ইনসাইড গ্রাউন্ড

সেঞ্চুরিহীন এক বিশ্বকাপ দেখলো পৃথিবী!

প্রকাশ: ১০:২৫ এএম, ৩০ জুন, ২০২৪


Thumbnail

পর্দা নামলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। ২০ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত এই টি-টোয়েন্টি মহাযজ্ঞের আয়োজক ছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পহেলা জুন শুরু হয়েছিল এই আয়োজন। ২৯ দিন ও ৫৫ ম্যাচের এই মেগা ইভেন্টের শেষ হাসি হাসলো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে টিম ইন্ডিয়া। এর আগে ২০০৭ সালে ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের শিরোপা জিতেছিল।  

অনেক দলগত ও ব্যক্তিগত রেকর্ডের পসরা সাজিয়ে বসেছিল এবারের আসর। তবে ছিল না কোনো শতক। ২০০৯ সালের পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর এটি, সেখানে কোনো ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসেনি শতরানের ইনিংস।

এবারের আসরে নব্বইয়ের ঘরে নিজের ব্যক্তিগত ইনিংসকে নিয়ে যেতে পেরেছেন তিনজন ব্যাটার। নিকোলাস পুরান ৯৮, অ্যারোন জোন্স ৯৪* ও রোহিত শর্মা ৯২।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের পর দ্বিতীয়বার এবং তৃতীয় দেশ হিসেবে দুইটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতলো রোহিত শর্মার দল। জোহানেসবার্গের পর বার্বাডোসে সুখস্মৃতি সঙ্গী হলো ভারতের।


বিশ্বকাপ   চ্যাম্পিয়ন   ভারত   টি-টোয়েন্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ক্যারিয়ারের গোধূলিতে আবারও এক হলেন মেসি-রোনালদো!

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

লিওনেল মেসি নাকি ক্রিষ্টিয়ানো রোনালদো, কে সেরা? এমন বিতর্ক তো এখনও চলেই আসছে। ভক্ত সমর্থকদের মধ্যেও সেরার তর্ক-বিতর্ক এখনও চলমান। ফুটবলের এই দুই মহাতারকার ক্যারিয়ারের যত অর্জন তার বেশির ভাগই এসেছে একই সময়ে। ভিন্ন মহাদেশের এই দুই সুপারস্টার সাফল্যে তাদের মধ্যে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করেছে।

একটা সময় ছিল যেখানে আজ মেসি রোনালদোকে ছেড়ে গেছেন তো পরদিনই আবার মেসিকে ছুয়ে ফেলেছেন রোনালদো। এই দুই মহাতারকার প্রাইম টাইমে এমন রেকর্ড আর রেকর্ড ব্রেক তো হরহামেশাই দেখতে পেতেন দর্শকরা। সাফল্যের ক্ষেত্রে দুজনের যেমন অনেক মিল পরিলক্ষিত, এবার ব্যর্থতার ক্ষেত্রেও এরকমই মিল খুজে পাওয়া গেল মেসি রোনালদোর মধ্যে। 

আমেরিকা জার্মানিতে এই মুহুর্তে চলছে দুটি মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে, কোপা আমেরিকা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। আর চলমান এই দুই আসরেই দুই সুপারস্টারের ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা হল। নিজ নিজ মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় খেলতে নেমে গ্রুপ পর্বে কোনো গোলই পাননি লিওনেল মেসি ক্রিষ্টয়ানো রোনালদো!

অথচ নিজ নিজ দেশের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় সবার উপরেই আছে এলএমটেন সিআর সেভেনের নাম। পর্তুগীজ সুপারস্টার তো আন্তর্জাতিক ফুটবলের ইতিহাসেই সর্বোচ্চ সংখ্যক গোলের মালিক।

৩৭ বছর বয়সী লিও মেসি কোপায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে। অপরদিকে ৪০ ছুঁই ছুঁই রোনালদো ২০১৬ ইউরো চ্যাম্পিয়নদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

কোপা আমেরিকায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এরইমধ্যে কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লিখিয়েছে মেসির আর্জেন্টিনা। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে তিন ম্যাচের তিনটিতেই জয় পেয়েছে আলবিসেলস্তেরা। যেখানে এলএমটেন মাঠে নেমেছিলেন দুই ম্যাচে আর ইনজুরি থাকায় খেলতে পারেননি গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ। কিন্তু দুই ম্যাচে মাঠে থাকলেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি মেসি। মেসি যে পাননি একটিও গোল।

এলএমটেনের এমন অভিজ্ঞতা অবশ্য এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০০৭ এবং ২০১১ কোপা আমেরিকার আসরের গ্রুপ পর্বেও গোলের দেখা পাননি মেসি। ফলে ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য শেষ কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্ব গোল ছাড়াই শেষ করতে হল আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে

এদিকে নিজের প্রথম দুই কোপার আসরে গোলের খাতা খুলতে না পারলেও পরের চার আসরে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তী ঠিকই পেয়েছিলেন গোলের দেখা। ২০১৫ কোপার গ্রুপ পর্বে এক গোল করা মেসি ২০১৬ তে গ্রুপ পর্বের হ্যাটট্রিক করেছিলে। এরপর ২০১৯ সালেও এক গোল করেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। আর সর্বশেষ ২০২১ সালে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আসরে গ্রুপ পর্বে মেসি করেছিলেন গোল। তবে চলমান কোপা আমেরিকায় প্রুপ পর্বে গোল না পাওয়া আর্জেন্টাইন মহাতারকা প্রথম ম্যাচে একটি গোলে সহায়তা করেন।

অন্যদিকে মেসির এমন অভিজ্ঞতা একাধিকবার থাকলেও রোনালদোর ক্যারিয়ারে এমন অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম। চলমান ইউরোর গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে মাঠে নেমে একবারও গোলের দেখা পাননি পর্তুগীজ মহাতারকা। তবে চলমান ইউরোয় প্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে একটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন রোনালদো। কিন্তু নিজে গোল না করে সেটি ব্রুনো ফার্নান্দেজকে এসিস্ট করেন এর আগে ইউরোতে গ্রুপ পর্ব থেকে কখনোই খালি হাতে না ফেরা রোনালদো।

২০০৪ সালে ইউরোয় আগমন ঘটে রোনালদোর। ২০০৪ ২০০৮ সালে গুরপ পর্বে সমান একটি করে গোল করেন রোনালদো। এরপর ২০০৮ ২০১২ সালে গ্রুপ পর্বে সমান জোড়া গোলের দেখা পাওয়া রোনালদোর সেরা আসর ছিল ২০২০ ইউরো। গত আসরে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে রোনালদো একাই করেছিলেন গোল।

ইউরোয় সবচেয়ে বেশি ১৪ গোলের মালিক রোনালদো এখনও পর্যন্ত চলমান আসরের গ্রুপ পর্ব দ্বিতীয় রাউন্ড কোথায় গোলের দেখা পাননি। নক আউট পর্বের ম্যাচে তো পেনাল্টি থেকেও গোল করতে ব্যার্থ হন পর্তুগীজ মহাতারকা।

মেসি রোনালদো ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য শেষ কোপা ইউরোতে গ্রুপ পর্বটা গোলহীনই কাটালেন। তবে শেষ পর্যন্ত ট্রফি জিততে পারলে গোল না পাওয়ার বেদনা নিশ্চয়ই ভুলে যাবেন এই দুই মহাতারকা।

কোপা ইউরোর শেষ চারে যাওয়ার লড়াইয়ে শুক্রবার ভোরে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর। একইদিন দিবাগত রাতে পর্তুগাল লড়বে ফ্রান্সের বিপক্ষে।


ক্যারিয়ার   গোধূলি   মেসি   রোনালদো  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন রোহিত-কোহলিদের জন্য ভারতে বিশাল আয়োজন

প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

১৯৮৩ তে কপিল দেব। এরপর ২০০৭ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত মহেন্দ্র সিং ধোনির ট্রেবল। তারপর যেন সবকিছুই নিস্তব্ধ হয়ে ছিল একটা লম্বা সময় ধরে। অধিনায়কের পর অধিনায়ক বদল, ট্যাক্টিকস-কোচ-প্রতিপক্ষ সবখানেই পরিবর্তন। কিন্তু কোন কিছুতেই যেন কাজ হচ্ছিল না। বারবার সেমি অথবা ফাইনালে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হচ্ছিল রোহিত-কোহলিদের। যার জন্য ‘নব্য চোকার’ তকমাটাও লাগার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল ভারতের নামের পাশে। কিন্তু অবশেষে সকল অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে টানা ১১ বছর পর শিরোপা খরা কাটলো ভারতের। আসল ‘চোকার্স’ খ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে নবম টি-২০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রাহুল দ্রাবিড়ের শিষ্যরা।

বারবার হৃদয়ভঙ্গের বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে ভারত। স্বাভাবিকভাবেই এই ট্রফি তাদের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। তাই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বরণ করে নিতেও বাড়তি আয়োজন রেখেছে বিসিসিআই। রোহিত-কোহলিদের বরণ করে নিতে আয়োজনে কোনো কমতি রাখছে না বিশ্বের সবচেয়ে ধ্বনী ক্রিকেট বোর্ডটি।
 
বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের জয়ের ৪ দিন পেরিয়ে গেছে। তবে ট্রফি নিয়ে এখনও দেশে ফিরতে পারেননি ভারতীয় ক্রিকেটাররা। ভয়ংকর হারিকেন ঝড় ‘বেরিলে’র কবলে পড়ে ক্যারিবীয় দ্বীপ বার্বাডোজেই আটকে গিয়েছিল পুরো ভারত দল। তবে দেরিতে হলেও দেশে ফিরতে যাচ্ছে ভারত দল। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিশ্বকাপজয়ী দল ভারতে অবতরণ করবে বলে জানা গেছে।

বিশ্বকাপজয়ী দলকে নিয়ে ভারতে 'ভিক্টরি প্যারেড’ হওয়ার কথা রয়েছে। টুইটারে নিজেই এই ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্যারেডে সমর্থকদের উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়ে রহিত লিখেছেন,  ‘আপনাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বিশেষ মুহূর্তটা (বিশ্বকাপ জয়) উদযাপন করতে চাই। ৪ জুলাই বিকেল পাঁচটা থেকে মেরিন ড্রাইভ এবং ওয়াংখেড়েতে ভিক্টরি প্যারেড করে এই জয়টা উদযাপন করতে চাই। ইটস কামিং হোম।’
 
২০০৭ সালে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। সেবারও ট্রফি নিয়ে প্যারেড করেছিল দলটি। সেই স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়ে টুইটারে এক বার্তা দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ। ২০০৭ সালের প্যারেডের ছবি যোগ করে তিনি লিখেছেন, ‘ভারতীয় দলের বিশ্বকাপ জয়ের মতো অর্জনকে সম্মান জানাতে ভিক্টরি প্যারেডে যোগ দিন। মেরিন ড্রাইভ এবং ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ৪ জুলাই বিকেল ৫টায় এই উদযাপন হবে, তারিখটি স্মরণে রাখুন।’


টি-২০ বিশ্বকাপ   ফাইনাল   ভারত   দক্ষিণ আফ্রিকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-২০ অলরাউন্ডার র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হার্দিক, সাকিব কোথায়?

প্রকাশ: ০৯:৫৩ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

হার্দিক পান্ডিয়া। সাম্প্রতিক সময়ে তার ক্যারিয়ারে যেন এক তুফান বয়ে গেছে। স্ত্রীর কাছে প্রতারিত হলেন। আইপিএলে অধিনায়কত্ব পেলেন ঠিকই কিন্তু পারিবারিক অশান্তির ফলে দল ও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স যারপরনাই বাজে।  তবে বিশ্বকাপের আগে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকাে এই মানুষই ফাইনালে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন। ফিরে আসার গল্পের অন্যতম বড় নায়ক তো তিনিই।

ভারতের দ্বিতীয় টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন এ অলরাউন্ডার। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি থেকে দারুণ এই পারফরম্যান্সের ফল হাতেনাতে পেয়েছেন হার্দিক। প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-২০র অলরাউন্ডারদের র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছেন তিনি।

বুধবার (৩ জুলাই) বিশ্বকাপ শেষে আইসিসির সবশেষে হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিংয়ে এ পরিবর্তন এসেছে। এক্ষেত্রে তিনি পেছনে ফেলেছেন শ্রীলংকার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে। বিশ্বকাপ চলাকালে র‌্যাঙ্কিংয়ের ছয়ে নেমে যাওয়া সাকিব আল হাসান এগিয়েছেন এক ধাপ।

টি-২০ বিশ্বকাপ শুরুর আগে টি-২০ অলররাউন্ডারদের শীর্ষ র‌্যাঙ্কিংটি দখলে ছিল সাকিবের। কিন্তু আসরে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে এক ধাক্কায় ছয়ে নেমে যান তিনি। তবে বিশ্বকাপ শেষে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ উন্নতি হয়েছে তার, আছেন পাঁচ নম্বরে।

অলরাউন্ডারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে সাকিব ছাড়াও এক ধাপ করে এগিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টয়নিস (৩), জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা (৪) ও ইংল্যান্ডের লিয়াম লিভিংস্টোন (৮)।

তবে চার ধাপ পিছিয়ে শীর্ষ পাঁচ থেকে ছিটকে গেছেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবি। এক ধাপ পিছিয়ে দুইয়ে হাসারাঙ্গা। এক ধাপ করে পিছিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মার্করাম (৯) ও ইংল্যান্ডের মঈন আলীও (১০)।


হার্দিক পান্ডিয়া   ভারত   বিশ্বকাপ   সাকিব আল হাসান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোয়ার্টার ফাইনালে মেসি খেলবেন কি?

প্রকাশ: ০৫:৩১ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

চলছে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই কোপা আমেরিকা। যেখানে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সহ প্রতিটি দলই নিজেদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে গ্রুপ পর্বের খেলা। যেখানে সবার আগেই পর পর তিন ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার নিশ্চিত করেছিল আর্জেন্টিনা। আর সবশেষ দল হিসেবে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ড্র করে আজ শেষ আট নিশ্চিত করলো পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।

গ্রুপপর্বের লড়াই শেষে এবার কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালকে সামনে রেখে অনুশীলনে ব্যস্ত সময় পার করছে দলগুলো। যার মধ্যে রয়েছে, তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। দলের বাকি ফুটবলারদের ছাপিয়ে সবার নজর এখন চোটাক্রান্ত লিওনেল মেসির দিকে। কোয়ার্টার ফাইনালে মেসি পুরোপুরি ফিট হয়ে খেলতে পারবেন কি না সেই প্রশ্ন অনেকেরই।

মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে মেসিকে পূর্ণ ফিট অবস্থায় ফিরে পেতে মরিয়া আর্জেন্টিনা দল। শুক্রবার (০৫ জুলাই) ইকুয়েডরের বিপক্ষে শেষ আটের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।

কোপা আমেরিকায় চিলির বিপক্ষে খেলার সময় চোটে পড়েন মেসি। অস্বস্তিকে সঙ্গী করেই সেদিন খেলেন তিনি। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলারকে ছাড়াই মাঠে নামে আর্জেন্টিনা।  এখন কোয়ার্টার ফাইনালেও মেসির পুরো ৯০ মিনিটে খেলা নিয়ে আছে শঙ্কা।

কোয়ার্টার ফাইনালে দলের অধিনায়ক ও সেরা খেলোয়াড়কে মাঠে পেতে মরিয়া স্কালোনি। আর্জেন্টিনার স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বর্তমানে আগের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছেন মেসি। বল নিয়ে অনুশীলনেও দেখা গেছে তাকে।

ইকুয়েডরের বিপক্ষে মেসিকে খেলাতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি স্কালোনি। যদি কোনো কারণে মেসিকে শুরু থেকে খেলানো সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে তাকে বেঞ্চ থেকে মাঠে নামাবেন কোচ। আর মেসি বেঞ্চে থাকলে দলের অধিনায়কত্ব করবেন আনহেল দি মারিয়া।


আর্জেন্টিনা   কোপা আমেরিকা   লিও মেসি   লিওনেল স্কালোনি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘সাংবাদিকরা গুজবের ভিত্তিতে খবর প্রচার করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে’

প্রকাশ: ০৪:৩৬ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বকাপের সাফল্য-ব্যর্থতা ছাপিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তাসকিন আহমেদের ঘুম-কাণ্ড।  সংবাদমাধ্যমে রটেছে, টি-২০ বিশ্বকাপে ভারত ম্যাচের দিন নাকি ঘুম ভাঙেনি তাসকিনের। এমনকি ঘুম থেকে দেরিতে ওঠায় টিম বাস মিস করেন তিনি। সেই কারণে নাকি ওই ম্যাচের একাদশেও রাখা হয়নি বাংলাদেশ দলের সহ অধিনায়ককে।

বিষয়টি নিয়ে গতকাল সাকিব আল হাসান ও বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন গণমাধ্যমে কথা বলেছেন ঠিকই। কিন্তু তাদের কথার মধ্যেও নানারকম ধোঁয়াশা ছিল। তবে এবার নিজের ফেসবুক পেজে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিলেন খোদ তাসকিন নিজেই।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তাসকিন লেখেন, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি সম্প্রতি অনলাইনে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে সম্প্রতি শেষ হওয়া টি-২০ বিশ্বকাপের একটি ঘটনা নিয়ে অনেক হৈচৈ করা হচ্ছে।

প্রথমত, আমি সবাইকে জানাতে চাই যে বেশিরভাগ সংবাদ এবং তথ্য যা ছড়ানো হচ্ছে তা কেবল গুজব এবং আমি আশা করি ভক্তরা এটি সেইভাবে দেখবেন।

দ্বিতীয়ত, আমি ঘটনাটি সেদিন আসলে কী ঘটেছিল তা পরিষ্কার করতে চাই। আমি স্বীকার করি যে আমি স্বাভাবিকের চেয়ে পরে উঠেছি এবং এর জন্য আমি ইতিমধ্যে পুরো দল এবং ম্যানেজমেন্টের  কাছে ক্ষমা চেয়েছি।

আমি সকাল ৮:৩৭ এ উঠেছিলাম এবং ৮:৪৩ এ লবিতে গিয়েছিলাম এবং আমার রাইড প্রস্তুত হওয়ার সাথে সাথে আমি সকাল ৯:০০ এ হোটেল ছেড়েছি। আমি সকাল ৯:৪০ এ স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছি, ম্যাচ টসের ২০ মিনিট আগে সকাল ১০:০০ এ। আমরা সকাল ১০:১৫ এ জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছিলাম এবং ম্যাচটি সকাল ১০:৩০ এ শুরু হয়েছিল।

এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে এই তথাকথিত ক্রীড়া সাংবাদিকরা গুজবের ভিত্তিতে খবর প্রচার/মুদ্রণ করছে এবং যাচাই না করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে যা জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন খেলোয়াড় হিসাবে।

যারা আমাকে চেনেন তারা জানেন আমি আমাদের দেশকে কতটা ভালোবাসি এবং বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য কতটা নিবেদিত, উৎসাহী এবং গর্বিত। আমি জানি আমি সময়মতো টিমের বাসে না উঠার একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল করেছি, কিন্তু আমি টসের আগেই স্টেডিয়ামে ছিলাম। আমার চূড়ান্ত দলে নির্বাচিত না হওয়াটা টিম ম্যানেজমেন্টের  সিদ্ধান্ত ছিলো। যা সঠিক টিম কম্বিনেশন পাওয়ার সাথে সম্পর্কিত  এবং এটি আমার টিম বাসে না ওঠার ব্যর্থতার সাথে সম্পর্কিত ছিল না।

তাই, আমি আশা করি মিডিয়া এবং ক্রীড়া সাংবাদিকরা মিথ্যা গল্প লেখার আগে আরও সতর্কতা অবলম্বন করবেন এবং একটি বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করবেন না। এটি কেবল আমাদের খেলোয়াড়দের ক্ষতি করে না বরং আমাদের দেশের সামগ্রিক চিত্রকে ক্ষুণ্ন করে। আমি বিশ্বাস করি আমরা সবাই সৎ এবং পেশাদার সাংবাদিকতা আশা করি যাতে জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে পারি।

ভবিষ্যতে, আমি আইনি ভাবে এই ধরনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো যাতে কেউ আমার ক্রীড়াবিদ বা মানুষ হিসাবে আমার সুনাম বা অখণ্ডতা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা না করে। আমার সকল ভক্তদের ধন্যবাদ তাদের অব্যাহত সমর্থনের জন্য।

উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত টি-২০ বিশ্বকাপে সুপার এইটের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে একাদশে ছিলেন না তাসকিন। আর এ নিয়ে বেশকিছু গণমাধ্যমে খবর বের হয়, ঘুমের কারণে নাকি মহাগুরুত্বপূর্ণ সেই ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। যা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।


তাসকিন আহমেদ   বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড   বিসিবি   সাকিব আল হাসান   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন