ক্লাব ইনসাইড

দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি, স্থগিত ক্লাস-পরীক্ষা

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বৈষম্যমূলক পে-স্কেল ও পেনশন স্কেলের প্রতিবাদে আজ (সোমবার) থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। যার কারণে বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার ক্লাস ও পরীক্ষা। 

গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে এ ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতারা। 

একই দিন রাজশাহী, জগন্নাথ, চট্টগ্রাম ও  খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) সহ আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করা হয়।


সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের দাবি তিনটি—প্রত্যয় কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে (প্রশাসনে জ্যেষ্ঠ সচিবেরা যে ধাপে বেতন-ভাতা পান) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন। আর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি শুধু প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিল। আর এসব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি পালিত হবে বলে জানান শিক্ষক নেতারা। 

প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে জানা যায়, সকাল থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতির পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। 

গতকাল (রোববার) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের এ আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্দোলন। 

বৈষম্যমূলক ও মর্যাদাহানিকর প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে।

বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা ৯টি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে; অনলাইন, সান্ধ্যকালীন ক্লাস, শুক্র ও শনিবারের প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাস বন্ধ থাকবে; সকল পরীক্ষা বর্জন করা হবে। মিডটার্ম, ফাইনাল ও ভর্তি পরীক্ষাসহ কোনো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। বিভাগীয় চেয়ারম্যান বিভাগীয় অফিস, সেমিনার, কম্পিউটার ল্যাব ও গবেষণাগার বন্ধ রাখবেন। 

প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১৩ মার্চ সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আর এতে ‘প্রত্যয় স্কিম’ এ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অন্তর্ভূক্তির শুরু থেকেই এই ব্যবস্থাকে একটি বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা বলে বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনগুলো। এ সংগঠনগুলো দাবি আদায়ে বেশ কিছু কর্মসূচী পালন করে।

এদিকে গত ৪ জুন দাবি আদায়ে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। এরপরও তাদের দাবির বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নেয়ার গত ২৫,২৬ ও ২৭ জুন অর্ধদিবস এবং ৩০ জুন কর্মবিরতি পালন করেন তারা। 


কর্মবিরতি   স্থগিত   পে-স্কেল   প্রত্যয় স্কিম  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ইবির বাজেটে গুরুত্ব পায়নি শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট খাত


Thumbnail

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ১৮২ কোটি ৭৭ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে। বাজেটের সিংহভাগ অর্থই বরাদ্দ রাখা হয়েছে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও পেনশন খাতে। এসব বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪২ কোটি ৬৩ লাখ ৫ হাজার টাকা, যা মোট বাজেটের ৭৮ দশমিক ০৪ শতাংশ। অন্যদিকে বরাবরের মতোই উপেক্ষা করা হয়েছে শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট খাতগুলো। এবার গবেষণা ও উদ্ভাবন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, যা মূল বাজেটের ১.৫২ শতাংশ। এছাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা বাবদ রাখা হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ০.১৯ শতাংশ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব শাখা সূত্রে, অনুমোদিত বাজেটের মধ্যে ১৭৩ কোটি ৫ লাখ টাকা দেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব খাত থেকে আসবে ৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা। বাজেটে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও বিশেষ সুবিধা বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ১২১ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যা মোট বাজেটের ৬৬ দশমিক ২২ শতাংশ। আর পেনশন বাবদ ২১ কোটি ৩২ লাখ ২৯ হাজার টাকা। যা মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এছাড়া অবসর ভাতাভোগীদের জন্য বিশেষ সুবিধা বাবদ ২৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। যা মোট বাজেটের শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ। সবমিলিয়ে বাজেটের ৭৮.০৪ শতাংশ ব্যয় হবে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ, পেনশন ও বিশেষ সুবিধা প্রদানে।

অন্যদিকে বাজেটে গুরুত্ব পায়নি গবেষণা-উদ্ভাবন ও শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট খাতগুলো। গবেষণা ও উদ্ভাবন খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ১ দশমিক ৫২ শতাংশ। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সহায়তায় ৩৫ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ০.১৯ শতাংশ। এছাড়া ছাত্রকল্যাণ তহবিল বাবদ কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি।

এছাড়া বাজেটে পণ্য ও সেবা (সাধারণ ও মেরামত) ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ১৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ। যন্ত্রপাতি অনুদান খাতে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যা মোট বাজেটের শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ। যানবাহন বাবদ ৫২ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অনুদান বাবদ ৩৭ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। অন্যান্য মূলধন অনুদান বাবদ বরাদ্দ রয়েছে ৫০ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ।

এদিকে এবারের বাজেটেও শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট খাতগুলো বরাবরের মতো অবহেলিত বলে মনে করছেন বাজেট বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গবেষণা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ আগের তুলনায় কিছুটা বাড়লেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করেন তারা।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘বাজেটের সিংহভাগই ব্যয় হবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-বাতা ও পেনশন খাতে। অন্যদিকে বাজেটে শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট খাতে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে, তা দিয়ে শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়।'

অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মুঈদ বলেন, বাজেট প্রণয়ণ একটি গতানুগতিক কাজ। বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে চলবে তার খরচের একটা আর্থিক হিসাবমাত্র। আর সেটা অনুমোদন করে ইউজিসি। একটি রাষ্ট্রের বাজেটের মধ্যে যেমন বিভিন্ন উদ্ভাবনী দিক থাকে এটা সেরকম না। এখানে প্রশাসনের ক্রিয়েটিভ কিছু করার নেই। চাইলেই তারা একটা কিছু করতে পারবে না। গবেষণা খাতে চাইলেই তো আর সরকার দিয়ে দিবে না। তবে গবেষণা ও শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে বরাদ্দ আরও বাড়ানো উচিৎ।

অর্থ ও হিসাব শাখার পরিচালক জাকির হোসেন জানান, চাহিদা দেওয়ার সময় আমরা মূল বাজেটের প্রায় ১০ থেকে ২৫ শতাংশ গবেষণা ও শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে দিয়ে থাকি। কিন্তু ইউজিসি না দিলে তো আমাদের কিছু করার নেই। ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আয় বাড়াতে বলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আয় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ফি থেকেই আসে। সেটাতো আর চাইলেই প্রশাসন বাড়াতে পারে না।


ইবি   বাজেট   খাত   শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

জবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে তদন্তে নামলো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ

প্রকাশ: ১১:৫৫ এএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রশ্নফাঁস, টেন্ডার বানিজ্য ও চাঁদাবাজিসহ নানা ঘটনা সামনে আসার পর মেয়াদোত্তীর্ণ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে তদন্তে নামলো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তদন্তের জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

 

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সুষ্ঠু তদন্তের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। কমিটির সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ হীল বারী। এ কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হলো।

 

এদিকে জবি ছাত্রলীগের প্রশ্ন ফাস ও টেন্ডার বানিজ্যের চলমান ইসুতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দীন নাসিম বলেন, যেহেতু ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বিষয়টি জেনেছে সেহেতু খোঁজ খবর নিয়ে তারা ব্যবস্থা নিবে। অভিযোগ আসলেই হবে না তার সত্যতা যাচাই করতে হবে। সত্যতা থাকলে ছাত্রলীগের যেই নেতাই করেছে বা যে করেছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হয় বা হবে। 

 

তিনি আরও বলেন, কোনো ব্যক্তির দায় কোনো দল বা সংগঠন নেয় না। যদি কোনো অপরাধ হয় এটা তার দায়। টেন্ডার বাণিজ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কোন নেতা কখনোই টেন্ডার বানিজ্যের সাথে যুক্ত থাকতে পারে না। ছাত্রলীগ ছাত্র রাজনীতি করবে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রাজনীতি করবে।

এর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম আকতার হোসাইনের বিরুদ্ধে মেসেন্জারে মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল টেন্ডার সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনের নিয়ন্ত্রণে রাখা, সদরঘাট এলাকায় সুমনা হাসপাতালে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ দেখা যায়। গণমাধ্যমে এসব অভিযোগে আলোচনায় রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। ২০২২ সালে জবি শাখা ছাত্রলীগের এ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। মেয়াদ শেষ দেড় বছর আগেই। এ কমিটি বিলুপ্তসহ নতুন কমিটি করে গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিটকে সচলের দাবি করেন পদপ্রার্থীরা।


জবি   ছাত্রলীগ   প্রশ্ন ফাঁস   তদন্ত  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন

প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় মানববন্ধনকারীদের 'কোটা না মেধা-মেধা মেধা' স্লোগানে উত্তাল হয় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস।

 

বৃহস্পতিবার (৪জুলাই) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এর মূল ফটকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন পালিত হয়।

 

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা-মেধা মেধা’, আপোষ না সংগ্রাম-সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আঠারোর পরিপত্র-পুনর্বহাল করতে হবে’, কোটাপ্রথা নিপাত যাক-মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘সারা বাংলায় খবর দে-কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘আমার সোনার বাংলায়-বৈষম্যের ঠাই নাই’, জেগেছে রে জেগেছে-ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

 

মানববন্ধনের বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, কোটা পদ্ধতির ফলে দেশের বৃহত্তর অংশ চাকরি বৈষম্যে ভুগছে। এই বৈষম্য রোধে কোটা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করছি। কোটাধারী একটা পরিবার একটা সুযোগ নিতে পারবেন। কোনো কোটাধারী উচ্চ শিক্ষা নিতে কোটা ব্যবহার করলে সে পরবর্তীতে চাকরির জন্য আর কোটা পাবেন না। এমন ব্যবস্থা করা হোক।

 

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘যে বৈষম্যের কারণে আমরা পাকিস্তান থেকে মুক্তি লাভের জন্য সংগ্রাম করেছি, বুকের তাজা রক্ত দিয়েছি সেই একই বৈষম্যের শিকার হচ্ছে এখন দেশের মেধাবীরা। আমাদের দাবি এই প্রহসনমূলক কোটার সংস্করণ হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ, চাকরিতে নিয়োগ ও অন্য সব প্রতিযোগিতার জায়গায় আমরা মেধার মূল্যায়ন হোক।'


কোটা আন্দোলন   রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

কোটা সংস্কার দাবিতে রাজপথে ইবি শিক্ষার্থীরা


Thumbnail

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদ ও কোটা সংস্কারের দাবি জানিয়ে রাজপথে নেমেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকের সামনে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত ২রা জুলাই একই দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও ছাত্র সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভে 'বঙ্গবন্ধুর বাঙলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই', 'দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান', 'স্বাধীন এই বাংলায়, বৈষম্যের ঠাইঁ নাই', '১৮ সালের পরিপত্র, পুনর্বহাল করতে হবে', ‘কোটাবৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভকারীরা জানান, ২০১৮ সালে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিল, সম্প্রতি হাইকোর্ট সেটা পুনর্বহাল করেছেন। আমরা হাইকোর্টের রায়কে প্রত্যাখ্যান করছি। বক্তারা আরও বলেন, চাকরী পরীক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষাসহ সবখানে কোটার ছড়াছড়ি। যার ফলে মেধাবীদের বঞ্ছিত করে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা এসব ক্ষেত্রে সুবিধা নিচ্ছে। আমরা এই বৈষম্য মানি না। আমাদের আন্দোলন একেবারে কোটা বাতিলের দাবিতে নয়। আমরা চাই কোটা পদ্ধতির সংস্কার করা হোক। ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সরকারী চাকরিতে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে কোটা পদ্ধতির সংস্কার করতে হবে। একইসঙ্গে পরীক্ষায় কোটা-সুবিধা একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করতে হবে।


ইবি   কোটা   পুনর্বহাল   প্রতিবাদ   বিক্ষোভ   কোটা সংস্কার আন্দোলন   রাজপথ   অবরোধ  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাবিতে কোটা আন্দোলন, মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ১১:৫৫ এএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের রায় বাতিল ও কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে এ দাবি জানানো হয়। এসময় আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়েরি বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন। 


'বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, কোটা প্রথার ঠাঁই নাই, 'মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী অপশক্তিরা নিপাত যাক', 'দেশ স্বাধীন করলো যারা, কেন অপমানিত হবে তারা', 'কোটা ব্যবস্থা বৈষম্য সৃষ্টি করে না বরং সমতা বিধান করে', 'মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটাক্ষ চলবে না, চলবে না', 'মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানহানি করা যাবে না' এসময় এমনসব স্লোগানে প্রতিবাদ জানান তারা।

এসময় আন্দোলনকারীরা বলেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ তৎপর ছিল, আছে এবং থাকবে। একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সরকারি চাকুরিতে মেধাবীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের সমান সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করার কোনো বিকল্প নেই। বৈষম্যমূলক কোটাপদ্ধতির সংস্কারের লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সর্বদা সোচ্চার রয়েছে।


আন্দোলনে পপুলেশন সায়েন্সে এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আমানুল্লাহ খান বলেন, আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না। এই বৈষম্যের অবসান চাই।

শিক্ষার্থীদের দাবি, ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা, অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে৷ সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে, সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে৷

এর আগে, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দেয়া সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা। একদিন পর এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালে ওই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট। এ রায়ের পর ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন শুরু হয়।


রাবি   কোটা আন্দোলন   বৃষ্টি উপেক্ষা   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন