ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগে ৫ মাসে ২৮ খুন

প্রকাশ: ০১:০১ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিনে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে তিনজন আওয়ামী লীগ নেতা খুন হয়েছে। তারা হলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে খুন হন জেলা পরিষদের সদস্য এবং নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দিনে-দুপুরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক সুরজ মিয়াকে। 

তিনটি খুনের ঘটনাই ঘটেছে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে। এর মধ্যে বাঘায় খুনের ঘটনার পেছনে স্থানীয় দলিল লেখক সমিতি সরকারি ফির বাইরে বাড়তি যে চাঁদা আদায় করে, সেই চাঁদার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ইট–বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খুনের ঘটনা ঘটে। এ দুটি খুনের ঘটনায় আক্রমণকারী ও নিহত দুই পক্ষই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে খুনের ঘটনার কারণ আধিপত্য বিস্তার। এর পেছনে রাজনৈতিক যুক্ততার বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। 

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দিনে-দুপুরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক সুরজ মিয়াকে। 
অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জরিত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে খুনোখুনি থামছেই না। তৃণমূলের নেতা থেকে সংসদ সদস্য কেউ বাদ যাচ্ছেন না। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে সরকারদলীয় সংসদ সদস্যসহ ২৮ নেতা খুন হয়েছেন। প্রায় সব ঘটনাতেই আক্রমণকারী ও ভুক্তভোগী দুই পক্ষই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ বিভেদ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে রাজনৈতিকভাবে এর সমাধানের কোনো পথ তাঁরা খুঁজে পাচ্ছেন না। হত্যাকাণ্ডের পর আইনি প্রক্রিয়ায় ঘাতকের বিচার করাই এখন লক্ষ্য। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রভাবশালী কোনো না কোনো পক্ষের ছত্রচ্ছায়ায় থাকেন। তাই সঠিক ও যথাসময়ে বিচার সম্পন্ন করাও কঠিন। 

গত জাতীয় সংসদ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিরোধী দল অংশ নেয়নি। প্রতিটি ভোটেই আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ ছিল আওয়ামী লীগ। ফলে দলীয় কোন্দল আরও বেড়েছে। এর সঙ্গে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং দখল, চাঁদাবাজি, চোরাকারবারির নিয়ন্ত্রণসহ নানা কারণে আগে থেকেই কোন্দল ছিল। 

চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে সরকারদলীয় সংসদ সদস্যসহ ২৮ নেতা খুন হয়েছেন। প্রায় সব ঘটনাতেই আক্রমণকারী ও ভুক্তভোগী দুই পক্ষই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবে, ২০১৮ সাল থেকে গত মে পর্যন্ত ছয় বছরে ২০২ জন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থক অভ্যন্তরীণ সংঘাতে মারা গেছেন।

অভ্যন্তরীণ সংঘাত ও প্রাণহানির ঘটনাগুলোকে বিচ্ছিন্ন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

তিনি বলেন, বিভেদ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে এমন নয়। দল বড়, বিপুল নেতা-কর্মী-সমর্থক রয়েছেন। এর মধ্যে কিছু আগাছা ঢুকে পড়েছে। তবে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে সাংগঠনিকভাবে দল ও আইনিভাবে রাষ্ট্র ব্যবস্থা নিচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, গত ১৫ বছরে সরকার বিপুল উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। সরকারি কেনাকাটায় কমিশন আদায় এবং হাট-ঘাট, পরিবহন খাতেও বিপুল চাঁদাবাজি করে অর্থ বানানোয় অনেকে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে যেকোনো মূল্যে আধিপত্য ধরে রাখতে মরিয়া আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ জন্যই সংঘাত ও প্রাণহানি ঠেকানো যাচ্ছে না।

 (তথ্যসূত্র: প্রথমআলো, ২৯ জুন ২০২৪)

আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শিক্ষক আর কোটা আন্দোলনে ভর করেছে বিএনপি: কাদের

প্রকাশ: ০৯:৩৫ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার পতনে নিজেদের আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি এখন শিক্ষক আর কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে সাভারের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ভুয়া দলের ভুয়া কর্মসূচি। আন্দোলন আর কবে হবে? আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এখন কোটা আর শিক্ষক আন্দোলনের ওপর ভর করেছে বিএনপি। এই পরজীবী আন্দোলন কখনো সফল হবে না।

আন্দোলনের হাট ভেঙে বিএনপি পরজীবী হয়ে পড়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপির মনের জোর কমে গেছে। তবে বেড়েছে গলার জোর। শক্তি যত কমে, মুখের বিষ তত উগ্র হয়ে ওঠে।

বিএনপির নেতাদের মুখের কোনো লাগাম নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতিতে বিএনপি বেপরোয়া চালক। বিএনপি এখন চলে না। খালেদা জিয়ার বদলে বিএনপি চালায় তারেক রহমান।

লন্ডনের ফরমায়েশে বিএনপির কার কখন পদ যায় দলটির নেতারা সেই আতংকে আছেন মন্তব্য করে কাদের বলেন, ফখরুলসহ বিএনপির সবাই এখন তারেক আতংকে আছে।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা নিয়ে সমালোচনায় নেমেছেন বিএনপির নেতারা। এদিন তাদের সমালোচনা জবাব দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যে দলের নেত্রী ভারত গিয়ে গঙ্গার পানির হিস্যার কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলেন, সেই বিএনপির নেতারা এখন কোন মুখে পানি চুক্তির কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি আবারও আগুন সন্ত্রাস করতে এলে খবর আছে। আন্দোলনে আপত্তি নেই, কিন্তু আগুন সন্ত্রাস ও রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করলে খবর আছে।

কোটা বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ, বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি ঘোষণা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ, বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি ঘোষণা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালোর দিকে যাচ্ছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, রিজার্ভ বাড়তে শুরু করেছে। জিনিসপত্রের দামও কমে আসবে।

তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়বে আওয়ামী লীগ। দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই হবে। জনপ্রতিনিধিরা সৎ হলে দুর্নীতিবাজরা পালিয়ে যাবে। কাজেই জনপ্রতিনিধিদের সৎ হতে হবে।


ওবায়দুল কাদের   রাজনীতি   সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে আপত্তি নেই ভারতের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে ভারতের কোনো আপত্তি নেই। ভারত সফরের সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এই সফরের কথা জানিয়েছিলেন। বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে স্মার্ট লাইব্রেরি ও ওয়েবসাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। গত ১৫ বছর ধরে আমরা এটাই করে আসছি। বিএনপির শাসনামলে বাংলাদেশ ভারতীয় পণ্যের বাজারে পরিণত হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেবল শ্রমিক রপ্তানির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সৌদি আরব বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগে আগ্রহী। কিছু অসাধু শ্রম রপ্তানিকারকদের কারণে যে শ্রমিকরা কাজ পায় না, তাদের ঠেকাতে দুই দেশের মধ্যে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠনের আলোচনা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আগামী ৮ জুলাই চার দিনের সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই দীর্ঘদিন পর দ্বিপক্ষীয় সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে ১০টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।


প্রধানমন্ত্রী   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ভারত   চীন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবেদন শুরু

প্রকাশ: ০৯:৪৮ এএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২৪-এর জন্য আবেদনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।  ‍তিনি  মঙ্গলবার (২ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড পেজ থেকে নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন।  

এতে তিনি লেখেন-উদ্ভাবনী শক্তিতে উদ্ভাসিত তরুণদের স্বীকৃতি দিতে আবারও ফিরে এলো সেই আয়োজন। জাতিকে আপনাদের অবিশ্বাস্য এবং অদম্য সব কার্যক্রমের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করতে নিজ এলাকা বা সমাজের উন্নয়নের জন্য নেওয়া উদ্ভাবনী সব উদ্যোগ নিয়ে সামনে এগিয়ে আসার সময় এখনই।

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের অষ্টম আসরের জন্য আবেদন করা যাবে এখন থেকেই। 

জয় আরও লেখেন, অক্লান্তভাবে নীরবে নিজের কমিউনিটি এবং দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা আমাদের দেশের সফল তরুণদের পুরস্কৃত করতে তাদের সঙ্গে একটি নেটওয়ার্ক স্থাপনের উদ্দেশ্য নিয়ে ইয়াং বাংলা প্রায় এক দশক আগে যাত্রা শুরু করে। আমাদের এই কার্যক্রমে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসা এবং এই প্লাটফর্মকে শক্তিশালী করার জন্য তারুণ্যনির্ভর সব সংগঠনকে ধন্যবাদ।

আবেদনের শেষ তারিখ ৩০ জুলাই। জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ আবেদনের প্রক্রিয়া অন্যান্য তথ্য বিস্তারিত জানা যাবে এই লিঙ্কে:  https://jbya.youngbangla.org/


জয়   বাংলা   ইয়ুথ   অ্যাওয়ার্ড   আবেদন   শুরু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিকেলে বাসায় ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ০২:০৫ পিএম, ০২ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর একটি হাসপাতালে ১২ দিন ধরে চিকিৎসা নেয়ার পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিকেলে বাসায় ফেরার কথা রয়েছে। মঙ্গলবার (০২ জুলাই) বিএনপি সূত্রে সাংবাদিকদের তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অনুমতি সাপেক্ষে তিনি বাসায় ফিরতে পারেন বলেও জানানো হয়।

রোববার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, ম্যাডামের হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়েছে।  হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। হার্টে ব্লক ছিল, একটা স্টেনটিংও করা ছিল। সব কিছু পর্যালোচনা করে মেডিকেল বোর্ড ম্যাডামের হার্টে পেসমেকার লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পেসমেকার স্থাপনের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

এরআগে শুক্রবার (২১ জুন) গভীর রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। তারপর তাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।

মেডিকেল বোর্ড কয়েক দফা বৈঠকে বসে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর হার্টে পেসমেকার লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক একিউএম মহসিনসহ মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা কয়েক দফা বৈঠকে বসে খালেদা জিয়ার সবশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করেন।

৭৯ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদ্রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।


খালেদা   জিয়া   বিকেলে   বাসায়   ফেরার   কথা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ধৈর্যের পরীক্ষায় শামীম

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

এনামুল হক শামীম কঠিন সময়ে প্রতিকূল রাজনৈতিক বাস্তবতায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত ভিপি হয়েছিলেন। এর মাধ্যমে ছাত্রলীগকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন এই তরুণ ছাত্রনেতা। তিনি ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন। ঐতিহাসিকভাবে মনে করা হয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব বিকাশের সূতিকাগার হলো ছাত্রলীগ। আজ যারা ছাত্রলীগের নেতা আগামী দিনেই তারাই আওয়ামী লীগে নেতৃত্ব দিবেন। এটিই বাস্তবতা। সেই ধারায় মোটামুটি আছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুল রহমান, মোস্তফা জামাল মহিউদ্দিন এর মতো অনেকেই ছাত্রলীগের নেতৃত্ব থেকেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসীন হয়েছেন। তবে ছাত্রলীগের অনেক নেতাই অপাংক্তেয়, অবহেলিত এবং প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় আছেন।

এর মধ্যে এনামুল হক শামীম রাজনীতিতে আলো ফেলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন হওয়া, ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়া এবং দলের জন্য নানারকম অবদানের কারণে তিনি আওয়ামী লীগের পরবর্তী নেতা হতে পারেন এমন ধারণা করেন অনেকে। আর তার স্বাক্ষরও রাখা হয়েছিল। গতবারের আগের কমিটিতে এনামুল হক শামীমকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দেয়া হয়েছিল। তবে ২০১৮’র নির্বাচনের পর এনামুল হককে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী করা হয়। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতির উপমন্ত্রীর পদ পাওয়াটা নিয়ে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন। অনেকে মনে করেছিলেন, তার চেয়ে জুনিয়ররা বা তার কমিটিতে থাকা অনেক ব্যক্তিরাও প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। সেখানে এনামুল হক শামীমের মতো ক্যারিশমাটিক ছাত্রনেতা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পায় কি করে?

এনামুল হক শামীম সেই দায়িত্ব হাসিমুখেই নিয়েছিলেন, ধৈর্য ধারণ করেছিলেন। তবে এবারের নির্বাচনের পর এনামুল হক শামীম কোথাও নেয়। আওয়ামী লীগের দল এবং সরকার আলাদা করার নীতি অনুযায়ী ১৮’র সালে মন্ত্রী হবার পরের কাউন্সিলে তাকে সাংগঠনিক পদেও রাখা হয়নি। যদিও আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা আছেন যারা দলের দায়িত্ব এবং মন্ত্রীত্ব একসাথে পালন করেছিলেন। তবে এনামুল হক শামীমকে সেই তালিকায় রাখা হয়নি।

এখন তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার পর মন্ত্রীত্বেও নেয়, দলের নেতৃত্বেও নেয়। যদিও মন্ত্রী হিসেবে অনেককেই মন্ত্রী হিসেবে একই মন্ত্রণালয়ে রাখা হয়েছে। এমনকি প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আগের মেয়াদের প্রতিমন্ত্রীই এবার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু এনামুল হক শামীমকে বাদ দেয়া হয়েছে।

দল এবং সরকার কোথাও না থাকা নিয়ে এনামুল হক শামীমের সমর্থক এবং তার শুভাকাঙ্খীরা কিছুটা হতাশ। তবে রাজনীতিতে এটাকেই ধৈর্যের পরীক্ষা বলে মনে করা হয়। এনামুল হক শামীমের এখন ধৈর্যের পরীক্ষা চলছে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। প্রতিটি রাজনৈতিক নেতার একটি কঠিন সময় আসে, একটি খারাপ সময় যায়। যেসময় তিনি রাজনীতিতে পাদপ্রদীপে থাকেন না। এনামুল হক শামীম এখন এই অবস্থায় আছেন।

আওয়ামী লীগের সামনে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। সেই কাউন্সিলে হয়তো এনামুল হক শামীম আবার ফিরতে পারেন কিংবা মন্ত্রীসভার রদ-বদলেও শামীমের জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তবে কি হবে সেটি নির্ভর করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আস্থাভাজন এনামুল হক শামীম। তাই সকলে মনে করেন এই ধৈর্য্যরে পরীক্ষার পর তিনি হয়তো ভালো কিছু পাবেন। রাজনীতিতে এই চাওয়া পাওয়ার হিসেব মেলাতে গিয়ে এনামুল হক শামীম যেন হতাশাগ্রস্ত না হন সেটাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আকাঙ্খা।


এনামুল হক শামীম   রাজনীতি   জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন