসঙ্গে অর্থাৎ ব্রিটেনে ছিলেন না। বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়ামই ব্রিটেনে প্রিয় মায়ের জন্মদিনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তবে ছোট ভাই প্রিন্স হ্যারিকে ভুলে যাননি প্রিন্স উইলিয়াম। তার বক্তব্যেই তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
প্রিন্স উইলিয়াম একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, মায়ের জন্মদিনে তিনি ছোট ভাই প্রিন্স হ্যারির অনুপস্থিতি অনুভব করছেন। প্রিন্স হ্যারি রাজপরিবার ছেড়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রী মেগান মার্কেল ও সন্তানকে নিয়ে বাস করছেন।
১৯৬১ সালের ১ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন ডায়ানা। বেঁচে থাকলে এখন তার বয়স হতো ৬৩ বছর। হয়তো ঘটা করে পরিবার নিয়ে জন্মদিনও পালন করতেন। কিন্তু সবকিছুই এখন শুধুই স্মৃতি। মৃত্যুর এতগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও ডায়ানাকে নিয়ে এখনো মানুষের আগ্রহের শেষ নেই।
প্রিন্স চার্লস এবং প্রিন্সেস ডায়ানা দম্পতির প্রথম সন্তান প্রিন্স উইলিয়ামের জন্ম ১৯৮২ সালে। পরে ১৯৮৪ সালে জন্ম হয় প্রিন্স হ্যারির। ১৯৯৭ সালে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ডায়ানা নিহত হন। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন মিসরের ধনকুবের দোদি আল ফায়েদ। তিনিও প্রাণ হারান।
ডায়ানা জন্মদিন হ্যারি প্রিন্স উইলিয়াম
মন্তব্য করুন
৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে যুক্তরাজ্যের ৬৫০টি আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অনেকেই। আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অন্তত ৩৪ জন ব্রিটিশ নাগরিক প্রার্থী হিসাবে বিভিন্ন দলের মনোনয়ন নিয়ে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জানা গেছে, যুক্তরাজ্যের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল কনজারভেটিভ পার্টি থেকে ২ জন এবং লেবার পার্টি থেকে ৮ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টি অব ব্রিটেন থেকে ৬ জন, রিফর্ম পার্টি থেকে ১ জন, লিবারেল ডেমোক্র্যাটস থেকে ১ জন, স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট থেকে ১ জন, গ্রিন পার্টি থেকে ৩ জন, সোশ্যালিস্ট পার্টি থেকে ১ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ১১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন:
প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি থেকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আটজন ব্রিটিশ নাগরিক মনোনয়ন পেয়েছেন। বর্তমানে এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং আবার মনোনয়ন পেয়েছেন—এমন চারজন হলেন রুশনারা আলী, রুপা হক, টিউলিপ সিদ্দিক ও আফসানা বেগম। রুশনারা বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড স্টেপনিগ্রিন, রুপা ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন, টিউলিপ হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন এবং আফসানা পপলার অ্যান্ড লাইম হাউস আসন থেকে লড়ছেন। অপর চার প্রার্থীর মধ্যে রুমী চৌধুরী উইথহাম, রুফিয়া আশরাফ সাউথ নর্থাম্পটনশায়ার, নুরুল হক আলী গর্ডন অ্যান্ড বোচান এবং নাজমুল হোসাইন ব্রিগ অ্যান্ড ইমিংহাম আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির মনোনয়নে নির্বাচনী লড়াইয়ে আছেন দুজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। তাদের মধ্যে দক্ষিণ লন্ডনের টটেনহাম আসনে আতিক রহমান এবং ইলফোর্ড সাউথ আসনে সৈয়দ সাইদুজ্জামান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ওয়ার্কার্স পার্টি অব ব্রিটেন থেকে ছয়জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক মনোনয়ন পেয়েছেন। ইলফোর্ড সাউথে গোলাম টিপু, বেডফোর্ডে প্রিন্স সাদিক চৌধুরী, হেকনি সাউথে মোহাম্মদ সাহেদ হোসাইন, আলট্রিচহাম অ্যান্ড সেল ওয়েস্টে ফয়সাল কবির, ম্যানচেস্টার রসলমোতে মোহাম্মদ বিলাল এবং স্টার্টফোর্ড অ্যান্ড বো আসনে হালিমা খান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রিফর্ম পার্টি থেকে ইলফোর্ড সাউথ আসনে রিফর্ম পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাজ ফরহাদ। লিবারেল ডেমোক্র্যাটসের মনোনয়নে রাবিনা খান বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি থেকে নাজ আনিস মিয়া ডুনফারমলাইন অ্যান্ড ডলার আসনে লড়ছেন।
গ্রিন পার্টির মনোনয়নে ইলফোর্ড সাউথে সাইদ সিদ্দিকী, ওল্ডহাম ওয়েস্ট অ্যান্ড রয়টনে সাইদ শামসুজ্জামান শামস এবং লেস্টার সাউথ আসনে শারমিন রাহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সোশ্যালিস্ট পার্টির হয়ে ফোকস্টোন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মমতাজ খানম।
দলীয় মনোনয়নে বাহিরে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ১১ ব্রিটিশ নাগরিক। হলবর্ন অ্যান্ড প্যানক্রাসে লড়ছেন ওয়েইছ ইসলাম। বেথনালগ্রিন অ্যান্ড স্টেপনি গ্রিনে আজমাল মাশরুর, সুমন আহমেদ ও সাম উদ্দিন। পপলার অ্যান্ড লাইমহাউসে এহতেশামুল হক। স্টার্টফোর্ড অ্যান্ড বোতে ওমর ফারুক ও নিজাম আলী। ইলফোর্ড সাউথে নূরজাহান বেগম। নিউক্যাসল সেন্ট্রাল অ্যান্ড ওয়েস্টে হাবিব রহমান। বেক্সিল অ্যান্ড ব্যাটেলে আবুল কালাম আজাদ। ওল্ডহাম ওয়েস্ট, চেটারটন অ্যান্ড রয়স্টোনে রাজা মিয়া।
যুক্তরাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে ছোট-বড় প্রায় ৯৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। হাউস অব কমন্সের ৬৫০ আসনের বিপরীতে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে এবার রেকর্ডসংখ্যক ৪ হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে শামিল হয়েছেন। এবারের নির্বাচনে কোনো আসনে পাঁচজনের কম প্রার্থী নেই। এ ছাড়া একটি আসনে সর্বোচ্চ ১৩ জন প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনে ৩১৭টি আসনে মোট ৪৫৯ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। ৩৫টি দল থেকে ১ জন করে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সংসদ ভেঙে দিয়ে যুক্তরাজ্যে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। দেশটিতে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও সুনাক এ বছরের ৪ জুলাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দেন।এবারের নির্বাচনে ১৪ বছর পর ক্ষমতায় আসতে পারে লেবার পার্টি এমনটাই উঠে এসেছে জনমত জরিপে।
যুক্তরাজ্য পার্লামেন্ট নির্বাচন বাংলাদেশ প্রার্থী লেবার পার্টি
মন্তব্য করুন
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে এরদোয়ান দুজন মন্ত্রী নিয়োগের পর এই রদবদল ঘোষণা করা হয়।
তুর্কি সরকারি গেজেট অনুসারে, মুরাত কুরুমকে পরিবেশ, নগরায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি মেহমেত ওজাসেকির স্থলাভিষিক্ত হবেন। মেহমেত সম্প্রতি স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে এই পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে অধ্যাপক কামাল মেমিওলুকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি ইস্তাম্বুল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান হিসেবে এতদিন দায়িত্ব পালন করেছেন।
মেহমেতের পদত্যাগের ঘোষণার পরপরই মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘোষণা করা হয়। অবশ্য মেহমেতের আগে পরিবেশ, নগরায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মুরাত কুরুম। তিনি ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি সাম্প্রতিক পৌরসভা নির্বাচনে ইস্তাম্বুলের মেয়র পদে ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির প্রার্থীও ছিলেন।
তাদের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠান মঙ্গলবার বিকেলের দিকে হতে পারে। একই সময়ে একটি মন্ত্রিসভার বৈঠকও অনুষ্ঠিত হবে।
তুরস্ক মন্ত্রিসভা রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান
মন্তব্য করুন
বদলে গেল ব্রিটিশ যুগের ভারতের দণ্ডবিধি আইন। আর কেউ প্রতারণা ও জালিয়াতি ঘটনার জেরে ‘ফোর টোয়েন্টি’ বা ‘৪২০’ বলতে পারবে না। জালিয়াতি বা প্রতারণার দণ্ড থাকলেও সেই দণ্ড আর দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় নেই। সেই ধারা বদলে গেছে নতুন করে কার্যকর হওয়া ভারতের ‘ন্যায় সংহিতা’ আইনে। সোমবার (১ জুলাই) বিদায় হয়ে গেল ভারতের দণ্ডবিধির এই ধারা।
বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধীর এক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তাল ভারতের লোকসভা। সোমবার অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির প্রারম্ভিক ভাষণ নিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে প্রথমবার বক্তব্য রাখতে ওঠেন রাহুল। সাংসদদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা নিজেদের হিন্দু বলেন, তারা শুধু হিংসার কথা বলেন, ঘৃণার কথা এবং অসত্য কথা বলেন। তার পরই ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে হইচই শুরু হয়ে যায়। সোমবার (১ জুলাই) অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের আলোচনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস নেতা। ক্ষমতাসীনদের লক্ষ্য করে তিনি বলেন, তারা যা করছে তা হিন্দু ধর্ম নয়। বিজেপি ধর্মের নামে হিংসা, ঘৃণা ও অসত্য ছড়ায়। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন
সোমবার পহেলা জুলাই ছিল প্রিন্সেস ডায়ানার ৬৩তম জন্মদিন। ব্রিটেনের রাজপরিবারের পক্ষ থেকে নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয় জন্মদিন। তবে এবারের জন্মদিনে তার দুই ছেলে একসঙ্গে অর্থাৎ ব্রিটেনে ছিলেন না। বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়ামই ব্রিটেনে প্রিয় মায়ের জন্মদিনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তবে ছোট ভাই প্রিন্স হ্যারিকে ভুলে যাননি প্রিন্স উইলিয়াম। তার বক্তব্যেই তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে যুক্তরাজ্যের ৬৫০টি আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অনেকেই। আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অন্তত ৩৪ জন ব্রিটিশ নাগরিক প্রার্থী হিসাবে বিভিন্ন দলের মনোনয়ন নিয়ে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জানা গেছে, যুক্তরাজ্যের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল কনজারভেটিভ পার্টি থেকে ২ জন এবং লেবার পার্টি থেকে ৮ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টি অব ব্রিটেন থেকে ৬ জন, রিফর্ম পার্টি থেকে ১ জন, লিবারেল ডেমোক্র্যাটস থেকে ১ জন, স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট থেকে ১ জন, গ্রিন পার্টি থেকে ৩ জন, সোশ্যালিস্ট পার্টি থেকে ১ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ১১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে এরদোয়ান দুজন মন্ত্রী নিয়োগের পর এই রদবদল ঘোষণা করা হয়। তুর্কি সরকারি গেজেট অনুসারে, মুরাত কুরুমকে পরিবেশ, নগরায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি মেহমেত ওজাসেকির স্থলাভিষিক্ত হবেন। মেহমেত সম্প্রতি স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে এই পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।